Connect with us

মঞ্চ-রেডিও

ভারত রঙ্গ মহোৎসবে স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘চিত্রাঙ্গদা’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: স্বপ্নদল)

এশিয়ার বৃহত্তম এবং পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য পাঁচটি নাট্যোৎসবের অন্যতম ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব’। ভারতের রাষ্ট্রীয় নাট্যশিক্ষায়তন ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) দিল্লিতে এর আয়োজন করে থাকে। উৎসবটির ২৩তম আসরে মঞ্চায়নের জন্য আমন্ত্রণ পেলো বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের দর্শকনন্দিত প্রযোজনা ‘চিত্রাঙ্গদা’।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে সম্মানজনক আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবটি। দিল্লি এবং আরও ১৩টি শহরে এই আয়োজন চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের আসরের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১১টি নাট্যসংগঠন এবং ভারতের ৬১টি নাট্যদলকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

স্বপ্নদলের প্রধান সম্পাদক জাহিদ রিপন জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে এবং ১২ ফেব্রুয়ারি দিল্লির এনএসডিতে স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’র একটি করে প্রদর্শনী হবে।

‘চিত্রাঙ্গদা’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: স্বপ্নদল)

২০১৫ সালে ১৭তম ভারত রঙ্গ মহোৎসবে যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার নাট্য ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ মঞ্চায়ন করে প্রশংসিত হয় স্বপ্নদল। ২০২২ সালে ২২তম ভারত রঙ্গ মহোৎসবে মঞ্চায়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলো ‘চিত্রাঙ্গদা’। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসবে শেষ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। এনএসডি কর্তৃপক্ষ ২৩তম ভারত রঙ্গ মহোৎসবে ‘চিত্রাঙ্গদা’কে আবার আমন্ত্রণ জানালো।

‘চিত্রাঙ্গদা’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: স্বপ্নদল)

মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে ১৮৯২ সালে কাব্যনাট্যরূপে এবং ১৯৩৬ সালে নৃত্যনাট্যরূপে ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি কাব্যনাট্য পাণ্ডুলিপি অবলম্বনে গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।

স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনায় দেখা যায়, মহাবীর অর্জুন সত্যপালনের জন্য একযুগ ব্রহ্মচর্যব্রত গ্রহণ করে মণিপুর বনে এসেছে। অর্জুনের প্রেমে মণিপুর-রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা উদ্বেলিত হলেও অর্জুন রূপহীন চিত্রাঙ্গদাকে প্রত্যাখ্যান করে। অপমানিত চিত্রাঙ্গদা প্রেমের দেবতা মদন এবং যৌবনের দেবতা বসন্তের সহায়তায় একবছরের জন্য অপরূপ সুন্দরীতে রূপান্তরিত হয়। এরপর চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়ে অর্জুন। কিন্তু অর্জুনকে লাভ করেও চিত্রাঙ্গদা অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে। অর্জুন প্রকৃতপক্ষে কাকে ভালোবাসে, চিত্রাঙ্গদার বাহ্যিক রূপ নাকি তার প্রকৃত অস্তিত্বকে?

‘চিত্রাঙ্গদা’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: স্বপ্নদল)

২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতজন্মবর্ষ উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুদানে ‘চিত্রাঙ্গদা’ নির্মাণ করে স্বপ্নদল। ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে এই প্রযোজনার ১০২টি সফল মঞ্চায়ন হয়েছে।

‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার গ্রন্থিকরা হলেন– সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, অর্ক, জেবু, সুমাইয়া, সামাদ, ঊষা, আলী, বিপুল, নিসর্গ, হাসান, সুকুমার, তুষার, হৃদয়, বিমল, রেহান, অনিন্দ্য, নিশক, সবুজ প্রমুখ। মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন ফজলে রাব্বি সুকর্ন।

মঞ্চ-রেডিও

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে আসছে মঞ্চনাটক

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) রিয়াজ, লাকী ইনাম, মামুনুর রশীদ ও ফরিদুর রেজা সাগর (ছবি: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে প্রচার হবে মঞ্চনাটক। এর অংশ হিসেবে ‘ওটিটিতে মঞ্চনাটক, চ্যানেল আইতে মঞ্চনাটক, মঞ্চনাটক দেখুন, নাট্যকর্মীদের সাথে থাকুন, মঞ্চনাটক সত্যি কথা বলে’– এই স্লোগান নিয়ে পথচলা শুরু করছে আইস্ক্রিন।

আজ (৯ মার্চ) চ্যানেল আই স্টুডিওতে সংবাদ সম্মেলনে উদ্যোগটি প্রসঙ্গে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘নাটক আমাদের গর্ব। এই নাটক পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

সংবাদ সম্মেলনে থাকা নাট্যকার, নির্দেশক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মামুনুর রশীদের মন্তব্য, ‘আমরা একটি দুঃসময়ে এসে পড়েছি, সংস্কৃতির চর্চা কমে গেছে।’ তার পরামর্শ, নাটক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যা বাড়ানোর কথা না ভেবে মান বাড়ানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) রিয়াজ, লাকী ইনাম, মামুনুর রশীদ ও ফরিদুর রেজা সাগর (ছবি: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী লাকী ইনাম মনে করেন, ‘মঞ্চনাটকের আর্কাইভ না থাকায় অনেক নাটক হারিয়ে গেছে। চ্যানেল আইয়ের এই উদ্যোগ অসাধারণ।’

আইস্ক্রিনের প্রকল্প পরিচালক চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘আইস্ক্রিনের সঙ্গে মঞ্চনাটক যুক্ত হতে যাচ্ছে। এটি একটি অনন্য সহযোজন। দারুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যখন আইস্ক্রিন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দর্শকেরা দেখবেন, তখন তারা বুঝবেন অভিনয় কোনো ছেলেখেলা নয়। অভিনয় অনেক বড় ব্যাপার, এটি সাধনা ও ত্যাগের বিষয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন টিভি ও ওটিটিতে মঞ্চনাটক প্রচারের প্রকল্প প্রধান শহীদুল আলম সাচ্চু এবং শিশুসাহিত্যিক ও চ্যানেল আইয়ের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক আমীরুল ইসলাম।

‘বিনোদনের স্মার্ট দুনিয়া’ স্লোগান নিয়ে পথ চলছে ‘আইস্ক্রিন’। ওটিটি প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি ৮৯ টাকা, হাফ-ইয়ারলি ২৬৯ টাকা এবং ইয়ারলি ৪৬৯ টাকা।

পড়া চালিয়ে যান

মঞ্চ-রেডিও

তিন দিনে পাঁচবার ‘খোঁজ’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘খোঁজ’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক)

ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাসের প্রযোজনা ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের সহযোগিতায় নাট্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিকের নাট্যকলা বিভাগের মঞ্চে আনছে ‘খোঁজ’। এটি তাদের ২৮তম প্রযোজনা।

চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট আজ (১৮ জানুয়ারি) থেকে টানা তিন দিনে পাঁচটি মঞ্চায়ন হবে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় একটি, আগামীকাল (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় দুটি এবং ২০ জানুয়ারি বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় থাকছে দুটি প্রদর্শনী। প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে প্রদর্শনীর আগে মিলনায়তন কাউন্টারে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখালে ছাড় মিলবে।

‘খোঁজ’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক)

ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত ইতান ও আরব বংশোদ্ভূত ওয়াহিদার ভালো লাগার সম্পর্কে উঠে আসে ধর্ম, রাজনীতি আর মানবিকতার হাহাকার। ৫০০ বছর আগের একজন কূটনীতিকের দর্শন খুঁজতে গিয়ে ওয়াহিদা ও ইতান আবিষ্কার করে জীবনের বিচিত্র অধ্যায়। নাটকের পরতে পরতে উঠে এসেছে মানুষের চিরন্তন অস্তিত্বের লড়াই। অস্তিত্ব, গোত্র ও দলের বড়াইসহ সবই যে দিনশেষে মূল্যহীন, সেটাই প্রতীয়মান হয় এতে।

‘খোঁজ’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক)

ক্ষমতা, ধর্ম, ব্যক্তিস্বার্থের দ্বন্দ্ব ও ভূূমির আধিপত্য বিস্তারে বিশ্ব টালমাটাল। ফিলিস্তিন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। ক্ষুদ্র স্বার্থ আর দ্বন্দ্বে বুঁদ হয়ে মানুষ হারাচ্ছে হিতাহিত জ্ঞান। ‘খোঁজ’ নাটকে তেমনই দ্বন্দ্ব ও সম্পর্কের টানাপোড়েন উঠে এসেছে।

লেবানিজ বংশোদ্ভুত ফরাসি নাট্যকার ওয়াজদি মাওয়াদ রচিত ‘বার্ডস অব অ্যা কাইন্ড’ নাটকটি অনুবাদ করে ‘খোঁজ’ নাম রেখেছেন অসীম দাশ ও কমল বড়ুয়া। এর পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ফেইম পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অসীম দাশ।

‘খোঁজ’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক)

নাটকটিতে অভিনয় করবেন জীশু দাশ, মুবিদুর সুজাত, কমল বড়ুয়া, সাবিহা বিনতে জসিম, দীপ্ত চক্রবর্তী, পূজা চক্রবর্তী, সৌরভ হোসাইন, অমিতা বড়ুয়া, শাওন দে, পায়েল চৌধুরী ও অপরাজিতা চৌধুরী। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন অন্বেষা দাশ।

পড়া চালিয়ে যান

মঞ্চ-রেডিও

প্রাঙ্গণেমোরের ‘রক্তকরবী’র ৫০তম প্রদর্শনী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘রক্তকরবী’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: প্রাঙ্গণেমোর)

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার শহর শিলংয়ে ১৩৩০ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘রক্তকরবী’। ২০২৩ সালে নাটকটি লেখার ১০০ বছর পূর্ণ হলো। এ উপলক্ষে প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদল আয়োজন করেছে এর ৫০তম প্রদর্শনী। আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার সেগুন বাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এটি মঞ্চায়ন হবে।

নাটকটির গল্পে দেখা যায়, মাটির নিচে যক্ষের ধন পোঁতা আছে জেনে পাতালে সুড়ঙ্গ-খোদাই চলছে। এজন্য লোকে জায়গাটির নাম দিয়েছে যক্ষপুরী। এখানকার রাজার ডাকনাম মকররাজ। রাজমহলের বাহির-দেয়ালে একটি জালের জানালা আছে। সেই জালের আড়াল থেকে মকররাজ তার ইচ্ছেমতো পরিমাণে মানুষের সঙ্গে দেখাশোনা করে থাকেন।

রাজ্যের যারা সর্দার তারা যোগ্য লোক এবং যাকে বলে বহুদর্শী। তারা রাজার অন্তরঙ্গ পর্ষদ। তাদের সতর্ক ব্যবস্থাগুণে খোদাইকরদের কাজের মধ্যে ফাঁক পড়ে না এবং যক্ষপুরীর নিরন্তর উন্নতি হতে থাকে। এখানকার মোড়লরা একসময় খোদাইকর ছিলো, নিজ গুণে তাদের পদবৃদ্ধি ও উপাধি লাভ ঘটেছে। কর্মনিষ্ঠতায় তারা অনেক বিষয়ে সর্দারদের ছাড়িয়ে যায়। জেলেদের জালে দৈবাৎ মাঝে মধ্যে অখাদ্য জাতের জলচর জীব আটকা পড়ে। ঘটনাজালের মধ্যে নন্দিনী নামে এক কন্যা আসে। মকররাজ যে বেড়ার আড়ালে থাকেন সেটিকে এই মেয়ে টিকতে দেয় না।

‘রক্তকরবী’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: প্রাঙ্গণেমোর)

প্রাঙ্গণেমোরের চতুর্থ প্রযোজনা ‘রক্তকরবী’ নির্দেশনা দিয়েছেন অভিনেত্রী, নাট্যকার ও নির্দেশক নূনা আফরোজ। এতে অভিনয় করেন নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, প্রকৃতি শিকদার, রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, সাগর রায়, নিজাম লিটন, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, সুজয়, সুমন, ঝুমুর, বাঁধন, আশা, তমা, আরিফ, পার্থ ও রুমা।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ