ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
কানে ইতিহাস গড়লো মঙ্গোলিয়া

(বাঁ থেকে) জলজারাল পুরেভড্যাশ, নমিনিজিগুর সেনজি, বাতসুজ ইয়র্টসেখ ও তুগুলদুর বাতসায়কান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)
কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল সিলেকশনে প্রথমবার জায়গা পেলো মঙ্গোলিয়ার সিনেমা। জলজারাল পুরেভড্যাশ পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ইফ অনলি আই কুড হাইবারনেট’ সেই ইতিহাস গড়েছে। আঁ সেঁর্তা রিগা শাখায় নির্বাচিত হয়েছে এটি।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের লক্ষ্যে সদ্য প্রতিষ্ঠিত মঙ্গোলিয়ান ন্যাশনাল ফিল্ম কাউন্সিল এবং মঙ্গোলিয়ান ফিল্ম ফান্ডের কথা কানে উল্লেখ করেন জলজারাল পুরেভড্যাশ। তিনি বলেন, ‘মঙ্গোলিয়া সবেমাত্র নতুন সিনেমা আইন চালু করেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এটি কার্যকর হয়েছে। আশা করি, আমরা ভবিষ্যতে আরো অনেক মানসম্পন্ন সিনেমা বানাতে সক্ষম হবো।’

বাতসুজ ইয়র্টসেখ ও জলজারাল পুরেভড্যাশ (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)
গত ২১ মে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে কান উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের দ্যুবুসি থিয়েটারে ‘ইফ অনলি আই কুড হাইবারনেট’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। ২২ মে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে একই ভেন্যুতে ও বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে সিনিয়াম আইম্যাক্সে এবং ২৩ মে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে লিকর্ন থিয়েটারে ও দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সিনিয়াম স্ক্রিন এক্স থিয়েটারে সিনেমাটির প্রদর্শনী হয়।

নমিনিজিগুর সেনজি (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)
‘ইফ অনলি আই কুড হাইবারনেট’ সিনেমায় এক কিশোরের গল্প বলা হয়েছে। তার নাম ইউলিজিয়াই। মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটারের ইয়র্ট এলাকায় থাকে সে। পদার্থবিজ্ঞানে তার প্রতিভার জুড়ি নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেয়েছে ছেলেটি। তার মদ্যপ মা গ্রামাঞ্চলে চলে যাওয়ার পর তাকে ও তার ছোট ভাইবোনদের শীতের প্রকোপের মধ্যে টিকে থাকতে হয়।
জলজারাল পুরেভড্যাশ মনে করেন, ‘দারিদ্র্যের সবচেয়ে বড় সমাধান হলো শিক্ষা। শুধু মঙ্গোলিয়ায় নয়, সব দেশের জন্য একই কথা প্রযোজ্য। আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রত্যেক শিশুকে এই সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ আমি সেরা স্কুলে পড়তে পেরেছি এবং জাপানে পড়ার জন্য বৃত্তি পেয়েছি। এখন আমি তিনটি ভাষায় কথা বলতে পারি এবং আমি নিজের পায়ে চলতে জানি। আমি মঙ্গোলিয়ায় ফিরে এসেছি, কারণ যেসব গল্প বলতে চেয়েছি সেগুলো এই দেশে আছে।’
শিক্ষা মানে শুধু গণিত কিংবা পদার্থবিদ্যা নয়। পড়াশোনার মাধ্যমে আর্থিক ব্যবস্থাপনার শিক্ষা পাওয়া যায়। ঠিক এই কারণে সিনেমাটি তৈরি করেছি।’

(বাঁ থেকে) নমিনিজিগুর সেনজি, বাতসুজ ইয়র্টসেখ, জলজারাল পুরেভড্যাশ ও তুগুলদুর বাতসায়কান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)
সিঙ্গেল মায়ের স্নেহে জলজারাল পুরেভড্যাশ বেড়ে উঠেছেন ইয়র্ট জেলায়। একই স্থানের শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। তার কথায়, ‘মঙ্গোলিয়ায় পর্যটক বৃদ্ধি করা আমার উদ্দেশ্য ছিলো না। আমি গল্পটি সততার সঙ্গে বলতে চেয়েছি। সিনেমার কাজটি করতে গিয়ে শুরুতে খুব রেগে গিয়েছিলাম। এখন আমি হাসতে পারছি। এই শিশু-কিশোররা সবসময় ভালো কিছু আশা করে। যখন সিনেমাটি তৈরি করছিলাম, অনেকে এর বিষয়বস্তু এক শব্দে বর্ণনা করতে বলতো। আমার কাছে এটি ছিলো আশা।’
-
ছবিঘর2 years agoতাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড3 years ago‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক3 years agoআমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা2 years agoবুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড2 years agoরাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা2 years ago‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড3 years agoশাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড3 years ago‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস
