Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৩: অস্কারজয়ী অভিনেত্রীর প্রযোজনায় আফগান নারীদের গোপনে শুটিং করা প্রামাণ্যচিত্র

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

জেনিফার লরেন্স (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর তালেবানরা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে। ঠিক সেই সময় অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স এবং প্রযোজক জাস্টিন সিয়ারোকি ভাবছিলেন, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ হওয়া আফগান নারীদের অধিকার রক্ষায় তারা কী ভূমিকা রাখতে পারেন। তারা ২০১৮ সালে এক্সিলেন্ট ক্যাডাভার নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।

জেনিফার লরেন্স (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

জেনিফার লরেন্স সিদ্ধান্ত নেন, একজন আফগান ফিল্মমেকার খুঁজে বের করে অর্থবহ হবে এমনভাবে এই গল্প বলার জন্য তাকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেবেন। তারা অবশেষে পরিচালক সাহরা মানিকে খুঁজে পান। ২০১৮ সালে তার ‘অ্যা থাউজেন্ড গার্লস লাইক মি’ প্রামাণ্যচিত্রে ন্যায়বিচারের সন্ধানে থাকা ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীর কথা বলা হয়েছে। বাবার হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর পরিবার ও পুলিশের কাছে উপেক্ষিত হয় মেয়েটি। এরপর জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে সে।

জাস্টিন সিয়ারোকি, একজন অতিথি, জেনিফার লরেন্স ও সাহরা মানি (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

‘অ্যা থাউজেন্ড গার্লস লাইক মি’ দেখেছিলেন জেনিফার লরেন্স ও জাস্টিন সিয়ারোকি। সেই সূত্রে সাহরা মানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। তাদের প্রযোজনায় আফগান এই নারী নির্মাণ করেছেন প্রামাণ্যচিত্র ‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৬তম আসরে স্পেশাল স্ক্রিনিং শাখায় গতকাল (২১ মে) এর প্রিমিয়ার হয়েছে। পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের আনিয়েস ভারদা থিয়েটারে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ছিলো এই প্রদর্শনী। আজ (২২ মে) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বুনুয়েল থিয়েটারে এবং দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে সিনিয়াম স্ক্রিন টেনে আবার দেখানো হয় এটি।

জেনিফার লরেন্স (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

প্রিমিয়ারের আগে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরের সামনে লালগালিচায় হেঁটেছেন জেনিফার লরেন্স। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক প্রযোজক জাস্টিন সিয়ারোকি, পরিচালক সাহরা মানিসহ প্রামাণ্যচিত্রটির কলাকুশলীরা।

জেনিফার লরেন্সের সঙ্গে ‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’ প্রামাণ্যচিত্রের কলাকুশলীরা (ছবি: টুইটার)

তালেবানের পুনরুত্থানের পর ব্যক্তিস্বাধীনতা না থাকা নারীদের মধ্যে তিনজনের যন্ত্রণাদায়ক দৈনন্দিন জীবন তুলে ধরা হয়েছে প্রামাণ্যচিত্রটিতে। দুর্দশা থেকে আফগান নারীদের দ্রুত উতরে ওঠার সক্ষমতা ও মনোবল দেখাতে চেয়েছেন পরিচালক সাহরা মানি।

সাহরা মানি, জেনিফার লরেন্স, একজন অতিথি ও জাস্টিন সিয়ারোকি (ছবি: টুইটার)

যদিও কাবুলে প্রামাণ্যচিত্রটির শুটিংয়ের দিনগুলোতে পরতে পরতে ছিলো বিপদ। এর মধ্যেই চিত্রগ্রাহক আব্দুল সামি মুর্তজাসহ ক্যামেরা ক্রু এবং শুটিংয়ে অংশ নেওয়া নারীসহ অন্যান্যদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

জেনিফার লরেন্স ও জাস্টিন সিয়ারোকি (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

নারীদের নিরাপত্তা দিয়ে তাদেরই গল্প বলার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ ছিলো না মোটেও। এজন্য জেনিফার লরেন্স, জাস্টিন সিয়ারোকি ও সাহনা মানি রাতের পর রাত আলোচনা করেছেন। সাহরা মানিসহ প্রামাণ্যচিত্রটিতে অংশগ্রহণকারী নারীরা কাবুল ছেড়েছেন। তাই কানে এটি উপস্থাপনে অস্বস্তি কাজ করেনি প্রযোজকদ্বয়ের।

জাস্টিন সিয়ারোকি, একজন অতিথি, জেনিফার লরেন্স ও সাহরা মানি (ছবি: টুইটার)

সাহরা মানি এখন ফ্রান্সে বসবাস করেন। তিনি বলেন, ‘তালেবানদের অধীনে আফগান নারীদের জীবন যেভাবে বদলেছে সেটি আমাদের দৈনন্দিন বাস্তবতা। স্বৈরাচারের অধীনে থাকা জীবনের নিষ্ঠুর বাস্তবতা আমরা কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারি না।’

জাস্টিন সিয়ারোকি, একজন অতিথি, জেনিফার লরেন্স ও সাহরা মানি (ছবি: টুইটার)

কান উৎসবের প্রিমিয়ারে সাহরা মানি বলেন, ‘আমাদের প্রামাণ্যচিত্রে আফগান নারীদের একটি শান্ত বার্তা রয়েছে। দয়া করে তাদের পক্ষে কথা বলুন, যারা তালেবান স্বৈরতন্ত্রের অধীনে নির্বাক।’

জেনিফার লরেন্সের সঙ্গে ‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’ প্রামাণ্যচিত্রের কলাকুশলীরা (ছবি: টুইটার)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাহরা মানি উল্লেখ করেন, তালেবানের অধীনে আফগান নারীদের জীবনে কতটা আমূল পরিবর্তন এসেছে, তিনি সেই বাস্তবতা দেখাতে চেয়েছেন। তার কথায়, ‘এখন নারীরা পর্দা ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারে না। তাই আমি ভাবলাম, তাদের গল্প বলা প্রয়োজন।’

‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’ প্রামাণ্যচিত্রের দৃশ্য (ছবি: এক্সিলেন্ট ক্যাডাভার)

মোবাইল ফোন দিয়ে লুকিয়ে ধারণকৃত একটি দৃশ্যে দেখা যায়, এক তরুণী তালেবান সেনাকে বলছেন, ‘তোমরা শুধু নারী নির্যাতন করো।’

এর উত্তরে তালেবান যোদ্ধা চিৎকার করে বলে, ‘আমি তোমাকে কথা বলতে নিষেধ করেছিলাম। তোমাকে এখানেই মেরে ফেলব!’

জেনিফার লরেন্স ও জাস্টিন সিয়ারোকি (ছবি: টুইটার)

মেয়েটিও তখন গলা উঁচিয়ে বলেন, ‘ঠিক আছে, আমাকে মেরে ফেলো! তোমরা স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছো! আমাকে মেরে ফেলাই ভালো!’

এমন প্রতিবাদের পর ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে কাবুলের একটি হোল্ডিং সেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’ প্রামাণ্যচিত্রের দৃশ্য (ছবি: এক্সিলেন্ট ক্যাডাভার)

আরেকটি দৃশ্যে দেখা যায়, কাবুলে রাস্তার পাশে জানালাহীন বেজমেন্টে গোপন বৈঠক করছেন নারীরা। অস্থায়ী ক্লাসরুমের মতো সাজানো টেবিল-চেয়ারে একডজনেরও বেশি নারী বসে আছেন। তাদের প্লাস্টিকের কাপে চায়ের ধোঁয়া উঠছে। তারা একে অপরকে চেনে না। তবে তারা সবাই তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্য। গোপন বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দন্তচিকিৎসক জাহরা। তিনি উঁচু হিল ও পারফিউম ব্যবহার এবং বন্ধুদের সঙ্গে পার্কে যাওয়ার কথা দিনগুলোর কথা বলেন। তখন অন্য নারীদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। এরপর বাহিদা নামের একজন লেখক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, নারীদের নিজেদের কথা নিজেদেরই লিখতে হবে।

একজন অতিথির সঙ্গে সাহরা মানি (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

১৯১১ সালে লেখা আমেরিকান কথাসাহিত্যিক জেমস ওপেনহাইমের কবিতা থেকে ‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’ নামটি নিয়েছেন সাহরা মানি। তার প্রামাণ্যচিত্রটিতে আফগান নারীদের মুখে শোনা যায়, ‘জীবিকা, পেশা, শিক্ষা এবং স্বাধীনতা!’ তিনি বলেন, ‘তারা এটাই চায়। তারা মৌলিক অধিকার চায়। প্রামাণ্যচিত্রের নামে থাকা গোলাপ স্বাধীনতা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের প্রতীক হতে পারে।’

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ