Connect with us

সিনেমা হল

দেশে এলো হলিউডের দুই আলোচিত সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ সিনেমায় স্কারলেট জোহানসন (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

হলিউড ভক্তদের জন্য দুটি সাড়া জাগানো সিনেমা নিয়ে এলো দেশের অভিজাত মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্স। এরমধ্যে আছে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ফ্র্যাঞ্চাইজের নতুন পর্ব ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’। অন্যটি হলো ‘টোয়েন্টি এইট ইয়ারস লেটার’। দুটি সিনেমাই গতকাল (৪ জুলাই) থেকে চলছে স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায়। 

জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ
হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘জুরাসিক পার্ক’। ১৯৯৩ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত ‘জুরাসিক পার্ক’ মুক্তির মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। সিরিজটির আগের ছয়টি সিনেমাই দর্শকমহলে আলোড়ন তুলেছে। এবার এলো গ্যারেথ এডওয়ার্ডস পরিচালিত ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’। ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডোমিনিয়ন’-এর স্বতন্ত্র সিক্যুয়েল হিসেবে তৈরি হয়েছে এটি। এছাড়া এটি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’-এর চতুর্থ সিনেমা।

‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ সিনেমায় মাহেরশালা আলি, স্কারলেট জোহানসন ও জোনাথন বেইলি (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

কল্পবিজ্ঞানধর্মী অ্যাকশন-থ্রিলার সিনেমা ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’-এর অন্যতম আকর্ষণ স্কারলেট জোহানসন। এতে বিশেষজ্ঞ জোরা বেনেট চরিত্রে অভিনয় করেছেন ৪০ বছর বয়সী এই আমেরিকান অভিনেত্রী। ডাইনোসরের প্রজাতি থেকে ডিএনএ সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। কারণ কিছু মানুষ ডাইনোসরকে ব্যবহার করে পৃথিবীতে তাদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চায়। জোরা বেনেটের দলের সদস্য ডানকান কিনকেডের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টানা দু’বার সেরা পার্শ্ব অভিনেতার অস্কার জয়ী মাহেরশালা আলী। জোনাথন বেইলি আছেন জীবাশ্মবিদ ড. হেনরি লুমিস চরিত্রে।

‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ সিনেমায় স্কারলেট জোহানসন (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডোমিনিয়ন’ যেখানে শেষ হয়েছিলো, তার পাঁচ বছর পরের ঘটনা রয়েছে নতুন সিনেমায়। এবারের গল্পে দেখা যায়, জোরা বেনেট দক্ষ কর্মীদের একটি দল নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানে যায়। এটি মূল জুরাসিক পার্কের একটি দ্বীপ গবেষণা কেন্দ্র। তাদের লক্ষ্য ডাইনোসরদের জিনগত উপাদান সংগ্রহ করা, যাদের ডিএনএ মানবজাতির জীবন রক্ষাকারী সুবিধা প্রদান করতে পারে। এ অভিযানে তারা একটি ভয়ঙ্কর ও মর্মান্তিক বিষয় আবিষ্কার করে যা কয়েক দশক ধরে বিশ্ব থেকে লুকানো ছিলো। গল্পের শেষ দিকে সবাই একটি দ্বীপে আটকে পড়ে ভয়ঙ্কর ও মর্মান্তিক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ডলার। গত ২ জুলাই উত্তর আমেরিকায় এটি মুক্তি দিয়েছে ইউনিভার্সেল পিকচার্স।

টোয়েন্টি এইট ইয়ারস লেটার
‘টোয়েন্টি এইট ডেজ লেটার’ (২০০২) ও ‘টোয়েন্টি এইট উইকস লেটার’ (২০০৭) সিনেমার পর এবার এলো ‘টোয়েন্টি এইট ইয়ারস লেটার’। ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’-এর অস্কারজয়ী নির্মাতা ড্যানি বয়েল নতুন সিনেমা পরিচালো করেছেন। ভৌতিক সিরিজটির প্রথম সিনেমার পরিচালক ছিলেন তিনিই।

টানটান উত্তেজনা, চরম ভায়োলেন্স ও রক সংগীতে ভরপুর ‘টোয়েন্টি এইট ইয়ারস লেটার’ সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছে ১৪ বছর বয়সী অ্যালফি উইলিয়ামস। এছাড়া আছেন জোডি কোমার, জ্যাক ও’কনেল, অ্যারন টেলর-জনসন ও ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের লর্ড ভলডেমর্ট চরিত্রের অভিনেতা র‌্যালফ ফাইনস।

‘টোয়েন্টি এইট ইয়ারস লেটার’ সিনেমায় অ্যারন টেলর-জনসন ও অ্যালফি উইলিয়ামস (ছবি: সনি পিকচার্স রিলিজিং)

২৩ বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টোয়েন্টি এইট ডেজ লেটার’ সিনেমার গল্পে দেখা যায়, ‘রেজ’ নামক একটি ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে হিংস্র মানুষখেকোতে রূপ নিচ্ছে। এমন ‘জম্বি’ যদি কাউকে আঁচড়ে কিংবা কামড়ে দেয়, তাহলে অন্যরাও তৎক্ষণাৎ সংক্রমিত হয়ে যায়। যথারীতি এই ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ায় সমাজব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়ে। রাস্তায় আনাচে-কানাচে দলে দলে মানুষখেকো ‘জম্বি’ ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকজন মিলে কিভাবে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখে, সেসব নিয়েই সিনেমাটির গল্প।

‘টোয়েন্টি এইট ইয়ারস লেটার’ সিনেমায় অ্যালফি উইলিয়ামস, জোডি কোমার ও র‌্যালফ ফাইনস (ছবি: সনি পিকচার্স রিলিজিং)

‘টোয়েন্টি উইকস লেটার’ পরিচালনা করেন স্প্যানিশ নির্মাতা হুয়ান কার্লোস ফ্রেসনাদিয়ো। দেড় যুগ পর এলো সিরিজের তৃতীয় পর্ব। প্রথম সিনেমার ২৮ বছর পরের ঘটনা রয়েছে এতে। রেজ ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়া কিছু লোক নিজেদের জন্য ছোটখাটো গ্রাম তৈরি করে খুব সাবধানে পাহারা দিচ্ছে, যাতে ভাইরাস গ্রামের ভেতরে ঢুকতে না পারে। একদিন ১২ বছর বয়সী স্পাইক মায়ের চিকিৎসার জন্য গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে যায়। রাস্তায় বিভিন্ন জম্বিকে সামলাতে হয় তাদের। শেষের দিকে ডক্টর কেলসনকে খুঁজে পায় তারা। কেলসন প্রায় তিন দশক ধরে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে জম্বিদের মাঝখানে।

মাত্র ৬ কোটি ডলারে তৈরি হয়েছে ‘টোয়েন্টি এইট ইয়ারস লেটার’। এর উল্লেখযোগ্য দিক হলো, আইফোন দিয়ে শুটিং করেছেন ড্যানি বয়েল। সনি পিকচার্স রিলিজিংয়ের পরিবেশনায় গত ২০ জুন উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডলারের বেশি আয় করে নিয়েছে ‘টোয়েন্টি এইট ইয়ারস লেটার’।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ