Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৩: ক্রিটিকস উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতলেন মালয়েশিয়ান নারী

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘টাইগার স্ট্রাইপস’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: গোস্ট গার্ল পিকচার্স)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্যারালাল শাখা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকের (সিমেন দ্যু লা ক্রিটিক) ৬২তম আসরের গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতলো মালয়েশিয়ান নারী আমান্ডা নেল ইউ পরিচালিত ‘টাইগার স্ট্রাইপস’। গতকাল (২৪ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

‘টাইগার স্ট্রাইপস’ সিনেমার গল্প ১২ বছর বয়সী বালিকা জাফফানকে কেন্দ্র করে। মালয়েশিয়ার ছোট একটি গ্রামে থাকে সে। পূর্ণ বয়ঃসন্ধিতে মেয়েটি বুঝতে পারে, তার শরীর উদ্বেগজনক হারে পরিবর্তন হচ্ছে। এদিকে স্কুলে মৃগীরোগের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারণে বন্ধুরা তাকে এড়িয়ে চলে। মেয়েদের পিছু নেওয়া সেই রাক্ষসকে তাড়াতে এগিয়ে আসেন একজন চিকিৎসক।

১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘টাইগার স্ট্রাইপস’ হলো কৈশোরের রূপান্তর এবং আনন্দময় মুক্তির গল্প। তারুণ্যের নারীত্বকে উদযাপন করা হয়েছে এতে।

পরিচালক আমান্ডা নেল ইউ জানান, জাফফান চরিত্রের জন্য করোনাকালে দুই শতাধিক মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। সামাজিক দূরত্বের কারণে স্কুলে যেতে না পেরে টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে মেয়েদের খুঁজে পান তিনি।

জাফফান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাফরিন জাইরিজাল। তার সঙ্গে সবার প্রথমে দেখা করেন আমান্ডা নেল ইউ। প্রথম দিন থেকেই তার মনে হয়েছে, মেয়েটির ভেতরে থাকা কাঙ্ক্ষিত আগুন জ্বলে উঠতে প্রস্তুত।

আমান্ডা নেল ইউ (ছবি: সিমেন দ্যু লা ক্রিটিক)

আমান্ডা নেল ইউ বলেন, ‘শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্কে রূপান্তরের সময় আমরা সকলেই শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাই। আমরা যাকে বয়ঃসন্ধি বলি, সেই কষ্টকর সময়ের কথা ভেবেই সিনেমাটির ধারণা পেয়েছি। আমার কাছে বয়ঃসন্ধির অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো লাগতো না। মনে পড়ে, আমার শরীরে নতুন কিছু আবিষ্কার করে বাজেভাবে চেয়েছিলাম সেগুলো দূর হয়ে যাক। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, মানুষ এসব পরিবর্তনে নজর দিলে এবং আমার শরীর নিয়ে কথা বললে খুব খারাপ লাগতো। নিজেকে তখন অস্বস্তিকর, অনিরাপদ এবং মাঝে মধ্যে বীভৎস মনে হতো। আমি মনে করি, মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে লিঙ্গ সমতা নিয়ে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে। যদিও এই গল্প আমার দেশের, তবে নারীদের বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে একটি বিশাল সার্বজনীন সমস্যা বিদ্যমান।’

আমান্ডা নেল ইউ ১৯৮৫ সালের ২৬ নভেম্বর কুয়ালালামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডন ফিল্ম স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। তার শর্টফিল্ম “ইট’স ইজিয়ার টু রেইজ ক্যাটেল”-এর প্রিমিয়ার হয় ২০১৭ সালে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা শাখায়। এরপর আন্তর্জাতিক শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ক্লেরমোঁ-ফেরোতে স্পেশাল মেনশন পায় এটি। বার্লিনাল ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস এবং লোকার্নো ফিল্মমেকার অ্যাকাডেমির একজন সাবেক শিক্ষার্থী তিনি। ‘টাইগার স্ট্রাইপস’ তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা।

আমান্ডা নেল ইউ (ছবি: সিমেন দ্যু লা ক্রিটিক)

মালয়েশিয়ান এই নির্মাতা যোগ করেন, ‘সিনেমার প্রতি আমার আবেগের শুরুটা ছিলো হররকেন্দ্রিক। সত্যিই এই ধারা ভালো লাগে আমার। কারণ এর মাধ্যমে প্রাণচাঞ্চল্য ও আমার রসাত্মক দিকটি প্রকাশ করতে পারি। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংস্কৃতির অতিপ্রাকৃত বিশ্বাসের প্রতি আমি কৌতূহলী। এসব লোকগল্প আমাদের সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত।’

গত ১৭ মে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে, বিকেল ৫টায় ও রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মিরামার থিয়েটারে এবং ১৮ মে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে মিরামার থিয়েটারে, বিকেল ৩টায় স্টুডিও থার্টিন থিয়েটারে এবং রাত ৯টা ৩০ মিনিটে আলেকজান্ডার থ্রি থিয়েটারে ‘টাইগার স্ট্রাইপস’ সিনেমার প্রদর্শনী হয়।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকের পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা শাখার বিচারকরা (ছবি: সিমেন দ্যু লা ক্রিটিক)

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকে জুরি সভাপতি ছিলেন ফরাসি নারী অড্রে ডিওয়ান। তার নেতৃত্বে বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্র কিউরেটর, সমালোচক ও নির্মাতা মিনাক্ষী শেড্ডা, জার্মান অভিনেতা ফ্রাঞ্জ রোগোস্কি, পর্তুগিজ চিত্রগ্রাহক রুই পোকাস এবং সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রোগ্রাম পরিচালক কিম ইউতানি।

গত ১৭ মে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৬তম আসরের দ্বিতীয় দিন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকের পর্দা ওঠে। আজ (২৫ মে) প্যারালাল শাখাটির সমাপনী দিনে পুরস্কৃত সিনেমাগুলোর প্রদর্শনী হবে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকে নির্বাচিত পূর্ণদৈর্ঘ্য ও শর্টফিল্মের পরিচালকরা (ছবি: সিমেন দ্যু লা ক্রিটিক)

নির্বাচিত সিনেমার মধ্যে আরো ছিলো বেলজিয়ান নারী পালোমা সারমন-দাই পরিচালিত “ইট’স রেইনিং ইন দ্য হাউস”, সার্বিয়ার ভ্লাদিমির পেরিসিচের ‘লস্ট কান্ট্রি’, জর্ডানের আমজাদ আল রশীদের ‘ইনশাল্লাহ অ্যা বয়’, ফরাসি নারী ইরিস ক্যালটেনব্যাক পরিচালিত ‘দ্য র‌্যাপচার’, ব্রাজিলিয়ান নারী লিলা হালার ‘পাওয়ার অ্যালি’ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জেসন ইউ পরিচালিত ‘স্লিপিং’।

শর্টফিল্ম প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে ফ্রান্সের ন্যঁ ল্যাবোর-দ্যুজুরদা পরিচালিত ‘বোলেরো’, মেক্সিকোর আরমান্দো নাভারোর ‘আর্খি’, স্পেনের ইরাতি গোরোস্তিদি আগিরেৎজে পরিচালিত ‘কোন্তাদোরেস’, পর্তুগিজ নারী ইনিস তেশেইরার ‘শাইনিং বডিস’, মিসরের মুরাদ মোস্তফার ‘আই প্রমিজ ইউ প্যারাডাইস’, পোল্যান্ডের ডেভিড বদজাকের ‘দ্য ক্রোকোডাইল’, ফরাসি নারী ক্লেমোঁন্স বুশোঁরো পরিচালিত ‘দ্য পারপল সিজন’, ক্রোয়েশিয়ান নারী আন্দ্রেয়া স্লাভিচেকের ‘দ্য রিয়েল ট্রুথ অ্যাবাউট দ্য ফাইট’, ইসরায়েলি নারী র‌্যাচেল গাটগার্টসের ‘ভিয়া দোলোরোসা’ (ফ্রান্স) এবং চীনের হুই শু পরিচালিত ‘ওয়াকিং উইথ হার ইন্টু দ্য নাইট’।

কান উৎসবে প্যারালাল শাখা হিসেবে ১৯৬২ সালে যুক্ত হয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইক। ফরাসি চলচ্চিত্র সমালোচকদের চালু করা এই শাখায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পরিচালকদের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়ে থাকে। এগুলো কান উৎসব আয়োজকদের স্বীকৃতি পায়। যেমন ক্যামেরা দ’র পুরস্কারের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকে নির্বাচিত নবাগত পরিচালককে মনোনয়নে রাখা হয়। এছাড়া এই শাখাকে পুরস্কারের বেলায় বিবেচনায় রাখে ফিল্ম সমালোচকদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন ফিপরেসি।

‘টাইগার স্ট্রাইপস’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: গোস্ট গার্ল পিকচার্স)

৬২তম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকের বিজয়ী তালিকা
গ্র্যান্ড প্রাইজ (গ্রাঁ প্রিঁ): টাইগার স্ট্রাইপস (আমান্ডা নেল ইউ, মালয়েশিয়া)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ইট’স রেইনিং ইন দ্য হাউস (পালোমা সারমন-দাই, বেলজিয়াম)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (শর্ট ফিল্ম): বোলেরো (ন্যঁ ল্যাবোর-দ্যুজুরদা, ফ্রান্স)
লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড: জোভান গিনিচ (লস্ট কান্ট্রি, সার্বিয়া)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: ইনশাল্লাহ অ্যা বয় (আমজাদ আল রশীদ, জর্ডান)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (শর্ট ফিল্ম): বোলেরো (ন্যঁ ল্যাবোর-দ্যুজুরদা, ফ্রান্স)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: দ্য র‌্যাপচার (ইরিস ক্যালটেনব্যাক, ফ্রান্স)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ