Connect with us

হলিউড

শোবিজ ২০২৩: হলিউডে জোড়া ধর্মঘট, ‘বারবেনহাইমার’ উন্মাদনা এবং সুইফটের প্রভাব

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

২০২৩ সালের শোবিজ দুনিয়ায় বেশকিছু ঘটনা ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। হলিউডকে স্থবির করে দেওয়া ধর্মঘট থেকে শুরু করে বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলসের শেষ গান প্রকাশসহ শোবিজ দুনিয়া অনেক শিরোনাম সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর শোবিজে তেমন কিছু বড় খবর ফিরে দেখা যাক।

হলিউডে অভিনয়শিল্পী ও চিত্রনাট্যকারদের ধর্মঘট (ছবি: এক্স)

* হলিউডে ৬৩ বছর পর আবার জোড়া ধর্মঘটের কারণে সব ধরনের শুটিং বন্ধ ছিলো অনেকদিন। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম থেকে বাড়তি সম্মানি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেখক-চিত্রনাট্যকার এবং অভিনয়শিল্পীরা পৃথকভাবে আন্দোলন করেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অনেক সিনেমার কাজ থমকে গিয়েছিলো। সেই সঙ্গে ‘ডুন: পার্ট টু’র মতো বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে যায়। উভয় সংগঠনের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা-পরিবেশনা সংস্থাগুলোর সঙ্গে শ্রমচুক্তিতে পৌঁছেছে।

‘বার্বি’র দৃশ্যে মার্গো রবি (ছবি: ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স)

* হলিউডে একই দিনে ‘বার্বি’ ও ‘ওপেনহাইমার’ মুক্তি পাওয়ায় ‘বারবেনহাইমার’ জ্বরে আক্রান্ত হয় গোটা দুনিয়া। গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত ‘বার্বি’ বিশ্বব্যাপী ১৪৪ কোটি ডলার (১৫ হাজার ৮৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা) ব্যবসা করেছে। এটাই কোনো নারী পরিচালকের সিনেমার সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড। ২০২৩ সালে ‘দ্য সুপার মারিও ব্রাদারস মুভি’ সিনেমাটিও শত কোটি ডলার ব্যবসা অতিক্রম করেছে। এরপরে আছে যথাক্রমে ‘ওপেনহাইমার’ ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ‘গার্ডিয়ান্স অব দ্য গ্যালাক্সি ভলিউম থ্রি’ ৮৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেছে। ২০১৯ সালের পর হলিউড বক্স অফিস পেয়েছে সবচেয়ে সেরা বছর। শুধু আমেরিকায় ২০২৩ সালে ৮৪০ কোটি ডলার আয় করেছে বিভিন্ন সিনেমা।

‘দ্য এরাস ট্যুর’ কনসার্টে টেলর সুইফট (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

* আমেরিকান দুই সুপারস্টার গায়িকা টেলর সুইফট এবং বিয়ন্সে আলাদাভাবে ব্যাপক সফল কনসার্ট ট্যুর শুরু করেন এবং উভয়ে কনসার্ট নির্ভর একটি করে সিনেমা এনেছেন। ‘টেলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী ১২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি আয় করেছে। এর ফলে হলিউডে ধর্মঘটের পর সিনেমাহল আবার চাঙা হয়ে উঠেছে।

* টেলর সুইফট ব্যক্তিজীবনের জন্য শিরোনাম হয়েছেন। আমেরিকান ফুটবল দল কানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় ট্রাভিস কেলসের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন তিনি। এর ফলে ট্রাভিসের পরা জার্সির বিক্রি বেড়েছে এবং টেলিভিশনে খেলাটির দর্শকসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রেমিককে সমর্থন দিতে গায়িকা গ্যালারিতে হাজির হতে পারেন ভেবে ভক্তরা টিভি পর্দার সামনে বসে থেকেছেন।

বিটলস ব্যান্ডের কনসার্ট (ছবি: এক্স)

* কিংবদন্তি জন লেননের গাওয়া বিখ্যাত ব্রিটিশ ব্যান্ড বিটলসের শেষ গান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় ঘষামাজা করে প্রকাশিত হয়েছে।

* ব্রিটিশ রক ব্যান্ড দ্য রোলিং স্টোনস দীর্ঘ ১৮ বছর পর প্রকাশ করেছে নিজেদের মৌলিক গানের নতুন অ্যালবাম ‘হ্যাকনি ডায়মন্ডস’। ২০২১ সালে ড্রামার চার্লি ওয়াটসের প্রয়াণের পর এর মাধ্যমে রেকর্ডিংয়ে ফিরেছেন ব্যান্ডটির সদস্যরা।

ম্যাডোনা (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

* আমেরিকান পপতারকা ম্যাডোনা মারাত্মক জীবাণু সংক্রমণের কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ায় নিজের তিন দশকের ক্যারিয়ার উদযাপনের সংগীত সফর পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন।

* আমেরিকান পপতারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স নিজের স্মৃতিগ্রন্থ প্রকাশ করেন। এতে তিনি জানান, গায়ক জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে প্রেমের সময় গর্ভপাত করিয়েছিলেন।

* আমেরিকান অভিনেতা কেভিন স্পেসি এবং অভিনেত্রী গোয়াইনেথ প্যালট্রো এবং ব্রিটিশ গায়ক এড শিরান পৃথকভাবে ব্যাপক আলোচিত মামলায় লড়ে জিতেছেন। অন্যদিকে ‘রাস্ট’ সিনেমার শুটিংয়ে চিত্রগ্রাহক হ্যালিনা হাচিন্সের অপমৃত্যুর ঘটনায় আমেরিকান অভিনেতা অ্যালেক ব্যাল্ডউইনকে অনৈচ্ছিক হত্যাকাণ্ডের কারণে আবার বিচারের মুখোমুখি করতে চেয়েছেন নিউ মেক্সিকো আইনজীবীরা।

* অস্কারজয়ী দুই অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো ৭৯ বছর বয়সে এবং আল পাচিনো ৮৩ বছর বয়সে আবার বাবা হয়েছেন।

হলিউড

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ প্রযোজক মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার দৃশ্য এবং জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অস্কারজয়ী প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ মারা গেছেন। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। গুণী এই নির্মাতার মৃত্যুতে বিশ্ব সিনেমায় নেমেছে শোকের ছায়া।

স্ত্রী জুলি ল্যান্ডাউ, দুই ছেলে জেমি ও জোডিকে রেখে গেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার বোন টিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। জন ল্যান্ডাউকে যেকোনো মেয়ের জন্য সেরা ভাইয়ের মতো আখ্যা দিয়েছেন তিনি। টিনা লিখেছেন, ‘আমি খুব মর্মাহত। তবে তার অসাধারণ জীবন ও দারুণ সব সিনেমা এবং তিনি আমাকে যে ভালোবাসা ও উপহার দিয়েছেন সেসবের জন্য আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।’

১৯৯৮ সালের অস্কারে জন ল্যান্ডাউ ও জেমস ক্যামেরন (ছবি: অস্কার)

জন ল্যান্ডাউকে ভাবা হতো জেমস ক্যামেরনের ডান হাত। তাদের যৌথ প্রয়াস ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) বিশ্বব্যাপী প্রথম ১০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যবসা করে। এটি সেরা সিনেমাসহ মোট ১১টি শাখায় অস্কার জিতেছে। প্রযোজক হিসেবে জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাউ অস্কার পান। সেরা পরিচালক হিসেবেও অস্কার জিতেছেন জেমস ক্যামেরন। তাদের আরেক স্বপ্নের প্রকল্প ‘অ্যাভাটার’ মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। ২০২২ সালে বড় পর্দায় এসেছে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ‘টাইটানিক’-এর ব্যবসার রেকর্ড ভেঙেছে এগুলো।

জেমস ক্যামেরনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইটস্টর্ম এন্টারটেইনমেন্টের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার মৃত্যুর খবর জেনে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘একজন অসাধারণ প্রযোজক ও একজন চমৎকার মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। জন ল্যান্ডাউ সিনেমার স্বপ্নে বাঁচতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সিনেমাই হলো মানব শিল্পের চূড়ান্ত রূপ এবং সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রথমে মানুষের মতো মানুষ হওয়া চাই। বিশাল উদার মন ও দারুণ কিছু সিনেমার জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন। একজন বন্ধু ও ৩১ বছরের সহযাত্রীকে হারালাম আমি। মনে হচ্ছে আমার একটি অংশ ছিড়ে গেছে।’

জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অভিনেত্রী জোয়ি স্যালডানা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘সত্যিই বিমর্ষ লাগছে। আপনার বিজ্ঞতা ও আনুকূল্য আমাদের অনেককে এমনভাবে গড়ে দিয়েছে যেগুলোর জন্য আমরা সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবো।’

পরিচালক পিটার জ্যাকসন ও তার স্ত্রী চিত্রনাট্যকার ফ্র্যান ওয়ালশের ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাগুলোতে ব্যবহার হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জন ল্যান্ডাউকে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত। তিনি যেসব প্রকল্পে কাজ করেছেন সেগুলোতে অতুলনীয় আবেগ ঢেলে দিয়েছেন। তার প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।’

হলিউডের দুই প্রযোজক ইলি ও ইডি ল্যান্ডাউয়ের ছেলে জন ল্যান্ডাউ। ১৯৬০ সালের ২৩ জুলাই নিউইয়র্কে জন্ম হয় তার। সত্তর দশকে পরিবারটি লস অ্যাঞ্জেলেসে বসতি গড়ে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম স্কুলে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

আশির দশকে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন জন ল্যান্ডাউ। মাত্র ২৯ বছর বয়সে প্রযোজনা সংস্থা টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের নির্বাহী সহ-সভাপতি হন তিনি। তার তত্ত্বাবধানেই নির্মিত হয়েছে ‘ডাই হার্ড টু’, ‘পাওয়ার রেঞ্জার্স’, ‘দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকানস’, ‘হোম অ্যালোন’, ‘মিসেস ডাউটফায়ার’। ১৯৯৪ সালে জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ‘ট্রু লাইস’ পরিবেশনা করেছে টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স। সেই সূত্রে তার সঙ্গে জন ল্যান্ডাউয়ের বোঝাপড়া তৈরি হয়। স্টিভেন সোডারবার্গের ‘সোলারিস’ (২০০২) ও রবার্ট রড্রিগেজের  ‘অ্যালিটা: ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেন তারা।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

দ্রুততম সময়ে ১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা আয়ের রেকর্ড গড়লো ‘ইনসাইড আউট টু’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

পিক্সারের ‘ইনসাইড আউট টু’ মুক্তির তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি ডলার (১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা) আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দ্রুততম সময়ে এই স্তরে পৌঁছানো প্রথম অ্যানিমেটেড সিনেমা এটাই। পিক্সারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি তথ্যটি জানিয়েছে।

২০২৪ সালে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে ‘ইনসাইড আউট টু’। চলতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের অভিজাত ক্লাবে ঢুকতে পেরেছে কেবল এটাই।

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

‘ইনসাইড আউট টু’ হলো ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাইড আউট’ সিনেমার সিক্যুয়েল। একটি অল্পবয়সী মেয়ের মনোজগত তুলে ধরা হয় এতে। এটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৮৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (১০ হাজার ৬৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা)।

ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ জুন উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পায় ‘ইনসাইড আউট টু’। ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটির বাজেট ২০ কোটি ডলার।

নতুন সিনেমায় রাইলি নামের মেয়েটি কিশোরী হয়ে উঠেছে। গল্পে উদ্বেগ ও হিংসাসহ নিজের নতুন আবেগের সঙ্গে সংগ্রাম করে সে। এবারের কিস্তি পরিচালনা করেছেন কেলসি মান। এটাই তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। নতুন গল্পটি মেগ লেফভকে নিয়ে লিখেছেন তিনি।

অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আগের পর্বে কাজ করা অ্যামি পোলার, ফিলিস স্মিথ, লুইস ব্ল্যাক, ডায়ান লেন ও কাইল ম্যাকলকল্যান নতুন সিনেমাতে ফিরেছেন। নতুন যুক্ত হয়েছেন মায়া হোক, আয়ো এডেবিরি, আদেল এক্সারকোপুলোস, গ্রেস লু, টনি হেল, কেনজিংটন টলম্যান, লিলিমার, লাইজা লাপিরা, সুমাইয়া নুরিদ্দীন-গ্রিন, পল ওয়াল্টার হাউজার।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে একই দিনে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

হলিউডের অ্যানিমেটেড কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘ডেসপিকেবল মি’ সারাবিশ্বে ছোট-বড় সব বয়সী দর্শকের প্রিয়। গত ১৪ বছরে সিক্যুয়েল ও প্রিক্যুয়েল মিলিয়ে এর ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এবার বড় পর্দায় আসছে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’। ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় আজ (৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে এটি।

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ মূলত ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডেসপিকেবল মি থ্রি’র সিক্যুয়েল। এবারও প্রধান চরিত্র গ্রু হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন আমেরিকান তারকা স্টিভ ক্যারেল। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে আছেন ক্রিস্টেন উইগ, উইল ফেরেল, সোফিয়া ভারজারা, জোয়ি কিং, স্টিফেন কোলবার্ট, মিরান্ডা কসগ্রোভ, স্টিভ কুগ্যান, ক্লোয়ি ফাইনম্যান, পিয়ের কফিন।

আড়াই কোটি ডলার বাজেটে নতুন সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আমেরিকান নির্মাতা ক্রিস রেনো। তিনি ও পিয়ের কফিন প্রথম দুটি পর্বের পরিচালক ছিলেন। তৃতীয় কিস্তি পরিচালনা করেন পিয়ের কফিন ও কাইল ব্যাল্ডা। নতুন পর্বের দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট।

এবারের গল্পে দেখা যাবে, গ্রু, লুসি, মার্গো, এডিথ ও আনিয়েস নিজেদের পরিবারে স্বাগত জানায় নতুন সদস্য গ্রু জুনিয়রকে। সে সারাক্ষণ বাবাকে জ্বালাতন করে। এদিকে গ্রু’র নতুন শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয় ম্যাক্সিম লে ম্যাল ও তার প্রেমিকা ভ্যালেন্টিনা। নিজেকে তেলাপোকার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে সাজায় ম্যাক্সিম। তাদের কারণে গ্রু’র পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায় অ্যান্টি-ভিলেন লিগ (এভিএল) এজেন্টরা। গ্রু জুনিয়রকে অপহরণ করে উড়ন্ত তেলাপোকা জাহাজে আটকে রাখে ম্যাক্সিম।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ