Connect with us

গান বাজনা

‘চলো নিরালায়’ এখন বাংলাদেশের মানুষের গান: নাভেদ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

নাভেদ পারভেজ

নাভেদ পারভেজ (ছবি: ফেসবুক)

‘পরাণ’ সিনেমার মৌলিক গান ‘চলো নিরালায়’ সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটি ছড়িয়ে পড়েছে সবার মুখে মুখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে মন্তব্য করেছেন, রায়হান রাফি পরিচালিত সিনেমাটির দারুণ সাফল্যের পেছনে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে এই গান। ইউটিউবে লাইভ টেকনোলজিসের অফিসিয়াল চ্যানেলে গানটির ভিউ ২০ লাখ অতিক্রম করেছে। এছাড়া ফেসবুক ও টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি ভাইরাল।

সাধারণ শ্রোতাদের পাশাপাশি তারকাদের মন জয় করেছে জনি হকের কথা এবং অয়ন চাকলাদার ও আতিয়া আনিসার গাওয়া গানটি। তাদের মন্তব্য, বহুদিন পর কোনো সিনেমার গান এতটা ভালো লাগলো। ‘চলো নিরালায়’ গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন নাভেদ পারভেজ। আমেরিকা থেকে সিনেমাওয়ালা নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘পরাণ’ সিনেমার ‘চলো নিরালায়’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতটা কি আশা করেছিলেন?
নাভেদ পারভেজ: যখন গানটা সাজিয়েছি, নতুনত্ব আনতে বেশকিছু জায়গায় নিরীক্ষা করেছিলাম। যেমন গীতিকবিতায় ভাষার প্রয়োগ, গানের ব্রেক মিউজিকে গতানুগতিকতার বাইরে ইডিএম ভোকাল ড্রপ রাখা, শেষের অংশে দেশীয় মেজাজ দেওয়া, গায়কী নির্বাচন; এসব মিলিয়েই পুরোটা নিরীক্ষাধর্মী একটা কাজ ছিলো। আমি জানতাম কিছু তো একটা হবে। কিন্তু এতো সাড়া পাবো ভাবিনি। শুধু আমি না, ‘পরাণ’ সংশ্লিষ্ট কেউই হয়তো এটা কল্পনা করেননি!

নাভেদ পারভেজ

নাভেদ পারভেজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘চলো নিরালায়’ গানের অভাবনীয় সাফল্যের রহস্য কী বলে মনে করেন?
নাভেদ: শ্রোতারা গানে নতুনত্ব কিছু পেয়েছে। শুধু গানে না, ভিডিওতেও সেটা ছিলো। শরিফুল রাজ ও বিদ্যা সিনহা মিমের রসায়ন, সম্পাদনা, চিত্রগ্রহণ এবং রায়হান রাফি ভাইয়ের পরিচালনা ১০-এ ১০ বলবো! সব মিলিয়ে এসেছে এই বিরাট সাফল্য। ‘চলো নিরালায়’ এখন বাংলাদেশের মানুষের গান।

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘চলো নিরালায়’ কি আপনার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ মনে করছেন?
নাভেদ: সবচেয়ে জনপ্রিয় কিনা বলতে পারবো না। তবে এটা ঠিক, সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছি এই গানের জন্য।

সিনেমাওয়ালা নিউজ: আপনি এখন আমেরিকায়। ‘চলো নিরালায়’ গানের সাফল্য দেশে বসে উদযাপন করতে না পারার আফসোস হচ্ছে?
নাভেদ: আফসোস তো হচ্ছে, কিন্তু এটাই তো জীবন! অনেক কিছু বাস্তবিকভাবে ভাবতে হচ্ছে।

নাভেদ পারভেজ

নাভেদ পারভেজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: সিনেমা, অডিও, বিজ্ঞাপনচিত্রসহ সব শাখায় কাজ করেছেন। গানে প্রতিবন্ধকতা কী কী দেখেছেন?
নাভেদ: সব জায়গায় প্রতিবন্ধকতা আছে। আমি যে শুরু থেকে ছক্কা মেরে এসেছি এমন না। কিন্তু দিন শেষে নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকলে এবং সুযোগ এলে তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে অনেকদূর যাওয়া সম্ভব। যখন ‘কিস্তিমাত’ সিনেমার ‘শুধু একবার বলো’ গানটি বানিয়েছিলাম, জানতাম এখানে প্রথম বলেই ছক্কা মারতে হবে। শুরুতেই বড় সিনেমার গান দিয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে পথচলা, এই সুযোগ ক’জন পায়!

সিনেমাওয়ালা নিউজ: রয়্যালটির দাবিতে গীতিকবি, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন কাজ করছে এখন। আপনি এটাকে কীভাবে দেখেন?
নাভেদ: দেখেন, অনেক দেশেই রয়্যালটি সিস্টেম চালু আছে, শিল্পীরা এক গান করেই পুরো জীবন পার করে দেয় রয়্যালটি পেতে পেতে! কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাপারটা গোলকধাঁধার মতো! একমাত্র ওয়েলকাম টিউন্স ছাড়া একটা গানের বিনিয়োগ থেকে মুনাফা তুলে সবাইকে প্রাপ্য ভাগ দেওয়া আর প্রশান্ত মহাসাগরে সাঁতার কাটা একই কথা! বাংলাদেশের রয়্যালটি সিস্টেম নিয়ে কথা বলতে গেলে দুই পেজ লিখেও শেষ করা যাবে না!

নাভেদ পারভেজ

নাভেদ পারভেজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: সংগীতাঙ্গনের সিন্ডিকেট ইস্যু নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
নাভেদ: সবাই সিন্ডিকেট নিয়ে ভাবে। আসলে নিজের ইচ্ছায় নিজেকে কেউ যদি গড়তে পারে সিন্ডিকেট লাগে না। সংগীতাঙ্গনে চলতে হলে যেকোনো কাজ দারুণ হওয়া প্রয়োজন। সেরা কাজ করার জন্য নিজের প্রতিভার উন্নয়নে জোর দিতে হবে। ধরুন আমি ছাড়াও দেশে অনেক সুরকার ও সংগীত পরিচালক, গায়ক-গায়িকা ও গীতিকার আছেন। এত শিল্পীর মধ্যে প্রথম সারিতে যেতে হলে নিজের মধ্যে আলাদা একটা স্ফুলিঙ্গ গড়ে তোলা প্রয়োজন।

সিনেমাওয়ালা নিউজ: সামনে আপনার পরিকল্পনা কী?
নাভেদ: ২০২৩ সাল থেকে সংগীত প্রযোজনায় আসতে চাই। বাকিটা দেখা যাক।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ