Connect with us

ওটিটি

চরকি অ্যাওয়ার্ডে সর্বাধিক মনোনয়ন পেলো ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, সিনেমায় শীর্ষে ‘সুড়ঙ্গ’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সাবস্ক্রাইবার চয়েস হিসেবে মনোনীত সেরা ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’, ‘ইন্টার্নশিপ’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘ভাইরাস’

চরকি অ্যাওয়ার্ডের দ্বিতীয় আসরে সর্বাধিক ১৫টি মনোনয়ন পেলো শিহাব শাহীন পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৪টি করে শাখায় মনোনীত হয়েছে রায়হান রাফী পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ এবং শঙ্খ দাশগুপ্তের ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ১২টি এবং অনম বিশ্বাসের ওয়েব ফিল্ম ‘দুই দিনের দুনিয়া’ ১১টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছে।

এছাড়া ‘পুনর্মিলনে’ ৯টি, ‘মারকিউলিস’ ৮টি, ‘ঊনিশ২০’ ৬টি, ‘ইন্টার্নশিপ’ ৫টি, ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ ও ‘প্রচলিত’ ৪টি, ‘ওভারট্রাম্প’ ৩টি, ‘আড়াল’, ‘দাগ’, ‘জাহান’ ২টি এবং ‘আন্তনগর’ ১টি মনোনয়ন পেয়েছে।

সাবস্ক্রাইবার চয়েস হিসেবে মনোনীত সেরা ওয়েব ফিল্ম ‘দুই দিনের দুনিয়া’, ‘পুনর্মিলনে’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘ঊনিশ২০’

ওয়েব ফিল্মের মধ্যে সাবস্ক্রাইবার চয়েস এবং সমালোচক পছন্দ উভয় ক্ষেত্রে সেরা অভিনেতা শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী (দুই দিনের দুনিয়া) ও আফরান নিশো (সুড়ঙ্গ)।

ওয়েব ফিল্মের মধ্যে সাবস্ক্রাইবার চয়েস এবং সমালোচক পছন্দ উভয় ক্ষেত্রে সেরা অভিনেত্রী শাখায় মনোনীত হয়েছেন আফসান আরা বিন্দু (ঊনিশ২০), নুসরাত ইমরোজ তিশা (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি) ও তমা মির্জা (সুড়ঙ্গ)।

সাবস্ক্রাইবার চয়েসে সেরা অভিনেত্রী (ওয়েব ফিল্ম) শাখায় মনোনীত আফসান আরা বিন্দু, নুসরাত ইমরোজ তিশা, রুনা খান, তমা মির্জা, তাসনিয়া ফারিণ

ওয়েব সিরিজের মধ্যে সাবস্ক্রাইবার চয়েস এবং সমালোচক পছন্দ উভয় ক্ষেত্রেই সেরা অভিনেতা শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন কেবল নাসির উদ্দিন খান (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন)।

ওয়েব সিরিজের মধ্যে সাবস্ক্রাইবার চয়েস এবং সমালোচক পছন্দ উভয় ক্ষেত্রে সেরা অভিনেত্রী শাখায় মনোনীত হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন (গুটি), সাবিলা নূর (মারকিউলিস) ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন)।

সমালোচক পুরস্কারে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ওয়েব ফিল্মের জন্য মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা ও সেরা গল্প ও চিত্রনাট্য শাখায় তিনটি মনোনয়ন পেয়েছেন। একই ওয়েব ফিল্মের জন্য সমানসংখ্যক শাখায় (সাবস্ক্রাইবার চয়েসে সেরা অভিনেত্রী, সমালোচক পছন্দে সেরা অভিনেত্রী এবং সেরা গল্প ও চিত্রনাট্য) মনোনীত হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।

২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চরকিতে যত অরিজিনাল কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে সেগুলার মধ্য থেকে সেরাগুলোকে পুরস্কার দেওয়া হবে। সেরা সিনেমা ও সিরিজ, সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীসহ মোট ২৪টি শাখায় অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। সাবস্ক্রাইবার চয়েস হিসেবে ৭টি শাখা, সমালোচক পছন্দ হিসেবে ১৬টি শাখায় এবং চরকি এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। গতকাল (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে ভোটিং প্রক্রিয়া। ভোট করা যাবে এই লিংকে https://awards.chorki.com/vote।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির সঙ্গে যেসব পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলী কাজ করেছেন, তাদের আরো উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা দিতে এই আয়োজন। পুরস্কার বিতরণ করতে বহুল প্রতীক্ষিত ‘চরকি কার্নিভ্যাল-২০২৪’ হতে যাচ্ছে শিগগিরই। গতকাল (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে এই ঘোষণা দিয়েছেন চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি।

সাবস্ক্রাইবার চয়েসে সেরা অভিনেতা (ওয়েব ফিল্ম) শাখায় মনোনীত আফরান নিশো, আরিফিন শুভ, চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, সিয়াম আহমেদ

চরকি এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন তালিকা
সাবস্ক্রাইবার চয়েস
সেরা ওয়েব ফিল্ম: দুই দিনের দুনিয়া, সুড়ঙ্গ, সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি, ঊনিশ২০, পুনর্মিলনে

সেরা অভিনেতা (ওয়েব ফিল্ম): চঞ্চল চৌধুরী (দুই দিনের দুনিয়া), মোশাররফ করিম (দাগ), আফরান নিশো (সুড়ঙ্গ), আরিফিন শুভ (ঊনিশ২০), সিয়াম আহমেদ (পুনর্মিলনে)

সেরা অভিনেত্রী (ওয়েব ফিল্ম): আফসান আরা বিন্দু (ঊনিশ২০), নুসরাত ইমরোজ তিশা (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি), রুনা খান (আন্তনগর), তমা মির্জা (সুড়ঙ্গ), তাসনিয়া ফারিণ (পুনর্মিলনে)

সেরা সিরিজ: গুটি, ইন্টার্নশিপ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, ভাইরাস

সেরা অভিনেতা (সিরিজ): শাহরিয়ার নাজিম জয় (গুটি), ইয়াশ রোহান (প্রচলিত-হাতবদল), নাসির উদ্দিন খান (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), সৌম্য জ্যোতি (ইন্টার্নশিপ)

সাবস্ক্রাইবার চয়েসে সেরা অভিনেত্রী (সিরিজ) শাখায় মনোনীত আজমেরী হক বাঁধন, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, সাবিলা নূর, সামিরা খান মাহি

সেরা অভিনেত্রী (সিরিজ): আজমেরী হক বাঁধন (গুটি), সাবিলা নূর (মারকিউলিস), সামিরা খান মাহি (ওভারট্রাম্প), রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন)

সাবস্ক্রাইবার চয়েস হিসেবে মনোনীত সেরা ৫ গান

সেরা গান: টেকা পাখি (দুই দিনের দুনিয়া), পাখি পাখি মন (ঊনিশ২০), বৈয়াম পাখি (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), গা ছুঁয়ে বলো (সুড়ঙ্গ), কথার মালা (মারকিউলিস)

সমালোচক পুরস্কারে সেরা অভিনেতা (ওয়েব ফিল্ম) শাখায় মনোনীত আফরান নিশো, চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নূর ইমরান মিঠু, প্রীতম হাসান

সমালোচক পুরস্কার
সেরা অভিনেতা (ওয়েব ফিল্ম): চঞ্চল চৌধুরী (দুই দিনের দুনিয়া), প্রীতম হাসান (আড়াল), আফরান নিশো (সুড়ঙ্গ), নূর ইমরান মিঠু (পুনর্মিলনে), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি)

সমালোচক পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী (ওয়েব ফিল্ম) শাখায় মনোনীত আফসান আরা বিন্দু, আইশা খান, নাজিয়া হক অর্ষা, নুসরাত ইমরোজ তিশা, তমা মির্জা

সেরা অভিনেত্রী (ওয়েব ফিল্ম): আইশা খান (দাগ), তমা মির্জা (সুড়ঙ্গ), নাজিয়া হক অর্ষা (জাহান), আফসান আরা বিন্দু (ঊনিশ২০), নুসরাত ইমরোজ তিশা (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি)

সেরা পরিচালক (ওয়েব ফিল্ম) শাখায় মনোনীত মিজানুর রহমান আরিয়ান, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নাজমুল নবীন, রায়হান রাফী, রবিউল আলম রবি

সেরা পরিচালক (ওয়েব ফিল্ম): রবিউল আলম রবি (ক্যাফে ডিজায়ার), নাজমুল নবীন (আড়াল), রায়হান রাফী (সুড়ঙ্গ), মিজানুর রহমান আরিয়ান (পুনর্মিলনে), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি)

সেরা গল্প ও চিত্রনাট্য (ওয়েব ফিল্ম) শাখায় মনোনীত আশরাফুল আলম শাওন, অনম বিশ্বাস, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মিজানুর রহমান আরিয়ান, রাজিব হাসান, রবিউল আলম রবি, শিবব্রত বর্মণ

সেরা গল্প ও চিত্রনাট্য (ওয়েব ফিল্ম): আশরাফুল আলম শাওন ও অনম বিশ্বাস (দুই দিনের দুনিয়া), মিজানুর রহমান আরিয়ান (পুনর্মিলনে), শিবব্রত বর্মণ ও রবিউল আলম রবি (ক্যাফে ডিজায়ার), রাজিব হাসান (ঊনিশ২০), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি)

সমালোচক পুরস্কারে সেরা অভিনেতা (ওয়েব সিরিজ) শাখায় মনোনীত আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, মোস্তফা মন্ওয়ার, নাসির উদ্দিন খান, শরীফ সিরাজ, তারিক আনাম খান

সেরা অভিনেতা (ওয়েব সিরিজ): শরীফ সিরাজ (মারকিউলিস), মোস্তফা মন্ওয়ার (প্রচলিত-রিংটোন), নাসির উদ্দিন খান (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), আব্দুল্লাহ আল সেন্টু (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), তারিক আনাম খান (ভাইরাস)

সমালোচক পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী (ওয়েব সিরিজ) শাখায় মনোনীত আশনা হাবিব ভাবনা, আজমেরী হক বাঁধন, মৌসুমি হামিদ, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, সাবিলা নূর

সেরা অভিনেত্রী (ওয়েব সিরিজ): আশনা হাবিব ভাবনা (ওভারট্রাম্প), আজমেরী হক বাঁধন (গুটি), সাবিলা নূর (মারকিউলিস), মৌসুমি হামিদ (গুটি), রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন)

সেরা পরিচালক (ওয়েব সিরিজ) শাখায় মনোনীত আবু শাহেদ ইমন, অনম বিশ্বাস, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শিহাব শাহীন

সেরা পরিচালক (ওয়েব সিরিজ): শঙ্খ দাশগুপ্ত (গুটি), আবু শাহেদ ইমন (মারকিউলিস), শিহাব শাহীন (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), অনম বিশ্বাস (ভাইরাস)

সেরা গল্প ও চিত্রনাট্য (ওয়েব সিরিজ) শাখায় মনোনীত আশরাফুল আলম শাওন, অনম বিশ্বাস, বাশার জর্জিস, সিদ্দিক আহমেদ অম্লান, মোন্তাসির মান্নান, শঙ্খ দাশগুপ্ত, জাহীন ফারুক আমিন, রবিউল আলম রবি, আবু সাঈদ রানা, শিহাব শাহীন

সেরা গল্প ও চিত্রনাট্য (ওয়েব সিরিজ): রবিউল আলম রবি, শঙ্খ দাশগুপ্ত, জাহীন ফারুক আমিন, আবু সাঈদ রানা (গুটি), বাশার জর্জিস, সিদ্দিক আহমেদ, অম্লান, মোন্তাসির মান্নান (ওভারট্রাম্প), শিহাব শাহীন (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), অনম বিশ্বাস ও আশরাফুল আলম শাওন (ভাইরাস)

সেরা চিত্রগ্রাহক শাখায় মনোনীত বরকত হোসেন পলাশ, শেখ রাজিবুল ইসলাম, সুমন সরকার, তাহসিন রহমান, তানভীর আহসান

সেরা চিত্রগ্রাহক: শেখ রাজিবুল ইসলাম (দুই দিনের দুনিয়া), তাহসিন রহমান (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি), বরকত হোসেন পলাশ (গুটি, মারকিউলিস), তানভীর আহসান (জাহান), সুমন সরকার (সুড়ঙ্গ)

সেরা সম্পাদক শাখায় মনোনীত লিয়ন রোজারিও, মোমিন বিশ্বাস, ময়ূখ বারী, সিমিত রায় অন্তর, সালেহ সোবহান অনীম

সেরা সম্পাদক: মোমিন বিশ্বাস (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি), সিমিত রায় অন্তর (সুড়ঙ্গ), সালেহ সোবহান অনীম (ক্যাফে ডিজায়ার, গুটি), ময়ূখ বারী (পুনর্মিলনে), লিয়ন রোজারিও (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন)

সমালোচক পুরস্কারে রূপসজ্জা/সাজসজ্জা শাখায় মনোনীত আতিয়া রহমান, হাসিবুর রহমান ইমরান, মো. কামরুল, মো. খোকন মোল্লা, রুবামা ফাইরুজ

রূপসজ্জা/সাজসজ্জা: আতিয়া রহমান (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি, দুই দিনের দুনিয়া, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), হাসিবুর রহমান ইমরান (গুটি), রুবামা ফাইরুজ (মারকিউলিস), মো. খোকন মোল্লা (সুড়ঙ্গ), মো. কামরুল (প্রচলিত)

সমালোচক পুরস্কারে পোশাক পরিকল্পনা শাখায় মনোনীত বিজয়া রত্নাবলী, বিথী আফরিন, ইদিলা ফরিদ তুরিন, ফারজানা এনি, প্রীতি রোজারিও

পোশাক পরিকল্পনা: প্রীতি রোজারিও (দুই দিনের দুনিয়া), বিজয়া রত্নাবলী (গুটি), বিথী আফরিন (সুড়ঙ্গ, ইন্টার্নশিপ), ফারজানা এনি (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, ওভারট্রাম্প), ইদিলা ফরিদ তুরিন (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি)

সমালোচক পুরস্কারে আবহ সংগীত শাখায় মনোনীত ইমন চোধুরী, জাহিদ নিরব, রুসলান রেহমান, আরাফাত মহসিন, পাভেল আরিন

আবহ সংগীত: ইমন চোধুরী (দুই দিনের দুনিয়া, মারকিউলিস), জাহিদ নিরব (পুনর্মিলনে), রুসলান রেহমান (গুটি), আরাফাত মহসিন (সুড়ঙ্গ), পাভেল আরিন (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি)

সমালোচক পুরস্কারে শব্দ বিন্যাস শাখায় মনোনীত রাজেশ সাহা, রিপন নাথ, শৈব তালুকদার

শব্দ বিন্যাস: রিপন নাথ (দুই দিনের দুনিয়া, সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), রাজেশ সাহা (ক্যাফে ডিজায়ার, গুটি), শৈব তালুকদার (পুনর্মিলনে)

সমালোচক পুরস্কারে শিল্প নির্দেশনা শাখায় মনোনীত নাইমা জামান, শহীদুল ইসলাম, শিহাব নুরুন নবী, তারেক বাবলু

শিল্প নির্দেশনা: তারেক বাবলু (গুটি), শহীদুল ইসলাম (সুড়ঙ্গ), নাইমা জামান (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন), শিহাব নুরুন নবী (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি)

চরকি পাওয়ার হাউস অব টুমরো শাখায় মনোনীত আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আমিন হান্নান চৌধুরী, কারিনা কায়সার, মাশা ইসলাম, সাদিয়া আয়মান

চরকি পাওয়ার হাউস অব টুমরো: মাশা ইসলাম (টেকা পাখি-দুই দিনের দুনিয়া), কারিনা কায়সার (লেখক-ইন্টার্নশিপ), সাদিয়া আয়মান (অভিনয়শিল্পী-ইন্টার্নশিপ, প্রচলিত), আমিন হান্নান চৌধুরী (কমেডিয়ান-ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড), আব্দুল্লাহ আল সেন্টু (মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন)

ওটিটি

চাঁদরাতে ফারুকীর ‘মনোগামী’, চঞ্চল-জেফারের খেয়ালি কিংবা বেখেয়ালি ভালোবাসার আভাস

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে জেফার রহমান ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ মুক্তি পাচ্ছে চাঁদরাতে। ইতোমধ্যে এর দুটি টিজার এবং একটি গান এসেছে। এগুলোতে রয়েছে খেয়ালি কিংবা বেখেয়ালি ভালোবাসার আভাস। ওয়েব ফিল্মটিতে মধ্যবয়সী একজনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে থাকছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান। এবারই প্রথম অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন এই গায়িকা। 

১৫ সেকেন্ডের একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একটি অফিসে সোফায় বসে আছেন চঞ্চল। সামনে দিয়ে শাড়ি পরা জেফার হেঁটে যান। সেদিকে চোখ আটকে থাকে ভদ্রলোকের। তিনি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে মেয়েটিকে দেখার আশায় ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকেন। খেয়াল না থাকায় হঠাৎ তার মাথার সঙ্গে কাচের দেয়ালের গুঁতো লাগে!

এরপর ২৪ সেকেন্ডের আরেকটি দৃশ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, লিফটে দাঁড়িয়ে আছেন চঞ্চল। এরপর জেফার ভেতরে আসতেই তিনি অন্যদিকে ফিরে থাকেন। নভোচারীর মতো লিফটে ওপরে উঠছেন তারা। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের লিফটযাত্রা যেন তাদের কাছে মহাকাশযাত্রার মতো দীর্ঘ ও অস্বস্তিকর লাগছে!

টিজার দুটি দেখে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, দর্শকদের জন্য পেট ভরে হাসার রসদ আছে ‘মনোগামী’তে। তবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এতে একটি আবেগপ্রবণ দিকও আছে! সেই দিকটি তুলে ধরতে রয়েছে একটি গান। এর শিরোনাম ‘মানুষ কেনো এরকম’। এটি লিখেছেন, সুর করেছেন ও গেয়েছেন আহমেদ হাসান সানি। সংগীতায়োজনে পাভেল আরীন।

চাঁদরাতে মুক্তি উপলক্ষে গতকাল ঢাকার গুলশানে একটি রেস্তোরাঁয় সমবেত হন ‘মনোগামী’র পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

(বাঁ থেকে) জেফার রহমান, চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও রেদওয়ান রনি (ছবি: চরকি)

গত ২৩ মার্চ ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, চঞ্চল চৌধুরীর ছবি স্বাভাবিক, তবে জেফারের ছবি উল্টো। পোস্টারের নিচের দিকে লেখা– ‘এক সময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহিত জীবন যাপনের প্রথা; একবিবাহি, একগামিতা।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র পোস্টারে জেফার রহমান ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

‘মনোগামী’র লামিয়া চরিত্রে জেফারকে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, নতুন মুখের কাউকে খুঁজছিলেন তিনি। জেফারের ‘ঝুমকা’ গানটি নিয়মিত না শুনলে খাবার খায় না তার মেয়ে ইলহাম! ফারুকী একদিন খেয়াল করে দেখলেন, লামিয়া চরিত্রে জেফার মানিয়ে যায়। ‘মনোগামী’তে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হন তিনি।

জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

জেফারের কথায়, ‘ফারুকী ভাইয়ের সিনেমা ও চঞ্চল ভাইয়ের বিপরীতে অভিনয় করতে হবে, সব মিলিয়ে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। ফারুকী ভাই আমাকে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে বলায় আরও টেনশনে পড়ে যাই। ১৪ বছর ধরে আমার চুলের স্টাইল একই রকম। ফারুকী ভাইয়ের ওপর বিশ্বাস রেখে সব করেছি।’

চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে শুদ্ধ (ছবি: চরকি)

ওয়েব ফিল্মটিতে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করেছে তার ছেলে শুদ্ধ। বাবা-ছেলের চরিত্রেই দেখা যাবে তাদের। এটাই শুদ্ধের প্রথম ফিল্ম। সে বলেছে, ‘বাবার শুটিংয়ে অনেকবার গিয়েছি। এবার নিজের শুটিংয়ে গিয়ে খুব নার্ভাস লেগেছিলো। শুটিংয়ের আগের দিন সারারাত ঘুমাতে পারিনি। বাবার সঙ্গে অভিনয় করে খুব আনন্দ লেগেছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এই ওয়েব ফিল্মে কাজ করা আমার জন্য অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে রাই, চঞ্চল চৌধুরী ও সামিনা হোসেন প্রেমা (ছবি: চরকি)

‘মনোগামী’র আরেকটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা। জেফারের মতো তারও অভিনয়ে অভিষেক হচ্ছে। প্রেমার কন্যা রাই পর্দায় তার মেয়ে হিসেবে থাকছে। ওয়েব ফিল্মটির একটি অংশের শুটিং হয়েছে মেট্রোরেলেই। ভিশন ইলেক্ট্রনিকসের নিবেদনে এবারের ঈদুল ফিতরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’।

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র নির্মাণ ভাবনা প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “আমার প্রিয় একটি কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কী কী ধরা পড়ে সেখানে। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। ‘মনোগামী’তে অনেকদিন পরে নারী-পুরুষ সম্পর্কের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি। গল্পটি আমাদের মনের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায়। ফলে এটি হাস্যরস, আবেগ আবার কখনো ট্র্যাজেডির রঙ ধারণ করে, অনেকটা আমাদের জীবনের মতোই!”

ফারুকী যোগ করেন, “ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় দেখাতে পেরেছি। এবারের ফিল্মে বিবাহিত ও প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।”

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

ফারুকীর প্রতিষ্ঠান ছবিয়ালের নতুন প্রযোজনা ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ হলো চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের অংশ। এর আওতায় রয়েছে ১২টি ওয়েব ফিল্ম। এরমধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ও শিহাব শাহীনের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ মুক্তি পেয়েছে। ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’তে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, “দেখতে দেখতে মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের তৃতীয় সিনেমা মুক্তির পথে। প্রথম দুটি সিনেমা দর্শকেরা পছন্দ করেছেন। আশা করছি, দর্শক এবার মনোগামীর মধ্য দিয়ে আগের ফারুকী ভাইয়ের নির্মাণ খুঁজে পাবেন।”

পড়া চালিয়ে যান

ওটিটি

প্রথমবার ওয়েব সিরিজে জয়া আহসান, বানাবেন আশফাক নিপুন

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

জয়া আহসান ও আশফাক নিপুন (ছবি: ফেসবুক)

দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান প্রথমবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। এর নাম ‘জিম্মি’। এটি বানাবেন আশফাক নিপুন। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে উপভোগ করা যাবে এই কন্টেন্ট।

টাকার গ্রাফিক্স দিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জিম্মি’র টাইটেল। জিম্মির সঙ্গে টাকার সম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক। গল্পে দেখা যাবে, সরকারি নিম্নপদস্থ কর্মচারী একজন নারী ১০ বছর ধরে কোনো প্রমোশন পায় না। স্বামী-স্ত্রীর টানাটানির সংসার। উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই নারী একদিন অফিসের স্টোররুমে বড় অঙ্কের টাকার বাক্স পায়। হঠাৎ পাওয়া টাকা নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত লোভের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে সে।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েব সিরিজ ঘোষণার ভিডিও শেয়ার দিয়ে জয়া আহসান লিখেছেন, ‌‘শুধু এটুকু বলতে পারি, বানাবেন আশফাক নিপুন। আর বাকিটা… ক্রমশ প্রকাশ্য!’

আশফাক নিপুন (ছবি: ফেসবুক)

‘জিম্মি’সহ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই ২০২৪ সালের জন্য নতুন ছয়টি ওয়েব সিরিজের ঘোষণা দিয়েছে। আজ (২৬ মার্চ) ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত ‘হইচই মিট ২০২৪’ (গল্পের নতুন অধ্যায়) শীর্ষক ভিডিওতে এগুলোর নাম, পরিচালক ও প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীদের নাম জানানো হয়েছে।

‘গল্পের নতুন অধ্যায়’ ভিডিওতে ঘোষিত ছয় ওয়েব সিরিজের দুটি পরিচালনা করছেন ভিকি জাহেদ। এরমধ্যে দুর্ঘটনায় দৃষ্টিশক্তি হারানো সিআইডি কর্মকর্তার গল্প নিয়ে সাজানো ‘রুমি’তে নাম ভূমিকায় থাকছেন চঞ্চল চৌধুরী। অন্যদিকে ‘মিথ্যাবাদী’তে অভিনয় করছেন মেহজাবীন চৌধুরী। সিরিজটির গল্পে দেখা যাবে, স্বামীর প্রতি শতভাগ বিশ্বস্ত স্ত্রী। কিন্তু মা হওয়ার চার বছর পর সে জানতে পারে তার স্বামী সন্তান জন্মদানে সম্পূর্ণভাবে অক্ষম। স্ত্রীর মনে প্রশ্ন, তাহলে তার সন্তান কার! সন্দেহের বশীভূত হয়ে শ্বশুর ও ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা করে সে।

অনম বিশ্বাসের ‘রঙিলা কিতাব’-এ থাকছেন পরীমণি। বরিশালের একটি ছোট শহরের গ্যাংস্টার প্রদীপ প্রথমবারের মতো বাবা হতে যাচ্ছে জানার পরে তার অপরাধ জীবনকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পরের দিনই স্থানীয় এমপিকে হত্যার ঘটনায় অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত হয় প্রদীপ। তারপর থেকে পালিয়ে বেড়ায় প্রদীপ। এখন তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব নিজেকে এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুলিশ ও অজানা বিপদ থেকে রক্ষা করা।

অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া (আট মানে Not)’ সিরিজে প্রধান চরিত্রে থাকছেন মোশাররফ করিম। এতে ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সে দুর্দান্ত প্রেমিক মানুষ। সাত জেলায় থাকা সাত বউকে একে অপরের কাছ থেকে গোপন রেখে সে সুনিপুণভাবে সাত সংসার সামলায়। এদিকে একজন বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে হওয়া থেকে সদ্য যুবতী সুন্দরীকে বাঁচানোর পর সুন্দরী আব্বাসের প্রেমে পড়ে ও তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু আব্বাস জানে আট মানে সর্বনাশ তাই সুন্দরীকে বিয়ে করতে না চাইলেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয় তাকে। এরপর শুরু হয় গণ্ডগোল। আব্বাসের সাত সংসারে শুরু হয় বিভিন্ন রকম ঝামেলা।

হইচইয়ের ‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজের জনপ্রিয় চরিত্র গোলাম মামুন হয়ে ফিরছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ‘গোলাম মামুন’ নামের সিরিজটির গল্পে দেখা যাবে, নিজের আততায়ীকে খুনের দায়ে আটক হয় মামুন, সেই সঙ্গে বন্ধু দম্পতির খুনেও জড়িয়ে যায় তার নাম। আইনরক্ষক মামুনকে আইন ভেঙে পুলিশের হাত থেকে পালাতে হয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে। কিন্তু বাইরে অপেক্ষা করছে আরো বড় বিপদ। ‘বুকের মধ্যে আগুন’ তানিম রহমান অংশু পরিচালনা করলেও ‘গোলাম মামুন’ বানাচ্ছেন শিহাব শাহীন।

প্রতিবছর বাংলাদেশি কন্টেন্টের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা উদযাপনের জন্য আয়োজন করা হয় ‘হইচই মিট’। এর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের কনটেন্ট এবং প্রতিভাবান শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে হইচই।

এ প্রসঙ্গে হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, “হইচই বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ‘ঢাকা মেট্রো’ সিরিজ দিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরপর আরো ১৮টি সিরিজ মুক্তি পেয়েছে এতে, যেগুলো বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। একটি ব্র্যান্ড হিসেবে হইচইয়ের লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের কাছে নিজেদের ভাষায় মানসম্মত বিনোদন পৌঁছে দেওয়া। দর্শকদের জন্য হইচই সহজলভ্য করতে আমরা ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংকের সঙ্গে একাত্ম হয়েছি। পাশাপাশি আমরা দর্শকদের জন্য পছন্দসই কনটেন্ট নির্মাণের উদ্দেশে বাংলাদেশের খ্যাতিমান নির্মাতা এবং অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা এ বছর ছয়টি কন্টেন্টের ঘোষণা দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরো বাড়বে।”

পড়া চালিয়ে যান

ওটিটি

ওলট-পালট চঞ্চল-জেফার, ঈদে ফারুকীর ‘মনোগামী’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

ঈদে ‘ইদানীং’-এর সম্পর্ক নিয়ে আসছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’। ওয়েব ফিল্মটিতে মধ্যবয়সী একজনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে থাকছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান। এবারই প্রথম অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন এই গায়িকা।

গতকাল (২৩ মার্চ) ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। এতে চঞ্চল চৌধুরীর ছবি স্বাভাবিক, তবে জেফারের ছবি উল্টো। পোস্টারের নিচের দিকে লেখা– ‘এক সময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহিত জীবন যাপনের প্রথা; একবিবাহি, একগামিতা।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র পোস্টারে জেফার রহমান ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

অভিনয় প্রসঙ্গে জেফার বলেন, ‘একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছি। তবে এবার অভিনেত্রী হিসেবে দেখা যাবে আমাকে। আমার জন্য ঘটনাটি নিঃসন্দেহে আনন্দের, তবে চ্যালেঞ্জিংও বটে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় অভিনয় করা এবং সহশিল্পী হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীকে পাওয়া বলা যায় কিছুটা চাপের এবং একইসঙ্গে রোমাঞ্চকর।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

জেফারকে দিয়ে অভিনয় করানো প্রসঙ্গে ফারুকীর মন্তব্য, ‘জেফার গানের লোক। এটাই তার প্রথম অভিনয়। তাকে পাওয়ার ফলে ফিল্মের গল্প প্রাণবন্ত হয়েছে।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

চঞ্চলের ব্যাপারে ফারুকীর মন্তব্য, ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বহু পুরনো। এখনো একই রকম অপ্রতিরোধ্য তিনি। চঞ্চল ভাই তার দুর্দান্ত কারিশমা দিয়ে বিচিত্র মুহূর্তগুলোকে জলবৎ তরলং করে দিয়েছেন।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

চঞ্চলের কথায়, ‘২০০৫ সালে ফারুকী ভাইয়ের নির্দেশনায় একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার মাধ্যমে আমার ক্যারিয়ার ঘুরে যায়। তার সঙ্গে প্রায় ২০ বছরের কাজের সম্পর্ক। ফারুকী ভাইয়ের সব গল্পে আলাদা মাত্রা থাকে। এবারের ফিল্মে দর্শকদের ভাবানোর মতো কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে। নতুন নতুন চরিত্র খুঁজে বেড়ানো আমার নেশা। তাই এতে আমার চরিত্রের লুক, গেট-আপ যথারীতি ভিন্ন।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ছবি: চরকি)

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র নির্মাণ ভাবনা প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “আমার প্রিয় একটি কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কী কী ধরা পড়ে সেখানে। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। ‘মনোগামী’তে অনেকদিন পরে নারী-পুরুষ সম্পর্কের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি। গল্পটি আমাদের মনের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায়। ফলে এটি হাস্যরস, আবেগ আবার কখনো ট্র্যাজেডির রঙ ধারণ করে, অনেকটা আমাদের জীবনের মতোই!”

ফারুকী যোগ করেন, “ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় দেখাতে পেরেছি। এবারের ফিল্মে বিবাহিত ও প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।”

‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

ভিশন ইলেক্ট্রনিকসের নিবেদনে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’। এতে আরো অভিনয় করেছেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা। তারও অভিনয়ে অভিষেক হচ্ছে।

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

ফারুকীর প্রতিষ্ঠান ছবিয়ালের নতুন প্রযোজনা ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ হলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের অংশ। এর আওতায় রয়েছে ১২টি ওয়েব ফিল্ম। এরমধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ও শিহাব শাহীনের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ মুক্তি পেয়েছে। ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ