Connect with us

ঢালিউড

আনুশেহ, দোদুল ও সানিসহ সরকারি অনুদান পেলেন যারা

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

আনুশেহ আনাদিল (ছবি: ফেসবুক)

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ও ২০টি শর্টফিল্ম ও প্রামাণ্যচিত্রকে সরকারি অনুদান দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার প্রত্যেক প্রযোজক ৭৫ লাখ টাকা ও শর্টফিল্মের প্রযোজকরা ২০ লাখ টাকা করে পাবেন। সব মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৯ কোটি টাকা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র-২ শাখা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার সাধারণ শাখায় সরকারি অনুদান পেয়েছে সংগীতশিল্পী আনুশেহ আনাদিল প্রযোজিত ‘কফিনের ডানা’। একই শাখায় ‘জলযুদ্ধ’ সিনেমা তৈরির জন্য অনুদান পেয়েছেন নির্মাতা গোলাম সোহরাব দোদুল। সাংস্কৃতিক ইতিহাস তথা বাংলার ঐতিহ্য, মিথ ও ফোকলোর সংক্রান্ত শাখায় অনুদান পেয়েছে সংগীতশিল্পী আহমেদ হাসান সানি প্রযোজিত ‘রুহের কাফেলা’।

গোলাম সোহরাব দোদুল (ছবি: ফেসবুক)

সাধারণ শাখায় অনুদানপ্রাপ্ত অন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাগুলো হলো– ‘পরোটার স্বাদ’ (সিংখানু মারমা), ‘খোঁয়ারি’ (সৈয়দ সালেহ আহমেদ সোবহান), ‘জীবন অপেরা’ (এম আলভী আহমেদ), ‘কবির মুখ: দ্য টাইম কিপার’ (মুশফিকুর রহমান), ‘নওয়াব ফুজুন্নেসা’ (মোছাঃ সাহিবা মাহবুব), ‘জুঁই’ (সুজন মাহমুদ)।

আহমেদ হাসান সানি (ছবি: ফেসবুক)

পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার শিশুতোষ শাখায় ‘রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান’ (জগন্ময় পাল) ও প্রামাণ্যচিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছে ‘মায়ের ডাক’ (লাবিব নামজুছ ছাকিব)। রাজনৈতিক ইতিহাস তথা আবহমান বাংলার সকল রাজনৈতিক অভ্যুত্থান, আন্দোলন ও বিপ্লব যা এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের নিয়ামক সংক্রান্ত শাখায় অনুদান পেয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘জুলাই’ (মাহমুদুল ইসলাম)।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের প্রজ্ঞাপন (ছবি: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়)

শর্টফিল্মের শিশুতোষ শাখায় ‘মন্দ-ভালো’ (মাহবুব আলম) ও প্রামাণ্যচিত্র শাখায় সরকারি অনুদান পেয়েছে ‘ফেলানী’ (সাব্বির), ‘ঝুঁকির মাত্রা’ (আক্তার তাফজিরা রহমান সামিয়া), ‘জীবনের গান’ (জাহিদ হাসান)। আবহমান বাংলার সব রাজনৈতিক অভ্যুত্থান, আন্দোলন ও বিপ্লব নিয়ে অনুদান পাচ্ছে তিনটি শর্টফিল্ম। এগুলো হলো অভীকচন্দ্র তালুকদার প্রযোজিত ‘হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই’, সাইদুল আলম খানের ‘ভরা বাদর’, সালমান নূরের ‘১২৩০’। বাংলার ঐতিহ্য, মিথ ও ফোকলোর সংক্রান্ত শাখায় অনুদান পেয়েছে ‘আঙুল’ (শুভাশিস সিনহা)।

শর্টফিল্মের সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে ১০টি সিনেমা। এগুলো হলো– ‘একটি সিনেমার জন্য’ (সাদমান শাহরিয়ার), ‘দাফন’ (সাইদুল ইসলাম), ‘সাঁতার’ (মোহাম্মদ ইফতেখার জাহান নয়ন), ‘মাংস কম’ (নোশিন নাওয়ার), ‘গগন’ (সুমন আনোয়ার), ‘অতিথি’ (আবিদ মল্লিক), ‘বোবা’ (সালজার রহমান), ‘অদ্বৈত’ (সাদিয়া খালিদ), ‘আশার আলো’ (আরিফুর রহমান), ‘গর্জনপুরের বাঘা’ (মনিরুজ্জামান), ‘হোয়্যার দ্য ওয়াটার স্লিপস’ (তছলিমা আক্তার নূপুর), ‘অপসময়’ (নাসরুল্লাহ মানসুর)।

গত ৩০ জুন প্রকাশ্যে আসা তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শারমিন আখতার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং দেশের সকল জনগোষ্ঠীর আবহমান সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, জীবনমুখী, শিল্পমান সমৃদ্ধ ও বহস্বর বিবৃত করে এমন পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণের জন্য ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রযোজকদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অনুদানের শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, ‘চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণের বিষয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি কোনো পরামর্শ প্রদান করলে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের অনুমোদিত কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালক, শিল্পী ও কলাকুশলী পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতি ব্যতিত অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নাম পরিবর্তনযোগ্য নয়। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রত্যেক প্রযোজক প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত হারে অনুদান পাবেন।’

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ