Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কানে সিনেমা দেখানোর দিনেই উপন্যাসটির লেখকের মৃত্যু

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

(বাঁ থেকে) প্রযোজক জেমস উইলসন, জান্ড্রা হুলার, জনাথন গ্লেজার, ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডেল ও প্রযোজক এভা পুশসিনস্কা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৬তম আসরে মূল প্রতিযোগিতা শাখায় থাকা ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ তৈরি হয়েছে ২০১৪ সালে প্রকাশিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে। এর ব্রিটিশ লেখক মার্টিন অ্যামিস মারা গেছেন। কান উৎসবে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের ঠিক একদিন পরেই চিরবিদায় নিলেন তিনি।

বিখ্যাত ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক মার্টিন অ্যামিসের বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। তিনি খাদ্যনালীতে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নিজের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়েছে। মার্টিনের স্ত্রী লেখক ইসাবেল ফনসেকার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের পাঁচ সন্তান আছে।

মার্টিন অ্যামিস (১৯৪৯-২০২৩, ছবি: টুইটার)

কবি স্যার কিংসলে অ্যামিসের ছেলে মার্টিন অ্যামিস ১৯৪৯ সালে অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্নের পরই বাবার পথ অনুসরণ করেন তিনি। দ্য টাইমস অব লন্ডন এবং দ্য নিউ স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা ছিলো তার।

মার্টিন অ্যামিস (১৯৪৯-২০২৩, ছবি: টুইটার)

৫০ বছরের লেখক জীবনে ১৫টি উপন্যাস, কয়েকটি প্রবন্ধ এবং বাবার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে ‘এক্সপেরিয়েন্স’ নামে একটি স্মৃতিগ্রন্থ রচনা করেন মার্টিন অ্যামিস। তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য রেচেল পেপারস’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। লন্ডন নিয়ে তার বিখ্যাত ট্রিলজি উপন্যাস হলো ‘মানি: অ্যা সুইসাইড নোট’ (১৯৮৫), ‘লন্ডন ফিল্ডস’ (১৯৯০), ‘দ্য ইনফরমেশন’ (১৯৯৫)।

(বাঁ থেকে) প্রযোজক এভা পুশসিনস্কা, ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডেল, জনাথন গ্লেজার, জান্ড্রা হুলার ও প্রযোজক জেমস উইলসন (ছবি: টুইটার)

(বাঁ থেকে) প্রযোজক জেমস উইলসন, জান্ড্রা হুলার, জনাথন গ্লেজার, ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডেল ও প্রযোজক এভা পুশসিনস্কা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

একটি রহস্যজনক খুন নিয়ে লেখা মার্টিন অ্যামিসের ‘নাইট ট্রেন’ উপন্যাস অবলম্বনে ২০১৮ সালে মুক্তি পায় ‘আউট অব ব্লু’ নামের একটি সিনেমা। এবার তৈরি হলো ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’। এর গল্প একজন উচ্চপদস্থ এসএস অফিসারের পরিবারকে কেন্দ্র করে, যারা পোল্যান্ডের আউশউইৎস বন্দিশিবিরের পাশেই স্বপ্নের বসতি গড়েছে। সেখানে ১১ লাখের বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল নাৎসিরা। বন্দিদের ক্রমাগত চিৎকার, বন্দুকের গুলি এবং গ্যাস চেম্বার থেকে ছড়ানো ধোঁয়া তাদের তাড়া করে।

(বাঁ থেকে) প্রযোজক জেমস উইলসন, জান্ড্রা হুলার, জনাথন গ্লেজার, ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডেল ও প্রযোজক এভা পুশসিনস্কা (ছবি: টুইটার)

গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরের সামনে ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ সিনেমার কলাকুশলীরা (ছবি: টুইটার)

ব্রিটিশ পরিচালক জনাথন গ্লেজারের পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্বর্ণপামের দৌড়ে এটি সামনের কাতারে রয়েছে বলে মনে করেন তারা। গত ১৯ মে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের দ্যুবুসি থিয়েটারে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে, গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে সন্ধ্যা ৭টায় এবং বাজিন থিয়েটারে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে এর প্রদর্শনী হয়। গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে এর কলাকুশলীদের প্রতি টানা ছয় মিনিট দাঁড়িয়ে করতালিতে অভিবাদন জানান অতিথি দর্শকরা।

(বাঁ থেকে) প্রযোজক জেমস উইলসন, জান্ড্রা হুলার, জনাথন গ্লেজার, ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডেল ও প্রযোজক এভা পুশসিনস্কা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

২০ মে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে, সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে সিনিয়াম আইম্যাক্সে, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে লিকর্ন থিয়েটারে এবং রাত ৯টায় আনিয়েস ভারদা থিয়েটারে আবার দেখানো হয় ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’। এদিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন সিনেমাটির কলাকুশলীরা। ২১ মে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে সিনিয়াম অরোরে ছিলো এর আরেকটি প্রদর্শনী।

জান্ড্রা হুলার (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

জান্ড্রা হুলার ও ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডেল (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

সিনেমাটিতে কমান্ড্যান্ট রুডলফ হোস চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডেল। গত ২০ মে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিজেকে আউশউইৎজ বন্দিশিবিরের কমান্ড্যান্ট হিসেবে দেখা ছিলো ভীতিকর! এ কারণে সিনেমাটি দেখে খুব অস্বস্তি লেগেছে।’

জান্ড্রা হুলার (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

সিনেমাটির পুরো শুটিং হয়েছে আউশউইৎসে। রুডলফ হোসের স্ত্রী হেদবিৎসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জার্মান অভিনেত্রী জান্ড্রা হুলার।

জান্ড্রা হুলার ও জনাথন গ্লেজার (ছবি: টুইটার)

জনাথন গ্লেজার (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ জনাথন গ্লেজারের চতুর্থ পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। এবারই প্রথম স্বর্ণপামের লড়াইয়ে স্থান পেলো ৫৮ বছর বয়সী এই নির্মাতার সিনেমা। ২০০০ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘বার্থ’। ২০০৪ সালে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্থান পায় ‘বার্থ’। সর্বশেষ ২০১৩ সালে ‘আন্ডার দ্য স্কিন’ সিনেমার প্রিমিয়ার হয়েছে টেলুরাইড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

স্টিভ ম্যাককুইন (ছবি: টুইটার)

কানে নাৎসিদের সত্যি গল্প
আরেক ব্রিটিশ নির্মাতা স্টিভ ম্যাককুইন এবারের কান উৎসবে নিয়ে এসেছেন নিজের পরিচালিত নতুন প্রামাণ্যচিত্র ‘অকিউপাইড সিটি’। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের দখলে থাকা নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এতে। এর দৈর্ঘ্য সাড়ে চার ঘণ্টা।

স্টিভ ম্যাককুইন (ছবি: টুইটার)

গত ১৭ মে সকাল ১০টায় দ্যুবুসি থিয়েটারে, ১৮ মে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বুনুয়েল থিয়েটারে এবং ১৯ মে সকাল ১০টায় সিনিয়াম স্ক্রিন এক্স থিয়েটারে স্পেশাল স্ক্রিনিং শাখায় ‘অকিউপাইড সিটি’র প্রদর্শনী হয়। সমালোচকরা এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাদের এটি একটি স্মারক হিসেবে দেখছেন। মর্মস্পর্শী প্রামাণ্যচিত্রটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহ নিয়ে নির্মিত সেরা সিনেমার কাতারে রেখেছেন তারা।

স্টিভ ম্যাককুইন ও বিয়াঙ্কা স্টিখটার (ছবি: টুইটার)

স্টিভ ম্যাককুইনের ডাচ স্ত্রী বিয়াঙ্কা স্টিখটারের লেখা ‘অ্যাটলাস অব অ্যান অকিউপাইড সিটি-আমস্টারডাম ১৯৪০-১৯৪৫’ গ্রন্থ অবলম্বনে করোনাকালে প্রামাণ্যচিত্রটির শুটিং হয়। নাৎসিদের ভয়াবহতা বুঝতে আমস্টারডামের শতাধিক স্থানে ঘুরেছেন তিনি।

স্টিভ ম্যাককুইন, বিয়াঙ্কা স্টিখটার, প্রযোজক ফ্লোর অনরাস্ট ও আনা স্মিথ-টেনসার (ছবি: টুইটার)

স্টিভ ম্যাককুইন ২০১৪ সালে ‘টুয়েলভ ইয়ারস অ্যা স্লেভ’ সিনেমার সুবাদে অস্কার জেতেন। তার মতে, ইউক্রেনের যুদ্ধ কিংবা উগ্র ডানপন্থীদের উত্থান বুঝতে অতীতের দিকে তাকানো গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে আজ এখানে পৌঁছেছি, সেই বিষয়ের সঙ্গে এই প্রামাণ্যচিত্রটি প্রাসঙ্গিক।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে নিজের আগামী সিনেমা ‘ব্লিৎজ’ পরিচালনা করেছেন স্টিভ ম্যাককুইন। এতে প্রধান চরিত্রে থাকছেন আইরিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী সার্শা রোনান।

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ