Connect with us

সিনেমা হল

মানুষের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বন্দ্ব, কে জিতবে বড় পর্দায়

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘ট্রন: অ্যারেস’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্স)

বিশ্বজুড়ে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের হিড়িক পড়েছে। মানুষের প্রয়োজন দিনে দিনে ফুরিয়ে যাবে কিনা সেই শঙ্কা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। এআইয়ের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন উঠছে বারবার। এরমধ্যে বড় পর্দায় উঠে এলো মানবতা বনাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বন্দ্ব। আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘ট্রন’-এর তৃতীয় কিস্তি ‘ট্রন: অ্যারেস’ সিনেমার বিষয়বস্তু এটাই। আগামীকাল (১৭ অক্টোবর) স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি।

‘ট্রন: অ্যারেস’ হলো ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া জোসেফ কসিনস্কি পরিচালিত ‘ট্রন: লিগ্যাসি’র সিক্যুয়েল। সিনেমার মূল দর্শন মানবতা বনাম কৃত্রিম জীবন।

(বাঁ থেকে) জিলিয়ান অ্যান্ডারসন, জ্যারেড লেটো ও গ্রেটা লি (ছবি: ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্স)

নতুন গল্পের কেন্দ্রবিন্দু বিজ্ঞানীদের তৈরি করা অ্যারেস নামক একটি অত্যন্ত উন্নত এআই সত্তা, যাকে ভার্চুয়াল জগত ‘গ্রিড’ থেকে মানবজাতির বাস্তব জগতে পাঠানো হয়। তার মিশন মানব ও প্রোগ্রাম দুই জগতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। কিন্তু এই যোগাযোগ খুব একটা শান্তিপূর্ণ হয় না। কারণ অ্যারেস বাস্তব জগতে আসার পর দেখে মানুষ ভয় পেয়ে তাকে ধ্বংস করতে চায়। ফলে সে দ্বিধায় পড়ে যায়, সে কি মানবতার পক্ষে লড়বে নাকি নিজের প্রজাতির স্বাধীনতা রক্ষা করবে?

‘ট্রন: অ্যারেস’ সিনেমায় জ্যারেড লেটো ও জেফ ব্রিজেস (ছবি: ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্স)

নরওয়ের ইয়োয়াকিম রনিং পরিচালিত এই সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যারেড লেটো, গ্রেটা লি, এভান পিটার্স, জোডি টার্নার-স্মিথ, হাসান মিনহাজ, আর্তুরো কাস্ত্রো, জিলিয়ান অ্যান্ডারসনসহ অনেকে। এছাড়া আগের দুই পর্বে কেভিন ফ্লিন চরিত্রে অভিনয় করা জেফ ব্রিজেস ফিরেছেন। ১৯৮২ সালে স্টিভেন লিসবার্গার পরিচালিত প্রথম ‘ট্রন’ সিনেমায় একই চরিত্রে প্রথমবার পর্দায় আসেন তিনি।

ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১০ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে ‘ট্রন: অ্যারেস’। প্রায় দুই ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এই সিনেমার জন্য ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ডলার।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ