Connect with us

হলিউড

অস্কারে ১০ বছর নিষিদ্ধ উইল স্মিথ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

উইল স্মিথ
উইল স্মিথ (ছবি: অস্কার)

অস্কারের সব ধরনের আয়োজন থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথ। গতকাল (৮ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০৩২ সাল পর্যন্ত সশরীরে কিংবা ভার্চুয়ালি অ্যাকাডেমির কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুমতি পাবেন না তিনি। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের গভর্নরস বোর্ড এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উইল স্মিথের পদত্যাগপত্র গ্রহণের পাশাপাশি ৯৪তম অস্কারে তার চড়-কাণ্ডের ঘটনায় কীভাবে উপযুক্ত জবাব দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে এই সভা ডাকা হয়। এরপর অ্যাকাডেমি পরিবারের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে গভর্নর’স বোর্ড। এতে সই করেছেন অ্যাকাডেমি সভাপতি ডেভিড রুবিন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডন হাডসন।

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে উইল স্মিথ অ্যাকাডেমির সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন এবং সম্মান জানিয়েছেন।

উইল স্মিথের আচরণের প্রতিক্রিয়ায় তাকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা খোলা চিঠির শেষাংশে জানিয়েছে গভর্নর’স বোর্ড। পারফর্মার ও অতিথিদের সুরক্ষা এবং অ্যাকাডেমির ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার বৃহত্তর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

অস্কার আয়োজকদের আশা, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত এবং প্রভাবিত সবার জন্য উতরে ওঠা এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময় শুরু হলো।

খোলা চিঠির শুরুতে বলা হয়েছে, ‘গত বছর চলচ্চিত্রে যারা অসাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, ৯৪তম অস্কারে তাদের সম্মান জানাতে চেয়েছি আমরা। কিন্তু মঞ্চে উইল স্মিথের অমার্জনীয় ও বেদনাদায়ক আচরণের কারণে সেইসব উদযাপনের মুহূর্ত ঢাকা পড়েছে।’

চিঠিতে অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, ‘লাইভ সম্প্রচারের সময় আমরা মিলনায়তনে ওই পরিস্থিতির যথাযথ সমাধান করতে পারিনি। এজন্য আমরা দুঃখিত। আমাদের অতিথি, দর্শক এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অ্যাকাডেমি পরিবারের জন্য উদাহরণ স্থাপনের একটি সুযোগ ছিল, কিন্তু নজিরবিহীন এ ঘটনার জন্য আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম।’

ক্রিস রক ও উইল স্মিথ

৯৪তম অস্কারে ক্রিস রককে চড় মেরেছেন উইল স্মিথ (ছবি: সংগৃহীত)

উইল স্মিথের কাছ থেকে এভাবে আঘাত পাওয়ার মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সংযম বজায় রাখার জন্য আমেরিকান কমেডিয়ান ক্রিস রকের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে অ্যাকাডেমি গভর্নর বোর্ড। একইসঙ্গে লাইভ সম্প্রচার চলাকালীন তিন সঞ্চালক ওয়ান্ডা সাইকস, রেজিনা হল ও অ্যামি শুমার, মনোনীত ও বিজয়ী শিল্পী-কুশলী এবং পুরস্কার তুলে দিতে আসা তারকারা সুস্থির থাকায় সবার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন বোর্ড সদস্যরা।

গত ২৭ মার্চ হলিউডের ডলবি থিয়েটারে ৯৪তম অস্কার অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে পুরস্কার দিতে আসেন আমেরিকান কমেডিয়ান ক্রিস রক। বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে মিলনায়তনে সামনের সারিতে বসা উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেট স্মিথকে নিয়ে রসিকতা করেন ৫৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা। অ্যালোপেসিয়ায় আক্রান্ত স্ত্রীর চুল পড়া নিয়ে কৌতুক শুনে স্বাভাবিক থাকতে পারেননি উইল স্মিথ। মঞ্চে উঠে ক্রিস রককে চড় মেরে বসেন তিনি। মুহূর্তেই সেই ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে তামাম দুনিয়ার বিনোদন অঙ্গন।

পরে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়েছেন উইল স্মিথ। এরপর অ্যাকাডেমির সদস্য থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। চড়ের ঘটনা জন্ম দেওয়ায় তার কয়েকটি সিনেমার শুটিং থমকে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকটি সিনেমা থেকে ৫৩ বছর বয়সী এই আমেরিকান অভিনেতা বাদ পড়তে পারেন।

চড় মেরে সুস্থ পরিবেশ নষ্ট করলেও ঠিকই অস্কারে সেরা অভিনেতা শাখার পুরস্কার জিতেছেন উইল স্মিথ। ‘কিং রিচার্ড’ ছবিতে টেনিস তারকা ভেনেসা ও সেরেনা উইলিয়ামসের বাবার ভূমিকায় হৃদয়ছোঁয়া নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তিনি। এর আগে আরও দু’বার সেরা অভিনেতা শাখায় মনোনীত হয়েছিলেন তিনি।

হলিউড

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ প্রযোজক মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার দৃশ্য এবং জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অস্কারজয়ী প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ মারা গেছেন। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। গুণী এই নির্মাতার মৃত্যুতে বিশ্ব সিনেমায় নেমেছে শোকের ছায়া।

স্ত্রী জুলি ল্যান্ডাউ, দুই ছেলে জেমি ও জোডিকে রেখে গেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার বোন টিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। জন ল্যান্ডাউকে যেকোনো মেয়ের জন্য সেরা ভাইয়ের মতো আখ্যা দিয়েছেন তিনি। টিনা লিখেছেন, ‘আমি খুব মর্মাহত। তবে তার অসাধারণ জীবন ও দারুণ সব সিনেমা এবং তিনি আমাকে যে ভালোবাসা ও উপহার দিয়েছেন সেসবের জন্য আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।’

১৯৯৮ সালের অস্কারে জন ল্যান্ডাউ ও জেমস ক্যামেরন (ছবি: অস্কার)

জন ল্যান্ডাউকে ভাবা হতো জেমস ক্যামেরনের ডান হাত। তাদের যৌথ প্রয়াস ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) বিশ্বব্যাপী প্রথম ১০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যবসা করে। এটি সেরা সিনেমাসহ মোট ১১টি শাখায় অস্কার জিতেছে। প্রযোজক হিসেবে জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাউ অস্কার পান। সেরা পরিচালক হিসেবেও অস্কার জিতেছেন জেমস ক্যামেরন। তাদের আরেক স্বপ্নের প্রকল্প ‘অ্যাভাটার’ মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। ২০২২ সালে বড় পর্দায় এসেছে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ‘টাইটানিক’-এর ব্যবসার রেকর্ড ভেঙেছে এগুলো।

জেমস ক্যামেরনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইটস্টর্ম এন্টারটেইনমেন্টের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার মৃত্যুর খবর জেনে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘একজন অসাধারণ প্রযোজক ও একজন চমৎকার মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। জন ল্যান্ডাউ সিনেমার স্বপ্নে বাঁচতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সিনেমাই হলো মানব শিল্পের চূড়ান্ত রূপ এবং সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রথমে মানুষের মতো মানুষ হওয়া চাই। বিশাল উদার মন ও দারুণ কিছু সিনেমার জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন। একজন বন্ধু ও ৩১ বছরের সহযাত্রীকে হারালাম আমি। মনে হচ্ছে আমার একটি অংশ ছিড়ে গেছে।’

জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অভিনেত্রী জোয়ি স্যালডানা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘সত্যিই বিমর্ষ লাগছে। আপনার বিজ্ঞতা ও আনুকূল্য আমাদের অনেককে এমনভাবে গড়ে দিয়েছে যেগুলোর জন্য আমরা সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবো।’

পরিচালক পিটার জ্যাকসন ও তার স্ত্রী চিত্রনাট্যকার ফ্র্যান ওয়ালশের ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাগুলোতে ব্যবহার হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জন ল্যান্ডাউকে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত। তিনি যেসব প্রকল্পে কাজ করেছেন সেগুলোতে অতুলনীয় আবেগ ঢেলে দিয়েছেন। তার প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।’

হলিউডের দুই প্রযোজক ইলি ও ইডি ল্যান্ডাউয়ের ছেলে জন ল্যান্ডাউ। ১৯৬০ সালের ২৩ জুলাই নিউইয়র্কে জন্ম হয় তার। সত্তর দশকে পরিবারটি লস অ্যাঞ্জেলেসে বসতি গড়ে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম স্কুলে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

আশির দশকে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন জন ল্যান্ডাউ। মাত্র ২৯ বছর বয়সে প্রযোজনা সংস্থা টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের নির্বাহী সহ-সভাপতি হন তিনি। তার তত্ত্বাবধানেই নির্মিত হয়েছে ‘ডাই হার্ড টু’, ‘পাওয়ার রেঞ্জার্স’, ‘দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকানস’, ‘হোম অ্যালোন’, ‘মিসেস ডাউটফায়ার’। ১৯৯৪ সালে জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ‘ট্রু লাইস’ পরিবেশনা করেছে টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স। সেই সূত্রে তার সঙ্গে জন ল্যান্ডাউয়ের বোঝাপড়া তৈরি হয়। স্টিভেন সোডারবার্গের ‘সোলারিস’ (২০০২) ও রবার্ট রড্রিগেজের  ‘অ্যালিটা: ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেন তারা।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

দ্রুততম সময়ে ১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা আয়ের রেকর্ড গড়লো ‘ইনসাইড আউট টু’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

পিক্সারের ‘ইনসাইড আউট টু’ মুক্তির তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি ডলার (১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা) আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দ্রুততম সময়ে এই স্তরে পৌঁছানো প্রথম অ্যানিমেটেড সিনেমা এটাই। পিক্সারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি তথ্যটি জানিয়েছে।

২০২৪ সালে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে ‘ইনসাইড আউট টু’। চলতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের অভিজাত ক্লাবে ঢুকতে পেরেছে কেবল এটাই।

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

‘ইনসাইড আউট টু’ হলো ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাইড আউট’ সিনেমার সিক্যুয়েল। একটি অল্পবয়সী মেয়ের মনোজগত তুলে ধরা হয় এতে। এটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৮৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (১০ হাজার ৬৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা)।

ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ জুন উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পায় ‘ইনসাইড আউট টু’। ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটির বাজেট ২০ কোটি ডলার।

নতুন সিনেমায় রাইলি নামের মেয়েটি কিশোরী হয়ে উঠেছে। গল্পে উদ্বেগ ও হিংসাসহ নিজের নতুন আবেগের সঙ্গে সংগ্রাম করে সে। এবারের কিস্তি পরিচালনা করেছেন কেলসি মান। এটাই তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। নতুন গল্পটি মেগ লেফভকে নিয়ে লিখেছেন তিনি।

অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আগের পর্বে কাজ করা অ্যামি পোলার, ফিলিস স্মিথ, লুইস ব্ল্যাক, ডায়ান লেন ও কাইল ম্যাকলকল্যান নতুন সিনেমাতে ফিরেছেন। নতুন যুক্ত হয়েছেন মায়া হোক, আয়ো এডেবিরি, আদেল এক্সারকোপুলোস, গ্রেস লু, টনি হেল, কেনজিংটন টলম্যান, লিলিমার, লাইজা লাপিরা, সুমাইয়া নুরিদ্দীন-গ্রিন, পল ওয়াল্টার হাউজার।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে একই দিনে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

হলিউডের অ্যানিমেটেড কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘ডেসপিকেবল মি’ সারাবিশ্বে ছোট-বড় সব বয়সী দর্শকের প্রিয়। গত ১৪ বছরে সিক্যুয়েল ও প্রিক্যুয়েল মিলিয়ে এর ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এবার বড় পর্দায় আসছে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’। ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় আজ (৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে এটি।

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ মূলত ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডেসপিকেবল মি থ্রি’র সিক্যুয়েল। এবারও প্রধান চরিত্র গ্রু হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন আমেরিকান তারকা স্টিভ ক্যারেল। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে আছেন ক্রিস্টেন উইগ, উইল ফেরেল, সোফিয়া ভারজারা, জোয়ি কিং, স্টিফেন কোলবার্ট, মিরান্ডা কসগ্রোভ, স্টিভ কুগ্যান, ক্লোয়ি ফাইনম্যান, পিয়ের কফিন।

আড়াই কোটি ডলার বাজেটে নতুন সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আমেরিকান নির্মাতা ক্রিস রেনো। তিনি ও পিয়ের কফিন প্রথম দুটি পর্বের পরিচালক ছিলেন। তৃতীয় কিস্তি পরিচালনা করেন পিয়ের কফিন ও কাইল ব্যাল্ডা। নতুন পর্বের দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট।

এবারের গল্পে দেখা যাবে, গ্রু, লুসি, মার্গো, এডিথ ও আনিয়েস নিজেদের পরিবারে স্বাগত জানায় নতুন সদস্য গ্রু জুনিয়রকে। সে সারাক্ষণ বাবাকে জ্বালাতন করে। এদিকে গ্রু’র নতুন শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয় ম্যাক্সিম লে ম্যাল ও তার প্রেমিকা ভ্যালেন্টিনা। নিজেকে তেলাপোকার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে সাজায় ম্যাক্সিম। তাদের কারণে গ্রু’র পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায় অ্যান্টি-ভিলেন লিগ (এভিএল) এজেন্টরা। গ্রু জুনিয়রকে অপহরণ করে উড়ন্ত তেলাপোকা জাহাজে আটকে রাখে ম্যাক্সিম।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ