Connect with us

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

মেহজাবীন জানালেন টরন্টো উৎসবের কিছু অভিজ্ঞতা

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

টরন্টোতে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৪৯তম আসরে নিজের প্রথম সিনেমা ‘সাবা’ নিয়ে দারুণ সাড়া পাচ্ছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন তিনি। উৎসবটির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে হলিউডের হেভিওয়েট তারকাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের এই তারকার ভিডিও স্থান পেয়েছে। 

টরন্টোতে সাদা টিউলিপ ফুল হাতে তোলা কয়েকটি স্থিরচিত্র নিজের ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন মেহজাবীন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘সাবা’ যে সাড়া পাচ্ছে তাতে আমি অত্যন্ত অভিভূত। কম বাজেটে তৈরি মৌলিক গল্প ও সিনেমাকে আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যেভাবে মূল্য দেওয়া হয়, সেগুলো দেখে দারুণ লাগছে। ‘সাবা’ টিম ও আমি এই বিশ্বমঞ্চে একটি খাঁটি বাংলাদেশি সিনেমা আনতে পেরে গর্বিত।”

মেহজাবীন যোগ করেছেন, “টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমি একজন শিল্পী হিসেবে পা রেখেছি। এখানে এসে মনে হচ্ছে, আমাদের এখনো অনেক কিছু অর্জন করা বাকি। পুরো ‘সাবা’ টিম ও সমস্ত বাংলাদেশি নির্মাতা ও শিল্পীর জয়গান গাই, যারা সীমানা পেরোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।”

মোস্তফা মন্ওয়ার, মেহজাবীন চৌধুরী ও মাকসুদ হোসেন (ছবি: ফেসবুক)

এবারের আসরে ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘সাবা’। টরন্টোর স্কটিয়াব্যাংকে বাংলাদেশ সময় ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর আগেই সাংবাদিকদের জন্য ছিলো একটি প্রদর্শনী। একই ভেন্যুতে গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এই সিনেমার আরেকটি প্রদর্শনী হয়েছে।

টরন্টোতে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

টরন্টোতে যারা ‘সাবা’ দেখেছেন তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেহজাবীন। ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, “যারা আমাদের সিনেমার প্রথম তিনটি প্রদর্শনী দেখতে সময় বের করেছেন এবং নিজেদের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা ‘সাবা’কে পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডের জন্য ভোট দিতে পারেন।”

টরন্টোতে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে উৎসবে ‘সাবা’র চতুর্থ ও শেষ প্রদর্শনী হবে। এতে অংশ নিতে দর্শকদের উৎসাহ জুগিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি জানান, টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ও টিকিটমাস্টার অ্যাপের মাধ্যমে প্রবেশপত্র পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে ‘সাবা’ প্রসঙ্গে মেহজাবীনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, টুইটার অ্যাকাউন্ট ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে। ৩৬ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, টরন্টোতে দর্শকরা ‘সাবা’কে কীভাবে গ্রহণ করে এবং সিনেমাটি দেখে কেমন প্রতিক্রিয়া করে সেসব দেখতে মুখিয়ে ছিলাম। এগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুরোপুরি বাংলাদেশি সিনেমা। এর পুরো শুটিং হয়েছে বাংলাদেশে। অবকাঠামো ও ভৌগলিক দিক থেকে দেখলেও বাংলাদেশের সঙ্গে গল্পটির নিবিড় সম্পর্ক। আমরা পুরো টিম দেখতে চেয়েছিলাম আন্তর্জাতিকভাবে এই গল্প কতটা সম্পৃক্ত করতে পারে দর্শকদের।”

টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘সাবা’ টিম (ছবি: ফেসবুক)

ভিডিও ক্লিপটির শিরোনাম, টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘সাবা’র অংশগ্রহণ কেন গুরুত্বপূর্ণ। এতে মেহজাবীনের পাশে সোফায় বসে থাকতে দেখা গেছে সিনেমাটির অভিনেতা মোস্তফা মন্ওয়ারকে।

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

‘সাবা’য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজক তিনি। গল্পে দেখা যায়, একটি দুর্ঘটনার পর সাবার মা শিরিন (রোকেয়া প্রাচী) শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তখন শুরু হয় ২৪ বছর বয়সী এই তরুণীর সংগ্রাম। এরমধ্যে শিরিন হার্ট অ্যাটাক করলে তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সাবার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ