Connect with us

নাটক

মেহজাবীনের অন্যতম সেরা অভিনয়, ‘অনন্যা’র প্রশংসা মুখে মুখে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‌‘অনন্যা’ নাটকে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: সিনেমাওয়ালা নিউজ)

‘অনন্যা’ হয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তার অভিনীত ‘অনন্যা’ সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে। দারুণ একটি গল্প নিয়ে নির্মিত নাটকটির কথা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে একজন কর্মজীবী নারীর চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন তিনি। তার সাবলীল অভিনয় দেখে মুগ্ধ দর্শকেরা। শিশুর যত্ন নেওয়া, তাকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানোসহ প্রতিটি মুহূর্তকে নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। কেউ কেউ মনে করছেন, নাটকটির জন্য আবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন এই তারকা!

‘অনন্যা’র মাধ্যমে অনেকদিন পর নতুন নাটকে অভিনয় করলেন মেহজাবীন। কর্মজীবী নারী ও শিশুসন্তানের মায়ের চরিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলায় তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন অনেক নারী। তার অভিনয় মন ছুঁয়েছে সবার। অনেক নারীর অনুভব, নাটকটিতে সমাজের প্রত্যেক কর্মজীবী মায়ের বাস্তব সংগ্রামের চিত্র দেখানো হয়েছে এবং ‘অনন্যা’র গল্প তাদের জীবনের সঙ্গে মিলে গেছে। নাটকটি দেখতে দেখতে বারবার নিজেদের অতীতে ফিরে গেছেন তারা। অনেক নারী তখন চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। কেউ কেউ নিজের অজান্তেই বারবার চোখের পানি ফেলেছেন।

‌‘অনন্যা’ নাটকে মেহজাবীন চৌধুরী ও ডলি জহুর (ছবি: সিনেমাওয়ালা নিউজ)

বেশিরভাগ দর্শকের অভিমত, ‘অনন্যা’ শুধু একটি নাটক নয়, অনেক মেয়ের জীবনের বাস্তব গল্প। তাদের দৃষ্টিতে– নাটকটি শুধু অনন্যার নয়, বরং সমাজের হাজারো বাঙালি কর্মজীবী মায়ের জীবন সংগ্রামের গল্প। শিশুসন্তান বাসায় রেখে অফিস করা যে কতো কষ্টের, গল্পে অনবদ্যভাবে সেটি উঠে এসেছে। এতে দেখানো হয়েছে– সংসার, সন্তান, চাকরিসহ সব সামলানো মেয়েদের জীবন অনেক কঠিন। গল্পটি প্রশ্ন তুলে দেয়, মেয়েরা কি সত্যিই স্বাধীন? আদতে নারীদের স্বাধীনতা ও সমঅধিকারের কথা বক্তৃতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। বাস্তবে নারীরা মূলত পরাধীন। বিশেষ করে কর্মজীবী নারীরা একটু বেশিই নিরুপায়।

গত ১৬ ডিসেম্বর ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে অবমুক্ত হয়েছে ‘অনন্যা’। বাংলাদেশে এখন ট্রেন্ডিংয়ে দুই নম্বরে আছে চমৎকার নাটকটি। এর মন্তব্যের ঘরে দেখা যায় প্রশংসার বন্যা। একজন লিখেছেন, ‘পুরো নাটকটি প্রতিটি পরিবারের জন্য শিক্ষা অর্জন করার মতোই।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘সমাজের প্রত্যেক বাবার চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনা উচিত। নাটকটিতে শেখার অনেক কিছু আছে।’ একজন দর্শকের মন্তব্য, ‘নাটকটি সবার দেখা উচিত। অন্তত এতে সব পুরুষের শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেক কিছু আছে।’ কেউ কেউ মনে করেন, সংগ্রাম করে টিকে থাকার ক্ষেত্রে মেয়েদের অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে ‘অনন্যা’।

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

‘অনন্যা’ পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। নারীদের নিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তিনি সাধারণত নিজের লেখা নাটক বানিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার জাকারিয়া নেওয়াজ ও জাহান সুলতানার লেখা নাটক বেছে নিয়েছেন রাজ। চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহান সুলতানা। এটি প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত বলা যেতেই পারে। কারণ কর্মজীবী নারীর সংগ্রাম একজন নারী চিত্রনাট্যকারই ভালোভাবে বোঝাতে পারতেন। পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে কর্মজীবী নারীরা যেসব প্রতিকূলতার মুখে পড়েন, নাটকটিতে সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে সেগুলো। গল্পটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, ঘরে পুরুষদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা আশা করলেও নারীরা সেটি পান না বলেই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

‘অনন্যা’ নাটকের দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: সিনেমাওয়ালা নিউজ)

নাটকের বেশ কয়েকটি সংলাপ দর্শকদের নাড়া দিয়েছে। অনন্যা চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আগে অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কিছু কথা বলে, সেগুলো যেন প্রত্যেক নারীর মনের কথা। অনন্যা বলেছে, ‘মেয়েদের বলা হয়, তোমরা শিক্ষিত হও, ক্যারিয়ার গড়ো, উপার্জন করো; কিন্তু তোমাদের রাস্তায় অনেক বাধা থাকবে। কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে না। তাহলে কীভাবে সমান অধিকার হলো?’

এরপর অনন্যা বলে, ‘স্যার আমার ওপর অনেক চাপ। পারফেক্ট হওয়ার চাপ। পারফেক্ট মা হতে হবে, পারফেক্ট বউ হতে হবে, পারফেক্ট মেয়ে হতে হবে, পারফেক্টলি সংসার সামলাতে হবে, পারফেক্টলি অফিস করতে হবে। সবকিছুতে পারফেকশন চাই। বাচ্চার যদি জ্বর আসে, তাহলে আমার চাকরির দোষ। অফিসে ভালোভাবে কাজ করতে না পারলে বাচ্চার দোষ। আমি যদি ব্যথা পাই উফ করতে পারবো না। আমার যদি ক্লান্ত লাগে তবুও বলতে পারবো না আমি ক্লান্ত। এতো চাপ নিয়ে আমি যাবো কোথায়?’

‘অনন্যা’ নাটকের দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী ও শাশ্বত দত্ত (ছবি: সিনেমাওয়ালা নিউজ)

কর্মস্থলে কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার কিংবা নির্দিষ্ট কক্ষের সুবিধা থাকা কতটা জরুরি, সেই বিষয়টি প্রকট হয়েছে নাটকের গল্পে। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে কর্মস্থলে পুরুষ সহকর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন থাকে, একটি দৃশ্যে দেখা গেছে সেটি। অনন্যা তখন বলে, ‘মা হওয়াটাও একটা চাকরি। আর সেটা ৮ ঘণ্টার না, ২৪ ঘণ্টার। যেখানে কোনো ছুটি নাই, বেতন নাই এবং বিশ্রামও নাই।’

‌‘অনন্যা’ নাটকে শাশ্বত দত্ত ও মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: সিনেমাওয়ালা নিউজ)

‘অনন্যা’য় মেহজাবীনের প্রধান দুই সহশিল্পী শাশ্বত দত্ত ও ডলি জহুর। এর চিত্রগ্রহণ করেছে রাজু রাজ। নাটকে ব্যবহৃত গানটি প্রশংসিত হয়েছে। এটি গেয়েছেন পল্লবী রায়। এর কথা লিখেছেন মাহমুদ মানজুর, সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ।

‌‘অনন্যা’ নাটকে মেহজাবীন চৌধুরী ও ডলি জহুর (ছবি: সিনেমাওয়ালা নিউজ)

২০২৩ সালে ‘অনন্যা’ মেহজাবীন চৌধুরীর ষষ্ঠ ও শেষ কাজ। চলতি বছরের প্রথম দিন দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত ভিকি জাহেদের ‘কাজলের দিনরাত্রি’ টেলিফিল্মে মানসিক প্রতিবন্ধী কাজল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মাঝে দুটি ওয়েব সিরিজ, একটি ওয়েব ফিল্ম ও একটি নাটকে দেখা গেছে তাকে। ‘অনন্যা’ দিয়ে বছরটা দারুণভাবেই শেষ করলেন তিনি।

নাটক

অবিবাহিত ৩০ বছর বয়সী নারীদের প্রতি মেহজাবীনের বার্তা

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী নিজের অভিনীত ‘তিথিডোর’ নাটকের প্রসঙ্গ টেনে ৩০ বছরের বেশি বয়সী অবিবাহিত নারীদের প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন। তার আহ্বান, ‘নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের কাছের মানুষকে ভালোবাসুন।’

গতকাল (২১ জুন) বিকেলে ফেসবুকে মেহজাবীন অনুরো:ধ জানিয়েছেন এভাবে, ‘নিজের পাশের মানুষকে, নিজের কাছের মানুষকে জিজ্ঞেস করুন, সে কেমন আছে? তার কষ্ট হচ্ছে কিনা? আপনার একটা ফোন কল, নক, টেক্সট কিংবা সাক্ষাৎ হয়তো কারো জন্য বিশেষ একটি মুহূর্তে অমূল্য হয়ে দাঁড়াতে পারে! দেরি হয়ে যাওয়ার আগে আপনারা চেষ্টা করুন। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের কাছের মানুষকে ভালোবাসুন। জীবন সুন্দর। এর চাইতে সুন্দর আর কোনো কিছু নেই, কখনো হবেও না!’

‘তিথিডোর’ নাটকে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: চ্যানেল আই)

মেহজাবীন উল্লেখ করেন, “কোনো সাসপেন্স-থ্রিল নেই ‘তিথিডোর’ নাটকে। নেই কোনো খুন-মারামারি। নেই রহস্য কিংবা টুইস্ট। তারপরও এই গল্প বলা খুব জরুরি মনে করছেন তিনি, ‘আমাদের চারপাশে এখন যে অস্থির সময় চলছে, সেখানে এই গল্পটাই সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ তিথিডোর একটি অনুভূতির গল্প, যে অনুভুতি প্রত্যেক সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে। ‘তিথিডোর’ দেখে এর মূল বক্তব্য অনুধাবন করার চেষ্টা করুন।”

গতকাল সকালে ‘তিথিডোর’ নাটক নিয়ে ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার বয়স ৩০ মানেই আপনার অন্তত একটা মন ভাঙার গল্প আছে। হঠাৎ একদিন দেখবেন যে মানুষটা একসময় আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, সেই মানুষটা অথবা সেই মানুষগুলো অনেক ভালো আছে। আপনার তখন মনে হবে, দিজ ইজ নট ফেয়ার। আমাদের সবার জীবনেই এমন একটি মুহূর্ত এসেছে যখন আমরা ভেবেছি আর বেঁচে থেকে লাভ কী? তার ওপর আপনি যদি ৩০ বছরের অবিবাহিত নারী হন তাহলে তো আর কথাই নাই। আপনি জীবিত থাকলেও কিছু অঘোষিত নিয়ম আপনার আত্মবিশ্বাস কেড়ে নেবে।’

মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

মেহজাবীনের মন্তব্য, ‘ডিপ্রেশন ইজ রিয়েল, আমাদের আশেপাশে অনেকেই এই রোগে ভুগছেন। কিন্তু তারা হয়তো নিজেরাই জানেন না। ডিপ্রেশনের কোনো স্পেসিফিক সিম্পটম নেই, চোখের দেখায় বোঝা যায় না এবং এই কারণেই আমাদের প্রিয়জনদের আচরণে যদি পরিবর্তন দেখা যায় কিংবা অস্বাভাবিক লাগে তাহলে তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলার চেষ্টা করুন এবং ডাক্তারি পরামর্শ নিতে সহযোগিতা করুন।’

‘তিথিডোর’ নাটকে ৩০ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের টানাপোড়েন থেকে হতাশা ও আত্মহননের চিন্তা তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন ফেসবুক স্ট্যাটাসে যোগ করেছেন, ‘এই কাজটির সঙ্গে আমাদের ইউনিটের ব্যক্তিগত আবেগ জড়িয়ে আছে নানাভাবে। সেজন্য এই নাটক আমাদের জন্য অনেক স্পেশাল। লেট টুয়েনটিজ এবং ৩০-এর ঊর্ধ্বে যেই নারীরা আছেন, কাজটি আপনাদের উৎসর্গ করলাম।’

মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

ইতোমধ্যে ‘তিথিডোর’ নাটকের জন্য অনেক সাড়া পেয়েছেন মেহজাবীন। বিশেষ করে নারীরা এই ভিন্নধর্মী কাজের জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এতে তার চরিত্রের নাম নিশাত। নাটকটির গল্প ও পরিচালনায় ভিকি জাহেদ। চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহান সুলতানা। ঈদের পরদিন (১৮ জুন) চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হয়েছে এটি। এরপরই এটি এসেছে ইউটিউবে।

পড়া চালিয়ে যান

নাটক

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ১ নম্বরে ‘চাঁদের হাট’, কী আছে এই নাটকে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ‘চাঁদের হাট’ এক নম্বরে

ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া নাটকের মধ্যে ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে এখন ১ নম্বরে আছে ‘চাঁদের হাট’। এতে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে কমেডি, প্রেম ও মানবিকতার সম্মিলনে দারুণ একটি গল্প বলা হয়েছে। ৪৮ মিনিটের এই নাটকের শেষ দৃশ্য বেশিরভাগ দর্শককে আবেগপ্রবণ করেছে। একটি দরিদ্র পরিবারের কষ্ট দেখে অনেকেই অজান্তে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি সেই মুহূর্তে।

ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে ঈদের দিন (১৭ জুন) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মুক্তি পায় ‘চাঁদের হাট’। দুই দিনে এটি দেখা হয়েছে ৩০ লাখ বার। এতে লাইক পড়েছে ৬২ হাজার। অসংখ্য দর্শক এর কমেন্টের ঘরে নিজেদের ভালো লাগার অনুভূতি জানিয়েছেন। বেশিরভাগের কথায়, ‘অসাধারণ একটি নাটক।’

‘চাঁদের হাট’ নাটকের পোস্টার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

কী আছে ‘চাঁদের হাট’ নাটকে? ইমন খান নামের একজনের মন্তব্যে রয়েছে এর উত্তর, ‘মাত্র কয়েক মিনিটের নাটকের মধ্যে প্রেম, ভালোবাসা, আবেগ, কমেডি, জীবনযাত্রার মান, সামাজিক প্রেক্ষাপট, বর্তমান প্রেক্ষাপট; সবকিছু যে এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায় তা এই নাটক না দেখলে বোঝা যাবে না। সত্যিই অসাধারণ একটি নাটক।’

গল্পে দেখা যায়, গরুর হাটে দালালি করে চাঁদ। হাটের পাশে ভাতের হোটেলে মামার সঙ্গে কাজ করে পূর্ণিমা। তাকে পছন্দ করে চাঁদ। কিন্তু মেয়েটি তাকে পাত্তা দেয় না। পূর্ণিমাকে বিয়ে করতে মরিয়া হয়ে মাকে জানায় চাঁদ। ঘটনাক্রমে জানা যায়, চাঁদের মা ও পূর্ণিমার মামা একসময় প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনি।

ভারতীয় এক নারী দর্শক মন্তব্য করেছেন, ‘আমি একজন ভারতীয় হয়ে বলছি, আপনাদের বাংলাদেশের নাটক আমার খুব ভালো লাগে।’ আসাম থেকে বোরহান উদ্দিন হুসেন লিখেছেন, ‘শেষ দৃশ্যটি খুব আবেগপ্রবণ।’ কঙ্কন আচার্যের একই অনুভূতি, ‘শেষের অংশটুকু আমাকে কাঁদিয়েছে।’

‘চাঁদের হাট’ নাটকে ডা. এজাজুল ইসলাম ও মনিরা আক্তার মিঠু (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

ইউসুফ শামীম লিখেছেন, ‘মন থেকে বলছি এটি এই বছরের সেরা নাটক। পরিচালককে মন থেকে দোয়া ও ভালোবাসা দিলাম। শেষের দৃশ্যটা দুনিয়ার মধ্যে যে ভালোবাসা আছে গরিবদের প্রতি, অনেক ভালো লাগলো।’

আলফাদেল গাজীর মতে, ‘পরিবার নিয়ে দেখার মতো নাটক। এমন গল্প এখন হারিয়ে গেছে প্রায়! এরকম সুন্দর আরও নাটক চাই। এই ঈদে এরকম নাটক উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ একই অভিমত জানিয়েছেন দীপু বিশ্বাস, “নাটকটি ভালো লাগছে। কিছু কিছু নাটক পরিবারের সঙ্গে দেখা যায়, যেমন চাঁদের হাট’।”

‘চাঁদের হাট’ নাটকে কেয়া পায়েল (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘আমার জীবনে প্রায় ১৩ বছর মোবাইল ফোন চালানোর বয়স, কোনোদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখে মেসেজ করি নাই। এবারই প্রথম কমেন্ট করলাম। আমার দেখা অন্যরকম একটি নাটক, আমার চোখে পানি চলে এসেছে।’

কেউ কেউ সিনেমার আবহ খুঁজে পেয়েছেন ‘চাঁদের হাট’ নাটকে। এসকে শাকিল তাদেরই একজন, ‘নাটকটি দেখে আমার মনে হলো একটি নতুন বাংলা সিনেমা দেখেছি। পরিচালক ভাইয়াকে বলছি, আপনি স্বল্প বাজেটে সিনেমা তৈরি করুন। আপনি নাম ও টাকা দুটোই মর্যাদার সঙ্গে আয় করতে পারবেন।’

কে এম সোহাগ রানা (ছবি: আকিব রহমান)

‘চাঁদের হাট’ রচনা ও পরিচালনা করেছেন কে এম সোহাগ রানা। হাস্যরসের মোড়কে কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে দালালদের প্রতারণার ঘটনা তুলে ধরায় তার প্রশংসা করেছেন অনেক দর্শক। তাদের মধ্যে বেলাল আহমেদ নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমাদের সমাজে এমন মানুষ রূপী কিছু দালাল আছে, যাদের কারণে প্রকৃত খামারিরা ন্যায্য দাম পায় না।’

‘চাঁদের হাট’ নাটকে তৌসিফ মাহবুব (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

আবেদ হুসেন নামের এক দর্শক লিখেছেন, ‘বর্তমানে বাজারে এমন দালাল থাকায় বোঝা যায় না কোনটা ক্রেতা আর কোনটা বিক্রেতা। বাস্তবমুখী নাটক।’

সুমন রানার মন্তব্য, ‘নাটকটির প্রতিটি দৃশ্য হৃদয় কাড়ার মতো। সবার অভিনয় জুতসই। এখন তো এমন সামাজিক গল্প পাওয়া যায় না।’

‘চাঁদের হাট’ নাটকের পোস্টার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

নাটকটিতে প্রধান চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, কেয়া পায়েল, ডা. এজাজুল ইসলাম ও মনিরা আক্তার মিঠু। চাঁদ চরিত্রে তৌসিফ মাহবুব ও পূর্ণিমা চরিত্রে কেয়া পায়েল জুটির প্রতি ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন তাদের ভক্তরা। এতে আরো অভিনয় করেছেন সুমন পাটোয়ারী, আনোয়ার হোসেন, মো. আবু বকর রোকন, ইকবাল, মনীষা, সীমান্ত ও আলভিরা রহমান রাইসা।

নাটকটিতে ব্যবহৃত গান আলাদাভাবে ভালো লেগেছে অনেকের। ‘ওরে ও হীরামন পাখি’ শিরোনামের গানটি গাওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন শাহরিয়ার মার্সেল। এর কথা লিখেছেন তারিক তুহিন। আবহ সংগীত করেছেন রফিকুল ইসলাম ফরহাদ। গরুর হাটে আদিত্য মনিরের চিত্রগ্রহণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। রঙ বিন্যাস ও সম্পাদনায় রাশেদ রাব্বি। প্রযোজনায় মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।

পড়া চালিয়ে যান

নাটক

খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েলের অন্যরকম ‘ঈদ ভ্যাকেশন’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের দৃশ্যে খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েল (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েল নতুন একটি নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করলেন। এর নাম ‘ঈদ ভ্যাকেশন’। এতে গ্রামের একজোড়া তরুণ-তরুণীর ভূমিকায় দেখা যাবে তাদের।

গতকাল (১৪ জুন) সিনেমাওয়ালার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে ‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের ১ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের টিজার প্রকাশিত হয়েছে। এতে খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েলের রসায়নের কিছু মুহূর্ত দেখা গেছে।

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের দৃশ্যে কেয়া পায়েল ও খায়রুল বাসার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের রচনা ও পরিচালনায় তৈরি হয়েছে ‘ঈদ ভ্যাকেশন’। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে মুক্তি পাবে এটি।

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের দৃশ্যে খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েল (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকে নতুন একটি গান রয়েছে। এর কথা হলো, ‘ইচ্ছে যতো, ফড়িঙের মতো, উড়ে উড়ে উড়ে উড়ে যায় তোমার আকাশে/পাখির শিসে সুরভি মিশে, জুড়ে জুড়ে জুড়ে জুড়ে যায় তোমার বাতাসে।’ গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। অনেক বছর পর নাটকের জন্য গান বাঁধলেন তিনি। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন অয়ন চাকলাদার ও আতিয়া আনিসা। এটি লিখেছেন জনি হক।

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের দৃশ্যে কেয়া পায়েল ও খায়রুল বাসার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

নাটকটির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন– মনিরা আক্তার মিঠু, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, শরিফুল, এবি রোকন, শেখ স্বপ্না, সুমাইয়া অর্পা, শাহীন মৃধাসহ অনেকে। চিত্রগ্রহণ করেছেন ফুয়াদ বিন আলমগীর।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ