Connect with us

ঢালিউড

হাউসফুল ‘ওমর’, বাড়লো শো, দর্শক-তারকা সবার মুখে রাজের প্রশংসা

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘ওমর’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’ দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সাধারণ দর্শক ও শোবিজ তারকারা। দর্শক চাহিদা থাকায় মুক্তির দুই দিন যেতেই শো-টাইম বাড়ানো হয়েছে। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সিনেমাহলে ভিড় করেছেন অনেকে। সিনেমাটির প্রতি সবার আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে।

বেশিরভাগ দর্শক ‘ওমর’ সিনেমায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকা টুইস্টের প্রশংসা করেছেন। তাদের মন্তব্য, পুরোটাই সাসপেন্স! এজন্য দর্শকেরা আটকে ছিলেন বড় পর্দায়। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের নির্মাণশৈলী ও অভিনয়শিল্পীদের নৈপুণ্য বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। ৫-এ ৪ রেটিং দিচ্ছেন সবাই। সাধারণ দর্শকদের কথায়, ‘গল্পটাই হিরো! এমন গল্প নিয়ে বাংলাদেশে খুব একটা সিনেমা হয়নি। ব্যতিক্রম ও অসাধারণ একটি গল্প। শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা, হাসি, থ্রিলার সবকিছুতে ভরপুর। এক সেকেন্ডের জন্য বিরক্তি আসেনি। এ ধরনের বাংলা সিনেমা কখনো দেখিনি। কেউ এই সিনেমা দেখলে বাসায় গিয়ে আরো পাঁচজনকে দেখতে বলবে।’

‘ওমর’ সিনেমায় শরিফুল রাজ ও দর্শনা বণিক (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

ওমর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ। তার প্রতি ভালো লাগা থেকে অনেক দর্শক সিনেমাটি দেখেছেন। তাদের বেশিরভাগই এই তারকার অভিনয় দক্ষতাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। পাশাপাশি নাসিরউদ্দিন খানের অভিনয়ের গুনগান গেয়েছেন ভক্তরা।

প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ এবং চিত্রনায়ক মান্নাকে উৎসর্গ করা হয়েছে ‘ওমর’। এজন্য কৌতূহল থেকে সিনেমাটি দেখছেন অনেক দর্শক।

‘ওমর’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, “মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তাকে আমরা কাছ থেকে দেখেছি। ‘ওমর’ দেখে বুঝলাম সে এখন অনেক পরিণত। তার উন্নতিতে আমার খুব ভালো লাগছে। সিনেমাটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকদের যে সাসপেন্স দেওয়া দরকার, সবই এই গল্পে আছে। দর্শকদের সম্পৃক্ত করার আবেগ যতটা দরকার ততটুকুই আছে। প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর কাজ দারুণ লেগেছে। আমার মনে হয়েছে, একটি নৌকায় সব কলাকুশলী একসঙ্গে ট্রাভেল করছে। কেউই নৌকা থেকে পড়ে যায়নি। সবাই সমান্তরাল অভিনয় করেছেন। এটি একজন পরিচালকের কৃতিত্ব।”

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যেটা ভাবছি কিংবা অনুমান করছি, কিছুক্ষণ পরপর সেই বিষয়টা বদলে যাচ্ছে। পুরোপুরি রোমাঞ্চকর জার্নি বলা যায় গল্পটিকে। যেকোনো সম্পর্কই মানুষের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বাবা, ছেলে, ভাইবোনের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। শেষটা এতো আবেগপ্রবণ যে, সবারই ভালো লাগার মতো।’

অভিনেত্রী সাবিলা নূর বলেন, “আগে থেকেই শরিফুল রাজের অভিনয় ভালো লাগে। ‘ওমর দেখার পর সেই ভালো লাগা আরো বেড়ে গেলো। প্রত্যেকেই দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। বিভিন্ন জনরার মিশ্রণ বলা যায় এই সিনেমাকে। শেষটা দেখলে সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে যাবেন।”

‘ওমর’ সিনেমায় শরিফুল রাজ ও নাসিরউদ্দিন খান (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ যদি আমার বড় ভাই হতো তাহলে আজ তার পা ছুঁয়ে ধন্যবাদ জানাতাম। অবাক হয়ে গেলাম একজন পরিচালক পুরো একটি সিনেমায় নায়িকা ছাড়া শুধু গল্প, নির্মাণ ও অভিনয় দিয়ে টানটান উত্তেজনায় দর্শকদের বসিয়ে রাখলেন। এমন ঘটনা দেখিনি কখনোই। আমি শতভাগ নিশ্চিত কোনো দর্শক চোখের পলক ফেলতে পারেননি। চোখ ফেরাতেও পারেননি। এত সুন্দর সিনেমা! ‍মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ তার আগের সব সিনেমাকে ছাপিয়ে বানিয়েছেন ‘ওমর’। প্রত্যেক শিল্পী এককথায় অসাধারণ।’

ঢাকার ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ‘ওমর’ ঈদের প্রথম দুই দিন তিনটি শো টাইম থাকলেও তৃতীয় দিনে বেড়ে হয়েছে চারটি শো। যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত এই মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে সকাল ১১টা ৩৫ মিনিট, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট, বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে।

‘ওমর’ সিনেমায় শরিফুল রাজ (ছবি: মাস্টার কমিউনিকেশন্স)

আরেক অভিজাত মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্সে বিভিন্ন শাখায় প্রতিদিন ‘ওমর’ সিনেমার ১১টি প্রদর্শনী হচ্ছে। এগুলো হলো ঢাকার পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মল (সকাল ১১টা, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা), ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার (সকাল ১১টা ১৫ মিনিট, বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট), মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার (দুপুর ২টা ১০ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট), মিরপুর-১ নম্বরের সনি স্কয়ার (দুপুর ২টা, সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট) এবং চট্টগ্রামের বালি আর্কেড শাখা (সকাল ১১টা ২০ মিনিট, বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট)।

অ্যাকশন কাট এন্টারেটেইনমেন্টের পরিবেশনায় ঈদের দিন থেকে ২১টি সিনেমা হলে চলছে ‘ওমর’। বাকি ১৫টি পর্দা হলো– লায়ন সিনেমাস (কেরানীগঞ্জ), সিলভার স্ক্রিন, সিনেমা প্যালেস (চট্টগ্রাম), মিতালী (সরাইগাছি, রাজশাহী), চিত্রালী (খুলনা), রাজমণি (মুলাডুলি, পাবনা), রাধানাথ (রেলস্টেশন রোড, শ্রীমঙ্গল), তাজ (নওগাঁ), উল্কা (জয়দেবপুর, গাজীপুর), বিলাস (সাভার), মধুমিতা (ভৈরব), সোনিয়া (বগুড়া), সত্যবতী (শেরপুর), আনন্দ (কুলিয়ারচর), বিজিবি অডিটোরিয়াম (সিলেট)।

‘ওমর’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

‘ওমর’ সিনেমায় শরিফুল রাজ ছাড়াও অভিনয় করেছেন নাসিরউদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, এরফান মৃধা শিবলু, আবু হুরায়রা তানভীর, নাফিস আহমেদ, রোজি সিদ্দিকী, তানজিলা হক মাইশা, আইমন সিমলা। মাস্টার কমিউনিকেশন্সের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন খোরশেদ আলম। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ। চিত্রগ্রহণ করেছেন রাজু রাজ। শিল্প নির্দেশনায় সামুরাই মারুফ।

সিনেমাটির গান গেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা, আরফিন রুমি, ‘নাসেক নাসেক’ তারকা অনিমেষ রায় ও ভারতের ঈশান মিত্র। গানের কথা লিখেছেন জনি হক, সোমেশ্বর অলি ও রাসেল মাহমুদ। সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ এবং ভারতের স্যাভি। আইটেম গান ‘ভাইরাল বেবি’তে নেচেছেন ভারতীয় নায়িকা দর্শনা বণিক।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ