Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: আঁ সাঁর্তে রিগার প্রধান বিচারক এই তরুণ পরিচালক-অভিনেতা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

৬৯তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে “ইট’স অনলি দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড” সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের অফিসিয়াল সিলেকশনের অংশ আঁ সাঁর্তে রিগা শাখার প্রধান বিচারক থাকবেন কানাডিয়ান পরিচালক-অভিনেতা হাভিয়ার দোলান। উৎসবটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ৩৪ বছর বয়সী হাভিয়ার দোলান বলেন, ‘আঁ সাঁর্তে রিগার জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ফিরতে উৎসব কর্তৃপক্ষের দেওয়া সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত। সিনেমা নির্মাণের চেয়ে অন্যান্য নির্মাতাদের মেধা ও কর্মদক্ষতা খুঁজে দেখা আমার ব্যক্তিগত ও পেশাদার পথচলায় বরাবরই অপরিহার্য মনে করেছি। আঁ সাঁর্তে রিগার জুরি সদস্যদের সঙ্গে শৈল্পিক সিনেমার প্রতি নিজেকে নিবেদিত করার সুযোগ হবে।’

৭৫তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

নিজের লেখা ছোটগল্প অবলম্বনে হাভিয়ার দোলান ১৯ বছর বয়সে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আই কিল্ড মাই মাদার’-এর কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা, প্রযোজনা ও অভিনয় করেছেন। অভিষেকেই মাস্টারস্ট্রোক দেখিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে তিনটি পুরস্কার জেতে এই সিনেমা। ৮২তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে (অস্কার) কানাডা থেকে মনোনীত হয় এটি।

৬৯তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের লালগালিচায় হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে হাভিয়ার দোলানের নিবিড় সম্পর্ক। ২০১০ সালে তার দ্বিতীয় সিনেমা ‘হার্টবিটস’ আঁ সাঁর্তে রিগায় নির্বাচিত হয়। এর মাধ্যমে মাত্র ২১ বছর বয়সে পরিচালনা, শৈল্পিক নির্দেশনা, পোশাক ও সম্পাদনাসহ সবদিকে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন তিনি।

৬৫তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘লরেন্স অ্যানিওয়েজ’ সিনেমার ফটোকলে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

২০১২ সালে হাভিয়ার দোলানের তৃতীয় সিনেমা ‘লরেন্স অ্যানিওয়েজ’ কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আঁ সাঁর্তে রিগায় নির্বাচিত হয়। এতে অনবদ্য নৈপুণ্যের সুবাদে সেরা অভিনেত্রী হন কানাডিয়ান তারকা সুজান ক্লেমোঁ।

কানে সুজান ক্লেমোঁ ও হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

হাভিয়ার দোলানের চতুর্থ সিনেমা ‘টম অন দ্য ফার্ম’ ২০১৩ সালে ৭০তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মূল প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয় এবং ফিপরেসি অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। একই বছর টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয় এটি।

৬৭তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

২০১৪ সালে ‘মমি’র মাধ্যমে প্রথমবার কানের মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেন তিনি। এতে তুলে ধরা হয় ছেলেকে লালন-পালন করতে গিয়ে একজন একা মায়ের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা।

কানের জুরি প্রাইজ জয়ের পর হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

প্রয়াত ফরাসি-সুইস কিংবদন্তি জ্যঁ-লুক গদারের ‘গুডবাই টু ল্যাঙ্গুয়েজ’ সিনেমার সঙ্গে যৌথভাবে জুরি প্রাইজ জেতে ‘মমি’। গদারের বয়স তখন ৮৪ বছর আর দোলানের বয়স ২৫ বছর। ৬৭তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মূল প্রতিযোগিতা শাখার প্রধান বিচারক ছিলেন নিউজিল্যান্ডের নারী পরিচালক জেন ক্যাম্পিয়ন।

কানের জুরি প্রাইজ হাতে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

‘মমি’র সুবাদে জুরি প্রাইজ জিতে হাভিয়ার দোলান বলেন, ‘আসুন আমাদের স্বপ্নকে ধরে রাখি। কারণ আমরা একসঙ্গে মিলে পৃথিবী বদলে দিতে পারি। যারা সাহসী, কর্মঠ এবং কখনো হাল ছেড়ে না দেয় না, তাদের পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।’

কানে ‘মমি’র সংবাদ সম্মেলনে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

৬৮তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মূল প্রতিযোগিতা শাখায় বিচারকের আসনে ছিলেন হাভিয়ার দোলান। সেই আসরে কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়ের (জোয়েল ও এথান) নেতৃত্বে কাজ করেন তিনি।

৬৯তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গ্রাঁ প্রিঁ জয়ের পর হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

২০১৬ সালে হাভিয়ার দোলান পরিচালিত “ইট’স অনলি দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড” গ্রাঁ প্রিঁ ও ইকুমেনিক্যাল জুরি প্রাইজ জিতেছে। কানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জয়ী দ্বিতীয় কানাডিয়ান পরিচালক তিনি। ফরাসি নাট্যকার-অভিনেতা জ্যঁ-লুক লাগার্সের নাটক অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এটি।

৬৯তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গ্রাঁ প্রিঁ হাতে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

২০১৮ সালে টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাভিয়ার দোলান পরিচালিত ‘দ্য ডেথ অ্যান্ড লাইফ অব জন এফ. ডোনাভ্যান’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এটি ইংরেজি ভাষায় তার প্রথম কাজ।

কানে ‘ম্যাথায়াস অ্যান্ড ম্যাক্সিম’ সিনেমার উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আগে লালগালিচায় কানাডিয়ান অভিনেত্রী ক্যাথেরিন ব্রুনে ও হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

২০১৯ সালে ৭২তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মূল প্রতিযোগিতায় স্থান পায় হাভিয়ার দোলানের ফরাসি ও ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ম্যাথায়াস অ্যান্ড ম্যাক্সিম’। এতে ছয় বছর পর ফের নিজের পরিচালনায় অভিনয় করেন তিনি।

৭২তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

২০২২ সালে ছোট পর্দার জন্য হাভিয়ার দোলান পরিচালনা করেছেন ‘দ্য নাইট লগ্যান ওয়োক আপ’। কানাডায় ভিডিওট্রন এবং ফ্রান্সে ক্যানাল প্লাসে এটি দেখানো হয়।

৭২তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

৭২তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাভিয়ার দোলান (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

৭৭তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মূল প্রতিযোগিতা শাখায় প্রধান বিচারক থাকবেন ‘বার্বি’ সিনেমার পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। এবারের অফিসিয়াল সিলেকশন ঘোষণা করা হবে আগামী ১১ এপ্রিল। চিরাচরিতভাবে মে মাসেই হবে উৎসবটি। আগামী ১৪ মে এই আয়োজনের পর্দা উঠবে। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে ১১ দিনের মহাযজ্ঞ চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ