Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

এবারের কান উৎসবের এসব বিষয় জানেন কী?

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৬তম আসর শুরু হলো। গতকাল (১৬ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনে উৎসবটির পর্দা উঠেছে। সিনেমার এই অলিম্পিকতুল্য আসর চলবে ১২ দিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এবারের কিছু টুকিটাকি তথ্য।

রুবেন অস্টলান্ড (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

৫০ বছর পর
মূল প্রতিযোগিতা শাখার বিচারকদের সভাপতি দুইবারের স্বর্ণপাম জয়ী সুইডিশ পরিচালক রুবেন অস্টলান্ড। কান উৎসবে ৫০ বছর পর আবার সুইডেনের কোনো নির্মাতা জুরি প্রেসিডেন্ট হলেন। সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে কানে প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রয়াত সুইডিশ অভিনেত্রী ইনগ্রিড বার্গম্যান।

‘ফোর ডটারস’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: টেনিট ফিল্মস)

রেকর্ডসংখ্যক নারী
এবারের মূল প্রতিযোগিতা শাখায় রয়েছে কানের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক সাত নারী পরিচালকের কাজ। এগুলো হলো অস্ট্রিয়ার জেসিকা হাউজনার পরিচালিত ‘ক্লাব জিরো’, ইতালির আলিস রোরওয়াকারের ‘লা কিমেরা’, তিউনিসিয়ার কাউতার বেন হানিয়ার ‘ফোর ডটারস’, ফ্রান্সের জাস্টিন ত্রিয়েত পরিচালিত ‘অ্যানাটমি অব অ্যা ফল’ ও ক্যাথেরিন ব্রেইয়াতের ‘লাস্ট সামার’, ইতালির ক্যাথরিন কোরসিনির ‘হোমকামিং’ এবং সেনেগালের বংশোদ্ভুত ফরাসি তরুণী রামাতা তুলাই সি’র প্রথম সিনেমা ‘ব্যানেল অ্যান্ড অ্যাদামা’।

স্বর্ণপামের লড়াইয়ে প্রথম
ছয় পরিচালক প্রথমবার স্বর্ণপামের জন্য লড়াই করার জায়গা পেলেন। তারা হলেন ট্র্যান আন হাং (দ্য প্যাশন অব দুদা বুফ্যঁ, ভিয়েতনাম/ফ্রান্স), রামাতা তুলাই সি (ব্যানেল অ্যান্ড অ্যাদামা, সেনেগাল/ফ্রান্স) এবং কারি আইনুজ (ফায়ারব্র্যান্ড, ব্রাজিল)।

দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ নারী
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম অভিজাত ক্লাবে নাম লেখাতে যাচ্ছেন রামাতা তুলাই সি। আগামী ২০ মে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরের সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে ইতিহাস গড়বেন তিনি। ওইদিন মূল প্রতিযোগিতা শাখায় তার পরিচালিত ‘ব্যানেল অ্যান্ড অ্যাদামা’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। কানের ৭৬ বছরের ইতিহাসে স্বর্ণপামের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়া তিনি দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ নারী। চার বছর আগে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে এই রেকর্ড গড়েন আরেক সেনেগালের বংশোদ্ভূত ফরাসি পরিচালক মাতি দিওপ।

‘গুডবাই জুলিয়া’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: ফেসবুক)

সুদানের ইতিহাস
আঁ সেঁর্তা রিগা শাখায় নির্বাচিত ১৭টি সিনেমার মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ করদোফানি পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘গুডবাই জুলিয়া’। কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে এবারই প্রথম উত্তর আফ্রিকার দেশটির কোনো সিনেমা জায়গা পেলো। ২০১১ সালে সুদান দুটি দেশে বিভক্ত হওয়ার আগে রাজধানী খার্তুমে এর শুটিং হয়েছে। এতে প্রথমবার বড় পর্দার জন্য অভিনয় করেছেন সুপারমডেল সিরান রিয়াক। এছাড়া আছেন ঈমান ইউসুফ, নাজার গোমা, জির দুয়ানি।

প্রামাণ্যচিত্রের মেলা
এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতায় ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার পাশাপাশি আছে ১টি প্রামাণ্যচিত্র। এটি হলো চীনের ওয়াং বিং পরিচালিত ‘ইয়ুথ (স্প্রিং)’। এতে দেখা যাবে, গ্রামাঞ্চল থেকে সাংহাই যাওয়ার পর একদল তরুণ চীনা নববর্ষ উদযাপন করতে বাড়ির পথে রওনা দেয়।

কানের ইতিহাসে সর্বশেষ ২০০৪ সালে স্বর্ণপামের লড়াইয়ে ছিলো প্রামাণ্যচিত্র। সেই বছর মাইকেল মুর পরিচালিত ‘ফারেনহাইট নাইন/ইলেভেন’ পুরস্কারটি জিতে নেয়। এছাড়া ২০০৮ সালে মূল প্রতিযোগিতা শাখায় স্থান পায় ইসরায়েলের আরি ফোলম্যান পরিচালিত অ্যানিমেটেড প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়াল্টজ অ্যান্ড বশির’।

এবারের অফিসিয়াল সিলেকশনে আরো কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র জায়গা পেয়েছে। চীনের ওয়াং বিং পরিচালিত ‘ম্যান ইন ব্ল্যাক’ দেখানো হবে স্পেশাল সেশনসে। একই শাখায় রয়েছে জার্মান চিত্রশিল্পী আনজেল্ম কিফারের ওপর ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘আনজেল্ম’ স্পেশাল সেশনসে দেখানো হবে। এর পরিচালক জার্মান নির্মাতা উইম ওয়েন্ডার্সের ‘পারফেক্ট ডেজ’ লড়বে মূল প্রতিযোগিতায়। একই পরিচালকের একাধিক কাজ কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গত কয়েক আসরে দেখা যায়নি। এবার সেই ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। দুই নির্মাতার দুটি করে সিনেমা রয়েছে অফিসিয়াল সিলেকশনে।

স্পেশাল সেশনস বিভাগে রয়েছে আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র। এর নাম ‘অকিউপাইড সিটি’। এটি পরিচালনা করেছেন ব্রিটিশ নির্মাতা স্টিভ ম্যাককুইন।

‘স্ট্রেঞ্জ ওয়ে অব লাইফ’ শর্টফিল্মের পোস্টার (ছবি: এল দেসেও)

প্রযোজনায় ফ্যাশন হাউস
বিখ্যাত ফরাসি ফ্যাশন হাউস ইভ সাঁ লোরন সিনেমা প্রযোজনায় যুক্ত হলো। তাদের প্রযোজিত শর্টফিল্ম ‘স্ট্রেঞ্জ ওয়ে অব লাইফ’ থাকছে স্পেশাল সেশনসে। এটি পরিচালনা করেছেন পেড্রো আলমোদোভার। এটি ইংরেজি ভাষায় স্প্যানিশ এই নির্মাতার দ্বিতীয় শর্টফিল্ম। ২০২০ সালে তিনি ইংরেজি ভাষায় পরিচালনা করেন ‘দ্য হিউম্যান ভয়েস’।

‘স্ট্রেঞ্জ ওয়ে অব লাইফ’ শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন ইথান হক ও পেড্রো পাসকাল। এতে তাদের দেখা যাবে মধ্যবয়সী দুই ব্যক্তির ভূমিকায়, দীর্ঘ ২৫ বছর পর যাদের দেখা হয়। শেরিফ জ্যাক ও সিলভা একসময় ভাড়াটে বন্দুকধারী হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতো। ২৫ বছর পর একদিন পুরনো বন্ধুর বাড়িতে যায় সিলভা। তবে জ্যাককে সে জানায়, পুরনো স্মৃতি রোমন্থনের জন্য ফিরে আসেনি সে। তার আসল উদ্দেশ্য অন্যকিছু।

১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইভ সাঁ লোরন। ফ্যাশন দুনিয়ায় এর সুনাম ব্যাপক। হলিউডের অনেক তারকার প্রিয় ব্র্যান্ড এটি। ডেভিড ক্রোনেনবার্গ ও পাওলো সরেন্তিনোর নতুন সিনেমা দুটি প্রযোজনা করছে এই প্রতিষ্ঠান।

‘ব্যানেল অ্যান্ড অ্যাদামা’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: লা শ্যঁভ-সুরি)

আরব বসন্ত
আরব অঞ্চলের (মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা) পরিচালকদের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতায় রয়েছে আলজেরিয়ান-ব্রাজিলিয়ান নির্মাতা কারি আইনুজের ‘ফায়ারব্র্যান্ড’, তিউনিসিয়ার কাওতার বেন হানিয়ার ‘ফোর ডটারস’ এবং সেনেগালিজ-ফরাসি পরিচালক রামাতা-তুলাই সি’র ‘ব্যানেল অ্যান্ড অ্যাদামা’।

ফরাসি-আলজেরিয়ান নির্মাতা এলায়েস বেলকেদারের ‘ওমর দ্য স্ট্রবেরি’ দেখানো হবে মিডনাইট সেশনসে। আঁ সেঁর্তা রিগায় স্থান পেয়েছে মরক্কোর আসমা এল মুদিরের ‘দ্য মাদার অব অল লাইস’, ইরানের আলি আসগরি ও আলি রেজা খাতামির ‘টেরেস্ট্রিয়াল ভার্সেস’, সুদানের মোহাম্মদ করদোফানির প্রথম সিনেমা ‘গুডবাই জুলিয়া’ এবং মরক্কোর কামাল লাজরাকের প্রথম সিনেমা ‘হাউন্ডস’।

মরক্কোর তরুণী জিনেব ওয়াকরিম (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

প্রথমবার মরক্কোর ফিল্ম স্কুল
লা সিনেফে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েছে মরক্কোর ফিল্ম স্কুলের সিনেমা। এটি হলো জিনেব ওয়াকরিম পরিচালিত ‘মুন’ (১৩ মিনিট)। তিনি মারাকেশের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসের (ইএসএভি) শিক্ষার্থী।

‘ফায়ারব্র্যান্ড’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: ব্রুহাহা এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড)

লাতিন আমেরিকা হাতেগোনা
৭৬তম কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে লাতিন আমেরিকান দেশের সংখ্যা হাতেগোনা। মূল প্রতিযোগিতায় আছে ব্রাজিলিয়ান নির্মাতা কারি আইনুজের ইংরেজি সিনেমা ‘ফায়ারব্র্যান্ড’। কান প্রিমিয়ারে দেখানো হবে মেক্সিকোর আমাত এসকালান্তে পরিচালিত ‘লস্ট ইন দ্য নাইট’। আঁ সেঁর্তা রিগায় রয়েছে পর্তুগালের জোয়াও সালাভিৎসা ও ব্রাজিলের রেনে নাদের মেসোরার ‘দি বুরিটি ফ্লাওয়ার’, আর্জেন্টিনার রদ্রিগো মোরেনোর ‘দি ডেলিনকোয়েন্টস’ এবং চিলির ফেলিপে গালভেজের প্রথম সিনেমা ‘দ্য সেটেলার্স’।

প্রথমবার কোরিয়ান নারী ব্যান্ড
১৯৯৭ সাল থেকে কান উৎসবের অফিসিয়াল স্পন্সর হিসেবে আছে শপার্ড। সুইস এই ব্র্যান্ডের দূতিয়ালি করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তারকারা। এ তালিকায় আছে দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েদের ব্যান্ড অ্যাসপা। তারাই প্রথম কোরিয়ান পপ গানের দল হিসেবে কানের লালগালিচায় পা রাখবে।

কোরিয়ান আরেক নারী ব্যান্ড ব্ল্যাকপিঙ্কের সদস্য জেনি কানের লালগালিচায় হাজির হবেন। স্যাম লেভিনসন পরিচালিত এইচবিও সিরিজ ‘দ্য আইডল’-এর প্রচার করতে কানসৈকতে যাবেন তিনি।

৭৬তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল পোস্টার

৫৫ বছরের পুরনো ছবি দিয়ে পোস্টার
ভূমধ্যসাগরের তটভূমি। ‌১ জুন, ১৯৬৮। দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের উপকূলীয় শহর সাঁ-ত্রপে’র কাছে পঁম্পেলন সৈকতে দাঁড়িয়ে ক্যাথেরিন দ্যুনোভ। আলা কাভালিয়ের পরিচালিত ‘লা শামাদ’ সিনেমার শুটিং করছিলেন এই ফরাসি অভিনেত্রী। এতে লুসিল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তখন তোলা একটি সাদাকালো ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের অফিসিয়াল পোস্টার।

নেটফ্লিক্সকে ‘না’
২০১৭ সালে কান উৎসব কর্তৃপক্ষ নীতি চালু করে, মূল প্রতিযোগিতা শাখায় জায়গা পেতে হলে যেকোনো সিনেমা ফ্রান্সের সিনেমা হলে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স এই শর্ত মেনে নেয়নি। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির সিনেমা স্বর্ণপামের লড়াইয়ে যুক্ত হয়নি কখনো। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ