Connect with us

টালিউড

শুটিংয়ে এসেই মনামীকে ‘গিন্নি’ ডাকতেন চঞ্চল

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘পদাতিক’ ছবির একটি দৃশ্যে মনামী ঘোষ ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিশেন্স)

সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘পদাতিক’ সিনেমায় ভারতের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামী ঘোষ। মৃণাল সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। এবারই প্রথম জুটি বেঁধেছেন তারা। সিনেমাটির ট্রেলারে তাদের রসায়নের কিঞ্চিৎ দেখা গেছে।

মৃণাল সেনের বায়োপিকে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লেগেছে? পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের উত্তরে মনামী বলেন, “চঞ্চল চৌধুরী খুবই ভালো মানুষ। ফ্লোরে শটের ফাঁকে আমরা একসঙ্গে চিত্রনাট্য পড়তাম। এর মধ্যেই ফ্লোরে টুকটাক আড্ডা হতো। মনে আছে, সকালে ফ্লোরে এসেই আমার দিকে তাকিয়ে বলতেন, ‘গুড মর্নিং, গিন্নি। কেমন আছো?’ সবসময় তিনি চরিত্রের মধ্যে থাকতেন।”

গত ৪ আগস্ট প্রকাশিত হয় ‘পদাতিক’ সিনেমার প্রায় ৩ মিনিট দৈর্ঘ্যের ট্রেলার। এতে বিভিন্ন দৃশ্যে মৃণাল সেনের ভূমিকায় চঞ্চলের অভিনয় দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইউটিউবে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন্সের চ্যানেলে মন্তব্যের ঘর জুড়ে তার প্রশংসা। ‘পদাতিক’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে।

চঞ্চল চৌধুরী ও মনামী ঘোষ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায় বিদেশে সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’র প্রশংসিত হওয়ার দৃশ্য। এতে সত্যজিতের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে জিতু কমলকে। এটি অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ (২০২২) থেকে নেওয়া। সেই সিনেমায় ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি তুলে ধরা হয়। ‘অপরাজিত’ ও ‘পদাতিক’ দুটি সিনেমারই প্রযোজক ফিরদাউসুল হাসান।

মৃণাল সেন ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

পশ্চিমবঙ্গে ‘পদাতিক’ই চঞ্চল চৌধুরীর প্রথম সিনেমা। এতে মধ্যবয়সী ও পূর্ণবয়স্ক মৃণাল সেন রূপে চঞ্চলকে আর তরুণ মৃণাল সেনের ভূমিকায় থাকছেন সামন্ত কোরাক। ট্রেলারের সবশেষে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন কোরাক সামন্ত। মৃণাল-গীতার একমাত্র পুত্র কুণাল সেনের চরিত্রে আছেন সম্রাট চক্রবর্তী। আরেক কিংবদন্তি ফিল্মমেকার ঋত্বিক ঘটকের ভূমিকায় থাকছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।

‘পদাতিক’ সিনেমার পোস্টারে চঞ্চল চৌধুরী ও কোরাক সামন্ত (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন)

সিনেমার নামটি মৃণাল সেনের বিখ্যাত ট্রিলজির একটি পর্ব থেকে নেওয়া। কলকাতা শহরকে নিয়ে ট্রিলজি নির্মাণ করেন তিনি। এগুলো হলো ‘ইন্টারভিউ’ (১৯৭১), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭১) এবং ‘পদাতিক’ (১৯৭৩)। সিনেমায় মৃণাল সেনের শৈশব থেকে শুরু করে ফিল্মমেকিংয়ে আসার ঘটনা ও ব্যক্তিজীবনের অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে।

‘পদাতিক’ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

কলকাতা ও মুম্বাই ছাড়াও ভারতের বাইরে কিছু দৃশ্যের চিত্রায়ন হয়েছে। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশন্স হাউসের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন ফিরদাউসুল হাসান ও প্রবাল হালদার। সহ-প্রযোজনায় শুভজিৎ মণ্ডল। নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছে ‘পদাতিক’।

সিনেমাটির মাধ্যমে প্রথমবার একসঙ্গে গেয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী সনু নিগাম ও অরিজিৎ সিং। এতে ব্যবহার হয়েছে প্রয়াত সলিল চৌধুরীর সুর। এছাড়া রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছেন কবীর সুমন, রূপঙ্কর বাগচী, সাহানা বাজপেয়ী, দেবায়ন ব্যানার্জি। আবহ সংগীত করেছেন ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ