Connect with us

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

গোল্ডেন গ্লোবস ২০২৩: মনোনয়ন তালিকায় যাদের নাম

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস

৮০তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করছেন আমেরিকান অভিনেত্রী সেলিনেস লেইভা (ছবি: টুইটার)

হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ১৯৪৩ সাল থেকে প্রতি বছর আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিনেমা এবং টেলিভিশন অঙ্গনের সেরা কাজগুলোকে স্বীকৃতি দিতে প্রদান করে থাকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস। এর ৮০তম আসরের মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে সোমবার (১২ ডিসেম্বর)।

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বেভারলি হিলটনে মনোনীতদের নাম জানিয়েছেন আমেরিকান অভিনেত্রী মায়ান লোপেজ ও সেলিনেস লেইভা। আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি বেভারলি হিলসে জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

এবারের আসরে সর্বাধিক ৮টি শাখায় মনোনীত হয়েছে মার্টিন ম্যাকডোনার ‘দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন’। ছয়টি মনোনয়ন পেয়েছে ড্যানিয়েল কোয়ান ও ড্যানিয়েল শাইনার্ট পরিচালিত ‘এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স’। পাঁচটি করে মনোনয়ন এসেছে ‘ব্যাবিলন’ ও ‘দ্য ফেবলম্যানস’ সিনেমার ঘরে। তিনটি করে মনোনয়ন পেয়েছে ‘এলভিস’, “গিয়ের্মো দেল তোরো’স পিনোকিও” এবং ‘টার’।

দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন

‘দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন’ সিনেমায় কলিন ফেরেল ও ব্রেনড্যান গ্লিসন (ছবি: সার্চলাইট পিকচার্স)

গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের পুরো মনোনয়ন তালিকা

সেরা সিনেমা (ড্রামা)
অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার
টপ গান: ম্যাভেরিক
দ্য ফেবলম্যানস
এলভিস
টার

সেরা সিনেমা (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
ব্যাবিলন
ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস
দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন
এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স
গ্লাস ওনিয়ন: অ্যা নাইভস আউট মিস্টেরি

সেরা অভিনেতা (ড্রামা)
ব্রেনড্যান ফ্রেজার (দ্য ওয়েল)
হিউ জ্যাকম্যান (দ্য সান)
অস্টিন বাটলার (এলভিস)
জেরেমি পোপ (দ্য ইন্সপেকশন)
বিল নাই (লিভিং)

সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা)
কেট ব্ল্যানচেট (টার)
আনা ডি আরমাস (ব্লন্ড)
ভায়োলা ডেভিস (দ্য ওম্যান কিং)
মিশেল উইলিয়ামস (দ্য ফেবলম্যানস)
অলিভিয়া কোলম্যান (এম্পায়ার অব লাইট)

সেরা অভিনেতা (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
ড্যানিয়েল ক্রেগ (গ্লাস ওনিয়ন: অ্যা নাইভস আউট মিস্টেরি)
কলিন ফেরেল (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন)
অ্যাডাম ড্রাইভার (হোয়াইট নয়েজ)
দিয়েগো কালবা (ব্যাবিলন)
রাল্ফ ফাইনস (দ্য মেন্যু)

সেরা অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
মারগট রোবি (ব্যাবিলন)
আনিয়া টেলর-জয় (দ্য মেন্যু)
এমা থম্পসন (গুড লাক টু ইউ, লিও গ্র্যান্ডে)
লেসলি ম্যানভিল (মিসেস হ্যারিস গোজ টু প্যারিস)
মিশেল ইও (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
ব্র্যাড পিট (ব্যাবিলন)
এডি রেডমেইন (দ্য গুড নার্স)
ব্রেনড্যান গ্লিসন (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন)
ব্যারি কিওগ্যান (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন)
কে হুই কোয়ান (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
জেমি লি কার্টিস (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)
অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট (ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার)
কেরি কন্ডন (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন)
ডলি দে লিয়ন (ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস)
ক্যারি মালিগ্যান (শি সেইড)

সেরা পরিচালক
ব্যাজ লারম্যান (এলভিস)
স্টিভেন স্পিলবার্গ (দ্য ফেবলম্যানস)
মার্টিন ম্যাকডোনা (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন)
জেমস ক্যামেরন (অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার)
ড্যানিয়েল কোয়ান ও ড্যানিয়েল শাইনার্ট (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)

সেরা চিত্রনাট্য
ড্যানিয়েল কোয়ান ও ড্যানিয়েল শাইনার্ট (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)
স্টিভেন স্পিলবার্গ ও টনি কাশনার (দ্য ফেবলম্যানস)
মার্টিন ম্যাকডোনা (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন)
সারা পলি (উইমেন টকিং)
টড ফিল্ড (টার)

সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা
টার্নিং রেড (ডিজনি)
ইনু-ও (সায়েন্স সারু, জাপান)
গিয়ের্মো দেল তোরো’স পিনোকিও (নেটফ্লিক্স)
মারসেল দ্য শেল উইথ শুজ অন (অ্যা টোয়েন্টিফোর)
পুস ইন বুটস: দ্য লাস্ট উইশ (ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন)

সেরা বিদেশি ভাষার সিনেমা
আর্জেন্টিনা নাইনটিন এইটি ফাইভ (আর্জেন্টিনা)
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (জার্মানি)
ক্লোজ (বেলজিয়াম/ফ্রান্স/নেদারল্যান্ডস)
ডিসিশন টু লিভ (দক্ষিণ কোরিয়া)
আরআরআর (ভারত)

সেরা মৌলিক সুর
গিয়ের্মো দেল তোরো’স পিনোকিও (আলেকজান্দ্রা দেসপ্লা)
কার্টার বারওয়েল (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন)
দ্য ফেবলম্যানস (জন উইলিয়ামস)
উইমেন টকিং (হিলদুর গুনাদত্তির)
ব্যাবিলন (জাস্টিন হারউইৎজ)

সেরা মৌলিক গান
ক্যারোলাইনা (হোয়্যার দ্য ক্রোড্যাডস সিং, টেলর সুইফট)
হোল্ড মাই হ্যান্ড (টপ গান: ম্যাভেরিক; লেডি গাগা ও ব্লাড পপ)
লিফট মি আপ (ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার; রিয়ানা, টেমস, রায়ান কুগলার, লুদবিগ ইওরানসন)
নাটু নাটু (আরআরআর; সুরকার ও সংগীত পরিচালক এমএম কিরাবাণী, গীতিকার কালা ভৈরবা ও রাহুল সিপলিগুঞ্জ)
চাও পাপা (গিয়ের্মো দেল তোরো’স পিনোকিও, সুর-সংগীত আলেকজান্দ্রা দেসপ্লা, কথা রোয়েবান কাৎজ ও গিয়ের্মো দেল তোরো)

টেলিভিশন
সেরা টিভি সিরিজ (ড্রামা)
ওজার্ক
দ্য ক্রাউন
সেভারেন্স
বেটার কল সল
হাউস অব দ্য ড্রাগন

সেরা অভিনেতা (ড্রামা সিরিজ)
কেভিন কস্টনার (ইয়েলোস্টোন)
বব ওডেনকার্ক (বেটার কল সল)
জেফ ব্রিজেস (দ্য ওল্ড ম্যান)
অ্যাডাম স্কট (সেভারেন্স)
দিয়েগো লুনা (অ্যান্ডর)

সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা সিরিজ)
লরা লিনি (ওজার্ক)
জেন্ডায়া (ইউফোরিয়া)
ইমেল্ডা স্টনটন (দ্য ক্রাউন)
হিলারি সোয়াঙ্ক (আলাস্কা ডেইলি)
এমা ডার্সি (হাউস অব দ্য ড্রাগন)

সেরা টিভি সিরিজ (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং
অ্যাবট এলিমেন্টারি
ওয়েডনেসডে
দ্য বিয়ার
হ্যাকস

সেরা অভিনেতা (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
স্টিভ মার্টিন (অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং)
মার্টিন শর্ট (অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং)
জেরেমি অ্যালেন হোয়াইট (দ্য বিয়ার)
ডোনাল্ড গ্লোভার (আটলান্টা)
বিল হাডার (ব্যারি)

সেরা অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
সেলেনা গোমেজ (অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং)
ক্যালি কুওকো (দ্য ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট)
কিন্টা ব্রানসন (অ্যাবট এলিমেন্টারি)
জেনা ওর্তেগা (ওয়েডনেসডে)
জিন স্মার্ট (হ্যাকস)

সেরা লিমিটেড সিরিজ অথবা টিভি মুভি
ব্ল্যাক বার্ড
দ্য ড্রপআউট
পাম অ্যান্ড টমি
দ্য হোয়াইট লোটাস
ডাহার-মনস্টার: দ্য জেফ্রি ডামার স্টোরি

সেরা অভিনেতা (লিমিটেড সিরিজ অথবা টিভি মুভি)
টেরন এজারটন (ব্ল্যাক বার্ড)
কলিন ফার্থ (দ্য স্টেয়ারকেস)
সেবাস্তিয়ান স্তান (পাম অ্যান্ড টমি)
অ্যান্ড্রু গারফিল্ড (আন্ডার দ্য ব্যানার অব হ্যাভেন)
ইভান পিটারস (ডাহার-মনস্টার: দ্য জেফ্রি ডামার স্টোরি)

সেরা অভিনেত্রী (লিমিটেড সিরিজ অথবা টিভি মুভি)
জুলিয়া রবার্টস (গ্যাসলিট)
লিলি জেমস (পাম অ্যান্ড টমি)
জুলিয়া গার্নার (ইনভেন্টিং আনা)
আমান্ডা সেফ্রিড (দ্য ড্রপআউট)
জেসিকা চ্যাস্টেইন (জর্জ অ্যান্ড ট্যামি)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (সিরিজ, লিমিটেড সিরিজ অথবা টিভি মুভি)
ডোনাল গ্লিসন (দ্য প্যাশেন্ট)
স্যাফ রোগেন (পাম অ্যান্ড টমি)
পল ওয়াল্টার হাউজার (ব্ল্যাক বার্ড)
এফ মারে অ্যাব্রাহাম (দ্য হোয়াইট লোটাস)
রিচার্ড জেনকিন্স (ডাহার-মনস্টার: দ্য জেফ্রি ডামার স্টোরি)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (সিরিজ, লিমিটেড সিরিজ অথবা টিভি মুভি)
অব্রে প্লাজা (দ্য হোয়াইট লোটাস)
জেনিফার কুলিজ (দ্য হোয়াইট লোটাস)
ক্লেয়ার ডেইন্স (ফ্লাইশম্যান ইজ ইন ট্রাবল)
নিসি নাশ (ডাহার-মনস্টার: দ্য জেফ্রি ডামার স্টোরি)
ডেইজি এডগার-জোন্স (আন্ডার দ্য ব্যানার অব হ্যাভেন)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (মিউজিক্যাল, কমেডি অথবা ড্রামা টিভি সিরিজ)
জন লিথগো (দ্য ওল্ড ম্যান)
জনাথন প্রাইস (দ্য ক্রাউন)
জন টুরটুরো (সেভারেন্স)
হেনরি উইঙ্কলার (ব্যারি)
টাইলার জেমস উইলিয়ামস (অ্যাবট এলিমেন্টারি)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল, কমেডি অথবা ড্রামা টিভি সিরিজ)
জুলিয়া গার্নার (ওজার্ক)
হানা আইনবাইন্ডার (হ্যাকস)
এলিজাবেথ ডেবিকি (দ্য ক্রাউন)
জেনেল জেমস (অ্যাবট এলিমেন্টারি)
শেরিল লি রাল্ফ (অ্যাবট এলিমেন্টারি)

* এছাড়া চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননা হিসেবে সেসিল বি ডিমিল অ্যাওয়ার্ড এবং টেলিভিশন অঙ্গনের আজীবন স্বীকৃতি ক্যারল বারনেট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

টরন্টো উৎসবে নির্বাচিত মেহজাবীনের ‘সাবা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হলো অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর ‘সাবা’। এটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মাকসুদ হোসেন। উৎসবে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে অংশ নেবেন তারা।

‘সাবা’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এর অফিসিয়াল পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের খবর জানান তিনি।

‘সাবা’ সিনেমার শুটিংয়ে মেহজাবীন চৌধুরী ও মাকসুদ হোসেন (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

‘সাবা’ অর্থ সকাল, সকালের মৃদু বাতাস। মেহজাবীনের আশা, “গল্প, চরিত্র, পরিচালকের নির্মাণ, গুণী অভিনয়শিল্পী ও নেপথ্যের মেধাবী কলাকুশলীদের সঙ্গে আমার অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ আমার জীবনে সবসময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে।”

‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মেহজাবীনকে। এতে আরো অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

‘সাবা’ সিনেমার পোস্টারে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহ সংগীতে আম্মান আব্বাসি।

৪৯তম টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। ডিসকভারি প্রোগ্রামের উদ্বোধনী সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নারী দুর্গা চু-বোস পরিচালিত ‘বোজোঁ ত্রিস্তেস’। ফরাসি নাট্যকার-সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া সেগোঁর উপন্যাস অবলম্বনে এতে অভিনয় করেছেন ক্লোয়ি সেভেনিয়ে। এবারের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে ‘সাবা’সহ ২৪টি সিনেমা। এরমধ্যে ২০টির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এবারের উৎসব চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নবাগত ও উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র জায়গা পেয়ে থাকে। ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের তালিকায় আছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো আনিয়েদি, মারেন আদে ও এমা সেলিগম্যান।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

মস্কো উৎসবে স্পেশাল জুরি প্রাইজ পেলো বাংলাদেশের ‘নির্বাণ’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

পুরস্কার হাতে আসিফ ইসলাম (ছবি: ফেসবুক)

মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (এমআইএফএফ) ৪৬তম আসরে স্পেশাল জুরি প্রাইজ পেলো বাংলাদেশের আসিফ ইসলাম পরিচালিত ‘নির্বাণ’। একটি ফটো অ্যালবামের মতো সাদাকালো এই নির্বাক সিনেমায় তিনটি চরিত্রের অভ্যন্তরীণ যাত্রার গল্প বলা হয়েছে।

গতকাল (২৬ এপ্রিল) উৎসবটির সমাপনীতে আসিফ ইসলামের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন ‘নির্বাণ’ সিনেমার অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। এতে গল্পে বলা হয়েছে, অন্তর্নিহিত শান্তির খোঁজে প্রতিনিয়ত মানুষকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আনোয়ার হোসেনের গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এটি। এতে আরো অভিনয় করেছেন ফাতেমা তুজ জোহরা, ইমরান মাহাথির প্রমুখ।

গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় ৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (এমআইএফএফ)। উদ্বোধনী আয়োজনের লালগালিচায় হেঁটেছেন প্রিয়াম অর্চি ও আসিফ ইসলাম। গত ২২ এপ্রিল তাদের সিনেমার প্রদর্শনী হয়েছে। এরপর ২৪ এপ্রিল ছিলো আরেকটি প্রদর্শনী।

লালগালিচায় প্রিয়াম অর্চি (ছবি: ফেসবুক)

এবারের উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন সেন্ট জর্জ জিতেছে মিগেল সালগাদো পরিচালিত মেক্সিকান সিনেমা ‘শেম’। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে মেক্সিকো ও কাতার। দুই কিশোর পেড্রো ও লুসিওকে কেন্দ্র করে এর গল্প, যারা অপহরণের পর বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হয়। পেড্রো জিতে যায় এবং পালাতে সক্ষম হয়। কিন্তু লুসিওর প্রতি অপরাধবোধ তাকে পীড়া দিতে থাকে।

সেরা পরিচালক হিসেবে সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের নাহিদ আজিজি সেদিস। তার পরিচালিত ‘কোল্ড সাই’ মোট তিনটি পুরস্কার জিতেছে। বাহা জানতে পারে, তার বাবা বাহরাম ২০ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। বাহার মাকে প্রতারণার অভিযোগে খুনের কারণে সাজা হয়েছিলো বাহরামের। সেই ঘটনায় বাবার ওপর ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বাহা। তবুও সে সিদ্ধান্ত নেয় বাবাকে ঘরে ফেরাবে।

রুশ প্রিমিয়ার প্রতিযোগিতা শাখায় সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার পেয়েছে ইউলিয়া ট্রফিমোভা পরিচালিত ‘লায়ার’। বিশ্ব সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য এমআইএফএফ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সের্গেই উরসুলিয়াক।

বিচারকদের প্রধান ছিলেন আইসল্যান্ডের পরিচালক ফ্রিদরিক থর ফ্রিদরিকসন। তার ‘চিলড্রেন অব ন্যাচার’ অস্কারে মনোনীত হওয়া একমাত্র আইসল্যান্ডিক সিনেমা।

লালগালিচায় প্রিয়াম অর্চি ও আসিফ ইসলাম (ছবি: ফেসবুক)

‘নির্বাণ’ ছাড়াও মস্কোতে এবার বাংলাদেশের শর্টফিল্ম ‘হইতে সুরমা’ দেখানো হয়েছে। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন মনোজ প্রামাণিক ও সুব্রত সরকার। মস্কো উৎসবে এবারই প্রথম বাংলাদেশের শর্টফিল্ম নির্বাচিত হলো। ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া টাঙ্গুয়ার হাওরে আয়োজন করে ‘ইকো ফিল্ম ল্যাব’। সেখানেই প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তন থিমে ‘হইতে সুরমা’র যাত্রা শুরু। টাঙ্গুয়ার হাওর, শনির হাওর ও সুনামগঞ্জ জেলার আশেপাশের অঞ্চলের নির্মল প্রাকৃতিক দৃশ্যে শল্টফিল্মটির শুটিং হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারাই এর অভিনেতা-অভিনেত্রী। প্রকৃতির ওপর মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধ্বংসাত্মক প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী প্রতিক্রিয়াগুলো তুলে ধরা হয়েছে এতে। সম্পাদনাসহ পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ তত্ত্বাবধান করেছে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের মনাপচিত্র, ওমানের ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল ট্রেডিং, সৌদি আরবের থার্ড অ্যাকশন ও জার্মানির মোগাদর ফিল্ম।

২০২২ সালের মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যুবরাজ শামীম পরিচালিত ‘আদিম’ দুটি শাখায় পুরস্কার জেতে। এছাড়া গত বছর নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ এই উৎসবের প্রতিযোগিতা শাখায় প্রদর্শিত হয়েছে। ‘নির্বাণ’-এর মাধ্যমে টানা তিন আসরের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা পেলো বাংলাদেশের সিনেমা।

মস্কো উৎসব পরিচালক নিকিতা মিখালকোভ জানান, এবারের আসরে আট দিনে ৯টি পর্দায় ৫৬টি দেশের ২৪০টি সিনেমার ৩৮০টি প্রদর্শনী হয়েছে। সব প্রদর্শনী মিলিয়ে ৩৯ হাজার দর্শক উপস্থিতি ঘটেছে।

১৯৩৫ সালে শুরু হয় মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

অস্কার ২০২৪: পুরস্কার জিতলেন যারা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

(বাঁ থেকে) রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ, এমা স্টোন ও কিলিয়ান মারফি (ছবি: অস্কার)

৯৬তম অস্কারে হলিউডসহ বিশ্ব সিনেমায় ২০২৩ সালের সেরা কাজগুলোকে ২৩টি শাখায় পুরস্কৃত করা হলো। অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের প্রায় ১১ হাজার ভোটার বিজয়ীদের নির্বাচন করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের ডলবি থিয়েটারে অস্কারের মহাযজ্ঞ শুরু হয় আজ (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায়। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটি চতুর্থবারের মতো সঞ্চালনা করেছেন আমেরিকান টিভি তারকা জিমি কিমেল। এমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী ৫৪ বছর বয়সী এই উপস্থাপক-প্রযোজক ২০১৭ সালে ৮৯তম, ২০১৮ সালে ৯০তম এবং ২০২৩ সালে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস মাতিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে নিজেদের মনোনীত গান গেয়ে শুনিয়েছেন কানাডিয়ান অভিনেতা রায়ান গসলিং, আমেরিকান গায়িকা বিলি আইলিশ, বেকি জি, আমেরিকান গায়ক জন ব্যাটিস্ট ও ওসেজ সম্প্রদায়ের কণ্ঠশিল্পীরা। ‘ইন মেমোরিয়াম’ পর্বে গত ১২ মাসে প্রয়াত হওয়া বিশ্ব সিনেমার গুণীদের স্মরণ করা হয়েছে। মূল আয়োজন শুরুর আগে লালগালিচায় জৌলুস ছড়িয়েছেন তারকারা।

ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির মালিকানাধীন এবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশসহ ২০০টিরও বেশি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করেছে অস্কারের জমকালো অনুষ্ঠান। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে উপভোগ করেছেন এই আয়োজন।

৯৬তম অস্কারের বিজয়ী তালিকা
সেরা সিনেমা
ওপেনহাইমার (ক্রিস্টোফার নোলান, এমা থমাস)

সেরা অভিনেতা
কিলিয়ান মারফি (ওপেনহাইমার)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (ওপেনহাইমার)

সেরা অভিনেত্রী
এমা স্টোন (পুয়োর থিংস)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ (দ্য হোল্ডওভারস)

সেরা পরিচালক
ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য
অ্যানাটমি অব অ্যা ফল (জাস্টিন ত্রিয়ে, আর্থার হারারি)

সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য
আমেরিকান ফিকশন (কর্ড জেফারসন)

সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা
দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (হায়াও মিয়াজাকি ও তোশিও সুজুকি)

সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমা
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (যুক্তরাজ্য)

সেরা চিত্রগ্রহণ
ওপেনহাইমার (হয়তে ফন হয়তেমা)

সেরা পোশাক পরিকল্পনা
পুয়োর থিংস (হলি ওয়াডিংটন)

সেরা প্রামাণ্যচিত্র
টোয়েন্টি ডেজ ইন মারিউপোল (মিস্তিস্লাভ চেরনোভ)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র
দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ (বেন প্রাউডফুট ও ক্রিস বাওয়ার্স)

সেরা সিনেমা সম্পাদনা
ওপেনহাইমার (জেনিফার লেম)

সেরা রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা
পুয়োর থিংস (নাদিয়া স্টেসি, জশ ওয়েস্টন ও মার্ক কুলিয়ার)

সেরা মৌলিক আবহসংগীত
লুদবিগ গোরানসন (ওপেনহাইমার)

সেরা মৌলিক গান
হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর? (গীতিকবি ও সুরকার বিলি আইলিশ, ফিনিয়াস ও’কনেল, সিনেমা: বার্বি)

সেরা শিল্প নির্দেশনা
পুয়োর থিংস (জেমস প্রাইস, শনা হিথ ও জুজা মিহালেক)

সেরা শব্দ
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (জনি বার্ন, টার্ন উইলার্স)

সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস
গডজিলা মাইনাস ওয়ান (তাকাশি ইয়ামাজাকি, কিয়োকো শিবুয়া, মাসাকি তাকাহাশি, তাতসুজি নোজিমা)

সেরা শর্টফিল্ম
দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগার (ওয়েস অ্যান্ডারসন, স্টিভেন রালস)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড সিনেমা
ওয়ার ইজ ওভার! ইন্সপায়ার্ড বাই দ্য মিউজিক অব জন অ্যান্ড ইয়োকো (ডেভ মালিন্স, ব্র্যাড বুকার)

সম্মানসূচক অস্কার
আমেরিকান অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট, আমেরিকান কমেডিয়ান, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক মেল ব্রুকস, চলচ্চিত্র সম্পাদক ক্যারল লিটেলটন

জিন হার্শোল্ট মানবিক অ্যাওয়ার্ড
সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের নির্বাহী মিশেল স্যাটার

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ