Connect with us

গান বাজনা

‘হোক কলরব’ গানের গীতিকবি রাজীব আশরাফ মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

রাজীব আশরাফ (ছবি: ফেসবুক)

গীতিকবি রাজীব আশরাফ আর নেই। আজ (১ সেপ্টেম্বর) সকালে মারা গেছেন তিনি। অনন্তকালের জন্য নীরব হয়ে গেলেন এই তরুণ প্রাণ।

দীর্ঘদিন ধরে বক্ষব্যাধি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন রাজীব আশরাফ। গতকাল (৩১ আগস্ট) রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজীব আশরাফ (ছবি: ফেসবুক)

রাজীব আশরাফের অকাল মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে বিরাজ করছে বিষাদ। গায়ক, গায়িকা ও সংগীতশিল্পীদের পাশাপাশি গভীর শোক জানিয়েছে গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ।

আজ আসরের পর মিরপুর-১২ নান্নু মার্কেট সংলগ্ন বাইতুল এথেরাম মসজিদে রাজীব আশরাফের জানাজা হবে। মিরপুর-১১ নম্বর জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হবে।

অর্ণবের সেলফিতে রাজীব আশরাফ (ছবি: ফেসবুক)

সংগীতশিল্পী অর্ণবের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান লিখেছেন রাজীব আশরাফ। ‘হোক কলরব’, ‘নাম ছিল না’, ‘প্রকৃত জল’, ‘ঘুম’, ‘ধূসর মেঘ’, ‘রোদ বলেছে হবে’, ‘প্রতিধ্বনি’, ‘একটা মেয়ে’, ‘মন খারাপের একটা বিকেল’সহ বেশ কিছু গান সফল গান উপহার দিয়েছে এই জুটি। রেদওয়ান রনির ‘আইসক্রিম’ সিনেমায় তার লেখা ‘বোকা চাঁদ’ গেয়েছেন অর্ণব।

রাজীব আশরাফ (ছবি: ফেসবুক)

২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা তদন্ত নিয়ে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি চালায় পুলিশ। এর প্রতিবাদে ‘হোক কলরব’ স্লোগান তুলে আন্দোলনে শামিল হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রছাত্রীরা। সেই আন্দোলন গোটা ভারতের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। রাজীব আশরাফের গানের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষার্থীরা সেই কর্মসূচির নাম রাখেন ‘হোক কলরব’।

রাজীব আশরাফের লেখা ‘ধরেছি রহস্যাবৃত মহাকাল’ কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ এঁকেছেন অর্ণব। তিনি সংগীতশিল্পীর পাশাপাশি চিত্রশিল্পী হিসেবেও পরিচিত।

অর্ণবের আঁকা রাজীব আশরাফের কাব্যগ্রন্থ ‘ধরেছি রহস্যাবৃত মহাকাল’-এর প্রচ্ছদ (ছবি: ফেসবুক)

মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল প্রযোজিত বেশিরভাগ টেলিছবিতে গান লিখেছেন রাজীব আশরাফ। সেগুলো হলো ‘জলকণা উড়ে যায়’ (ভালোবাসি তাই), ‘ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই’ (ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই), ‘এই আমার শহর’ (অ্যাট-এইটিন অলটাইম দৌড়ের ওপর), ‘যাযাবর পাখনা’ (মাংকি বিজনেস), ‘এই যাত্রার শেষ কোথায় অজানা’ (ইউ-টার্ন) প্রভৃতি।

রাজীব আশরাফ (ছবি: ফেসবুক)

এছাড়া আরাফাত মহসিন পরিচালিত ‘জোনাক পোকা’ টেলিছবিতে ‘নিঝুম রাতের তারা’, আদনান আল রাজীবের ‘মিডেল ক্লাস সেন্টিমেন্ট’ নাটকে ‘প্রহর’, ওল্ড স্কুলের মোবাশ্বের চৌধুরীর সুর-সংগীতে তারিনের কণ্ঠে ‘কালো মখমল’ নাটকের গান রাজীব আশরাফের লেখা। এর আগে হাবিবের সুর-সংগীতে চ্যানেল ওয়ানের থিম সং ‘সম্ভাবনার দুয়ার’সহ বাংলালিংক, মোজো, সেভেন আপসহ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেল লিখেছেন তিনি।

রাজীব আশরাফ (ছবি: ফেসবুক)

গান লেখার পাশাপাশি রাজীব আশরাফ বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশ গেমসের জন্য বানিয়েছেন তথ্যচিত্র। শুধু লেখা বা নির্মাণই নয়, রাজীব আশরাফ অভিনয় করেছেন নাটক-টেলিফিল্মে। এর মধ্যে আছে আশুতোষ সুজনের ‘টিনের তলোয়ার’, অমিতাভ রেজার রচনা ও আবিদ মল্লিক পরিচালিত ‘কিশোর ছবি আঁকতে পারে’, মনোয়ার কবিরের রচনা ও অনিমেষ আইচের ‘হলুদ’, নূরুল আলম আতিকের ‘মজিদের টেলিভিশন’, অমিতাভ রেজার পরিচালনায় ‘একটা ফোন করা যাবে প্লিজ’ প্রভৃতি।

পড়া চালিয়ে যান
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গান বাজনা

সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাফিন আহমেদ (জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১; মৃত্যু: ২৫ জুলাই, ২০২৪)

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই। বাংলাদেশ সময় আজ (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে মারা গেছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একটি হাসপাতালে গত দু’দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এই তারকা। 

ভার্জিনিয়াতেই একটি কনসার্টে অংশ নিতে গিয়েছিলেন শাফিন। গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠান শুরুর আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে এখন শোকের ছায়া। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত। পরে নাম বদলে রাখা হয় শাফিন আহমেদ। শৈশবে বাবা সংগীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্তের কাছে উচ্চাঙ্গ আর মা কিংবদন্তি নজরুলসংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন শাফিন।

বড় ভাই হামিন আহমেদসহ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার পর দেশে ফিরে শাফিন গড়ে তোলেন মাইলস ব্যান্ড। গান গাওয়ার পাশাপাশি ব্যান্ডে বেজ গিটার বাজাতেন শাফিন। হামিন আহমেদের সঙ্গে বিবাদের জেরে মাইলস থেকে একাধিকবার বেরিয়ে আলাদাভাবে গান করেছেন তিনি। হামিন ও শাফিনের আরেক ভাই মোহাম্মদ তাহসিন।

শাফিন আহমেদের কণ্ঠে জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও আমারই প্রেম’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘পলাশীর প্রান্তর’ প্রভৃতি।

শাফিন আহমেদের স্মৃতিকথা নিয়ে ‘পথিকার’ নামের একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এটি লিখেছেন সাজ্জাদ হুসাইন।

গানের বাইরে টেলিভিশনের জন্য দুটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন শাফিন আহমেদ। এছাড়া রাজনীতিতে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়ে আলোচনা সৃষ্টি করেন তিনি।

পড়া চালিয়ে যান

গান বাজনা

ইউটিউবের গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে ‘লাগে উরাধুরা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী (ছবি: এসভিএফ)

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার গান ‘লাগে উরাধুরা’ জায়গা করে নিয়েছে ইউটিউবের গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো গান এই তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে ঢুকলো। এছাড়া গ্লোবাল টপ মিউজিক ভিডিও চার্টের ৬২ নম্বরে রয়েছে এটি।

‘তুফান’ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী গতকাল (১২ জুলাই) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘লাগে উরাধুরা’ গানটি গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। ইউটিউব গ্লোবাল উইকলি (২৮ জুন থেকে ৪ জুলাই) টপ সংস চার্ট প্রকাশ করলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইউটিউবের গ্লোবাল উইকলি টপ সংস চার্ট

গত ২৭ মে ইউটিউবে চরকির চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয় ‘লাগে উরাধুরা’। এখন পর্যন্ত এর ভিউ ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি। গানটি গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। এটি লিখেছেন শরিফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদ। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান ও প্রয়াত মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে প্রীতম হাসান, মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান (ছবি: এসভিএফ)

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খানের সঙ্গে কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তীর রসায়ন দেখা গেছে। এছাড়া সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান হাজির হয়েছেন শেষাংশে। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ভারতের আদিল শেখ। পোশাক পরিকল্পনায় ফারজানা সান, শিল্প নির্দেশনায় শিহাব নুরুন নবী, চিত্রগ্রহণে তাহসিন রহমান।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান (ছবি: এসভিএফ)

সিনেমাটির সব গানই সাড়া ফেলেছে। আকাশ সেনের কথা, সুর ও সংগীতে ‘দুষ্টু কোকিল’ গেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আরিফ রহমান জয়। এতে র‍্যাপ করেছেন রাপাস্তা দাদু। এর কথা লিখেছেন তাহসান শুভ, সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী (ছবি: এসভিএফ)

‘তুফান’ প্রযোজনা করেছেন প্রযোজক আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল। এর আন্তর্জাতিক পরিবেশক এসভিএফ, ডিজিটাল পার্টনার চরকি।

পড়া চালিয়ে যান

গান বাজনা

রুনা লায়লা ৬০ নটআউট!

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ হলো। গান রেকর্ডিংয়ের হিসাবে আজ (২৪ জুন) এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন এই মহাতারকা।

রুনা লায়লার সংগীতজীবনের ছয় দশক পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে ঢাকার তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের ছাদবারান্দায়। এখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘রুনা লায়লা: সংগীত জীবনের ৬০ বছর।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের দোয়া, আশীর্বাদ ও ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এই ভালোবাসা, আশীর্বাদ শ্রদ্ধা যেন চিরকাল আমার সঙ্গে থাকে।’

নিজের সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে শাইখ সিরাজের সঙ্গে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

অনুষ্ঠানে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য তো বটেই, গোটা উপমহাদেশের সংগীতপিপাসু সকলের জন্যই আনন্দের একটি দিন। রুনা লায়লা উপমহাদেশের সংগীতকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, বাঙালি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।’

বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা আলমগীরের আজ একটি বিশেষ দিন। ১৯৭২ সালের ২৪ জুন সর্বপ্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি।

নিজের সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে আলমগীরের সঙ্গে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের তারকারা। সনু নিগাম বলেন, ‘আপনি দারুণ গুণী শিল্পী ও সুন্দর। আপনার ব্যবহার ভালো। আপনার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। যখন থেকে আমার চোখ খুলেছে, তখন থেকে আপনাকে শুনছি। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। পৃথিবী আপনাকে ভালোবাসে, আমি আপনাকে ভালোবাসি।’

পাকিস্তানের অভিনেতা ইমরান আব্বাস শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনি বাকি জীবন গাইতে থাকুন, পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করুন। পাকিস্তান থেকে ভালোবাসা জানাই।’

অনুষ্ঠানের শেষে রুনা লায়লার কালজয়ী গান ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’ গেয়ে শোনান গায়িকা সোমনূর মনির কোনাল। এছাড়া গান গেয়েছেন ইমরান মাহমুদুল, ঝিলিক, লুইপা, অনিমা মুক্তি, অনন্যা।

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

১৯৬৪ সালের ২৪ জুন মাত্র ১২ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ সিনেমার ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া’ গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাগতভাবে প্লেব্যাকে মনোনিবেশ করেন রুনা লায়লা। গানটি লিখেছেন তিসনা মেরুতি, সুর করেন মানজুর। এরপর পাকিস্তানের বহু সিনেমার জন্য গেয়েছেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের আগেই ১৯৭০ সালের ২৯ মে মুক্তিপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’র মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশের সিনেমায় প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। এতে তার গাওয়া ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। এটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুর করেন সুবল দাস। গানটির সঙ্গে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছেন চিত্রনায়িকা ববিতা। প্রথম প্লেব্যাকেই ব্যাপক সাড়া ফেলে দেওয়ায় বাংলাদেশের সিনেমার গানে তার কণ্ঠের কদর বেড়ে যায়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে তিনি একে একে বহু সিনেমায় প্লেব্যাক করে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন।

রুনা লায়লা

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

বাংলা ভাষায় রুনা লায়লার বহু আধুনিক জনপ্রিয় গান রয়েছে। তিনি ‘দি রেইন’, ‘জাদুর বাঁশি’, ‘অ্যাক্সিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ ও ‘তুমি আসবে বলে’ সিনেমায় প্লেব্যাকের জন্য সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ