Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কানসৈকতে বেবি ট্যাক্সি, চাবুক মারা তারকার জন্য সারপ্রাইজ স্বর্ণপাম

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কানসৈকতে হ্যারিসন ফোর্ড (ছবি: টুইটার)

ভূমধ্যসাগরের তীরে একটি বেবি ট্যাক্সি। বহুল প্রতীক্ষিত ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’তে ব্যবহৃত হয়েছে এটি। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৬তম আসরের তৃতীয় দিনে (১৮ মে) সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে। এ উপলক্ষে কানসৈকতে আনা হয়েছে এই বাহন। রোদ ঝলমলে দিনে এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন হলিউড তারকা হ্যারিসন ফোর্ড। তার সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ফিবি ওয়ালার ব্রিজ, ডেনিশ অভিনেতা ম্যাডস মিকেলসেন, আমেরিকান অভিনেতা বয়েড হলব্রুক, ফরাসি অভিনেতা এথান ইসিডোর এবং আমেরিকান পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ড।

কানসৈকতে জেমস ম্যানগোল্ড, হ্যারিসন ফোর্ড ও ফিবি ওয়ালার-ব্রিজ (ছবি: টুইটার)

ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের আগে উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরের সামনে লালগালিচায় ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’র কলাকুশলীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন যথারীতি হ্যারিসন ফোর্ড। তার সঙ্গে আরো ছিলেন স্ত্রী ক্যালিস্টা ফ্লকহার্ট। তখন ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ তারকার নাম ধরে চিৎকার করছিলো হাজার হাজার ভক্ত। সবার অভিবাদনে হাত নেড়ে সাড়া দেন তিনি। ১৫ বছর আগে ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য কিংডম অব দ্য ক্রিস্টাল স্কাল’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের জন্য সর্বশেষ কানে এসেছিলেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। পর্দায় আবার চেনা টুপি ও চাবুক হাতে দেখা গেলো তাকে।

কানসৈকতে হ্যারিসন ফোর্ডের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’র অভিনয়শিল্পীরা (ছবি: টুইটার)

লুমিয়ের থিয়েটারে হ্যারিসন ফোর্ড পা রাখতেই আমন্ত্রিত দর্শকরা তাকে করতালিতে সিক্ত করেন। এরপর প্রদর্শনী শুরুর আগে ৮০ বছর বয়সী এই আমেরিকান অভিনেতার হাতে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম তুলে তাকে চমকে দেন কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সভাপতি ইরিস নোব্লোক। তখন মঞ্চে ছিলেন উৎসবটির পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো। বিনোদন দুনিয়ায় দীর্ঘ ও সফল ক্যারিয়ারের জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হলো। অনুষ্ঠানে ‘স্টার ওয়ারস’ থেকে শুরু করে ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’, ‘উইটনেস’, ‘দ্য ফিউজিটিভ’সহ তার অভিনীত বিভিন্ন সিনেমার অংশবিশেষ দিয়ে সাজানো একটি ভিডিও প্রদর্শন করেছে আয়োজকরা।

হ্যারিসন ফোর্ডকে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম তুলে দেন কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সভাপতি ইরিস নোব্লোক (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে ২ হাজার ৩০০ আসনে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান হ্যারিসন ফোর্ডকে। স্বর্ণপাম গ্রহণের পর আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে এই সম্মান। আমি অনেক গর্বিত। অনেকে বলে, মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে মানুষ নিজের চোখের সামনে জীবনকে দেখতে পায়। মাত্রই চোখের সামনে আমার জীবন দেখেছি। এটি আমার জীবনের একটা বড় অংশ, তবে আমার জীবনের পুরোটা নয়। আমার চমৎকার স্ত্রী আমার আবেগ ও স্বপ্নকে সমর্থন দিয়ে জীবনটা সচল রেখেছে। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

কান উৎসবের সম্মানসূচক স্বর্ণপাম পেয়েছেন হ্যারিসন ফোর্ড (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

এরপর দর্শকদের উদ্দেশে হ্যারিসন ফোর্ড বলেন, ‘আপনাদেরও আমি ভালোবাসি। আপনারাই আমার লক্ষ্য এনে দিয়েছেন এবং জীবনকে অর্থবহ করেছেন। সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

হ্যারিসন ফোর্ডের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’র কলাকুশলীরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজের মধ্যে অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ অন্যতম। এর পঞ্চম ও শেষ পর্ব ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা। তাই প্রদর্শনী শেষে লুমিয়ের থিয়েটারে টানা পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান তারা। তখন আনন্দে থেমে থেমে চোখ ভিজে উঠছিলো হ্যারিসন ফোর্ডের। ইন্ডিয়ানা জোন্স চরিত্রে এটাই যে তার শেষ অভিনয়! সিনেমাটির দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির সিইও বব ইগার এবং লুকাসফিল্মের সভাপতি ক্যাথলিন কেনেডি হাজির ছিলেন প্রদর্শনীতে। ২০১৩ সালে প্যারামাউন্ট পিকচার্সের কাছ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজটির পরিবেশনা স্বত্ব কিনে নেওয়ার পর এটাই ডিজনির প্রথম ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ সিনেমা।

কান উৎসবের ফটোকলে ফিবি ওয়ালার-ব্রিজ, জেমস ম্যানগোল্ড ও হ্যারিসন ফোর্ড (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

উৎসবের চতুর্থ দিন (১৯ মে) দুপুরে হ্যারিসন ফোর্ডের সঙ্গে ফটোকলে অংশ নেন ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’র কলাকুশলীরা। এরপর তারা হাজির হন সংবাদ সম্মেলনে। বেপরোয়া অভিযাত্রী ইন্ডিয়ানা জোন্স চরিত্র থেকে অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে রসিকতার সুরে হ্যারিসন ফোর্ড বলেন, ‘এটা কি স্পষ্ট নয়? আমাকে থামতে হবে এবং একটু বিশ্রাম নিতে হবে। আমি তার (ইন্ডিয়ানা জোন্স) ওপর জীবনের গুরুত্ব এবং তার মধ্যে প্রয়োজনীয় নতুনত্ব দেখতে চেয়েছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বয়ে চলা জীবনের অবশিষ্টাংশ দেখতে পারা অসাধারণ ব্যাপার। আমার প্রতি কান উৎসবের উষ্ণতা এবং এখানকার মানুষের অনুভূতিসহ বরণ করার ঘটনা অকল্পনীয়। এসব আমার খুব ভালো লাগছে। কাজ করতে আমার ভালো লাগে এবং এই চরিত্রটিকে আমি ভালোবাসি। এটি আমার জীবনে যা এনে দিয়েছে সেসব ভালো লেগেছে।’

হ্যারিসন ফোর্ডের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’র কলাকুশলীরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

সমালোচকদের মন জয় করেছে সিনেমাটি। তাদের চোখে, এবারের পর্ব নস্টালজিক। এতে পুরনো দিনের অনুভূতি জাগে। গল্পের প্রয়োজনে পুরনো ফুটেজ ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির সহায়তায় তরুণ বয়সে ফিরে যান হ্যারিসন ফোর্ড। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটি ফটোশপের জাদু নয়। ৩৫ বছর আগে আমাকে দেখতে এমনই লাগতো। এটি শুধু একটি কসরত। আমি মনে করি, খুব দক্ষতার সঙ্গে কাজটি করা হয়েছে। আমি এটা নিয়ে খুব খুশি।’

কান উৎসবের লালগালিচায় ফিবি ওয়ালার-ব্রিজ, জেমস ম্যানগোল্ড, হ্যারিসন ফোর্ড, ম্যাডস মিকেলসেন ও বয়েড হলব্রুক (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

নতুন প্রযুক্তির সুবাদে কি তাহলে হ্যারিসন ফোর্ড ভবিষ্যতে ইন্ডিয়ানা জোন্স চরিত্রে আবার হাজির হতে পারেন? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন উঠলে লুকাসফিল্মের সভাপতি ক্যাথলিন কেনেডি সাফ জানিয়ে দেন, ‘না।’

কান উৎসবে হ্যারিসন ফোর্ড (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

৮০ বছর বয়সেও হ্যারিসন ফোর্ডকে খুব আবেদনময় হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন একজন নারী সাংবাদিক! নতুন সিনেমায় তার শার্ট খুলে ফেলার একটি দৃশ্য বেশ উপভোগ্য লেগেছে তার। তখন ফোর্ড বলেন, ‘এই শরীর নিয়ে আমি ধন্য। লক্ষ্য করার জন্য ধন্যবাদ।’

কান উৎসবের লালগালিচায় ক্যালিস্টা ফ্লকহার্ট ও হ্যারিসন ফোর্ড (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

চার দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৮১ সালে মুক্তি পায় ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ সিরিজের প্রথম সিনেমা ‘রেইডার্স অব দ্য লস্ট আর্ক’। এটি ছাড়াও বিশ্ব-ভ্রমণকারী প্রত্নতত্ত্ববিদ ইন্ডিয়ানা জোন্স চরিত্রে আরো তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন হ্যারিসন ফোর্ড। এগুলো হলো ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য টেম্পল অব ডুম’ (১৯৮৪), ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড’ (১৯৮৯) এবং ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য কিংডম অব দ্য ক্রিস্টাল স্কাল’ (২০০৮)। বক্স অফিসে এগুলোর সম্মিলিত আয়ের পরিমাণ ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।

কান উৎসবের লালগালিচায় হ্যারিসন ফোর্ড ও ম্যাডস মিকেলসেন (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজ সৃষ্টি করেছেন জর্জ লুকাস। তিনিই আগের চারটি সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য লেখায় যুক্ত ছিলেন। এবার আর সেই দায়িত্ব পালন করেননি। তবে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন কিংবদন্তি দুই পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ ও জর্জ লুকাস।

কান উৎসবের লালগালিচায় ক্যালিস্টা ফ্লকহার্ট ও হ্যারিসন ফোর্ড (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ সিরিজের আগের চারটি সিনেমা পরিচালনা করেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। এবারেরটি বানিয়েছেন জেমস ম্যানগোল্ড। তার ঝুলিতে আছে ‘দ্য উলভারিন’ (২০১৩) এবং ‘ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি’র (২০১৯) মতো সিনেমা। কানে অবশ্য ৫৯ বছর বয়সী এই আমেরিকান নির্মাতা নতুন নন। ১৯৯৫ সালে উৎসবটির সমান্তরাল বিভাগ ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইটে ছিলো তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হেভি’। ২৮ বছর পর আবার কানসৈকতে ফিরলেন তিনি।

কান উৎসবের সম্মানসূচক স্বর্ণপাম পেয়েছেন হ্যারিসন ফোর্ড (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

২ ঘণ্টা ২২ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’র গল্প ১৯৬৯ সালের প্রেক্ষাপটে মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে। ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে এমন একটি নিদর্শন পুনরুদ্ধারের অভিযানে বের হয় ইন্ডিয়ানা জোন্স। তার সঙ্গী ধর্মের মেয়ে হেলেনা শো। তাদের সামনে বাধা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় কর্মরত একজন সাবেক নাৎসি।

কান উৎসবের লালগালিচায় জেমস ম্যানগোল্ড, হ্যারিসন ফোর্ড, ম্যাডস মিকেলসেন ও বয়েড হলব্রুক (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ফ্রান্সে আগামী ২৮ জুন এবং যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৩০ জুন মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এতে আরো অভিনয় করেছেন টোবি জোন্স, আন্তোনিও ব্যান্ডেরাস, শোনেট রেনে উইলসন।

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ