Connect with us

স্টার জোন

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে যা বললেন পরীমণি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

আদালতে পরীমণি (ছবি: ফেসবুক)

আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন অভিনেত্রী পরীমণি। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় আলোচিত এই তারকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ ১ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

আজ সকাল ১০টায় পরীমণি আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন। সাত তলার আদালত কক্ষে তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এজলাসের পেছনে একটি বেঞ্চে বসেছিলেন নায়িকা। আইনজীবী বলেন, ‘গতকাল মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ছিল। পরীমণি অসুস্থ থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। চার্জ গঠন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আজ আত্মসমর্পণ করেছেন। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’ এরপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ জামিনের আদেশ দেন।

‘ফেলুবক্সী’র লাবণ্যের সাজে পরীমণি (ছবি: হিমানি ফিল্মস)

গতকাল (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

জামিন শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে পরীমণি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল জামিন পাবো। সবাই সাহস জুগিয়েছেন। আমি জামিন পেয়েছি। আপনাদের এতো ভালবাসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি।’

পরীমণি (ছবি: ফেসবুক)

২০২২ সালের ৬ জুলাই পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমণি ও তার সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে স্নানঘর ব্যবহার করেন। পরে ক্লাবের ভেতরে বসে মদ্যপানে সময় কাটান। রাত ১টা ১৫ মিনিটে ক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় পরীমণি তাকে ডেকে একটি মদের বোতল বিনামূল্যে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। তিনি রাজি না হওয়ায় অভিনেত্রী গালিগালাজ করেন। ব্যবসায়ীর দাবি, বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পরী একটি কাচের গ্লাস ছুড়ে মারলে সেটি নাসিরের মাথা ও বুকে লাগে। সেই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা হিসেবেই মামলায় উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ী।

গত বছরের ১৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এর একমাস পর (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত দুই আসামিকে ২৫ জুন আদালতে হাজির থাকতে সমন জারি করে। সেদিন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তারা।

পরীমণি (ছবি: ফেসবুক)

আজ আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের পরীমণি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, আমি একটি মামলা করেছিলাম। এর আড়াই বছর পরে তিনি (নাসির) একটি মামলা করেন, যে মামলায় গতকাল আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এটা খুবই পরিষ্কার যে, আমি মামলা করার ঠিক আড়াই বছর পরই একটি মামলা করা হলো আমাকে দমানোর জন্য। এই মামলাটি বিচারাধীন। আমার বিশ্বাস সঠিক বিচার পাবো। আপনারা সবাই জানেন, আমি চার বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরে আদালতে এসেছি। এখান থেকে আশাহত হতে চাই না। আমি চাই শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হোক।’

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ