Connect with us

গান বাজনা

৫০ বছরে সোলস, আসছে নতুন লোগো

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সোলস ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ (ছবি: ফেসবুক)

স্বাধীনতার পরের বছর ১৯৭২ সালে চট্টগ্রামের কয়েকজন গানপাগল তরুণ রকসংগীতে নতুন কিছু করার স্পৃহা থেকে ‘সুরেলা’ নামে ব্যান্ড গঠন করেন। এর সদস্যরা ছিলেন তাজুল ইমাম (কণ্ঠ), সাজেদুল আলম ও মমতাজুল হক লুলু (গিটার), সুব্রত বড়ুয়া রনি (বেজ গিটার) এবং আহমেদ নেওয়াজ (ড্রামস)। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটির নাম পাল্টে ‘সোলস’ রাখা হয়।

২০২৩ সালে এসে সোলস ৫০ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডটির নতুন লোগো উন্মোচন হবে। আগামী ৬ জুন দুপুরে ঢাকার একটি ক্লাবে রয়েছে এই আয়োজন।

সোলস ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ (ছবি: ফেসবুক)

অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকবেন সোলসের বর্তমান লাইনআপের সদস্য নাসিম আলী খান (কণ্ঠ), পার্থ বড়ুয়া (লিড গিটার ও কণ্ঠ), আহসানুর রহমান আশিক (ড্রামস), মীর শাহরিয়ার হোসেন মাসুম (কিবোর্ড) এবং মারুফ হাসান তালুকদার রিয়েল (বেজ গিটার)।

সোলসের দলনেতা পার্থ বড়ুয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দীর্ঘ পথচলায় আমরা সবার কাছ থেকে সবসময় সব ধরনের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি।’

নব্বই দশকে সোলস ব্যান্ডের সদস্যরা (ছবি: ফেসবুক)

সোলসের ইতিহাস
চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত সোলস পাঁচ দশকে বেশকিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে শ্রোতাদের। আশির দশককে সোলসের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তখন ব্যান্ডের লাইনআপে আরো ছিলেন নকীব খান, পিলু খান, তপন চৌধুরী, আইয়ুব বাচ্চু, নাসিম আলী খান। ১৯৮২ সালে সোলসে যোগ দেন আইয়ুব বাচ্চু।

১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয় সোলসের প্রথম অ্যালবাম ‘সুপার সোলস’। এটাই ছিলো বাংলাদেশে কোনো ব্যান্ডের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম। অ্যালবামটির ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ লিখেছেন আবদুল্লাহ আল মামুন, সুর করেছেন নকীব খান। একই অ্যালবামের ‘মুখরিত জীবন’ ও ‘ভুলে গেছো তুমি’ গান দুটিও আজো শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে।

সোলসের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘কলেজের করিডোরে’ বাজারে আসে ১৯৮২ সালে। এর ‘কলেজের করিডোরে’, ‘ফরেস্ট হিলের এক দুপুরে’, ‘ফুটবল ফুটবল’ গান তিনটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।

সোলস ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ (ছবি: ফেসবুক)

১৯৮৬ সালে ‘মানুষ মাটির কাছাকাছি’ নামে ব্যান্ডের তৃতীয় অ্যালবাম বের হয়। এতে থাকা ‘এই তো এখানে বৃষ্টি ভেজা’, ‘একঝাঁক পাখি’ ও ‘আমি মুঠোর ভিতর পদ্য নিয়ে’ গান তিনটি শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।

‘ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট’ নামে সোলস চতুর্থ অ্যালবাম বের করে ১৯৮৮ সালে। এতে রয়েছে ছয়টি করে বাংলা ও ইংরেজি গান। সেই বছর আইয়ুব বাচ্চুর হাত ধরে সোলসে আগমন ঘটে পার্থ বড়ুয়ার।

১৯৯২ সালে ব্যান্ডের ২০ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত হয় পঞ্চম অ্যালবাম ‘এ এমন পরিচয়’। এটি ছিলো সোলসে তপন চৌধুরীর শেষ কাজ।

১৯৯৫ সালে সোলস বের করে ষষ্ঠ অ্যালবাম ‘আজ দিন কাটুক গানে’। এতে থাকা ‘কেন এই নিঃসঙ্গতা’ সোলসের অন্যতম জনপ্রিয় গান। এর সুবাদে শ্রোতাদের মন জয় করেন পার্থ বড়ুয়া। একই অ্যালবামে নাসিম আলীর গাওয়া ‘ব্যস্ততা’ ও ‘চায়ের কাপে’ গান দুটিও জনপ্রিয়তা পায়।

‘অসময়ের গান’ অ্যালবামের ক্যাসেট কাভার (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৭ সালে সোলসের সপ্তম অ্যালবাম ‘অসময়ের গান’ প্রকাশিত হয়। ‘আমি আর ভাববো না’, ‘ওই দূরে নীল’ এবং ‘অসময়ের গান’ বেশ জনপ্রিয় হয়।

নিজেদের ও অন্যদের পুরনো এবং নতুন গান মিলিয়ে ২০০০ সালে বের হয় সোলসের অষ্টম অ্যালবাম ‘মুখরিত জীবন’। এতে থাকা ‘সারাদিন তোমায় ভেবে’, ‘বাঁশি শুনে আর’ ও ‘মুখরিত জীবন’ বেশ জনপ্রিয়।

‘মুখরিত জীবন’ অ্যালবামের ক্যাসেট কাভার (ছবি: ফেসবুক)

২০০৩ ও ২০০৪ সালে বাজারে আসে সোলসের নবম ও দশম অ্যালবাম ‘তারার উঠোনে’ ও ‘টু-লেট’। ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয় ১১তম অ্যালবাম ‘ঝুট ঝামেলা’। একই বছর ‘কিংবদন্তি’ অ্যালবামে দলছুট ও সঞ্জীব চৌধুরীর পাশাপাশি গান করেছে সোলস।

সোলসের ১২তম অ্যালবাম ‘জ্যাম’ বের হয়েছে ২০১১ সালে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ‘বন্ধু’ অ্যালবামটি প্রকাশ করে এই ব্যান্ড।

গান বাজনা

সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাফিন আহমেদ (জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১; মৃত্যু: ২৫ জুলাই, ২০২৪)

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই। বাংলাদেশ সময় আজ (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে মারা গেছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একটি হাসপাতালে গত দু’দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এই তারকা। 

ভার্জিনিয়াতেই একটি কনসার্টে অংশ নিতে গিয়েছিলেন শাফিন। গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠান শুরুর আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে এখন শোকের ছায়া। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত। পরে নাম বদলে রাখা হয় শাফিন আহমেদ। শৈশবে বাবা সংগীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্তের কাছে উচ্চাঙ্গ আর মা কিংবদন্তি নজরুলসংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন শাফিন।

বড় ভাই হামিন আহমেদসহ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার পর দেশে ফিরে শাফিন গড়ে তোলেন মাইলস ব্যান্ড। গান গাওয়ার পাশাপাশি ব্যান্ডে বেজ গিটার বাজাতেন শাফিন। হামিন আহমেদের সঙ্গে বিবাদের জেরে মাইলস থেকে একাধিকবার বেরিয়ে আলাদাভাবে গান করেছেন তিনি। হামিন ও শাফিনের আরেক ভাই মোহাম্মদ তাহসিন।

শাফিন আহমেদের কণ্ঠে জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও আমারই প্রেম’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘পলাশীর প্রান্তর’ প্রভৃতি।

শাফিন আহমেদের স্মৃতিকথা নিয়ে ‘পথিকার’ নামের একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এটি লিখেছেন সাজ্জাদ হুসাইন।

গানের বাইরে টেলিভিশনের জন্য দুটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন শাফিন আহমেদ। এছাড়া রাজনীতিতে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়ে আলোচনা সৃষ্টি করেন তিনি।

পড়া চালিয়ে যান

গান বাজনা

ইউটিউবের গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে ‘লাগে উরাধুরা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী (ছবি: এসভিএফ)

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার গান ‘লাগে উরাধুরা’ জায়গা করে নিয়েছে ইউটিউবের গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো গান এই তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে ঢুকলো। এছাড়া গ্লোবাল টপ মিউজিক ভিডিও চার্টের ৬২ নম্বরে রয়েছে এটি।

‘তুফান’ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী গতকাল (১২ জুলাই) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘লাগে উরাধুরা’ গানটি গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। ইউটিউব গ্লোবাল উইকলি (২৮ জুন থেকে ৪ জুলাই) টপ সংস চার্ট প্রকাশ করলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইউটিউবের গ্লোবাল উইকলি টপ সংস চার্ট

গত ২৭ মে ইউটিউবে চরকির চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয় ‘লাগে উরাধুরা’। এখন পর্যন্ত এর ভিউ ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি। গানটি গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। এটি লিখেছেন শরিফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদ। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান ও প্রয়াত মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে প্রীতম হাসান, মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান (ছবি: এসভিএফ)

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খানের সঙ্গে কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তীর রসায়ন দেখা গেছে। এছাড়া সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান হাজির হয়েছেন শেষাংশে। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ভারতের আদিল শেখ। পোশাক পরিকল্পনায় ফারজানা সান, শিল্প নির্দেশনায় শিহাব নুরুন নবী, চিত্রগ্রহণে তাহসিন রহমান।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান (ছবি: এসভিএফ)

সিনেমাটির সব গানই সাড়া ফেলেছে। আকাশ সেনের কথা, সুর ও সংগীতে ‘দুষ্টু কোকিল’ গেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আরিফ রহমান জয়। এতে র‍্যাপ করেছেন রাপাস্তা দাদু। এর কথা লিখেছেন তাহসান শুভ, সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী (ছবি: এসভিএফ)

‘তুফান’ প্রযোজনা করেছেন প্রযোজক আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল। এর আন্তর্জাতিক পরিবেশক এসভিএফ, ডিজিটাল পার্টনার চরকি।

পড়া চালিয়ে যান

গান বাজনা

রুনা লায়লা ৬০ নটআউট!

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ হলো। গান রেকর্ডিংয়ের হিসাবে আজ (২৪ জুন) এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন এই মহাতারকা।

রুনা লায়লার সংগীতজীবনের ছয় দশক পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে ঢাকার তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের ছাদবারান্দায়। এখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘রুনা লায়লা: সংগীত জীবনের ৬০ বছর।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের দোয়া, আশীর্বাদ ও ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এই ভালোবাসা, আশীর্বাদ শ্রদ্ধা যেন চিরকাল আমার সঙ্গে থাকে।’

নিজের সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে শাইখ সিরাজের সঙ্গে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

অনুষ্ঠানে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য তো বটেই, গোটা উপমহাদেশের সংগীতপিপাসু সকলের জন্যই আনন্দের একটি দিন। রুনা লায়লা উপমহাদেশের সংগীতকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, বাঙালি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।’

বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা আলমগীরের আজ একটি বিশেষ দিন। ১৯৭২ সালের ২৪ জুন সর্বপ্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি।

নিজের সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে আলমগীরের সঙ্গে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের তারকারা। সনু নিগাম বলেন, ‘আপনি দারুণ গুণী শিল্পী ও সুন্দর। আপনার ব্যবহার ভালো। আপনার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। যখন থেকে আমার চোখ খুলেছে, তখন থেকে আপনাকে শুনছি। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। পৃথিবী আপনাকে ভালোবাসে, আমি আপনাকে ভালোবাসি।’

পাকিস্তানের অভিনেতা ইমরান আব্বাস শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনি বাকি জীবন গাইতে থাকুন, পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করুন। পাকিস্তান থেকে ভালোবাসা জানাই।’

অনুষ্ঠানের শেষে রুনা লায়লার কালজয়ী গান ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’ গেয়ে শোনান গায়িকা সোমনূর মনির কোনাল। এছাড়া গান গেয়েছেন ইমরান মাহমুদুল, ঝিলিক, লুইপা, অনিমা মুক্তি, অনন্যা।

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

১৯৬৪ সালের ২৪ জুন মাত্র ১২ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ সিনেমার ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া’ গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাগতভাবে প্লেব্যাকে মনোনিবেশ করেন রুনা লায়লা। গানটি লিখেছেন তিসনা মেরুতি, সুর করেন মানজুর। এরপর পাকিস্তানের বহু সিনেমার জন্য গেয়েছেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের আগেই ১৯৭০ সালের ২৯ মে মুক্তিপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’র মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশের সিনেমায় প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। এতে তার গাওয়া ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। এটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুর করেন সুবল দাস। গানটির সঙ্গে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছেন চিত্রনায়িকা ববিতা। প্রথম প্লেব্যাকেই ব্যাপক সাড়া ফেলে দেওয়ায় বাংলাদেশের সিনেমার গানে তার কণ্ঠের কদর বেড়ে যায়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে তিনি একে একে বহু সিনেমায় প্লেব্যাক করে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন।

রুনা লায়লা

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

বাংলা ভাষায় রুনা লায়লার বহু আধুনিক জনপ্রিয় গান রয়েছে। তিনি ‘দি রেইন’, ‘জাদুর বাঁশি’, ‘অ্যাক্সিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ ও ‘তুমি আসবে বলে’ সিনেমায় প্লেব্যাকের জন্য সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ