গান বাজনা
স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ১০ জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। তাদের মধ্যে সংস্কৃতিতে এই স্বীকৃতি পাচ্ছেন গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। আজ (১৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন খুররম (মরণোত্তর)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন এবং সমাজসেবা/জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এস. এম. আব্রাহাম লিংকন স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি পদক, তিন লাখ টাকা এবং সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়ে থাকে।
গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এরমধ্যে ১৯৮৪ সালে ‘চন্দ্রনাথ’ ও ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’র সুবাদে সেরা গীতিকবি হয়েছেন তিনি। দুটোই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’ সিনেমার জন্য সেরা কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। ১৯৬১-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি মঞ্চ, বেতার ও টেলিভিশনের জন্য শতাধিক নাটক লিখেছেন।
১৯৬৫ সাল থেকে বাংলাদেশে বেতারে নিয়মিত গান লিখছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। তার প্রকাশিত গানের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি নিয়মিতভাবে সিনেমার জন্য গান লিখছেন। প্রায় শতাধিক সিনেমার জন্য গান লিখেছেন। তার লেখা গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘সেই রেললাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাঁড়িয়ে’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গণ্য হলাম’, ‘দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক’, ‘আমার মতো এত সুখী নয়তো কারো জীবন’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘আমার মন পাখিটা যায়রে উড়ে যায়’, ‘পদ্ম পাতার পানি নয়’, ‘মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে ভালোবাসা চাওয়াটাই ভুল’।
গান বাজনা
শাড়ির প্রতি ভালোবাসায় ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র নতুন গানে জয়া
‘কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় মৌসুমের প্রথম গানে কণ্ঠ মেলালেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এর শিরোনাম ‘তাঁতী’। মাইক্রোফোন হাতে পর্দায় হাজির হয়েছেন তিনি। তাঁত বোনার আবহ ছড়ানো সুসজ্জিত সেটে গানটির সহশিল্পী হিসেবে দেখা গেছে তাকে।
গতকাল (১৩ এপ্রিল) রাতে ইউটিউবে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র চ্যানেলে ‘তাঁতী’র ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি স্পটিফাই চ্যানেলে এটি শোনা যাচ্ছে।
ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রচারণামূলক ভিডিওতে জয়া আহসানকে একঝলক দেখা যায়। এতে তিনি ‘গান গাই আমার মন রে বোঝাই’ গানের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়েছেন। এতে আভাস মিলেছে, একটি গানে তার উপস্থিতি ঘটবে। সেটাই সত্যি হয়েছে!
জয়া আহসান মনে করেন, বাংলাদেশের তাঁতিদের এবং তাঁত শিল্পের ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হয়ে থাকবে এই গান। তার আশা, নববর্ষের আগমনে নতুন গানটি দেশের শাড়ি এবং তাঁত শিল্পকে আরো বর্ণময় করে বিশ্বের আঙিনায় পৌঁছে দেবে।
গতকাল রাত ১০টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নিজের পেজে জয়া আহসান আরো লিখেছেন, “শাড়ি আমার প্রাণের অহংকার, শাড়ি আপামর বাংলাদেশের ঐতিহ্য, প্রতি সুতোর বুননে বাংলাদেশের শিল্পীদের মুন্সিয়ানা প্রতিফলিত। এবার সেই শাড়ির ঐতিহ্য নিয়েই আমরা কয়েকজন গলা মেলালাম কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গান ‘তাঁতি’তে। আমি নিজে শাড়ি খুব ভালোবাসি, বাংলাদেশের জামদানি, মসলিনসহ সমস্ত দেশীয় শাড়ি আমার ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে গেছে অচিরেই। আমি বিশ্ব আঙিনায় বহুবার বাংলাদেশের জামদানি শাড়ি পরিবেশন করেছি। শাড়ির প্রতি সেই ভালোবাসা এবং অর্ণবের আন্তরিক অনুরোধ থেকেই এই গানের সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া। দুর্দান্ত একটি টিমের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হলো আমার সব মিলিয়ে। যারা গান পছন্দ করেন, শাড়ি এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যকে সম্মান করেন, আমি নিশ্চিত এই গান তাদের ভালো লাগবে। নববর্ষে এই গান সকলে শুনুন।”
আজ (১৪ এপ্রিল) দুপুরে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে গানটি শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের প্রকৃত জাদু হলো শাড়ি। আর তা যদি হয় জামদানি শাড়ি, তাহলে তো কথাই নেই! আনমনে সুরে সুতার প্যাঁচ আর চরকার তালে তালে বাহারি শাড়ি বোনা তাঁতিদের গল্পে কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের প্রথম গান শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল বর্ষবরণের আনন্দে তাঁতি পাড়া সরগরম হয়ে উঠেছে। আপনারাও শুনুন, ভালো লাগবে।’
মূল কণ্ঠশিল্পী হিসেবে এই গান গেয়েছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, গঞ্জের আলী ও বাংলাদেশে বসবাসকারী নাইজেরিয়ান সংগীতশিল্পী লুইস অ্যান্থনি। তিনি ‘ওলি বয়’ নামে পরিচিত। গানটিতে রয়েছে তার অ্যাফ্রোবিটের ফিউশন। ভিডিওতে তিনজনের পরিবেশনা রয়েছে।
‘তাঁতী’র কথা লিখেছেন শতরূপা ঠাকুরতা রায়, গঞ্জের আলী ও লুইস অ্যান্থনি। সুর করেছেন গঞ্জের আলী ও অর্ণব। এটি প্রযোজনা করেছেন ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় মৌসুমের সংগীত কিউরেটর অর্ণব।
গানটি প্রসঙ্গে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘তাঁতি একজন শিল্পী, কাপড়ের বুননে যিনি ফুটিয়ে তোলেন আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ইতিহাস। কাপড় বোনার সময় একধরনের ছন্দ তৈরি হয়। তাঁতের শব্দের সাথে প্রতিটি সুতা যেন হয়ে ওঠে গানের এক একটি চরণ। আর প্রতিটি চরণ এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। এই শব্দ, এই বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গানটিতে।’
দেশীয় সংস্কৃতি উদযাপন করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৮০ জনের বেশি শিল্পী ও সুরকারের পরিবেশনা থাকছে তৃতীয় মৌসুমে। এবার আসবে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক সুরে সাজানো মোট ১১টি গান। এরমধ্যে প্রথমবারের মতো কোক স্টুডিও বাংলায় গাইবেন হাবিব ওয়াহিদ। মেঘদল ব্যান্ড এবারও একটি গান করছে। সংগীত প্রযোজক হিসেবে অর্ণবের সঙ্গে থাকছেন প্রীতম হাসান, ইমন চৌধুরী, শুভেন্দু দাশ শুভ ও অন্যরা।
‘কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় মৌসুমের ভিডিও নির্মাণ করেছেন ডোপ প্রোডাকশনের কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও রানআউট ফিল্মসের আদনান আল রাজীব।
গান বাজনা
২০ বছর পর আবার
কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের গাওয়া ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘বাবুজি’, ‘শ্যাম পিরিতি’, ‘রাজকুমারী’ গানগুলো সুরকার ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন। সিনেমায় তারা দুটি দ্বৈত গান গেয়েছিলেন। এরমধ্যে সর্বশেষটি ছিলো দুই দশক আগে। ২০ বছর পর আবার একসঙ্গে গাইলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই দুই শিল্পী। অডিওতে এটাই তাদের প্রথম দ্বৈত গান।
শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীরের গাওয়া নতুন গানটির শিরোনাম ‘কফির পেয়ালা’। এর কথায় ফুটে উঠেছে প্রিয় মানুষকে কাছে পাওয়ার আকুলতা। এটি লিখেছেন গীতিকবি আশিক মাহমুদ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ। সংগীতায়োজনে শওকত আলী ইমন।
গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিথিল রহমান। এতে মডেল হয়েছেন শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীর। তারা বলেন, ‘আমরা ভালো একটি গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের বিশ্বাস, রোমান্টিক ধাঁচের গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’
গানটি প্রকাশ করছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)। আগামী ৩১ মার্চ ইউটিউবে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন চ্যানলে অবমুক্ত হবে ‘কফির পেয়ালা’র ভিডিও। সেই সঙ্গে গানটি শোনা যাবে দেশি ও আন্তর্জাতিক একাধিক অ্যাপে।
গান বাজনা
‘সরলতার প্রতিমা’র গায়ক খালিদ মারা গেছেন
সংগীতশিল্পী খালিদ মারা গেছেন। আজ (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকার গ্রিন রোডে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৫৮ বছর।
কয়েক বছর ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন খালিদ। আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
অনেকের কৈশোর-তারুণ্যের প্রিয় গায়ক ছিলেন খালিদ। কালজয়ী কিছু গান রেখে চিরতরে হারিয়ে গেলেন তিনি। তার মায়াবী কণ্ঠ নিস্তব্ধ হয়ে গেলো।
খালিদের মৃত্যুর খবরে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে স্মৃতিচারণ করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য– কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, ডলি সায়ন্তনী, অয়ন চাকলাদার, অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, কুসুম সিকদার।
আজ রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গোপালগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন খালিদ। ১৯৮১ সালে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু হয় তার। ১৯৮৩ সালে চাইম ব্যান্ডে যোগ দেন তিনি।বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবামে তার গাওয়া গান শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেলো না তাকে’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি।
-
ছবি ও কথা9 months ago
তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড1 year ago
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক2 years ago
আমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা7 months ago
বুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড8 months ago
রাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা8 months ago
‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড12 months ago
শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড2 years ago
‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস