Connect with us

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কেন গুরুত্বপূর্ণ, স্বর্ণসিংহ পুরস্কারের দৌড়ে ২৩ সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

ভেনিস আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল পোস্টার

বিশ্বের প্রাচীনতম ভেনিস আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু হচ্ছে আবার। এর ৮০তম আসরের পর্দা উঠবে আজ (৩০ আগস্ট)। এবারের উদ্বোধনী সিনেমা ইতালির এদোয়ার্দো দে আঞ্জেলিস পরিচালিত ‘কমানদান্তে’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে এটি। এর গল্পে দেখা যাবে, ইতালির সাবমেরিন কমানদান্তে কাপেল্লিনি আটলান্টিক মহাসাগরে বেলজিয়ান জাহাজ কাবালোকে ডুবিয়ে দেয়। কিন্তু কাপেল্লিনির কমান্ডার সালভাতোরে তদারো আদেশ অমান্য করে কাবালোর ক্রুদের উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর উৎসবটির পর্দা নামবে। সমাপনী আয়োজন থাকছে নেটফ্লিক্সের স্প্যানিশ ভাষার সিনেমা ‘সোসাইটি অব দ্য স্নো’। এর বিষয়বস্তু ১৯৭২ সালের ১৩ অক্টোবর আন্দিজ পর্বতমালায় ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা। একটি রাগবি দল এবং তাদের পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে উরুগুয়ে বিমানবাহিনীর চার্টার্ড উড়োজাহাজটি উরুগুয়ে থেকে চিলি যাচ্ছিলো। এর ২৯ জন যাত্রী দুর্ঘটনার দিন নিহত হন। পরে তুষারে আটকা পড়ে তিন সপ্তাহ পর আরো ১৩ জন প্রাণ হারান। তবে বেঁচে যান ১৬ জন। তারা ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ১৬ যাত্রী ৭২ দিন দুর্গম পাহাড়ের খাঁজে আটকে ছিলেন। খাবার ও পানি না থাকায় তারা বেঁচে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে মৃত সহযাত্রীদের মাংস আগুনে পুড়িয়ে খেয়েছেন। সেই ঘটনা পৃথিবী নাড়িয়ে দিয়েছিলো।

ইতালির লিদো দ্বীপে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আমেজ (ছবি: টুইটার)

উৎসবটি কোথায় হয়
অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের প্রবাল উপহ্রদ ভেনিস লেগুনের লিদো দ্বীপে হয়ে থাকে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এটি ভেনিসের সৈকত হিসেবে পরিচিত। মূল শহর থেকে নৌকায় স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত এটি। তবে ভেনিসে যেমন শুধু নৌপথে চলাচল করতে হয়, লিদো দ্বীপে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা যায়।

ইতালির লিদো দ্বীপে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আমেজ (ছবি: টুইটার)

ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কেন গুরুত্বপূর্ণ
হলিউডের প্রথম সারির পুরস্কারের মৌসুম মূলত ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকেই শুরু হয়ে যায়। প্রায় প্রতি বছর এই উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে থাকা সিনেমা অস্কারের ফেভারিট কাতারে জায়গা করে নেয়। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে গত ১১ বার সেরা পরিচালক স্বীকৃতি পাওয়া আট জনের সিনেমার উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে ভেনিসে। সেজন্য তামাম দুনিয়ার ফিল্ম প্রফেশনালরা এই আয়োজন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।

তারকা ও পরিচালকরা সাধারণত নিজেদের সিনেমার প্রচারণা চালাতে দ্বীপ শহর লিদো ভ্রমণ উপভোগ করেন। তবে এবারের আসরে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম জৌলুস থাকবে উৎসবে। কারণ হলিউডে অভিনয়শিল্পী ও চিত্রনাট্যকারদের ধর্মঘট চলছে। তাই অনেক তারকা ভেনিসে নিজেদের সিনেমার উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে থাকতে পারছেন না।

‘পুয়োর থিংস’ সিনেমার দৃশ্যে এমা স্টোন ও মার্ক রাফেলো (ছবি: সার্চলাইট পিকচার্স)

স্বর্ণসিংহ পুরস্কারের দৌড়ে ২৩ সিনেমা
৮০তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মূল প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছে ২৩টি সিনেমা। এগুলো কাঙ্ক্ষিত স্বর্ণসিংহ পুরস্কারের জন্য লড়বে। এছাড়া অফিসিয়াল সিলেকশনে আছে আরো কয়েকটি শাখা। মূল প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত সিনেমার তালিকা দেখে নিন:

** কমানদান্তে
পরিচালক: এদোয়ার্দো দে আঞ্জেলিস (ইতালি)

** দ্য কাউন্ট
পরিচালক: পাবলো লারাইন (চিলি)

** ডগম্যান
পরিচালক: লুক বেসোঁ (ফ্রান্স)

** ফেরারি
পরিচালক: মাইকেল মান (যুক্তরাষ্ট্র)

** দ্য প্রমিসড ল্যান্ড
পরিচালক: নিকোলাই আরসেল (ডেনমার্ক)

** পুয়োর থিংস
পরিচালক: ইয়োর্গোস লানতিমোস, গ্রিস

** ফাইনালি ডন
পরিচালক: সাভেরিও কোসতানসো

** মায়েস্ত্রো
পরিচালক: ব্র্যাডলি কুপার, যুক্তরাষ্ট্র

** স্লোলি
পরিচালক: স্তেফানো সল্লিমা

** দ্য থিওরি অব এভরিথিং
পরিচালক: টিম ক্রোগার (জার্মানি)

** দ্য কিলার
পরিচালক: ডেভিড ফিঞ্চার (যুক্তরাষ্ট্র)

** দ্য বিস্ট
পরিচালক: বেরত্রোঁ বোনেলো (ফ্রান্স)

** এভিল ডাজ নট এক্সিস্ট
পরিচালক: রিয়ুসুকে হামাগুচি (জাপান)

** প্রিসিলা
পরিচালক: সোফিয়া কপোলা (যুক্তরাষ্ট্র)

** গ্রিন বর্ডার
পরিচালক: আগনিয়েস্কা হলান্ড (পোল্যান্ড)

** এনেয়া
পরিচালক: পিয়েত্রো কাস্তেলিত্তো

** অরিজিন
পরিচালক: অ্যাভা ডুভারনে (যুক্তরাষ্ট্র)

** মি ক্যাপ্টেন
পরিচালক: মাত্তেও গারোনে (ইতালি)

** লুবো
পরিচালক: জর্জো দিরিত্তি

** হলি
পরিচালক: ফিন ত্রোখঁ (বেলজিয়াম)

** ওম্যান অব
পরিচালক: মালগোজাতা সুমোস্কা, মিহাল এঙ্গলের্ত (পোল্যান্ড)

** মেমোরি
পরিচালক: মিচেল ফ্রাঙ্কো (মেক্সিকো)

** আউট অব সিজন
পরিচালক: স্তেফান ব্রিজে (ফ্রান্স)

‘কুঁ দ্যঁ শঁস’ সিনেমার দৃশ্যে ফরাসি অভিনেত্রী লু দ্যু লাজ (ছবি: মেট্রোপলিটন ফিল্ম এক্সপোর্ট)

প্রতিযোগিতার বাইরে
অন্যান্য উৎসবের মতো ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রতিযোগিতার বাইরে থাকছে আকর্ষণীয় কিছু সিনেমা। এবারের আসরে এরমধ্যে অন্যতম সদ্যপ্রয়াত আমেরিকান নির্মাতা উইলিয়াম ফ্রিডকেনের ‘দ্য কেইন মিউটিনি কোর্ট-মার্শাল’, উডি অ্যালেনের প্রথম ফরাসি ভাষার সিনেমা ‘কুঁ দ্যঁ শঁস’, রোমান পোলানস্কির ‘দ্য প্যালেস’, ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক রোল্ড ডালের ছোটগল্প অবলম্বনে ওয়েস অ্যান্ডারসনের শর্টফিল্ম ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগার’, র‌্যাপার ট্রাভিস স্কট অভিনীত হারমোনি কোরিনের ‘অ্যাগ্রো ড্রিফট’।

ক্যাতেরিনা মুরিনো (ছবি: টুইটার)

সঞ্চালনা ও আজীবন সম্মাননা
৮০তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী ও সমাপনী আয়োজনে সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন ইতালিয়ান অভিনেত্রী ক্যাতেরিনা মুরিনো। জেমস বন্ড সিরিজের ‘ক্যাসিনো রয়েল’ তার বিখ্যাত সিনেমা।

এবারের আসরে আজীবন সম্মাননা হিসেবে স্বর্ণসিংহ দেওয়া হবে ইতালির নারী পরিচালক লিলিয়ানা কাভানি এবং হংকংয়ের অভিনেতা টনি লিয়াংকে।

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

মেহজাবীন জানালেন টরন্টো উৎসবের কিছু অভিজ্ঞতা

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

টরন্টোতে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৪৯তম আসরে নিজের প্রথম সিনেমা ‘সাবা’ নিয়ে দারুণ সাড়া পাচ্ছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন তিনি। উৎসবটির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে হলিউডের হেভিওয়েট তারকাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের এই তারকার ভিডিও স্থান পেয়েছে। 

টরন্টোতে সাদা টিউলিপ ফুল হাতে তোলা কয়েকটি স্থিরচিত্র নিজের ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন মেহজাবীন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘সাবা’ যে সাড়া পাচ্ছে তাতে আমি অত্যন্ত অভিভূত। কম বাজেটে তৈরি মৌলিক গল্প ও সিনেমাকে আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যেভাবে মূল্য দেওয়া হয়, সেগুলো দেখে দারুণ লাগছে। ‘সাবা’ টিম ও আমি এই বিশ্বমঞ্চে একটি খাঁটি বাংলাদেশি সিনেমা আনতে পেরে গর্বিত।”

মেহজাবীন যোগ করেছেন, “টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমি একজন শিল্পী হিসেবে পা রেখেছি। এখানে এসে মনে হচ্ছে, আমাদের এখনো অনেক কিছু অর্জন করা বাকি। পুরো ‘সাবা’ টিম ও সমস্ত বাংলাদেশি নির্মাতা ও শিল্পীর জয়গান গাই, যারা সীমানা পেরোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।”

মোস্তফা মন্ওয়ার, মেহজাবীন চৌধুরী ও মাকসুদ হোসেন (ছবি: ফেসবুক)

এবারের আসরে ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘সাবা’। টরন্টোর স্কটিয়াব্যাংকে বাংলাদেশ সময় ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর আগেই সাংবাদিকদের জন্য ছিলো একটি প্রদর্শনী। একই ভেন্যুতে গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এই সিনেমার আরেকটি প্রদর্শনী হয়েছে।

টরন্টোতে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

টরন্টোতে যারা ‘সাবা’ দেখেছেন তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেহজাবীন। ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, “যারা আমাদের সিনেমার প্রথম তিনটি প্রদর্শনী দেখতে সময় বের করেছেন এবং নিজেদের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা ‘সাবা’কে পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডের জন্য ভোট দিতে পারেন।”

টরন্টোতে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে উৎসবে ‘সাবা’র চতুর্থ ও শেষ প্রদর্শনী হবে। এতে অংশ নিতে দর্শকদের উৎসাহ জুগিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি জানান, টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ও টিকিটমাস্টার অ্যাপের মাধ্যমে প্রবেশপত্র পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে ‘সাবা’ প্রসঙ্গে মেহজাবীনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, টুইটার অ্যাকাউন্ট ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে। ৩৬ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, টরন্টোতে দর্শকরা ‘সাবা’কে কীভাবে গ্রহণ করে এবং সিনেমাটি দেখে কেমন প্রতিক্রিয়া করে সেসব দেখতে মুখিয়ে ছিলাম। এগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুরোপুরি বাংলাদেশি সিনেমা। এর পুরো শুটিং হয়েছে বাংলাদেশে। অবকাঠামো ও ভৌগলিক দিক থেকে দেখলেও বাংলাদেশের সঙ্গে গল্পটির নিবিড় সম্পর্ক। আমরা পুরো টিম দেখতে চেয়েছিলাম আন্তর্জাতিকভাবে এই গল্প কতটা সম্পৃক্ত করতে পারে দর্শকদের।”

টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘সাবা’ টিম (ছবি: ফেসবুক)

ভিডিও ক্লিপটির শিরোনাম, টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘সাবা’র অংশগ্রহণ কেন গুরুত্বপূর্ণ। এতে মেহজাবীনের পাশে সোফায় বসে থাকতে দেখা গেছে সিনেমাটির অভিনেতা মোস্তফা মন্ওয়ারকে।

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

‘সাবা’য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজক তিনি। গল্পে দেখা যায়, একটি দুর্ঘটনার পর সাবার মা শিরিন (রোকেয়া প্রাচী) শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তখন শুরু হয় ২৪ বছর বয়সী এই তরুণীর সংগ্রাম। এরমধ্যে শিরিন হার্ট অ্যাটাক করলে তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সাবার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

টরন্টোতে পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডের জন্য লড়ছে ‘সাবা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মেহজাবীন চৌধুরী।

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৪৯তম আসরে প্রশংসিত হয়েছে ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত বাংলাদেশের ‘সাবা’। ফলে পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ড জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সিনেমাটির অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী দর্শকদের প্রতি ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোটদানের লিংক শেয়ার করেছেন তিনি।

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘সাবা’ টিম।

টরন্টোর স্কটিয়াব্যাংকে বাংলাদেশ সময় ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘সাবা’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এতে তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন মেহজাবীন ও সিনেমাটির অভিনেতা মোস্তফা মন্ওয়ার। তারা প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

টরন্টোর স্কটিয়াব্যাংকে আজ (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ‘সাবা’র আরেকটি প্রদর্শনী হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে সিনেমাটির আরেকটি প্রদর্শনী রয়েছে।

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী ও রোকেয়া প্রাচী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

‘সাবা’য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজক তিনি। গল্পে দেখা যায়, একটি দুর্ঘটনার পর সাবার মা শিরিন (রোকেয়া প্রাচী) শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তখন শুরু হয় ২৪ বছর বয়সী এই তরুণীর সংগ্রাম। এরমধ্যে শিরিন হার্ট অ্যাটাক করলে তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সাবার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। সিনেমাটি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটি ও মুভেবলফেস্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মেহজাবীন চৌধুরী।

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মসলিন শাড়িতে নজর কেড়েছেন মেহজাবীন। এবারই প্রথম এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন তিনি। অস্কারজয়ী আমেরিকান অভিনেত্রী নাওমি ওয়াটসের সঙ্গে ছবি তুলেছেন বাংলাদেশের এই তারকা।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

৮১তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বিজয়ী তালিকা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

(বাঁ থেকে) ইজাবেল উপের, পেদ্রো আলমোদাভার ও ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সভাপতি পিয়েত্রাঞ্জেলো বুত্তাফুয়োকো (ছবি: ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভেনিস আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৮১তম আসরে গোল্ডেন লায়ন জিতলো পেদ্রো আলমোদোভার পরিচালিত ‘দ্য রুম নেক্সট ডোর’। এটি ইংরেজি ভাষায় এই স্প্যানিশ নির্মাতার প্রথম সিনেমা। এতে মুখ্য দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা জুলিয়ান মুর ও টিল্ডা সুইন্টন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ইতালির ভেনিস লিদো শহরে উৎসবের মূলকেন্দ্র পালাৎসো দেল সিনেমার সালা গ্র্যান্দেতে বিজয়ী তালিকা ঘোষণা করা হয়।

একনজরে বিজয়ী তালিকা
মূল প্রতিযোগিতা শাখা
গোল্ডেন লায়ন: দ্য রুম নেক্সট ডোর (পেদ্রো আলমোদোভার, স্পেন)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ (সিলভার লায়ন): ভেরমিলিয়ো (মাউরা দেলপেরো, ইতালি)
সেরা অভিনেতা (ভলপি কাপ): ভাঁসো লাঁদো (দ্য কোয়ায়েট সান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী (ভলপি কাপ): নিকোল কিডম্যান (বেবিগার্ল, অস্ট্রেলিয়া)
সেরা পরিচালক (সিলভার লায়ন): দ্য ব্রুটালিস্ট (ব্র্যাডি কোর্বেট, যুক্তরাষ্ট্র)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: এপ্রিল (ডেয়া কলামবেগাশভিলি, জর্জিয়া)
সেরা চিত্রনাট্যকার (গোল্ডেন ওজেল্লা): মুরিলো হাউজার, এইতর লরেগা (আই’ম স্টিল হিয়ার, ব্রাজিল)
সেরা নবীন অভিনয়শিল্পী (মার্সেলো মাস্ত্রোইয়ান্নি অ্যাওয়ার্ড): পল কারচার (অ্যান্ড দেয়ার চিলড্রেন আফটার দেম, ফ্রান্স)

গোল্ডেন লায়ন (আজীবন সম্মাননা)
* সিগোর্ন উইভার (অভিনেত্রী, যুক্তরাষ্ট্র)
* পিটার উইয়ার (পরিচালক, যুক্তরাষ্ট্র)

গ্লোরি টু দ্য ফিল্মমেকার অ্যাওয়ার্ড
ক্লদ লেল্যুশ (ফ্রান্স)

হরাইজনস
সেরা সিনেমা: দ্য নিউ ইয়ার দ্যাট নেভার কেম (বোগদান মুরেশানু, রোমানিয়া)
সেরা অভিনেতা: ফ্রান্সেসকো গেগি (ফ্যামিলিয়া, ইতালি)
সেরা অভিনেত্রী: ক্যাথলিন চালফ্যান্ট (ফ্যামিলিয়ার টাচ, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা পরিচালক: সারাহ ফ্রিডল্যান্ড (ফ্যামিলিয়ার টাচ, যুক্তরাষ্ট্র)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: ওয়ান অব দোজ ডেজ হোয়েন হেমা ডাইস (মুরাত ফিরাতোগো, তুরস্ক)
সেরা চিত্রনাট্যকার: এসকান্দার কোপতি (হ্যাপি হলিডেস, ফিলিস্তিন)
সেরা শর্ট ফিল্ম: হু লাভস দ্য সান (আরশিয়া শাকিবা, কানাডা)

হরাইজনস এক্সট্রা
অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড (আরমানি বিউটি): শাহেদ—দ্য উইটনেস (নাদের সেইভার, ইরান)

লায়ন অব দ্য ফিউচার
সেরা নতুন পরিচালক (লুইজি দে লাউরান্তিস অ্যাওয়ার্ড): ফ্যামিলিয়ার টাচ (সারাহ ফ্রিডল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র)

ভেনিস ক্ল্যাসিকস
সিনেমার সেরা প্রামাণ্যচিত্র: চেইন রিঅ্যাকশন্স (আলেক্সান্ডার ফিলিপ, সুইজারল্যান্ড)
সেরা পুনরুদ্ধার করা সিনেমা: এচ্চে বোম্বো (১৯৭৮, নান্নি মোরেত্তি)

ভেনিস ইমারসিভ
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: ইতো মেইকিউ (বরিস লাব্বে)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: ওটো’স প্লানেট (জোয়েনায়েল ফ্রাঁসোয়া)
অ্যাচিভমেন্ট প্রাইজ: ইমপালস–প্লেয়িং উইথ রিয়েলিটি (ব্যারি জেনে মারফি, মে আব্দাল্লা)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি অ্যাওয়ার্ডস
সেরা সিনেমা (মূল প্রতিযোগিতা): দ্য ব্রুটালিস্ট (ব্র্যাডি কোর্বেট, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা সিনেমা (অন্যান্য শাখা): দ্য নিউ ইয়ার দ্যাট নেভার কেম (বোগদান মুরেশানু, রোমানিয়া)

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ