Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৩: অফিসিয়াল পোস্টারে ফরাসি স্বর্ণকেশীর হাসি

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

৭৬তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল পোস্টার

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৬তম আসরের অফিসিয়াল পোস্টারে স্থান পেলেন বিখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী ক্যাথেরিন দ্যুনোভ। ১৯৬৮ সালের ১ জুন ভূমধ্যসাগরের তটভূমিতে দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের উপকূলীয় শহর সাঁ-ত্রপে’র কাছে পঁম্পেলন সৈকতে এটি তোলা। তখন আলা কাভালিয়ের পরিচালিত ‘লা শামাদ’ সিনেমার শুটিং করছিলেন তিনি। বুধবার (১৯ এপ্রিল) আয়োজকরা এটি প্রকাশ করেছেন।

‘লা শামাদ’ সিনেমার শুটিংয়ে ক্যাথেরিন দ্যুনোভের ছবিটি তোলেন ফরাসি আলোকচিত্রী জ্যাক গ্যারোফ্যালো। গ্রাফিক ডিজাইন করেছে হার্টল্যান্ড ভিলা। প্যারিসের প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্তা হলেন লিওনেল আঁভিনিও ও স্টেফান দ্য ভিভি।

‘লা শামাদ’ সিনেমায় লুসিল চরিত্রে অভিনয় করেন ক্যাথেরিন দ্যুনোভ। তার সহশিল্পী ছিলেন ফরাসি তারকা মিশেল পিকোলি ও বেলজিয়ামের অভিনেতা রজার ফন হোল।

ক্যাথেরিন দ্যুনোভ (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

গল্পে আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতার স্বাদ পেতে উন্মত্ত, চঞ্চলা ও আবেগী লুসিলের হৃদয় আলোড়িত হয়। যেমন সিনেমার প্রাণ প্রতিবছর উদযাপন করে থাকে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এর প্রাণবন্ত ও মূর্ত অনুরণন সবখানে শোনা যায়। আর সিনেমার প্রাণ হলো শিল্পী, পেশাদার ও অপেশাদার সিনেমাকর্মী এবং সংবাদমাধ্যম।

অফিসিয়াল পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, আনন্দময় ও সাহসী ভঙ্গিতে রোমান্টিক আমেজে স্বর্ণকেশী চুলের এক তরুণী ভবিষ্যতের সুখের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস নিয়ে হাসছে। এতে অনাবিল সৌন্দর্যের দ্যুতি ফুটিয়ে তুলেছেন ক্যাথেরিন দ্যুনোভ। কালজয়ী ছবি দিয়ে সাজানো পোস্টারের মাধ্যমে অব্যক্ত জাদু তুলে ধরেছে কান কর্তৃপক্ষ। এ যেন সিনেমার বর্তমান গৌরবের কথা বারবার বলা এবং প্রতিশ্রুতিপূর্ণ আগামীর কল্পনা।

৭৯ বছর বয়সী ক্যাথেরিন দ্যুনোভকে ভাবা হয় সিনেমার মূর্ত প্রতীক। ফরাসি পরিচালক ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো, আনিয়েস ভারদা, জ্যাক দ্যুমি, আঁন্দ্রে তেশিনে, স্পেনের লুই বুনুয়েল, ইতালির মার্কো ফেরেরি, পর্তুগালের মানোয়েল ডি অলিভেইরার মতো কিংবদন্তি ফিল্মমেকারদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ৬০ বছরের বেশি সময়ের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে নিজেকে বরাবরই ভেঙেছেন ও নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ক্যাথেরিন দ্যুনোভ স্বতন্ত্রভাবে সিনেমার ঐশ্বর্যকে তুলে ধরেছেন, যা কান কর্তৃপক্ষ ধরে রাখতে চায়। আর সিনেমার ঐশ্বর্য হলো ফিল্মমেকারের প্রভাবিত সিনেমা, একইসঙ্গে মানসম্পন্ন জনপ্রিয় সিনেমা।

ক্যাথেরিন দ্যুনোভ (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোতে ক্যাথেরিন দ্যুনোভের অনেক সিনেমা পুরস্কৃত হয়েছে। ১৯৬৪ সালে কানে স্বর্ণপাম জেতে জ্যাক দ্যুমি পরিচালিত ‘দ্য আমব্রেলারস অব শেরবুর্গ’। এর পরের বছর বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ফিপরেস্কি প্রাইজ এবং অসাধারণ জুরি প্রাইজ হিসেবে রৌপ্যভালুক জেতে রোমান পোলানস্কির প্রথম ইংরেজি সিনেমা ‘রিপালসন’। ১৯৬৬ সালেই মুক্তি পায় জ্যঁ-পল রাপেন্যু পরিচালিত ‘অ্যা ম্যাটার অব রেসিস্ট্যান্স’, জ্যাক দ্যুমির ‘দ্য ইয়াং গার্লস অব রোশেফর’ এবং লুই বুনুয়েলের ‘বেল দ্য জুর’।

ক্যাথেরিন দ্যুনোভের ঝুলিতে আছে জ্যাক দ্যুমির ‘ডাংকি স্কিন’ (১৯৭০), অস্কারে সেরা বিদেশি ভাষার সিনেমা শাখায় পুরস্কৃত রেজিস ভারনিয়ের পরিচালিত ‘আন্দোশিন’ (১৯৯২)।

১৯৭১ সালে গর্ভপাত বৈধকরণের দাবি জানিয়ে একটি পিটিশনে ৩৪২ নারীর পাশাপাশি সই করেন ক্যাথেরিন দ্যুনোভ। তারা সাহস নিয়ে নিজেরা গর্ভপাত করার কথা জানান। ফ্রান্সে তখন গর্ভপাত বেআইনি ছিলো। গর্ভপাতের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে ফৌজদারি বিচারের মুখে পড়েছিলেন ৩৪৩ নারী।

ক্যাথেরিন দ্যুনোভ (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

১৯৯৪ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মূল প্রতিযোগিতা শাখার বিচারকদের সহ-সভাপতি ছিলেন ক্যাথেরিন দ্যুনোভ। ২০০০ সালে কানে স্বর্ণপাম জয় করে তার অভিনীত লার্স ফন ট্রিয়ারের ‘ড্যান্সার ইন দ্য ডার্ক’। ২০০৫ সালে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়া হয় তাকে। ২০০৮ সালে আজীবন সম্মাননা হিসেবে স্পেশাল প্রাইজ পেয়েছেন তিনি।

আগামী ১৬ মে শুরু হবে ৭৬তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এবারের উদ্বোধনী সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে হলিউড তারকা জনি ডেপ অভিনীত ‘জান দ্যু ব্যারি’। গত ১৩ এপ্রিল অফিসিয়াল সিলেকশন ঘোষণা করা হয়। হলিউড অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডকে বিশেষ সম্মান জানাবে আয়োজকরা। তার নতুন সিনেমা ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’ দেখানো হবে প্রতিযোগিতা শাখার বাইরে। আগামী ২৭ মে স্বর্ণপাম বিজয়ী সিনেমার নাম ঘোষণা করা হবে। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন ইতালিয়ান নির্মাতা মার্সেলো মাস্ত্রোইয়ান্নি ও ক্যাথেরিন দ্যুনোভের মেয়ে কিয়ারা মাস্ত্রোইয়ান্নি।

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ