গান বাজনা
সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন

পাপিয়া সারোয়ার (জন্ম: ২১ নভেম্বর, ১৯৫২; মৃত্যু: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪)
একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর বেঁচে নেই। আজ (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। গুণী এই শিল্পীর বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল (১৩ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। গত মাসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয় তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
পাপিয়া সারোয়ারের বড় মেয়ে জারা সারোয়ার কলেজ অব নিউ জার্সিতে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক, ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নির্বাহী। মায়ের কথা জেনে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

পাপিয়া সারোয়ার (জন্ম: ২১ নভেম্বর, ১৯৫২; মৃত্যু: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪)
রবীন্দ্রসংগীতের জন্য শ্রোতাদের বেশি ভালোবাসা পেলেও পাপিয়া সারোয়ার আধুনিক গানেও সাফল্য পেয়েছেন। ‘নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাঁকে আপামর শ্রোতাপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। গুণী এই শিল্পীর প্রথম অডিও অ্যালবাম ‘পাপিয়া সারোয়ার’ প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। তাঁর সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে।
১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন পাপিয়া সারোয়ার। ১৯৬৬ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে ছায়ানটে ভর্তি হন তিনি। সেখানে য়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে তালিম নিয়েছেন। সংগীতে দীক্ষা নিতে পরে নাম লেখান বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেছেন তিনি।
পাপিয়া সারোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি পেয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে স্নাতক করার সুযোগ পান।
পাপিয়া সারোয়ারের ঝুলিতে রয়েছে ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার, ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ ও ২০২১ সালে একুশে পদক। তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়। সর্বশেষ এই পরিষদের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন বরেণ্য এই শিল্পী। ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
-
ছবিঘর2 years agoতাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড3 years ago‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক3 years agoআমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা2 years agoবুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড2 years agoরাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা2 years ago‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড3 years agoশাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড3 years ago‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস
