আলাপচারিতা
‘ট্রেন্ডিংয়ে থাকার চেয়ে দর্শকদের কমেন্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ি’
এবারের ঈদুল আজহার অন্যতম জনপ্রিয় নাটক ‘চাঁদের হাট’। ইউটিউবে বেশ কিছুদিন ট্রেন্ডিংয়ে এক নম্বরে ছিলো এটি। এখনো ট্রেন্ডিংয়ে আছে এই নাটক। এটি লিখে ও পরিচালনা করে প্রশংসিত হয়েছেন তরুণ নির্মাতা কেএম সোহাগ রানা। এর আগেও বেশকিছু নাটক পরিচালনা করেছেন তিনি। নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাওয়ালার সঙ্গে প্রায় একযুগ ধরে আছেন সোহাগ রানা। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে আর গল্প বুনে দিন কাটে তার। ‘চাঁদের হাট’ ও নিজের স্বপ্ন নিয়ে সিনেমাওয়ালা নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় সময় দিয়েছেন তিনি।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘চাঁদের হাট’ মুক্তির পরপরই ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে চলে আসে। এরপর টানা কয়েক সপ্তাহ এক নম্বরেই ছিলো। এখনো ট্রেন্ডিংয়ে আছে নাটকটি। এর অনুভূতি কেমন?
কে এম সোহাগ রানা: কোনো নাটক ট্রেন্ডিংয়ে থাকা মানে দর্শকদের মধ্যে সেটি নিয়ে চাহিদা তৈরি হয়েছে। তবে অনেক সময় দেখা যায় ভালো-মন্দ যেকোনো কাজই ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। কনটেন্ট যদি ভালো হয় তাহলে সেটা টিকে থাকে, ভালো না হলে এক-দুই দিনেই হারিয়ে যায়। এজন্য আমি ট্রেন্ডিংয়ে থাকার চেয়ে দর্শকদের কমেন্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ি। এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও দর্শকের ভালো লাগা ও খারাপ লাগা বুঝতে পারি। ‘চাঁদের হাট’ দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন্ডিংয়ে আছে, পাশাপাশি দর্শকদের ইতিবাচক কমেন্ট দেখে বুঝেছি নাটকটি তাদের ভালো লেগেছে। আর মানুষের ভালোবাসা পেতে কার না ভালো লাগে! দর্শকের এসব প্রতিক্রিয়া আমাকে আরো আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘চাঁদের হাট’ গল্পটি মাথায় এলো কীভাবে? নাটকটি কি কোনো বাস্তব ঘটনায় অনুপ্রাণিত?
সোহাগ রানা: একটি চরিত্রকে ধরে গল্পটি মাথায় এসেছে। সিনেমাওয়ালার অফিসে একদিন ভাইয়া (মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ) এসে আমাকে বলেন, ‘ঈদ সম্পর্কিত একটা গল্প বানাও।’ তখনো জানি না কী করবো। তখন ভাইয়া বলছিলেন, ‘গরুর হাটের দালাল চরিত্র নিয়ে কিছু একটা করতে পারো।’ তার ওই পরামর্শ থেকেই গল্পের শুরু। বাকি গল্পের সিংহভাগ অংশ বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ঘটনা থেকে নেওয়া।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: অনেক দর্শক এই নাটকের শেষ দৃশ্যের প্রতি আবেগপ্রবণ হওয়ার কথা আলাদাভাবে বলেছেন। এর মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চেয়েছেন?
সোহাগ রানা: মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসার বার্তা দিতে চেয়েছি। আমরা একে অপরকে ভালোবাসলে প্রত্যেকের জীবন হবে সুন্দর। মানুষের প্রতি মানুষের মায়া আর ভালোবাসা থাকলে পুরো পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে যায়। এখন সেটারই অভাব দেখি চারপাশে।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: দর্শকদের কাছ থেকে নিশ্চয়ই ভালো সাড়া পেয়েছেন। আপনার পরিবারের লোকজন কী বললেন?
সোহাগ রানা: আম্মু আমার কাজ নিয়মিত দেখেন। তিনি আমাকে তার মতো ভালো লাগা ও খারাপ লাগা প্রকাশ করেন। ‘চাঁদের হাট’ আম্মুর বেশ ভালো লেগেছে। আমার পরিবারের বাকিরা ও কাছের বন্ধুরা আলাদা করে তাদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছে।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: নাটকের শুটিং করার অভিজ্ঞতা বলুন। হাটে কাজ করার চ্যালেঞ্জ কী কী ছিলো?
সোহাগ রানা: আমরা যখন শুটিং করি তখন প্রচন্ড গরম ছিলো। গরমেই বস্তিতে ও গরুর হাটে শুটিং করেছি। ঈদুল আজহার আগে গাবতলী গরুর হাটে শুটিং করা মানে বুঝতেই পারছেন কী ধকল গেছে আমাদের ওপর। তবে আমাদের চিত্রগ্রাহক আদিত্য মনিরসহ পুরো টিম যথেষ্ট করিতকর্মা ও সুদক্ষ, ফলে আমরা সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভালোভাবে শুটিং সেরে আসতে পেরেছি।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘চাঁদের হাট’ নাটকের অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কিছু বলুন।
সোহাগ রানা: প্রত্যেকেই দারুণ, অসাধারণ ও সহায়তাপ্রবণ। তৌসিফ মাহবুব শুটিংয়ের অনেক আগে থেকেই আমার সঙ্গে গল্প নিয়ে একাধিকবার বসেছেন, সময় দিয়েছেন। তার মধ্যে ভালো কাজের প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা দেখেছি। তিনি ভালো মনের মানুষ এবং নিঃসন্দেহে একজন দারুণ অভিনেতা। ডা. এজাজুল ইসলাম ও মনিরা মিঠুর অভিনয় ছোটবেলা থেকেই দেখছি, কী অসাধারণ অভিনয় করেন তারা! আর কেয়া পায়েল দিন দিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আগেও অনেক কাজ করেছি। সেই হিসেবে নিজের পরিবারের মতো টিম নিয়ে বেশ আনন্দে শুটিং করেছি।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: এর আগে কী কী নাটক পরিচালনা করে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন?
সোহাগ রানা: গত ঈদুল ফিতরে ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’র জন্য দারুণ সাড়া পেয়েছি। এতে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও তাসনিয়া ফারিণ। আমার পরিচালিত অন্যান্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাওয়ার্ড’ (ফারহান আহমেদ জোভান, তাসনিয়া ফারিণ), ‘সাদা রুমাল’ (জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ), ‘বিষয়টা ভালোবাসার’ (তৌসিফ মাহবুব, তানজিম সাইয়ারা তটিনী), ‘হয়নি বলা কোনো কথা’ (তৌসিফ মাহবুব, সাদিয়া আয়মান), ‘এমন একটা তুমি চাই’ (তৌসিফ মাহবুব, সাদিয়া আয়মান), ‘ওসিডি’ (শামীম হাসান সরকার, সারিকা সাবাহ), ‘শনিবার’ (শামীম হাসান সরকার, তাসনিয়া ফারিণ), ‘প্লেয়ার্স’ (সামিরা খান মাহি), মিনি সিরিজ ‘দুষ্টু ছেলের দল’ ও ‘ঠান্ডা গরম’।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সহকারী হিসেবে নাটকে যুক্ত হয়েছেন আপনি। শুরুতে কী ভেবেছিলেন আজকের অবস্থানে আসতে পারবেন?
সোহাগ রানা: সত্যি বলতে, অবস্থান নিয়ে কখনো ভাবিনি। ভাইয়ার মতো এতো বড় মাপের একজন পরিচালকের সান্নিধ্যে থাকা ও তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। তার মতো একজন গুণী মানুষ আমাকে সবসময় ছোট ভাইয়ের মতো পাশে রেখে যেভাবে কাজ শিখিয়েছেন তাতে আমি ঋনী হয়ে থাকবো। তার কাছে এখনো শিখছি, সবই আমার প্রাপ্তি।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: এখন নতুন কী কী কাজ করছেন?
সোহাগ রানা: ‘ম্যাজিক মোমেন্ট’ নামের নতুন একটি গল্পের শুটিংয়ে যাচ্ছি। এছাড়া পরবর্তী বেশ কিছু কাজের পরিকল্পনা করছি।
সিনেমাওয়ালা নিউজ: আপনার স্বপ্ন বা লক্ষ্য কী?
সোহাগ রানা: বাংলা ভাষার কনটেন্ট ও বাংলা সিনেমা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করা। স্বপ্ন দেখি এমন একটা সময় আসবে, যেদিন বিশ্বব্যাপী আমার সিনেমা নিয়ে আলোচনা হবে!
-
ছবি ও কথা1 year ago
তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড2 years ago
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক2 years ago
আমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা1 year ago
বুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড1 year ago
রাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা1 year ago
‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড1 year ago
শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড2 years ago
‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস