Connect with us

হলিউড

হলিউডে ধর্মঘট: নতুন ‘অ্যাভাটার’সহ থমকে গেছে যেসব সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

হলিউডে অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে ‘অ্যাভাটার’ ও ‘গ্ল্যাডিয়েটর’-এর সিক্যুয়েলসহ নির্মাণাধীন অনেক সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, লালগালিচা বিছানো প্রিমিয়ারসহ সব ধরনের প্রচারণামূলক আয়োজন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পিছিয়ে যেতে পারে এমি অ্যাওয়ার্ডস এবং কমিক-কন।

১১ সপ্তাহ ধরে ধর্মঘটে থাকা হলিউডের চিত্রনাট্যকারদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন অভিনয়শিল্পীরা। এ কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দর্শকপ্রিয় সিরিজ এবং নতুন অনেক সিনেমা নির্মাণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা রয়েছে।

নিজেদের ইউনিয়ন স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড–আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টসের (এসএজি-এএফটিআরএ) সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যকার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় হলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ধর্মঘট করছেন। লস অ্যাঞ্জেলসে ১ লাখ ৬০ হাজার অভিনয়শিল্পী কাজ বন্ধ রেখেছেন। এরমধ্যে ১০ হাজার অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রথম সারির সহকর্মীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কম পারিশ্রমিক পান।

(বাঁ থেকে) রামি মালেক, ম্যাট ডেমন, এমিলি ব্লান্ট, ফ্লোরেন্স পিউ ও সিলিয়ান মারফি (ছবি: টুইটার)

ধর্মঘট চলাকালীন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কোনও সিনেমার শুটিং করতে পারবেন না। এমনকি নিজেদের অভিনীত সিনেমার প্রিমিয়ারসহ কোনো প্রচারণায় থাকা যাবে না। এ কারণে ধর্মঘটের ঘোষণা আসতেই লন্ডনে গত ১৩ জুলাই রাতে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার প্রিমিয়ারে কিছু সময় অবস্থানের পরই বেরিয়ে যান অভিনেতা কিলিয়ান মারফি, ম্যাট ডেমন, এমিলি ব্লান্ট, রবার্ট ডাউন জুনিয়র, ফ্লোরেন্স পিউ, রামি মালেক, ব্রিটিশ তারকা দম্পতি জশ হার্টনেট ও টামজিন এজারটন। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছেন বহুল আলোচিত সিনেমাটির পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান। পারমাণবিক বোমার কারিগর আমেরিকান বিজ্ঞানী জে. রবার্ট ওপেনহেইমারকে কেন্দ্র করে এই সিনেমার গল্প। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধর্মঘটের কারণে আগামী ১৭ জুলাই নিউইয়র্কে এর প্রিমিয়ার ব্যাহত হতে পারে।

ক্রিস্টোফার নোলান, তার স্ত্রী এমা থমাস ও তাদের চার সন্তান (ছবি: টুইটার)

এসএজি-এএফটিআরএ ১৩ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে টিভি এবং সিনেমাহলের জন্য নির্মিত কন্টেন্টের চুক্তিতে থাকা সদস্যরা ধর্মঘটে যুক্ত রয়েছে।

হলিউডে মুক্তি প্রতীক্ষিত বেশকিছু সিনেমার প্রচারণামূলক সংবাদ সম্মেলন ও লালগালিচা সংবলিত প্রিমিয়ার বাতিল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য– ডিজনির ‘হন্টেড ম্যানসন’ (২৮ জুলাই), ‘টিনেজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টেলস: মিউট্যান্ট মেহেম’ (২ আগস্ট), ব্রিটিশ লেখিকা আগাথা ক্রিস্টির গোয়েন্দা সাহিত্য অবলম্বনে কেনেথ ব্রানা পরিচালিত ‘অ্যা হন্টিং ইন ভেনিস’ (১৫ সেপ্টেম্বর)। মারভেল স্টুডিওসের ‘ব্লেড’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো সিনেমার মুক্তি বিলম্বিত হবে। শ্রমচুক্তি সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত এমন আরও কিছু সিনেমা আটকে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

‘গ্ল্যাডিয়েটর’ সিনেমায় রাসেল ক্রো (ছবি: ইউনিভার্সাল পিকচার্স)

আইএমডিবি’র তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ব্লকবাস্টার হওয়ার সম্ভাবনা থাকা বেশকিছু সিনেমা নির্মাণাধীন। এ তালিকায় রয়েছে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান থ্রি’, ‘গোস্টবাস্টারস ফোর’, ‘মুফাসা: দ্য লায়ন কিং’, জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার থ্রি’ ও ‘অ্যাভাটার ফোর’, রায়ান রিনোল্ডস ও হিউ জ্যাকম্যানের ‘ডেডপুল থ্রি’, টিম বার্টনের ‘বিটলজুস’ সিনেমার সিক্যুয়েল। এসব সিনেমার চিত্রনাট্য তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে এসব কাজের বৃহৎ অংশ স্থবির হয়ে আছে। এগুলোর পরবর্তী সময়সূচি মেলানোর ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কাই বেশি। এছাড়া আমেরিকার বাইরে মরক্কো ও মাল্টায় প্যারামাউন্ট পিকচার্সের ‘গ্ল্যাডিয়েটর’ সিনেমার সিক্যুয়েলের শুটিং ব্যাহত হচ্ছে।

ফিল্মএলএ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলেসে গত সপ্তাহে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা এবং রিয়েলিটি শোসহ টিভি অনুষ্ঠানের শুটিং করার আবেদনের হার ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৬৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য বছর এই সময়ে চিত্রনাট্য সংবলিত কয়েক ডজন অনুষ্ঠানের শুটিং হতো। কিন্তু এবার কোনো স্ক্রিপ্টযুক্ত টিভি সিরিজের শুটিং করার আবেদন আসেনি।

‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ সিরিজে মিলি ববি ব্রাউন (ছবি: নেটফ্লিক্স)

ওটিটিতে অচলাবস্থার শঙ্কা
নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওসহ অন্যান্য স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম কোরিয়ান ও ভারতীয় সিরিজ অবমুক্ত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারে। তবে ওটিটিতে হলিউডের প্রযোজনাগুলো বন্ধ থাকবে। ধর্মঘটের কারণে নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ ও ‘দ্য স্যান্ডম্যান’, হুলু’র “দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেল”সহ জনপ্রিয় সিরিজের নতুন মৌসুমের শুটিং স্থগিত রয়েছে।

আমেরিকান সিরিজ ব্যাহত
লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিংয়ের অনুমতি প্রদানকারী সংস্থা ফিল্মএলএ জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর পে-টিভি, ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন ও সম্প্রচারের জন্য মৌলিক আমেরিকান সিরিজের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে আমেরিকান সিরিজগুলোর কাজ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সিনেমা ও স্ক্রিপ্টযুক্ত টিভি অনুষ্ঠানের কাজ থমকে আছে। এবারের গ্রীষ্মে এনবিসি চ্যানেলের ‘নাইট কোর্ট’-এর দ্বিতীয় সিরিজ এবং ‘শিকাগো মেড’, ‘শিকাগো ফায়ার’ ও ‘শিকাগো পি.ডি’, সিবিএস নেটওয়ার্কের ‘এনসিআইএস’ ও ‘ইয়াং শেলডন’, ফক্স চ্যানেলের ‘ফ্যামিলি গাই’ ও ‘দ্য সিম্পসন্স’-এর শুটিং হওয়ার কথা ছিলো। এখন এগুলোর কাজ বন্ধ রয়েছে।

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির জন্য সাময়িক স্বস্তির ব্যাপার হলো, চিত্রনাট্যকারদের ধর্মঘটের কারণে এইচবিও’র ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’ সিরিজের নির্মাণে ন্যূনতম ব্যাঘাত ঘটবে না। কারণ স্ক্রিপ্ট পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো। যদিও অভিনয়শিল্পীরা ধর্মঘটে থাকায় এমন অনেক লিখিত চিত্রনাট্য অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে।

ধারণা করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট কিছু সিনেমা ও সিরিজের কাজ চলমান রাখতে অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতাদের মধ্যে পার্শ্বচুক্তি হতে পারে। এছাড়া এসএজি-এএফটিআরএ’র শ্রমচুক্তির আওতায় না থাকা স্বাধীন প্রযোজনাগুলোর কাজ চলমান থাকবে।

‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’ সিরিজের দৃশ্য (ছবি: এইচবিও)

শরতে যেমন থাকবে টিভি আয়োজন
সাধারণত সেপ্টেম্বরে ছোট পর্দায় ড্রামা ও কমেডি সিরিজের নতুন মৌসুম শুরু হয়ে থাকে। তবে এবার সেসব পিছিয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আমেরিকান টিভি চ্যানেলগুলো আসন্ন শরতের আয়োজনে ‘দ্য মাস্কড সিঙ্গার’, ‘দ্য অ্যামেজিং রেস’, ‘সারভাইভার’, ‘কিচেন নাইটমেয়ারস’, ‘বিগ ব্রাদার’ এবং ‘দ্য ব্যাচেলর’-এর মতো স্ক্রিপ্টবিহীন অনুষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

শরত মৌসুমে টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ফক্স এবং এবিসি বড় বাজেটের রিয়েলিটি শো সম্প্রচারের ঘোষণা দিয়েছে। ধর্মঘটের প্রভাবে এবিসি পুনঃপ্রচার করবে জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ ‘অ্যাবট এলেমেন্টারি’। তবে সংবাদধর্মী অনুষ্ঠান স্বাভাবিক নিয়মে চলতে থাকবে। কারণ এগুলোর লেখকেরা ভিন্ন ইউনিয়নের আওতাভুক্ত।

হলিউড

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ প্রযোজক মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার দৃশ্য এবং জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অস্কারজয়ী প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ মারা গেছেন। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। গুণী এই নির্মাতার মৃত্যুতে বিশ্ব সিনেমায় নেমেছে শোকের ছায়া।

স্ত্রী জুলি ল্যান্ডাউ, দুই ছেলে জেমি ও জোডিকে রেখে গেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার বোন টিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। জন ল্যান্ডাউকে যেকোনো মেয়ের জন্য সেরা ভাইয়ের মতো আখ্যা দিয়েছেন তিনি। টিনা লিখেছেন, ‘আমি খুব মর্মাহত। তবে তার অসাধারণ জীবন ও দারুণ সব সিনেমা এবং তিনি আমাকে যে ভালোবাসা ও উপহার দিয়েছেন সেসবের জন্য আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।’

১৯৯৮ সালের অস্কারে জন ল্যান্ডাউ ও জেমস ক্যামেরন (ছবি: অস্কার)

জন ল্যান্ডাউকে ভাবা হতো জেমস ক্যামেরনের ডান হাত। তাদের যৌথ প্রয়াস ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) বিশ্বব্যাপী প্রথম ১০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যবসা করে। এটি সেরা সিনেমাসহ মোট ১১টি শাখায় অস্কার জিতেছে। প্রযোজক হিসেবে জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাউ অস্কার পান। সেরা পরিচালক হিসেবেও অস্কার জিতেছেন জেমস ক্যামেরন। তাদের আরেক স্বপ্নের প্রকল্প ‘অ্যাভাটার’ মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। ২০২২ সালে বড় পর্দায় এসেছে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ‘টাইটানিক’-এর ব্যবসার রেকর্ড ভেঙেছে এগুলো।

জেমস ক্যামেরনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইটস্টর্ম এন্টারটেইনমেন্টের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার মৃত্যুর খবর জেনে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘একজন অসাধারণ প্রযোজক ও একজন চমৎকার মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। জন ল্যান্ডাউ সিনেমার স্বপ্নে বাঁচতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সিনেমাই হলো মানব শিল্পের চূড়ান্ত রূপ এবং সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রথমে মানুষের মতো মানুষ হওয়া চাই। বিশাল উদার মন ও দারুণ কিছু সিনেমার জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন। একজন বন্ধু ও ৩১ বছরের সহযাত্রীকে হারালাম আমি। মনে হচ্ছে আমার একটি অংশ ছিড়ে গেছে।’

জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অভিনেত্রী জোয়ি স্যালডানা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘সত্যিই বিমর্ষ লাগছে। আপনার বিজ্ঞতা ও আনুকূল্য আমাদের অনেককে এমনভাবে গড়ে দিয়েছে যেগুলোর জন্য আমরা সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবো।’

পরিচালক পিটার জ্যাকসন ও তার স্ত্রী চিত্রনাট্যকার ফ্র্যান ওয়ালশের ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাগুলোতে ব্যবহার হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জন ল্যান্ডাউকে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত। তিনি যেসব প্রকল্পে কাজ করেছেন সেগুলোতে অতুলনীয় আবেগ ঢেলে দিয়েছেন। তার প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।’

হলিউডের দুই প্রযোজক ইলি ও ইডি ল্যান্ডাউয়ের ছেলে জন ল্যান্ডাউ। ১৯৬০ সালের ২৩ জুলাই নিউইয়র্কে জন্ম হয় তার। সত্তর দশকে পরিবারটি লস অ্যাঞ্জেলেসে বসতি গড়ে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম স্কুলে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

আশির দশকে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন জন ল্যান্ডাউ। মাত্র ২৯ বছর বয়সে প্রযোজনা সংস্থা টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের নির্বাহী সহ-সভাপতি হন তিনি। তার তত্ত্বাবধানেই নির্মিত হয়েছে ‘ডাই হার্ড টু’, ‘পাওয়ার রেঞ্জার্স’, ‘দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকানস’, ‘হোম অ্যালোন’, ‘মিসেস ডাউটফায়ার’। ১৯৯৪ সালে জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ‘ট্রু লাইস’ পরিবেশনা করেছে টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স। সেই সূত্রে তার সঙ্গে জন ল্যান্ডাউয়ের বোঝাপড়া তৈরি হয়। স্টিভেন সোডারবার্গের ‘সোলারিস’ (২০০২) ও রবার্ট রড্রিগেজের  ‘অ্যালিটা: ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেন তারা।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

দ্রুততম সময়ে ১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা আয়ের রেকর্ড গড়লো ‘ইনসাইড আউট টু’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

পিক্সারের ‘ইনসাইড আউট টু’ মুক্তির তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি ডলার (১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা) আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দ্রুততম সময়ে এই স্তরে পৌঁছানো প্রথম অ্যানিমেটেড সিনেমা এটাই। পিক্সারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি তথ্যটি জানিয়েছে।

২০২৪ সালে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে ‘ইনসাইড আউট টু’। চলতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের অভিজাত ক্লাবে ঢুকতে পেরেছে কেবল এটাই।

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

‘ইনসাইড আউট টু’ হলো ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাইড আউট’ সিনেমার সিক্যুয়েল। একটি অল্পবয়সী মেয়ের মনোজগত তুলে ধরা হয় এতে। এটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৮৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (১০ হাজার ৬৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা)।

ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ জুন উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পায় ‘ইনসাইড আউট টু’। ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটির বাজেট ২০ কোটি ডলার।

নতুন সিনেমায় রাইলি নামের মেয়েটি কিশোরী হয়ে উঠেছে। গল্পে উদ্বেগ ও হিংসাসহ নিজের নতুন আবেগের সঙ্গে সংগ্রাম করে সে। এবারের কিস্তি পরিচালনা করেছেন কেলসি মান। এটাই তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। নতুন গল্পটি মেগ লেফভকে নিয়ে লিখেছেন তিনি।

অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আগের পর্বে কাজ করা অ্যামি পোলার, ফিলিস স্মিথ, লুইস ব্ল্যাক, ডায়ান লেন ও কাইল ম্যাকলকল্যান নতুন সিনেমাতে ফিরেছেন। নতুন যুক্ত হয়েছেন মায়া হোক, আয়ো এডেবিরি, আদেল এক্সারকোপুলোস, গ্রেস লু, টনি হেল, কেনজিংটন টলম্যান, লিলিমার, লাইজা লাপিরা, সুমাইয়া নুরিদ্দীন-গ্রিন, পল ওয়াল্টার হাউজার।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে একই দিনে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

হলিউডের অ্যানিমেটেড কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘ডেসপিকেবল মি’ সারাবিশ্বে ছোট-বড় সব বয়সী দর্শকের প্রিয়। গত ১৪ বছরে সিক্যুয়েল ও প্রিক্যুয়েল মিলিয়ে এর ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এবার বড় পর্দায় আসছে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’। ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় আজ (৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে এটি।

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ মূলত ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডেসপিকেবল মি থ্রি’র সিক্যুয়েল। এবারও প্রধান চরিত্র গ্রু হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন আমেরিকান তারকা স্টিভ ক্যারেল। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে আছেন ক্রিস্টেন উইগ, উইল ফেরেল, সোফিয়া ভারজারা, জোয়ি কিং, স্টিফেন কোলবার্ট, মিরান্ডা কসগ্রোভ, স্টিভ কুগ্যান, ক্লোয়ি ফাইনম্যান, পিয়ের কফিন।

আড়াই কোটি ডলার বাজেটে নতুন সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আমেরিকান নির্মাতা ক্রিস রেনো। তিনি ও পিয়ের কফিন প্রথম দুটি পর্বের পরিচালক ছিলেন। তৃতীয় কিস্তি পরিচালনা করেন পিয়ের কফিন ও কাইল ব্যাল্ডা। নতুন পর্বের দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট।

এবারের গল্পে দেখা যাবে, গ্রু, লুসি, মার্গো, এডিথ ও আনিয়েস নিজেদের পরিবারে স্বাগত জানায় নতুন সদস্য গ্রু জুনিয়রকে। সে সারাক্ষণ বাবাকে জ্বালাতন করে। এদিকে গ্রু’র নতুন শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয় ম্যাক্সিম লে ম্যাল ও তার প্রেমিকা ভ্যালেন্টিনা। নিজেকে তেলাপোকার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে সাজায় ম্যাক্সিম। তাদের কারণে গ্রু’র পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায় অ্যান্টি-ভিলেন লিগ (এভিএল) এজেন্টরা। গ্রু জুনিয়রকে অপহরণ করে উড়ন্ত তেলাপোকা জাহাজে আটকে রাখে ম্যাক্সিম।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ