Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৩: আঁ সাঁর্তা রিগার পুরস্কার ঘোষণা, বিজয়ী পরিচালক তখনো বিমানবন্দরে!

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

আঁ সাঁর্তা রিগা শাখার বিচারকদের সঙ্গে বিজয়ীরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৬তম আসরে আঁ সেঁর্তা রিগা শাখার সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতলো মলি ম্যানিং ওয়াকার পরিচালিত ‘হাউ টু হ্যাভ সেক্স’। এটি এই ব্রিটিশ নারীর প্রথম সিনেমা।

গতকাল (২৬ মে) কান উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের বুনুয়েল থিয়েটারে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় আঁ সেঁর্তা রিগা শাখার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। কিন্তু বিজয়ী ঘোষণার সময় ফ্লাইট বিলম্বের কারণে মলি ম্যানিং ওয়াকার মিলনায়তনে ছিলেন না। পাঁচ মিনিট পর অবশ্য তিনি ছুটে এসেছেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ভেন্যুতে এসে নিয়ন-সবুজ রঙের টি-শার্ট ও অ্যাডিডাস শর্টস পরেই মঞ্চে ওঠেন এই পরিচালক।

আমেরিকান অভিনেতা জন সি. রাইলি এবারের আঁ সাঁর্তা রিগা শাখার বিচারকদের সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন। মলি ম্যানিং ওয়াকারের জন্য অপেক্ষার সময় দর্শকদের আনন্দ দিতে দুটি আমেরিকান গান গেয়ে শুনিয়েছেন।

গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে ছুটি কাটাতে যাওয়া ব্রিটিশ তিন কিশোরীকে কেন্দ্র করে ‘হাউ টু হ্যাভ সেক্স’ সিনেমার গল্প। ঘুরে বেড়ানোর সময় যৌনতার ব্যাপারে অনেক কিছু শেখে তারা।

মরক্কোর দুই নির্মাতার হাতে উঠেছে একটি করে পুরস্কার। তাদের মধ্যে কামাল লাজরাকের প্রথম সিনেমা ‘হাউন্ডস’ জিতেছে জুরি প্রাইজ। এর গল্পে দেখা যায়, ক্যাসাব্লাঙ্কার সড়কে একজন বাবা ও তার ছেলে একটি অপহরণমূলক ঘটনা মোকাবিলা করছে।

মরোক্কান নারী সাংবাদিক আসমা এল মুদির সেরা পরিচালকের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ‘দ্য মাদার অব অল লাইস’ প্রামাণ্যচিত্রটি তাকে এনে দিয়েছে এই সম্মান। এর মাধ্যমে ১৯৮১ সালে মরক্কোর ক্যাসাব্ল্যাঙ্কায় শুরু হওয়া ক্ষুধা বিদ্রোহের আয়নায় নিজের দেশের জাতীয় ও পারিবারিক ইতিহাস দেখিয়েছেন তিনি।

সুদানের মোহাম্মদ কোর্দোফানির প্রথম সিনেমা ‘গুডবাই জুলিয়া’ পেয়েছে বিশেষভাবে প্রদান করা ফ্রিডম প্রাইজ। কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে এটাই সুদানের প্রথম অন্তর্ভুক্তি। ভিন্ন দুটি শ্রেণির দুই নারীর মাধ্যমে দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে তুলে ধরা হয়েছে এতে।

বেলজিয়ান-কঙ্গোর র‌্যাপার-ফিল্মমেকার বালোজি পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘অমেন’কে দেওয়া হয়েছে নিউ ভয়েস অ্যাওয়ার্ড। সমকালীন আফ্রিকায় জাদুকরী বিচার ব্যবস্থা নিয়ে নিরীক্ষা করেছেন তিনি। বিচারকদের দৃষ্টিতে– সিনেমা, ইমেজ ও গল্প বলার নতুন পথ দেখিয়ে আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন বালোজি।

পর্তুগালের জোয়াও সালাভিৎসা ও ব্রাজিলের রেনে নাদের মেসোরা পরিচালিত ‘দ্য বুরিটি ফ্লাওয়ার’ সিনেমাটি সেরা অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর সম্মিলন স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্রাজিলের বিপন্ন আদিবাসী ক্রাহো গোষ্ঠীর সত্যি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এতে।

জন সি. রাইলির নেতৃত্বে আঁ সাঁর্তা রিগা শাখায় বিচারক ছিলেন ফরাসি পরিচালক-চিত্রনাট্যকার অ্যালিস উইনোকোর, জার্মান অভিনেত্রী পলা বিয়ার, ফরাসি-কম্বোডিয়ান পরিচালক-প্রযোজক ডেভি শু এবং বেলজিয়ান অভিনেত্রী এমিলি দ্যুকেন।

আঁ সাঁর্তা রিগা শাখার উদ্বোধনী সিনেমা ছিলো ফ্রান্সের তমা কাইয়ে পরিচালিত ‘দ্য অ্যানিমেল কিংডম’। সমাপনী সিনেমা হিসেবে প্রতিযোগিতার বাইরে দেখানো হয় ফ্রান্সের অ্যালেক্স লুৎজ পরিচালিত ‘অ্যা নাইট’।

আগামী ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আরল্যুকাঁ থিয়েটারে আঁ সেঁর্তা রিগা শাখায় নির্বাচিত সিনেমাগুলোর প্রদর্শনী হবে।

কান উৎসবের মূল প্রতিযোগিতার পরেই সবচেয়ে সম্মাজনক শাখা আঁ সাঁর্তা রিগা। এবারের আসরে এতে জায়গা পায় ২০টি সিনেমা। এরমধ্যে নবাগত পরিচালকদের কাজ ৮টি। এগুলো ক্যামেরা দ’র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি অফিসিয়াল সিলেকশন ও প্যারালাল শাখায় (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস’ উইক) নির্বাচিত সিনেমার মধ্যে সেরা নবাগত পরিচালক নির্বাচন করবেন ফরাসি অভিনেত্রী আনাইস দ্যুমোস্তিয়ের। তার নেতৃত্বে বিচারক হিসেবে আছেন ফরাসি অভিনেতা রাফায়েল পেরসোনাজ, পরিচালক মিকাল বুঁহ, ফ্রান্সের সিনেমাটোগ্রাফিক ফটোগ্রাফি পরিচালক সমিতির ফটোগ্রাফি পরিচালক নাতালি দ্যুরোঁ, ফরাসি ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তিত্রাফিল্মের সিইও সোফি ফিলে এবং ফরাসি সাংবাদিক নিকোলা মারকাদে। আজ (২৭ মে) সমাপনী দিনে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

এবারের আঁ সাঁর্তা রিগা শাখার বিজয়ী তালিকা
সেরা সিনেমা (আঁ সাঁর্তা রিগা অ্যাওয়ার্ড)
হাউ টু হ্যাভ সেক্স
পরিচালনা: মলি ম্যানিং ওয়াকার (প্রথম সিনেমা, যুক্তরাজ্য)

জুরি প্রাইজ
হাউন্ডস
পরিচালনা: কামাল লাজরাক (প্রথম সিনেমা, মরক্কো)

সেরা অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর সম্মিলন
দ্য বুরিটি ফ্লাওয়ার
পরিচালনা: জোয়াও সালাভিৎসা (পর্তুগাল), রেনে নাদের মেসোরা (ব্রাজিল)

সেরা পরিচালক
আসমা এল মুদির
প্রামাণ্যচিত্র: দ্য মাদার অব অল লাইস (মরক্কো)

ফ্রিডম প্রাইজ
গুডবাই জুলিয়া
পরিচালনা: মোহাম্মদ করদোফানি (প্রথম সিনেমা, সুদান)

নিউ ভয়েস অ্যাওয়ার্ড
অমেন
পরিচালনা: বালোজি (প্রথম সিনেমা, বেলজিয়াম-কঙ্গো)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ