Connect with us

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

অস্কার ২০২৩: একনজরে পুরো মনোনয়ন তালিকা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

(বাঁ থেকে ঘড়ির কাঁটার মতো) কলিন ফ্যারেল, অস্টিন বাটলার, কেট ব্ল্যানচেট ও মিশেল ইও

সিনেমার সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অস্কারের ৯৫তম আসরের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশিত হলো। এবার সেরা সিনেমা, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ২৩টি শাখায় পুরস্কার দেওয়া হবে। ২০২২ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্য থেকে মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

গতকাল (২৪ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের বেভারলি হিলসে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুরুতে এই সংস্থার সভাপতি জ্যানেট ইয়াং স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর মনোনীতদের নাম জানান অস্কারজয়ী ব্রিটিশ অভিনেতা-প্রযোজক রিজ আহমেদ ও ‘মেগান’ তারকা অ্যালিসন উইলিয়ামস। অস্কারের দুটি ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে (টিকটক, টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুক) সরাসরি দেখানো হয় এই আয়োজন।

রিজ আহমেদ ও অ্যালিসন উইলিয়ামস (ছবি: টুইটার)

অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ১৭টি শাখার সদস্যদের ভোটে মনোনয়ন তালিকা তৈরি হয়েছে। অভিনেতা সদস্যরা অন্য অভিনেতাদের, অভিনেত্রী সদস্যরা অন্য অভিনেত্রীদের, পরিচালকরা পরিচালকদের ভোট দিয়েছেন। তবে পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড সিনেমা এবং আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা শাখায় দুটিতে ভোট দিয়েছেন বহু-শাখা স্ক্রিনিং কমিটির সদস্যরা। অ্যাকাডেমির সব সদস্যের ভোটে সেরা সিনেমা শাখার মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। এবার ৮০টি দেশের সদস্যরা ব্যালট জমা দিয়ে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। আগামী ২ মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত অ্যাকাডেমির সক্রিয় সদস্যরা ভোট দিয়ে ২৩টি শাখার বিজয়ীদের চূড়ান্ত করবেন।

একনজরে ৯৫তম অস্কারের পুরো মনোনয়ন তালিকা

সেরা সিনেমা
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (জার্মানি), অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার, দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন, এলভিস, এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স, দ্য ফেবলম্যানস, টার, টপ গান: ম্যাভেরিক, ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস, উইমেন টকিং

সেরা অভিনেতা
অস্টিন বাটলার (এলভিস), কলিন ফ্যারেল (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), ব্রেন্ডন ফ্রেজার (দ্য হোয়েল), পল মেসকাল (আফটারসান), বিল নাই (লিভিং)

সেরা অভিনেত্রী
কেট ব্ল্যানচেট (টার), আনা ডে আরমাস (ব্লন্ড), আন্ড্রেয়া রাইজবরো (টু লেসলি), মিশেল উইলিয়ামস (দ্য ফেবলম্যানস), মিশেল ইও (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)

সেরা পরিচালক
মার্টিন ম্যাকডোনা (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), ড্যানিয়েল কোয়ান ও ড্যানিয়েল শাইনার্ট (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স), স্টিভেন স্পিলবার্গ (দ্য ফেবলম্যানস), টড ফিল্ড (টার), রুবেন অস্টলান্ড (ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস)

সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা
ব্রেন্ডন গ্লিসন (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), ব্যারি কিওগ্যান (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), কি হুই কোয়ান (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স), জাড হার্শ (দ্য ফেবলম্যানস), ব্রায়ান টাইরি হেনরি (কজওয়ে)

সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী
অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট (ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার), হং চাও (দ্য হোয়েল), কেরি কন্ডন (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), জেমি লি কার্টিস (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স), স্টেফানি সু (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য
দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন (মার্টিন ম্যাকডোনা), এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স (ড্যানিয়েল কোয়ান ও ড্যানিয়েল শাইনার্ট), দ্য ফেবলম্যানস (স্টিভেন স্পিলবার্গ ও টনি কাশনার), টার (টড ফিল্ড), ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস (রুবেন অস্টলান্ড)

সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, গ্লাস ওনিয়ন: অ্যা নাইভস আউট মিস্টোরি, লিভিং, টপ গান: ম্যাভেরিক, উইমেন টকিং (সারাহ পলি)।

সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা
গিয়ের্মো দেল তোরো’স পিনোকিও (নেটফ্লিক্স), মারসেল দ্য শেল উইথ শুজ অন (এ২৪), পুস ইন বুটস: দ্য লাস্ট উইশ (ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন), দ্য সি বিস্ট (নেটফ্লিক্স), টার্নিং রেড (ডিজনি)

সেরা চিত্রগ্রহণ
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (জেমস ফ্রেন্ড), বার্দো, ফলস ক্রনিকল অব অ্যা হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস (দারিউস কন্ডজি), এলভিস (ম্যান্ডি ওয়াকার), এম্পায়ার অব লাইট (রজার ডিকিন্স), টার (ফ্লোরিয়ান হফমেইস্টার)

সেরা পোশাক পরিকল্পনা
ব্যাবিলন (ম্যারি জোফরেস), ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার (রুথ কার্টার), এলভিস (ক্যাথেরিন মার্টিন), এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স (শির্লে কুরাতা), মিসেস হ্যারিস গোজ টু প্যারিস (জেনি বিভ্যান)

সেরা প্রামাণ্যচিত্র
অল দ্যাট ব্রিদস, অল দ্য বিউটি অ্যান্ড দ্য ব্লাডশেড, ফায়ার অব লাভ, নাভালনি, অ্যা হাউস মেড অব স্প্লিন্টার্স

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র
দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স, হাউল আউট, হাউ ডু ইউ মেজার অ্যা ইয়ার?, দ্য মার্থা মিচেল ইফেক্ট, স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট

সেরা সম্পাদনা
দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন (মিকেল ই.জি. নিয়েলসেন), এলভিস (ম্যাট ভিলা ও জনাথন রেডমন্ড), এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স (পল রজার্স), টার (মনিকা উইলি), টপ গান: ম্যাভেরিক (এডি হ্যামিল্টন)

সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমা
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (জার্মানি), আর্জেন্টিনা ১৯৮৫ (আর্জেন্টিনা), ক্লোজ (বেলজিয়াম), ইও (পোল্যান্ড), দ্য কোয়ায়েট গার্ল (আয়ারল্যান্ড)

সেরা রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, দ্য ব্যাটম্যান, ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার, এলভিস, দ্য হোয়েল

সেরা মৌলিক সুর
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (ভলকার বার্টেলমান), ব্যাবিলন (জাস্টিন হারউইৎজ), দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন (কার্টার বারওয়েল), এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স (সান লুক্স), দ্য ফেবলম্যানস (জন উইলিয়ামস)

সেরা মৌলিক গান
নাটু নাটু (আরআরআর; সুরকার ও সংগীত পরিচালক এম.এম. কিরাবানি, গীতিকবি চন্দ্রবোস), হোল্ড মাই হ্যান্ড (টপ গান: ম্যাভেরিক; কথা, সুর-সংগীত, লেডি গাগা ও ব্লাড পপ), লিফট মি আপ (ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার; সুর ও সংগীত রিয়ানা, টেমস, রায়ান কুগলার, লুদবিগ ইওরানসন, কথা টেমস ও রায়ান কুগলার), অ্যাপ্লজ (টেল ইট লাইক অ্যা ওম্যান, কণ্ঠ, সুর ও সংগীত ডায়েন ওয়ারেন), দিস ইজ অ্যা লাইফ (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স, সুর-সংগীত রায়ান লট, ডেভিড বায়ার্ন ও মিৎসকি, কথা লিখেছেন রায়ান লট ও ডেভিড বায়ার্ন)

সেরা শিল্প নির্দেশনা
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (ক্রিস্টিয়ান এম. গোল্ডবেক ও আর্নেস্টাইন হিপার), অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার (ডিলান কোল ও বেন প্রক্টর এবং ভ্যানেসা কোল), ব্যাবিলন (ফ্লোরেন্সিয়া মার্টিন ও অ্যান্থনি কারলিনো), এলভিস (ক্যাথেরিন মার্টিন ও কারেন মারফি এবং বেভ ডুন), দ্য ফেবলম্যানস (রিক কার্টার ও কারেন ও’হারা)

সেরা শব্দ
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার, দ্য ব্যাটম্যান, এলভিস, টপ গান: ম্যাভেরিক

সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার, দ্য ব্যাটম্যান, ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার, টপ গান: ম্যাভেরিক

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড সিনেমা
দ্য বয়, দ্য মোল, দ্য ফক্স অ্যান্ড দ্য হর্স; দ্য ফ্লাইং সেইলর, আইস মার্চেন্টস, মাই ডিয়ার অব ডিকস, অ্যান অস্ট্রিচ টোল্ড মি দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ফেক অ্যান্ড আই থিংক আই বিলিভ ইট

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা
অ্যান আইরিশ গুডবাই, ইফালু, লে পপুল, নাইট রাইড, দ্য রেড স্যুটকেস

আগামী ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে বসবে ৯৫তম অস্কারের জমকালো আসর। আমেরিকান টিভি ব্যক্তিত্ব জিমি কিমেলের সঞ্চালনায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন তারকারা। এবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে সরাসরি দেখানো হবে অনুষ্ঠানটি।

১৯২৭ সাল থেকে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস (আমপাস) সদস্যদের ভোটে অস্কারের মনোনয়ন ও পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। অভিনয়শিল্পী, পরিচালক, চিত্রগ্রাহকসহ মোট ১৭টি শাখায় ১০ হাজারের বেশি সদস্য আছে।

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

টরন্টো উৎসবে নির্বাচিত মেহজাবীনের ‘সাবা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হলো অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর ‘সাবা’। এটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মাকসুদ হোসেন। উৎসবে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে অংশ নেবেন তারা।

‘সাবা’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এর অফিসিয়াল পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের খবর জানান তিনি।

‘সাবা’ সিনেমার শুটিংয়ে মেহজাবীন চৌধুরী ও মাকসুদ হোসেন (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

‘সাবা’ অর্থ সকাল, সকালের মৃদু বাতাস। মেহজাবীনের আশা, “গল্প, চরিত্র, পরিচালকের নির্মাণ, গুণী অভিনয়শিল্পী ও নেপথ্যের মেধাবী কলাকুশলীদের সঙ্গে আমার অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ আমার জীবনে সবসময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে।”

‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মেহজাবীনকে। এতে আরো অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

‘সাবা’ সিনেমার পোস্টারে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহ সংগীতে আম্মান আব্বাসি।

৪৯তম টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। ডিসকভারি প্রোগ্রামের উদ্বোধনী সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নারী দুর্গা চু-বোস পরিচালিত ‘বোজোঁ ত্রিস্তেস’। ফরাসি নাট্যকার-সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া সেগোঁর উপন্যাস অবলম্বনে এতে অভিনয় করেছেন ক্লোয়ি সেভেনিয়ে। এবারের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে ‘সাবা’সহ ২৪টি সিনেমা। এরমধ্যে ২০টির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এবারের উৎসব চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নবাগত ও উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র জায়গা পেয়ে থাকে। ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের তালিকায় আছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো আনিয়েদি, মারেন আদে ও এমা সেলিগম্যান।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

মস্কো উৎসবে স্পেশাল জুরি প্রাইজ পেলো বাংলাদেশের ‘নির্বাণ’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

পুরস্কার হাতে আসিফ ইসলাম (ছবি: ফেসবুক)

মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (এমআইএফএফ) ৪৬তম আসরে স্পেশাল জুরি প্রাইজ পেলো বাংলাদেশের আসিফ ইসলাম পরিচালিত ‘নির্বাণ’। একটি ফটো অ্যালবামের মতো সাদাকালো এই নির্বাক সিনেমায় তিনটি চরিত্রের অভ্যন্তরীণ যাত্রার গল্প বলা হয়েছে।

গতকাল (২৬ এপ্রিল) উৎসবটির সমাপনীতে আসিফ ইসলামের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন ‘নির্বাণ’ সিনেমার অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। এতে গল্পে বলা হয়েছে, অন্তর্নিহিত শান্তির খোঁজে প্রতিনিয়ত মানুষকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আনোয়ার হোসেনের গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এটি। এতে আরো অভিনয় করেছেন ফাতেমা তুজ জোহরা, ইমরান মাহাথির প্রমুখ।

গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় ৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (এমআইএফএফ)। উদ্বোধনী আয়োজনের লালগালিচায় হেঁটেছেন প্রিয়াম অর্চি ও আসিফ ইসলাম। গত ২২ এপ্রিল তাদের সিনেমার প্রদর্শনী হয়েছে। এরপর ২৪ এপ্রিল ছিলো আরেকটি প্রদর্শনী।

লালগালিচায় প্রিয়াম অর্চি (ছবি: ফেসবুক)

এবারের উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন সেন্ট জর্জ জিতেছে মিগেল সালগাদো পরিচালিত মেক্সিকান সিনেমা ‘শেম’। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে মেক্সিকো ও কাতার। দুই কিশোর পেড্রো ও লুসিওকে কেন্দ্র করে এর গল্প, যারা অপহরণের পর বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হয়। পেড্রো জিতে যায় এবং পালাতে সক্ষম হয়। কিন্তু লুসিওর প্রতি অপরাধবোধ তাকে পীড়া দিতে থাকে।

সেরা পরিচালক হিসেবে সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের নাহিদ আজিজি সেদিস। তার পরিচালিত ‘কোল্ড সাই’ মোট তিনটি পুরস্কার জিতেছে। বাহা জানতে পারে, তার বাবা বাহরাম ২০ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। বাহার মাকে প্রতারণার অভিযোগে খুনের কারণে সাজা হয়েছিলো বাহরামের। সেই ঘটনায় বাবার ওপর ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বাহা। তবুও সে সিদ্ধান্ত নেয় বাবাকে ঘরে ফেরাবে।

রুশ প্রিমিয়ার প্রতিযোগিতা শাখায় সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার পেয়েছে ইউলিয়া ট্রফিমোভা পরিচালিত ‘লায়ার’। বিশ্ব সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য এমআইএফএফ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সের্গেই উরসুলিয়াক।

বিচারকদের প্রধান ছিলেন আইসল্যান্ডের পরিচালক ফ্রিদরিক থর ফ্রিদরিকসন। তার ‘চিলড্রেন অব ন্যাচার’ অস্কারে মনোনীত হওয়া একমাত্র আইসল্যান্ডিক সিনেমা।

লালগালিচায় প্রিয়াম অর্চি ও আসিফ ইসলাম (ছবি: ফেসবুক)

‘নির্বাণ’ ছাড়াও মস্কোতে এবার বাংলাদেশের শর্টফিল্ম ‘হইতে সুরমা’ দেখানো হয়েছে। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন মনোজ প্রামাণিক ও সুব্রত সরকার। মস্কো উৎসবে এবারই প্রথম বাংলাদেশের শর্টফিল্ম নির্বাচিত হলো। ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া টাঙ্গুয়ার হাওরে আয়োজন করে ‘ইকো ফিল্ম ল্যাব’। সেখানেই প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তন থিমে ‘হইতে সুরমা’র যাত্রা শুরু। টাঙ্গুয়ার হাওর, শনির হাওর ও সুনামগঞ্জ জেলার আশেপাশের অঞ্চলের নির্মল প্রাকৃতিক দৃশ্যে শল্টফিল্মটির শুটিং হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারাই এর অভিনেতা-অভিনেত্রী। প্রকৃতির ওপর মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধ্বংসাত্মক প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী প্রতিক্রিয়াগুলো তুলে ধরা হয়েছে এতে। সম্পাদনাসহ পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ তত্ত্বাবধান করেছে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের মনাপচিত্র, ওমানের ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল ট্রেডিং, সৌদি আরবের থার্ড অ্যাকশন ও জার্মানির মোগাদর ফিল্ম।

২০২২ সালের মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যুবরাজ শামীম পরিচালিত ‘আদিম’ দুটি শাখায় পুরস্কার জেতে। এছাড়া গত বছর নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ এই উৎসবের প্রতিযোগিতা শাখায় প্রদর্শিত হয়েছে। ‘নির্বাণ’-এর মাধ্যমে টানা তিন আসরের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা পেলো বাংলাদেশের সিনেমা।

মস্কো উৎসব পরিচালক নিকিতা মিখালকোভ জানান, এবারের আসরে আট দিনে ৯টি পর্দায় ৫৬টি দেশের ২৪০টি সিনেমার ৩৮০টি প্রদর্শনী হয়েছে। সব প্রদর্শনী মিলিয়ে ৩৯ হাজার দর্শক উপস্থিতি ঘটেছে।

১৯৩৫ সালে শুরু হয় মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

অস্কার ২০২৪: পুরস্কার জিতলেন যারা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

(বাঁ থেকে) রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ, এমা স্টোন ও কিলিয়ান মারফি (ছবি: অস্কার)

৯৬তম অস্কারে হলিউডসহ বিশ্ব সিনেমায় ২০২৩ সালের সেরা কাজগুলোকে ২৩টি শাখায় পুরস্কৃত করা হলো। অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের প্রায় ১১ হাজার ভোটার বিজয়ীদের নির্বাচন করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের ডলবি থিয়েটারে অস্কারের মহাযজ্ঞ শুরু হয় আজ (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায়। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটি চতুর্থবারের মতো সঞ্চালনা করেছেন আমেরিকান টিভি তারকা জিমি কিমেল। এমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী ৫৪ বছর বয়সী এই উপস্থাপক-প্রযোজক ২০১৭ সালে ৮৯তম, ২০১৮ সালে ৯০তম এবং ২০২৩ সালে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস মাতিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে নিজেদের মনোনীত গান গেয়ে শুনিয়েছেন কানাডিয়ান অভিনেতা রায়ান গসলিং, আমেরিকান গায়িকা বিলি আইলিশ, বেকি জি, আমেরিকান গায়ক জন ব্যাটিস্ট ও ওসেজ সম্প্রদায়ের কণ্ঠশিল্পীরা। ‘ইন মেমোরিয়াম’ পর্বে গত ১২ মাসে প্রয়াত হওয়া বিশ্ব সিনেমার গুণীদের স্মরণ করা হয়েছে। মূল আয়োজন শুরুর আগে লালগালিচায় জৌলুস ছড়িয়েছেন তারকারা।

ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির মালিকানাধীন এবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশসহ ২০০টিরও বেশি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করেছে অস্কারের জমকালো অনুষ্ঠান। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে উপভোগ করেছেন এই আয়োজন।

৯৬তম অস্কারের বিজয়ী তালিকা
সেরা সিনেমা
ওপেনহাইমার (ক্রিস্টোফার নোলান, এমা থমাস)

সেরা অভিনেতা
কিলিয়ান মারফি (ওপেনহাইমার)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (ওপেনহাইমার)

সেরা অভিনেত্রী
এমা স্টোন (পুয়োর থিংস)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ (দ্য হোল্ডওভারস)

সেরা পরিচালক
ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য
অ্যানাটমি অব অ্যা ফল (জাস্টিন ত্রিয়ে, আর্থার হারারি)

সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য
আমেরিকান ফিকশন (কর্ড জেফারসন)

সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা
দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (হায়াও মিয়াজাকি ও তোশিও সুজুকি)

সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমা
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (যুক্তরাজ্য)

সেরা চিত্রগ্রহণ
ওপেনহাইমার (হয়তে ফন হয়তেমা)

সেরা পোশাক পরিকল্পনা
পুয়োর থিংস (হলি ওয়াডিংটন)

সেরা প্রামাণ্যচিত্র
টোয়েন্টি ডেজ ইন মারিউপোল (মিস্তিস্লাভ চেরনোভ)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র
দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ (বেন প্রাউডফুট ও ক্রিস বাওয়ার্স)

সেরা সিনেমা সম্পাদনা
ওপেনহাইমার (জেনিফার লেম)

সেরা রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা
পুয়োর থিংস (নাদিয়া স্টেসি, জশ ওয়েস্টন ও মার্ক কুলিয়ার)

সেরা মৌলিক আবহসংগীত
লুদবিগ গোরানসন (ওপেনহাইমার)

সেরা মৌলিক গান
হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর? (গীতিকবি ও সুরকার বিলি আইলিশ, ফিনিয়াস ও’কনেল, সিনেমা: বার্বি)

সেরা শিল্প নির্দেশনা
পুয়োর থিংস (জেমস প্রাইস, শনা হিথ ও জুজা মিহালেক)

সেরা শব্দ
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (জনি বার্ন, টার্ন উইলার্স)

সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস
গডজিলা মাইনাস ওয়ান (তাকাশি ইয়ামাজাকি, কিয়োকো শিবুয়া, মাসাকি তাকাহাশি, তাতসুজি নোজিমা)

সেরা শর্টফিল্ম
দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগার (ওয়েস অ্যান্ডারসন, স্টিভেন রালস)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড সিনেমা
ওয়ার ইজ ওভার! ইন্সপায়ার্ড বাই দ্য মিউজিক অব জন অ্যান্ড ইয়োকো (ডেভ মালিন্স, ব্র্যাড বুকার)

সম্মানসূচক অস্কার
আমেরিকান অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট, আমেরিকান কমেডিয়ান, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক মেল ব্রুকস, চলচ্চিত্র সম্পাদক ক্যারল লিটেলটন

জিন হার্শোল্ট মানবিক অ্যাওয়ার্ড
সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের নির্বাহী মিশেল স্যাটার

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ