সিনেমা হল
৮ বছর পর সিক্যুয়েল, বড় পর্দায় ‘কুংফু পান্ডা ফোর’
হলিউডের জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড ফ্র্যাঞ্চাইজের মধ্যে অন্যতম ‘কুংফু পান্ডা’। এর তিনটি কিস্তিই ব্যবসাসফল হয়েছে। ফলে সিরিজের প্রধান চরিত্র পো সব বয়সী দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। সে বড়সড় নাদুসনুদুস পান্ডা। হাঁটাচলা ও কথাবার্তায় কৌতুক থাকলেও সে মোটেও অকাজের নয়। যুদ্ধবিদ্যা শিখে গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় পো।
২০০৮ সালে ‘কুংফু পান্ডা’, ২০১১ সালে ‘কুংফু পান্ডা টু’ ও ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘কুংফু পান্ডা থ্রি’। সবই দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। তবুও এরপর লম্বা বিরতি। পান্ডার লড়াই আবার দেখতে উন্মুখ ছিলো সারাবিশ্বের ভক্তরা। ৮ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর পর্দায় এলো নতুন কিস্তি। ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেয়েছে ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘কুংফু পান্ডা ফোর’। একই দিন থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখা যাচ্ছে চীনা ঐতিহ্যবাহী কাহিনিনির্ভর সিনেমাটি।
এবারের গল্পে আত্মিক শান্তির খোঁজে পো’কে দেখা যাবে নতুন অভিযানে বেরিয়ে পড়তে, তাকে সঙ্গ দেবে নতুন চরিত্র জেন। তারা একসঙ্গে মোকাবিলা করবে নতুন শত্রু দ্য ক্যামিলিয়নকে। পো এবারও একইসঙ্গে মজার ও দায়িত্বশীল ব্যক্তির ভূমিকায়। প্রতিটি দায়িত্ব পালন শেষের পর সে দেখে সামনে নতুন আরেকটি ধাপ এসে হাজির। ফলে বিশ্রামের অবকাশ নেই!
পো চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন আমেরিকান অভিনেতা জ্যাক ব্ল্যাক। মাইক মিচেল পরিচালিত ‘কুংফু পান্ডা ফোর’ সিনেমায় অন্যান্য চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন আমেরিকান অভিনেত্রী অ্যাকওয়াফিনা, অস্কারজয়ী ভায়োলা ডেভিস, লরি তান চিন, অস্কারজয়ী আমেরিকান অভিনেতা কে হুই কোয়ান, ডাস্টিন হফম্যান, ব্রায়ান ক্র্যানস্টন, আয়ান ম্যাকশেন, জেমস হং, রনি চিয়েং ও ইউটিউব তারকা মিস্টারবিস্ট। ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন স্টুডিওর
সিনেমাটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
সিনেমা হল
দেশের ২৬টি সিনেমাহলে ‘ওমর’, আমেরিকায় ৩৫টি থিয়েটারে
ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে। ফলে নতুন সপ্তাহে আরো কয়েকটি সিনেমাহলে যুক্ত হয়েছে এটি।
অ্যাকশন কাট এন্টারেটেইনমেন্টের পরিবেশনায় ঈদের দিন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ২১টি সিনেমাহল মুক্তি পায় ‘ওমর’। আজ (২৬ এপ্রিল) থেকে এটি চলছে ২৬টি সিনেমাহলে।
আজই যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরের ৩২টি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ‘ওমর’। নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, শিকাগো, সানফ্রান্সিসকো, ডালাস, ম্যাসাচুসেটস, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, কানেক্টিকাট, কলোরাডো, মিশিগান, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ইলিনয়েস, ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন, জর্জিয়া, নেভাদা, ইন্ডিয়ানা, আরিজোনায় চলছে এর প্রদর্শনী।
‘ওমর’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, নাসিরউদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, এরফান মৃধা শিবলু, আবু হুরায়রা তানভীর, নাফিস আহমেদ, রোজি সিদ্দিকী, তানজিলা হক মাইশা, আইমন সিমলা। মাস্টার কমিউনিকেশন্সের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন খোরশেদ আলম। চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ। চিত্রগ্রহণ করেছেন রাজু রাজ। শিল্প নির্দেশনায় সামুরাই মারুফ।
সিনেমাটির গান গেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা, আরফিন রুমি, ‘নাসেক নাসেক’ তারকা অনিমেষ রায় ও ভারতের ঈশান মিত্র। গানের কথা লিখেছেন জনি হক, সোমেশ্বর অলি ও রাসেল মাহমুদ। সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ এবং ভারতের স্যাভি। ‘ভাইরাল বেবি’ গানে নেচেছেন ভারতীয় নায়িকা দর্শনা বণিক।
সিনেমা হল
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের বড় পর্দায়
২০২২ সালে কাতারে ফিফা বিশ্বকাপে দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়েছে আর্জেন্টিনা। ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ, প্রথম ম্যাচে হারের অঘটন, এরপর ঘুরে দাঁড়ানো ও শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে জয়সহ সব মিলিয়ে আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ জয় ছিলো নাটকীয়তায় মোড়ানো। বিশ্বকাপ জিতে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন মেসি।
আর্জেন্টিনার অবিস্মরণীয় বিশ্বকাপ জয়যাত্রা নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে বেশকিছু প্রামাণ্যচিত্র। এরমধ্যে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ‘মুচাচোস’। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় মুক্তি পাওয়া এই প্রামাণ্যচিত্র সেখানকার দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। আর্জেন্টিনার সিনেমাহলগুলোতে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দর্শক এটি দেখেছে।
বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ‘মুচাচোস’ নিয়ে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স। আগামী ২৬ এপ্রিল এই মাল্টিপ্লেক্সের সব শাখায় মুক্তি পাবে এটি। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের ক্ষণে ক্ষণে তৈরি হওয়া উম্মাদনা, রূপকথার নায়কের মতো মেসির অনন্য ফুটবলশৈলী, একেকটি ম্যাচে একেকটি গোল, বাঁধভাঙা জয়োল্লাস আর রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের গল্প মিলিয়ে সোনালি স্মৃতি বড় পর্দায় দেখা যাবে।
বাংলাদেশের সিনেমাহলে প্রথম স্প্যানিশ ভাষার কোনও প্রামাণ্যচিত্র হিসেবে মুক্তি পাবে ‘মুচাচোস’। প্রথম আর্জেন্টাইন ও দক্ষিণ আমেরিকান প্রামাণ্যচিত্র এবারই প্রথম বড় পর্দায় দেখবে বাংলাদেশি দর্শকের। এছাড়া ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম আন্তর্জাতিক কাজ হতে যাচ্ছে এটাই। স্প্যানিশ পরিচালক জেসাস ব্র্যাসেরাস নির্মাণ করেছেন ১০০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘মুচাচোস’।
কাতার বিশ্বকাপকে অনেকেই ফিফার সেরা আসর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একের পর এক অঘটন আর চূড়ান্ত মঞ্চে ফরাসিদের হারিয়ে মেসির হাতে বিশ্বকাপ– আর্জেন্টিনা সমর্থকদের জন্য কাতার বিশ্বকাপ ছিলো স্বপ্নের মতো। প্রিয় দল ও মেসির বিশ্বকাপ জয় দেখতে মুখিয়ে থাকা অগণিত সমর্থকের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে কাতারে। সব আক্ষেপ ঘুচিয়ে তাদের পরম আনন্দে ভাসিয়েছেন মেসি। চিরকাল এই সুখস্মৃতি সবাইকে পুলকিত করবে।
বাংলাদেশে ‘মুচাচোস’ মুক্তি প্রসঙ্গে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিপুলসংখ্যক সমর্থক আছে। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলা উপভোগ করেছেন কোটি মানুষ। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর ঢাকাসহ সারাদেশ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিলো। বাংলাদেশের সমর্থকদের উম্মাদনা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন আর্জেন্টিনার মানুষেরাও। লিওনেল মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপ জয়ের এই মুহূর্ত নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ ফুরাবে না সহজে। ভক্ত-সমর্থকদের জন্যই প্রামাণ্যচিত্রটি নিয়ে এসেছি আমরা। আশা করি, বড় পর্দায় এটি দেখা দর্শকদের জন্য চমৎকার একটা ব্যাপার হবে।’
সিনেমা হল
ঈদের ১৩ সিনেমার মধ্যে ৮টি দেখাবে স্টার সিনেপ্লেক্স
এবারের ঈদুল ফিতরে ঢালিউডের ১৩টি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এরমধ্যে ৮টি সিনেমা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাহল স্টার সিনেপ্লেক্স। আজ (৭ এপ্রিল) বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ঈদের দিন থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে চলবে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’, হিমেল আশরাফের ‘রাজকুমার’, মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘মোনা: জ্বীন ২’, ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’, কাজী হায়াৎ ও কাজী মারুফের ‘গ্রিন কার্ড’ এবং ফুয়াদ চৌধুরীর ‘মেঘনা কন্যা’।
ঈদে মুক্তির মিছিলে থাকা সিনেমার মধ্যে আহমেদ হুমায়ূনের ‘পটু’, জসিম উদ্দিন জাকিরের ‘মায়া: দ্য লাভ’, জাহিদ হোসেনের ‘সোনার চর’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘লিপস্টিক’ এবং মো. ইকবালের ‘ডেডবডি’ স্টার সিনেপ্লেক্সে আপাতত চালাবে না।
২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাহল স্টার সিনেপ্লেক্স। ঢাকায় এর পাঁচটি শাখা রয়েছে। ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার (পুরনো রাইফেলস স্কয়ার), মহাখালীর এসকেএস (সেনা কল্যাণ সংস্থা) টাওয়ার, মিরপুরের সনি স্কয়ার এবং বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে এগুলো অবস্থিত। এছাড়া ঢাকার বাইরে রয়েছে চট্টগ্রামের বালি আর্কেড কমপ্লেক্স ও রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে।
-
ছবি ও কথা9 months ago
তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড1 year ago
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক2 years ago
আমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা7 months ago
বুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড8 months ago
রাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা8 months ago
‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড12 months ago
শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড2 years ago
‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস