Connect with us

টালিউড

ফিল্মফেয়ারের মনোনয়নে জয়া-অপি-ফারিণ, আছেন আরো ৪ বাংলাদেশি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

(বাঁ থেকে) জয়া আহসান, অপি করিম ও তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশিত হলো। এতে বাংলাদেশের তিন অভিনেত্রী, একজন অভিনেতা ও একজন গায়ক স্থান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে জয়া আহসান ‘দশম অবতার’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী এবং ‘অর্ধাঙ্গিনী’র সুবাদে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন।

গত বছর ‘আরো এক পৃথিবী’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লেখান তাসনিয়া ফারিণ। সিনেমাটির সুবাদে এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) এবং সেরা নবাগতা অভিনেত্রী শাখায় মনোনীত হয়েছেন তিনি।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর মাধ্যমে ১৫ বছর পর বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন করেন অপি করিম। সিনেমাটির জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। একই সিনেমার সুবাদে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা শাখায় মনোনীত হয়েছেন সোহেল মণ্ডল। ‘মায়ার জঞ্জাল’ সেরা সিনেমা (সমালোচক) শাখায় জায়গা পাওয়ায় মনোনীত হয়েছেন প্রযোজক জসীম আহমেদ।

সোহেল মণ্ডল ও অপি করিম (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সেরা গায়ক শাখায় ‘চিনি ২’ সিনেমার ‘তুমি জানতেই পারো না’ গানের জন্য মনোনীত হয়েছেন মাহতিম শাকিব। এটি ফিল্মফেয়ারে তার দ্বিতীয় মনোনয়ন। ২০২২ সালে তিনি প্রথমবার মনোনীত হন। তবে পুরস্কার জেতেননি।

‘অর্ধাঙ্গিনী’র সুবাদে সেরা পোশাক শাখায় কলকাতার সুলগ্ন চৌধুরীর সঙ্গে যৌথভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের নিঘাত ইমন।

জয়া আহসান ও অপি করিম (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় এ নিয়ে ৯টি মনোনয়ন পেলেন জয়া আহসান। এরমধ্যে ২০২২ সালে ‘বিনিসুতোয়’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী, ২০১৮ সালে ‘বিসর্জন’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী, ২০১৯ সালে ‘বিজয়া’ এবং ‘রবিবার’ সিনেমার সুবাদে সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) স্বীকৃতি পান জয়া আহসান।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

আগামী ২৯ মার্চ কলকাতার আইটিসি রয়েল বেঙ্গল হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সপ্তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২৪ মনোনয়ন তালিকা
সেরা সিনেমা
অর্ধাঙ্গিনী, বাঘা যতীন, দশম অবতার, কাবুলিওয়ালা, প্রধান, রক্তবীজ

সেরা সিনেমা (সমালোচক)
মায়ার জঞ্জাল (ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী), নীহারিকা (ইন্দ্রাশিস আচার্য), পালান (কৌশিক গাঙ্গুলী), শেষ পাতা (অতনু ঘোষ), শহরের উষ্ণতম দিনে (অরিত্র সেন)

সেরা অভিনেতা
অনির্বাণ চক্রবর্তী (দ্য একেন: রুদ্ধশ্বাস রাজস্থান), দেব (বাঘা যতীন), দেব (প্রধান), জিৎ (মানুষ), মিঠুন চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা), পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (শিবপুর), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা)

সেরা অভিনেতা (সমালোচক)
অঞ্জন দত্ত (পালান), মিঠুন চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা), ঋত্বিক চক্রবর্তী (মায়ার জঞ্জাল), শিলাজিৎ মজুমদার (নীহারিকা), সুব্রত দত্ত (সমরেশ বসু-র প্রজাপতি)

‘দশম অবতার’ সিনেমায় জয়া আহসান ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (জিও স্টুডিওস)

সেরা অভিনেত্রী
চূর্ণী গাঙ্গুলী (অর্ধাঙ্গিনী), জয়া আহসান (দশম অবতার), কোয়েল মল্লিক (জঙ্গলে মিতিন মাসি), ঋতাভরী (ফাটাফাটি), শোলাঙ্কি রায় (শহরের উষ্ণতম দিনে), স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শিবপুর)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় ঋত্বিক চক্রবর্তী ও অপি করিম (ছবি: ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস)

সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক)
অনুরাধা মুখোপাধ্যায় (নীহারিকা), অপি করিম (মায়ার জঞ্জাল), গার্গী রায় চৌধুরী (শেষ পাতা), মমতা শঙ্কর (পালান), স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শিবপুর), তাসনিয়া ফারিণ (আরো এক পৃথিবী)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার দৃশ্যে সোহেল মণ্ডল (ছবি: ফ্লিপবুক)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
অম্বরীশ ভট্টাচার্য (অর্ধাঙ্গিনী), অনির্বাণ ভট্টাচার্য (দশম অবতার), অনির্বাণ চক্রবর্তী (প্রধান), যীশু সেনগুপ্ত (দশম অবতার), কৌশিক গাঙ্গুলী (আরো এক পৃথিবী), সোহেল মণ্ডল (মায়ার জঞ্জাল), বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা)

‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমায় জয়া আহসান ও চূর্ণী গাঙ্গুলী (ছবি: সুরিন্দর ফিল্মস)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
অনসূয়া মজুমদার (রক্তবীজ), অপরাজিতা আঢ্য (চিনি ২), জয়া আহসান (অর্ধাঙ্গিনী), মল্লিকা মজুমদার (নীহারিকা), শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (কাবেরী অন্তর্ধান)

সেরা পরিচালক
অরুণ রায় (বাঘা যতীন), অতনু ঘোষ (শেষ পাতা), অভিজিৎ সেন (প্রধান), কৌশিক গাঙ্গুলী (অর্ধাঙ্গিনী), নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (রক্তবীজ), সৃজিত মুখার্জি (দশম অবতার), সুমন ঘোষ (কাবুলিওয়ালা)

‘আরো এক পৃথিবী’ সিনেমার দৃশ্যে তাসনিয়া ফারিণ ও কৌশিক গাঙ্গুলি (ছবি: এসকে মুভিজ)

সেরা নবাগতা
সৌমিতৃষা কুন্ডু (প্রধান), শ্রীজা দত্ত (বাঘা যতীন), তাসনিয়া ফারিণ (আরো এক পৃথিবী)

সেরা নতুন পরিচালক
অরিত্র সেন (ঘরে ফেরার গান), পরমা নেওটিয়া (মিথ্যে প্রেমের গান), শ্রীজাত (মানবজমিন), সুমন্ত্র রায় (ঘাসজমি)

সেরা গায়ক
অনুপম রায় (গান: আমি সেই মানুষটা আর নেই, সিনেমা: দশম অবতার), অনুপম রায় (গান: ফিরে এসো, সিনেমা: প্রধান), অরিজিৎ সিং (গান: ভাবো যদি, সিনেমা: কাবুলিওয়ালা), অরিজিৎ সিং (গান: জিয়া তুই ছাড়া, সিনেমা: বিয়ে বিভ্রাট), ঈশান মিত্র ও রণজয় ভট্টাচার্য (গান: নীরবতায় ছিলো, সিনেমা: মিথ্যে প্রেমের গান), মাহতিম শাকিব (গান: তুমি জানতেই পারো না, সিনেমা: চিনি ২), রুপম ইসলাম (গান: শেষ বলে কিছু আছে কি, সিনেমা: শেষ পাতা),

সেরা গায়িকা
অবর্ণ রায় (গান: মলয় বাতাসে, সিনেমা: নীহারিকা), অন্তরা মিত্র (গান: জানি অকারণ, সিনেমা: ফাটাফাটি), অন্তরা নন্দী ও অঙ্কিতা নন্দী (গান: নাক্কু নাকুড় না যাও ঠাকুর, সিনেমা: রক্তবীজ), ইমন চক্রবর্তী (গান: আলাদা আলাদা, সিনেমা: অর্ধাঙ্গিনী)

সেরা গানের অ্যালবাম
অর্ধাঙ্গিনী (অনুপম রায়), দশম অবতার (অনুপম রায়), ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত (কাবুলিওয়ালা), মায়াকুমারী (বিক্রম ঘোষ), মিথ্যে প্রেমের গান (কুন্তল দে, রণজয় ভট্টাচার্য, সৌম্য ঋত), শহরের উষ্ণতম দিনে (নবারুণ বোস ও আকাশ চক্রবর্তী)

সেরা গীতিকবি
অনুপম রায় (গান: আমি সেই মানুষটা আর নেই, সিনেমা: দশম অবতার), অনুপম রায় (গান: আলাদা আলাদা, সিনেমা: অর্ধাঙ্গিনী), অরিত্র সেনগুপ্ত ও রণজয় ভট্টাচার্য (গান: নীরবতায় ছিলো, সিনেমা: মিথ্যে প্রেমের গান), কৌশিক গাঙ্গুলী (গান: আমি আর ও, সিনেমা: পালান), রিতাম সেন (গান: জানি অকারণ, সিনেমা: ফাটাফাটি)

সেরা আবহ সংগীত
অমিত চট্টোপাধ্যায় (অর্ধাঙ্গিনী), দেবজ্যোতি মিশ্র (শেষ পাতা), ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত (দশম অবতার), ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত (কাবুলিওয়ালা), জয় সরকার (নীহারিকা), নীলায়ন চট্টোপাধ্যায় (বাঘা যতীন), সন্তজিৎ চট্টোপাধ্যায় (ঘাসজমি)

সেরা মৌলিক গল্প
অতনু ঘোষ (শেষ পাতা), কৌশিক গাঙ্গুলী (অর্ধাঙ্গিনী), কৌশিক গাঙ্গুলী (কাবেরী অন্তর্ধান), নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও জিনিয়া সেন (রক্তবীজ)

সেরা চিত্রনাট্য
অতনু ঘোষ (শেষ পাতা), ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও সুগত সিনহা (মায়ার জঞ্জাল), সৃজিত মুখার্জি (দশম অবতার), জিনিয়া সেন ও শর্বরী ঘোষাল (রক্তবীজ)

সেরা সংলাপ
অতনু ঘোষ (শেষ পাতা), কৌশিক গাঙ্গুলী (অর্ধাঙ্গিনী), শ্রীজীব (কাবুলিওয়ালা), সৃজিত মুখার্জি (দশম অবতার), জিনিয়া সেন ও শর্বরী ঘোষাল (রক্তবীজ)

সেরা সিনেমা সম্পাদনা
আমির মণ্ডল (সমরেশ বসু-র প্রজাপতি), মলয় লাহা (রক্তবীজ), প্রণয় দাসগুপ্ত (দশম অবতার), সুজয় দত্ত রায় (শেষ পাতা), সুমন্ত্র রায় (ঘাসজমি), সুমিত ঘোষ (মায়ার জঞ্জাল)

সেরা শব্দ বিন্যাস
অমিত কুমার দত্ত (বাঘা যতীন), অনিন্দিতা রায় ও আদীপ সিং ম্যাঙ্কি (শেষ পাতা), অনিন্দিতা রায় ও আদীপ সিং ম্যাঙ্কি (দশম অবতার), দীপঙ্কর চাকি (রক্তবীজ), শুভদীপ সেনগুপ্ত (মায়ার জঞ্জাল), সুকান্ত মজুমদার (নীহারিকা)

সেরা চিত্রগ্রহণ
ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় (মায়ার জঞ্জাল), প্রতীপ মুখোপাধ্যায় (রক্তবীজ), রানা প্রতাপ করফর্মা (ঘাসজমি), শান্তনু দে (নীহারিকা), সৌমিক হালদার (দশম অবতার), সৌমিক হালদার (শেষ পাতা), শুভঙ্কর ভর (কাবুলিওয়ালা)

সেরা শিল্প নির্দেশনা
বাবলু সিংহ (বাঘা যতীন), গৌতম বসু (শেষ পাতা), কৌশিক দাস (মায়ার জঞ্জাল), নাফিসা আলি খাতুন (রক্তবীজ), শিবাজি পাল (দশম অবতার), তন্ময় চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা), তন্ময় চক্রবর্তী (পালান)

সেরা পোশাক
জয়ন্তী সেন (বাঘা যতীন), ঋতারুপা ভট্টাচার্য (মায়ার জঞ্জাল), সঞ্চিতা ভট্টাচার্য (বগলা মামা যুগ যুগ জিও), সুলগ্ন চৌধুরী ও নিঘাত ইমন (অর্ধাঙ্গিনী)

টালিউড

কোটা আন্দোলন নিয়ে স্বস্তিকা, ‘অস্থির লাগছে, আমিও তো সন্তানের জননী’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ভিডিও দেখে নিজের উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে কয়েক মাস আগে বাংলাদেশে আসার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন ৪৩ বছর বয়সী এই তারকা। বুক উঁচিয়ে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের একটি গ্রাফিক্স শেয়ার দিয়েছেন তিনি। 

গতকাল দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্টগুলোতে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘আজ একটা ভিডিও দেখলাম, গুলির ধোঁয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আক্রান্ত। ছাত্র বয়স গেছে সেই কবে, তবে জাহাঙ্গীরনগর আর আমার যাদবপুর খুব কাছাকাছি। কাঠগোলাপের গাছগুলোও কেমন একই রকম। একই রকম আকাশের মেঘগুলোও। কেবল আজ ওখানে বারুদের গন্ধ।’

স্বস্তিকা শুরুতে উল্লেখ করেন, ‘প্রায় এক মাস হলো আমি নিজের দেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের খবরের চ্যানেলে তৃতীয় বিশ্বের কোনো খবরই তেমন একটা চলে না। আর আমি খুব একটা মোবাইল ফোনের পোকা নই, তাই এতো খারাপ একটা খবর কানে আসতে দেরি হলো।’

এরপর বাংলাদেশ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অভিনেত্রী, ‘এই তো কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ গেলাম। চারুকলা যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো, জীবনের একটা স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। খুব ইচ্ছে ছিলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার। প্রতিবার আসি, কিন্তু ব্যস্ততায় যাওয়া হয় না। মা-ও খুব যেতে চাইতেন বাংলাদেশ, তাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি।’

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘এমন এক আপ্যায়ন প্রিয় জাতি দেখিনি, খাবারের নিমন্ত্রণ যেন শেষ হতেই চায় না। অমন সুন্দর করে সারা রাস্তা জুড়ে ভাষার আল্পনা আর কোথায় দেখবো? নয়নজুড়ানো দেয়াল লেখা? এ বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের শপথ নেওয়া একটা জাতির পক্ষেই সম্ভব।’

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষের ‘আন্দোলন’ কবিতার কয়েকটি পঙক্তি জুড়ে দিয়েছেন স্বস্তিকা।
‘ময়দান ভারী হয়ে নামে কুয়াশায়
দিগন্তের দিকে মিলিয়ে যায় রুটমার্চ
তার মাঝখানে পথে পড়ে আছে ও কি কৃষ্ণচূড়া?
নিচু হয়ে বসে হাতে তুলে নিই
তোমার ছিন্ন শির, তিমির।’

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

সবশেষে স্বস্তিকার প্রত্যাশা, ‘আজ অস্থির লাগছে। আমিও তো সন্তানের জননী। আশা করবো বাংলাদেশ শান্ত হবে। অনেকটা দূরে আছি, এই প্রার্থনাটুকুই করতে পারি। অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো– সেই আমাদের আলো…আলো হোক, ভালো হোক সকলের।’

পড়া চালিয়ে যান

ছবি ও কথা

সোহিনী-শোভন: দেখা হওয়ার এক বছরে একই সাথে একই ঘরে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও সংগীতশিল্পী শোভন গাঙ্গুলী ঘর বাঁধলেন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি খামারবাড়িতে আইনিভাবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আজ (১৫ জুলাই) ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে ধুমধাম আয়োজনে এই যুগলের চার হাত এক হলো। ছবিতে দেখুন সোহিনী-শোভনের শুভ পরিণয়।

সোহিনী সরকার বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দেখা হওয়ার এক বছরে একই সাথে একই ঘরে।’

২০২৩ সালের ১৫ জুলাই শোভনের সঙ্গে দেখা হয় সোহিনীর। সেই প্রথম দেখার বর্ষপূর্তিতেই বিয়ের বন্ধনে জড়ালেন তারা।

বিয়েতে বেনারসি ও সোনার গয়নায় বাঙালি সাজে সেজেছিলেন সোহিনী। শোভনের পরনে ছিল সাদা সিল্কের ধুতি ও পাঞ্জাবি।

মালাবদলের পর সোহিনীর গালে ভালোবাসার চুম্বন দেন শোভন।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সোহিনীর নতুন সিনেমা ‘অথৈ’। এতে তার সহ-অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

মৃণাল সেনের ভূমিকায় নতুন পোস্টারে চঞ্চল, ‘পদাতিক’ মুক্তির তারিখ ঘোষণা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘পদাতিক’ সিনেমার পোস্টারে চঞ্চল চৌধুরী ও কোরাক সামন্ত (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন)

ভারতের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ১৫ আগস্ট। এতে প্রয়াত নির্মাতার চরিত্রে বড় পর্দায় আসছেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমাটির নতুন পোস্টার শেয়ার করে মুক্তির তারিখ জানিয়েছেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তাকে মৃণাল সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে।

নতুন পোস্টারে চঞ্চলকে মধ্যবয়সী ও পূর্ণবয়স্ক মৃণাল সেনের অবয়বে দেখা গেছে। এর সঙ্গে তরুণ মৃণাল সেনের ভূমিকায় আরেকজনের স্থিরচিত্র স্থান পেয়েছে।

ফেসবুকে চঞ্চল লিখেছেন, “অনেক অপেক্ষার পর আসছে ‘পদাতিক’।” এর সঙ্গে টিজারের লিংক পোস্ট করেছেন তিনি।

গত ১৪ মে প্রকাশিত হয় ‘পদাতিক’-এর ১ মিনিটি ৩৭ সেকেন্ডের টিজার। এতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে চমকে গেছেন দর্শকেরা। সিনেমায় মৃণাল সেনের শৈশব থেকে শুরু করে ফিল্মমেকিংয়ে আসার ঘটনা ও ব্যক্তিজীবনের অজানা গল্প পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চঞ্চল চৌধুরী ও সৃজিত মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

‘পদাতিক’ পশ্চিমবঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর প্রথম সিনেমা। এটি পরিচালনা ও সম্পাদনা করেছেন সৃজিত মুখার্জি। ‘পদাতিক’ নামটি মৃণাল সেনের একটি সিনেমার নাম থেকে নেওয়া। কলকাতা শহরকে নিয়ে ট্রিলজি নির্মাণ করেন তিনি। এগুলো হলো ‘ইন্টারভিউ’ (১৯৭১), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭১) এবং ‘পদাতিক’ (১৯৭৩)।

২০২৩ সালের ১৪ মে ছিলো মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তার জীবন, কর্ম ও সময়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘পদাতিক’। কলকাতা ও মুম্বাই ছাড়াও ভারতের বাইরে কিছু দৃশ্যের চিত্রায়ন হয়েছে। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশন্স হাউসের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন ফিরদাউসুল হাসান ও প্রবাল হালদার। সহ-প্রযোজনায় শুভজিৎ মণ্ডল।

চঞ্চল চৌধুরী ও মনামী ঘোষ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সিনেমাটিতে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে আছেন কোরাক সামন্ত, সম্রাট চক্রবর্তীসহ অনেকে। কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছে ‘পদাতিক’।

গত ৮ জুন ‘পদাতিক’-এর প্রথম গান অবমুক্ত হয়েছে। এর শিরোনাম ‘তু জিন্দা হ্যায়’। এটি গেয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী সনু নিগাম ও অরিজিৎ সিং। এবারই প্রথম কোনো গানে এই দুই জনের গায়কী শোনা গেলো। ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি মিউজিক ‘তু জিন্দা হ্যায়’ গানটি মুক্তি দিয়েছে। এর কথা লিখেছেন শৈলেন্দ্র, সুর করেছেন সলিল চৌধুরী। প্রয়াত এই দুই জনের সৃষ্টির সঙ্গে সনু নিগাম ও অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠের সম্মিলনে ইতিহাস সৃষ্টিকারী একটি গান হয়েছে বলে ইউটিউবে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

পোস্টারে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সিনেমায় রবীন্দ্রসংগীত থাকছে। এছাড়া কবীর সুমন গান বেঁধেছেন। আবহ সংগীত করেছেন ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ