Connect with us

হলিউড

বলিউডে পাননি, হলিউডে একবারই নায়কের সমান পারিশ্রমিক প্রিয়াঙ্কার

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সম্প্রতি রুশো ভ্রাতৃদ্বয়ের অ্যাকশনে ভরপুর ‘সিটাডেল’ নামের একটি আমেরিকান গোয়েন্দা সিরিজে অভিনয় করছেন। এজন্য পুরুষ সহশিল্পীর সমান পারিশ্রমিক পেয়েছেন তিনি। ২২ বছরের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম এমন সুযোগ হয়েছে তার। বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পেয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন। বলিউড যে প্রাপ্য দেয়নি, হলিউডে গিয়ে সেই সম্মান ধরা দিয়েছে তার হাতে।

ভারতের সবচেয়ে সফল তারকাদের মধ্যে অন্যতম প্রিয়াঙ্কা বলিউডে ৬০টির বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। একদশক আগে তিনি হলিউডে পা রাখেন। আমেরিকান বিনোদন শিল্পে আলাদা অবস্থান করে নেওয়া হাতেগোনা ভারতীয় তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

প্রিয়াঙ্কা বিবিসিকে বলেন, ‘বলিউডে কখনো নায়কদের মতো সমপরিমাণ পারিশ্রমিক পাইনি। সত্যি বলতে, পুরুষ সহশিল্পীদের মোট পারিশ্রমিকের প্রায় ১০ শতাংশ পেয়েছি আমি। ব্যবধানটা অনেক বড়। এখনো অনেক অভিনেত্রীকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। হলফ করে বলতে পারি, যদি আমিও এখন বলিউডে কাজ করি তাহলে পুরুষ সহশিল্পীর চেয়ে অনেক কম পারিশ্রমিক পাবো। আমার সমসাময়িক অভিনেত্রীরা অবশ্যই সমান পারিশ্রমিক চেয়েছেন। আমরা সবাই চেয়েছি, কিন্তু পাইনি।’

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

প্রিয়াঙ্কা জানান, ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নবীন অভিনেত্রী হিসেবে পথচলার শুরুতে নায়কতন্ত্রকে স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন তিনি। তার বর্ণনায়, ‘সেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকাটা স্বাভাবিক লেগেছিলো, যখন আমার পুরুষ সহশিল্পী নিজের মতো করে আসতেন। নায়কই ঠিক করতেন তিনি কখন সেটে আসবেন এবং তারপর আমরা শুটিং শুরু করবো।’

প্রিয়াঙ্কার দাবি, বলিউডে পথচলা শুরুর সময় নিজের বর্ণের কারণে অবমাননার শিকার হয়েছিলেন। তার কথায়, “আমাকে ডাকা হতো ব্ল্যাক ক্যাট এবং ডাস্কি। যে দেশের বেশিরভাগ মানুষ আক্ষরিক অর্থেই কৃষ্ণবর্ণের, সেখানে আমাকে ‘ডাস্কি’ বলে কী বোঝানো হতো? এ কারণে ভাবতাম, আমি আহামরি সুন্দরী নই। মনে হতো, আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এমন মনোভাব ঔপনিবেশিক সময় থেকেই আছে। এখনো সেই মানসিকতা বদলায়নি।”

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

উপমহাদেশে বিপুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও আমেরিকায় নিজের অবস্থান তৈরি করতে একদশক ধরে সংগ্রাম করতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। সেসব দিনে ফিরে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে মিটিংয়ে যেতাম, নিজের পরিচয় দিতাম এবং আমার শো রিল নিয়ে যেতাম। অভিনয় কোচ ও ভাষা কোচদের সঙ্গে কাজ করেছি। অডিশন দিয়ে বাদ পড়ে কাঁদতাম। পরে অন্য আরেকটি অডিশনে যেতাম। যেকোনো নতুন ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা পেতে যতটা খাটুনি দরকার আমি সবই করেছি।’

২০১৫ সালে ‘কোয়ান্টিকো’র মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম তারকা হিসেবে আমেরিকান টেলিভিশন চ্যানেলের সিরিজে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন প্রিয়াঙ্কা। যদিও তিনি মনে করেন, জাতিগত বৈচিত্র্যের ব্যাপক ধারণা তাকা সত্ত্বেও তার গোত্রের অভিনয়শিল্পীদের এখনো হলিউডে মূলধারার কাজ পেতে হিমশিম খেতে হয়।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য, ‘আমি হয়তো পর্যাপ্ত আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। তাই দারুণ কিছু কাজ করছি। সেগুলো দর্শকরা গ্রহণ করে কিনা দেখা যাক। দক্ষিণ এশিয়ান ও ভারতীয় যে কারও বেলায় হলিউডে টিকে থাকা সত্যিই কঠিন। এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’

পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডে ‘কোয়ান্টিকো’র জন্য নতুন টিভি সিরিজের প্রিয় অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার পান প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকা হিসেবে প্রায়ই বৈশ্বিক ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু নিজের দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে চুপ থাকায় ভারতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার ব্যাপারে তনি বলেন, “এমন কিছু মানুষ থাকে যারা সবসময় বলাবলি করে, ‘আপনি এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি’, ‘এ ব্যাপারে আপনার কিছু বলা উচিত ছিল’। কখনো সবাইকে খুশি করা যায় না।”

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

মেয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

ভারতের লখনউতে থাকাকালে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা। তখন সেখানে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। একইসঙ্গে অল্প বয়সী ছাত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৫ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত থাকার অংশ হিসেবে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, ইথিওপিয়া, জর্ডানসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তার দৃষ্টিতে, ‘শিশুরা সবখানে পৌঁছাতে পারে না। তাই তাদের জন্য কিছু করতে পারা আমার জীবনের সবচেয়ে মহৎ কাজ।’

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

নিক জোনাস ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর আমেরিকান সংগীতশিল্পী নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা। সম্প্রতি তারা একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছেন।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

দুবাইয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সম্প্রতি দুবাই ভ্রমণে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বন্ধুদের সঙ্গে ইয়ট ভ্রমণ, সাঁতার, জেট স্কি, সূর্যস্নান ও ওয়াইন উপভোগের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। এর আগে সৌদি আরবের জেদ্দায় রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী এই তারকা।

প্রিয়াঙ্কাকে সবশেষ হলিউড তারকা কিয়ানু রিভসের সঙ্গে ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশন্স’ (২০২১) সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় দেখা গেছে। আগামী বছর ‘সিটাডেল’ মুক্তি পাবে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। এছাড়া বড় পর্দায় মুক্তি পাবে হলিউডে তার নতুন দুই সিনেমা জেমস সি স্ট্রাউস পরিচালিত ‘লাভ অ্যাগেইন’ (সেলিন ডিওন) এবং ‘এন্ডিং থিংস’ (অ্যান্থনি ম্যাকি)। এছাড়া বলিউডে ফারহান আখতারের পরিচালনায় ‘জি লে জারা’র শুটিং আগামী বছর শুরু করবেন তিনি। এতে তার সহশিল্পী ক্যাটরিনা কাইফ ও আলিয়া ভাট।

হলিউড

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ প্রযোজক মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার দৃশ্য এবং জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অস্কারজয়ী প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ মারা গেছেন। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। গুণী এই নির্মাতার মৃত্যুতে বিশ্ব সিনেমায় নেমেছে শোকের ছায়া।

স্ত্রী জুলি ল্যান্ডাউ, দুই ছেলে জেমি ও জোডিকে রেখে গেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার বোন টিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। জন ল্যান্ডাউকে যেকোনো মেয়ের জন্য সেরা ভাইয়ের মতো আখ্যা দিয়েছেন তিনি। টিনা লিখেছেন, ‘আমি খুব মর্মাহত। তবে তার অসাধারণ জীবন ও দারুণ সব সিনেমা এবং তিনি আমাকে যে ভালোবাসা ও উপহার দিয়েছেন সেসবের জন্য আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।’

১৯৯৮ সালের অস্কারে জন ল্যান্ডাউ ও জেমস ক্যামেরন (ছবি: অস্কার)

জন ল্যান্ডাউকে ভাবা হতো জেমস ক্যামেরনের ডান হাত। তাদের যৌথ প্রয়াস ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) বিশ্বব্যাপী প্রথম ১০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যবসা করে। এটি সেরা সিনেমাসহ মোট ১১টি শাখায় অস্কার জিতেছে। প্রযোজক হিসেবে জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাউ অস্কার পান। সেরা পরিচালক হিসেবেও অস্কার জিতেছেন জেমস ক্যামেরন। তাদের আরেক স্বপ্নের প্রকল্প ‘অ্যাভাটার’ মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। ২০২২ সালে বড় পর্দায় এসেছে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ‘টাইটানিক’-এর ব্যবসার রেকর্ড ভেঙেছে এগুলো।

জেমস ক্যামেরনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইটস্টর্ম এন্টারটেইনমেন্টের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার মৃত্যুর খবর জেনে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘একজন অসাধারণ প্রযোজক ও একজন চমৎকার মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। জন ল্যান্ডাউ সিনেমার স্বপ্নে বাঁচতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সিনেমাই হলো মানব শিল্পের চূড়ান্ত রূপ এবং সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রথমে মানুষের মতো মানুষ হওয়া চাই। বিশাল উদার মন ও দারুণ কিছু সিনেমার জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন। একজন বন্ধু ও ৩১ বছরের সহযাত্রীকে হারালাম আমি। মনে হচ্ছে আমার একটি অংশ ছিড়ে গেছে।’

জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অভিনেত্রী জোয়ি স্যালডানা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘সত্যিই বিমর্ষ লাগছে। আপনার বিজ্ঞতা ও আনুকূল্য আমাদের অনেককে এমনভাবে গড়ে দিয়েছে যেগুলোর জন্য আমরা সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবো।’

পরিচালক পিটার জ্যাকসন ও তার স্ত্রী চিত্রনাট্যকার ফ্র্যান ওয়ালশের ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাগুলোতে ব্যবহার হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জন ল্যান্ডাউকে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত। তিনি যেসব প্রকল্পে কাজ করেছেন সেগুলোতে অতুলনীয় আবেগ ঢেলে দিয়েছেন। তার প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।’

হলিউডের দুই প্রযোজক ইলি ও ইডি ল্যান্ডাউয়ের ছেলে জন ল্যান্ডাউ। ১৯৬০ সালের ২৩ জুলাই নিউইয়র্কে জন্ম হয় তার। সত্তর দশকে পরিবারটি লস অ্যাঞ্জেলেসে বসতি গড়ে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম স্কুলে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

আশির দশকে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন জন ল্যান্ডাউ। মাত্র ২৯ বছর বয়সে প্রযোজনা সংস্থা টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের নির্বাহী সহ-সভাপতি হন তিনি। তার তত্ত্বাবধানেই নির্মিত হয়েছে ‘ডাই হার্ড টু’, ‘পাওয়ার রেঞ্জার্স’, ‘দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকানস’, ‘হোম অ্যালোন’, ‘মিসেস ডাউটফায়ার’। ১৯৯৪ সালে জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ‘ট্রু লাইস’ পরিবেশনা করেছে টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স। সেই সূত্রে তার সঙ্গে জন ল্যান্ডাউয়ের বোঝাপড়া তৈরি হয়। স্টিভেন সোডারবার্গের ‘সোলারিস’ (২০০২) ও রবার্ট রড্রিগেজের  ‘অ্যালিটা: ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেন তারা।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

দ্রুততম সময়ে ১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা আয়ের রেকর্ড গড়লো ‘ইনসাইড আউট টু’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

পিক্সারের ‘ইনসাইড আউট টু’ মুক্তির তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি ডলার (১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা) আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দ্রুততম সময়ে এই স্তরে পৌঁছানো প্রথম অ্যানিমেটেড সিনেমা এটাই। পিক্সারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি তথ্যটি জানিয়েছে।

২০২৪ সালে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে ‘ইনসাইড আউট টু’। চলতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের অভিজাত ক্লাবে ঢুকতে পেরেছে কেবল এটাই।

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

‘ইনসাইড আউট টু’ হলো ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাইড আউট’ সিনেমার সিক্যুয়েল। একটি অল্পবয়সী মেয়ের মনোজগত তুলে ধরা হয় এতে। এটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৮৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (১০ হাজার ৬৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা)।

ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ জুন উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পায় ‘ইনসাইড আউট টু’। ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটির বাজেট ২০ কোটি ডলার।

নতুন সিনেমায় রাইলি নামের মেয়েটি কিশোরী হয়ে উঠেছে। গল্পে উদ্বেগ ও হিংসাসহ নিজের নতুন আবেগের সঙ্গে সংগ্রাম করে সে। এবারের কিস্তি পরিচালনা করেছেন কেলসি মান। এটাই তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। নতুন গল্পটি মেগ লেফভকে নিয়ে লিখেছেন তিনি।

অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আগের পর্বে কাজ করা অ্যামি পোলার, ফিলিস স্মিথ, লুইস ব্ল্যাক, ডায়ান লেন ও কাইল ম্যাকলকল্যান নতুন সিনেমাতে ফিরেছেন। নতুন যুক্ত হয়েছেন মায়া হোক, আয়ো এডেবিরি, আদেল এক্সারকোপুলোস, গ্রেস লু, টনি হেল, কেনজিংটন টলম্যান, লিলিমার, লাইজা লাপিরা, সুমাইয়া নুরিদ্দীন-গ্রিন, পল ওয়াল্টার হাউজার।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে একই দিনে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

হলিউডের অ্যানিমেটেড কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘ডেসপিকেবল মি’ সারাবিশ্বে ছোট-বড় সব বয়সী দর্শকের প্রিয়। গত ১৪ বছরে সিক্যুয়েল ও প্রিক্যুয়েল মিলিয়ে এর ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এবার বড় পর্দায় আসছে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’। ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় আজ (৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে এটি।

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ মূলত ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডেসপিকেবল মি থ্রি’র সিক্যুয়েল। এবারও প্রধান চরিত্র গ্রু হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন আমেরিকান তারকা স্টিভ ক্যারেল। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে আছেন ক্রিস্টেন উইগ, উইল ফেরেল, সোফিয়া ভারজারা, জোয়ি কিং, স্টিফেন কোলবার্ট, মিরান্ডা কসগ্রোভ, স্টিভ কুগ্যান, ক্লোয়ি ফাইনম্যান, পিয়ের কফিন।

আড়াই কোটি ডলার বাজেটে নতুন সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আমেরিকান নির্মাতা ক্রিস রেনো। তিনি ও পিয়ের কফিন প্রথম দুটি পর্বের পরিচালক ছিলেন। তৃতীয় কিস্তি পরিচালনা করেন পিয়ের কফিন ও কাইল ব্যাল্ডা। নতুন পর্বের দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট।

এবারের গল্পে দেখা যাবে, গ্রু, লুসি, মার্গো, এডিথ ও আনিয়েস নিজেদের পরিবারে স্বাগত জানায় নতুন সদস্য গ্রু জুনিয়রকে। সে সারাক্ষণ বাবাকে জ্বালাতন করে। এদিকে গ্রু’র নতুন শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয় ম্যাক্সিম লে ম্যাল ও তার প্রেমিকা ভ্যালেন্টিনা। নিজেকে তেলাপোকার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে সাজায় ম্যাক্সিম। তাদের কারণে গ্রু’র পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায় অ্যান্টি-ভিলেন লিগ (এভিএল) এজেন্টরা। গ্রু জুনিয়রকে অপহরণ করে উড়ন্ত তেলাপোকা জাহাজে আটকে রাখে ম্যাক্সিম।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ