Connect with us

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

৮১তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসে সর্বোচ্চ মনোনয়ন ‘বার্বি’র

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘বার্বি’ তারকা মার্গো রবি (ছবি: ওয়ার্নার ব্রাদার্স)

গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের ৮১তম আসরে সর্বোচ্চ ৯টি শাখায় মনোনীত হলো গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত ‘বার্বি’। দ্বিতীয় সর্বাধিক ৮টি মনোনয়ন পেয়েছে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’। মার্টিন স্করসেসির ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ ও ইয়োর্গস লানতিমোসের ‘পুয়োর থিংস’ সিনেমার ঘরে এসেছে ৭টি করে মনোনয়ন।

গত ১১ ডিসেম্বর মনোনীত তালিকা ঘোষণা করেন আমেরিকান অভিনেতা সেড্রিক দ্য এন্টারটেইনার ও উইলমার ভালদেরামা। বিভিন্ন দেশের সিনেমার পাশাপাশি ২০২৩ সালের আমেরিকান টেলিভিশন চ্যানেলের সেরা কাজগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। ছোট পর্দার শাখাগুলোতে সর্বোচ্চ ৯টি মনোনয়ন পেয়েছে ‘সাকসেশন’।

এবারই প্রথম প্রতিটি বিভাগে পাঁচটির পরিবর্তে মনোনীত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়। এছাড়া রয়েছে নতুন দুটি শাখা। এগুলো হলো ‘সিনেম্যাটিক অ্যান্ড বক্স অফিস অ্যাচিভমেন্ট’ এবং ‘সেরা স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান’।

গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস

চলতি বছরের জুনে হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (এইচএফপিএ) কাছ থেকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের পুরো নিয়ন্ত্রণ কিনে নেয় ডিক ক্লার্ক প্রোডাকশন্স ও এলড্রিজ ইন্ডাস্ট্রিজ। এবার অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে সিবিএস নেটওয়ার্ক। ১৯৮২ সাল থেকে এনবিসি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে এই আয়োজন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বেভারলি হিলসের দ্য বেভারলি হিলটন হোটেলে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হবে।

‘বার্বি’র দৃশ্যে মার্গো রবি (ছবি: ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স)

৮১তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের পুরো মনোনয়ন তালিকা
সেরা সিনেমা (ড্রামা)
অ্যানাটমি অব অ্যা ফল, কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন, মায়েস্ত্রো, ওপেনহাইমার, পাস্ট লাইভস, দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট

সেরা সিনেমা (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
এয়ার, আমেরিকান ফিকশন, বার্বি, দ্য হোল্ডওভারস, মে ডিসেম্বর, পুয়োর থিংস

সেরা অভিনেতা (ড্রামা)
ব্র্যাডলি কুপার (মায়েস্ত্রো), লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও (কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন), কোলম্যান ডমিঙ্গো (রাস্টিন), ব্যারি কিওগ্যান (সল্টবার্ন), কিলিয়ান মারফি (ওপেনহাইমার), অ্যান্ড্রু স্কট (অল অব আস স্ট্রেঞ্জার্স)

সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা)
অ্যানেট বেনিং (নায়াড), লিলি গ্ল্যাডস্টোন (কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন), সান্ড্রা হুলার (অ্যানাটমি অব অ্যা ফল), গ্রেটা লি (পাস্ট লাইভস), ক্যারি মালিগ্যান (মায়েস্ত্রো), কেইলি স্পেনি (প্রিসিলা)

সেরা অভিনেতা (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
নিকোলাস কেজ (ড্রিম সিনারিও), টিমোথি শালামে (ওঙ্কা), ম্যাট ডেমন (এয়ার), পল জিয়ামাত্তি (দ্য হোল্ডওভারস,), ওয়াকিন ফিনিক্স (বো ইজ অ্যাফরেইড), জেফ্রি রাইট (আমেরিকান ফিকশন)

সেরা অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
ফ্যান্টাসিয়া বারিনো (দ্য কালার পারপল), জেনিফার লরেন্স (নো হার্ড ফিলিংস), নাটালি পোর্টম্যান (মে ডিসেম্বর), আলমা পয়েস্তি (ফলেন লিভস), মার্গো রোবি (বার্বি), এমা স্টোন (পুয়োর থিংস)

সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা
উইলেম ড্যাফো (পুয়োর থিংস), রবার্ট ডি নিরো (কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন), রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (ওপেনহাইমার), রায়ান গসলিং (বার্বি), চার্লস মেল্টন (মে ডিসেম্বর), মার্ক রাফেলো (পুয়োর থিংস)

সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী
এমিলি ব্লান্ট (ওপেনহাইমার), ড্যানিয়েল ব্রুকস (দ্য কালার পারপল), জোডি ফস্টার (নায়াড), জুলিয়ান মুর (মে ডিসেম্বর), রোসামুন্ড পাইক (সল্টবার্ন), ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ (দ্য হোল্ডওভারস)

সেরা পরিচালক
ব্র্যাডলি কুপার (মায়েস্ত্রো), গ্রেটা গারউইগ (বার্বি), ইয়োর্গস লানতিমোস (পুয়োর থিংস), ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার), মার্টিন স্করসেসি (কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন), সেলিন সং (পাস্ট লাইভস)

সেরা চিত্রনাট্য
বার্বি (গ্রেটা গারউইগ, নোয়া বাউমবাখ), পুয়োর থিংস (টনি ম্যাকনামারা), ওপেনহাইমার (ক্রিস্টোফার নোলান), কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন (এরিক রোথ, মার্টিন স্করসেসি), সেলিন সং (পাস্ট লাইভস), অ্যানাটমি অব অ্যা ফল (জাস্টিন ত্রিয়েত, আর্থার হারারি)

সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা
দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (তোহো), এলেমেন্টাল (ডিজনি), স্পাইডার-ম্যান: অ্যাক্রস দ্য স্পাইডার-ভার্স (সনি পিকচার্স অ্যানিমেশন), দ্য সুপার মারিও ব্রোস. মুভি (ইউনিভার্সেল পিকচার্স), সুজুমে (তোহো), উইশ (ডিজনি)

সেরা বিদেশি ভাষার সিনেমা
অ্যানাটমি অব অ্যা ফল (ফ্রান্স), ফলেন লিভস (ফিনল্যান্ড), ইও ক্যাপিতানো (ইতালি), পাস্ট লাইভস (যুক্তরাষ্ট্র), সোসাইটি অব দ্য স্নো (স্পেন), দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (যুক্তরাজ্য/পোল্যান্ড/যুক্তরাষ্ট্র)

সেরা মৌলিক সুর
ইয়ার্সকিন ফেনড্রিক্স (পুয়োর থিংস), লুদবিগ গোরানসন (ওপেনহাইমার), জোয়ি হিসাইশি (দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন), মিকা লেভি (দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট), ড্যানিয়েল পেম্বারটন (স্পাইডার-ম্যান: অ্যাক্রস দ্য স্পাইডার-ভার্স), রবার্ট রবার্টসন (কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন)

সেরা মৌলিক গান
অ্যাডিক্টেড টু রোম্যান্স (শি কেম টু মি; ব্রুস স্প্রিংস্টিন), ড্যান্স দ্য নাইট (বার্বি; দুয়া লিপা, মার্ক রনসন, অ্যান্ড্রু ওয়ায়েট, কারোলিন আইলিন), আই’ম জাস্ট কেন (বার্বি; মার্ক রনসন, অ্যান্ড্রু ওয়ায়েট), পিচেস (দ্য সুপার মারিও ব্রোস. মুভি; জ্যাক ব্ল্যাক, অ্যারন হোরভাথ, মাইকেল জেলেনিক, এরিক ওসমন্ড, জন স্পাইকার), রোড টু ফ্রিডম (রাস্টিন, লেনি ক্রাভিৎজ), হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর? (বার্বি; বিলি আইলিশ, ফিনিয়াস ও’কনেল)

সিনেম্যাটিক বক্স অফিস অ্যাচিভমেন্ট
বার্বি, গার্ডিয়ান্স অব দ্য গ্যালাক্সি ভলিউম.থ্রি, জন উইক: চ্যাপ্টার ফোর, মিশন: ইমপসিবল-ডেড রেকোনিং পার্ট ওয়ান, ওপেনহাইমার, স্পাইডার-ম্যান: অ্যাক্রস দ্য স্পাইডার-ভার্স, দ্য সুপার মারিও ব্রোস. মুভি, টেলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর

টেলিভিশন
সেরা স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান
রিকি জার্ভেজ (রিকি জার্ভেজ: আরমাগেডন), ট্রেভর নোয়া (ট্রেভর নোয়া: হোয়্যার ওয়াজ আই), ক্রিস রক (ক্রিস রক: সিলেক্টিভ আউটরেজ), অ্যামি শুমার (অ্যামি শুমার: ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট), সারাহ সিলভারম্যান (সারাহ সিলভারম্যান: সামওয়ান ইউ লাভ), ওয়ান্ডা সাইকস (ওয়ান্ডা সাইকস: আই’ম অ্যান এন্টারটেইনার)

সেরা টিভি সিরিজ (ড্রামা)
১৯২৩, দ্য ক্রাউন, দ্য ডিপ্লোম্যাট, দ্য লাস্ট অব আস, দ্য মর্নিং শো, সাকসেশন

সেরা অভিনেতা (ড্রামা সিরিজ)
ব্রায়ান কক্স (সাকসেশন), কিয়েরান কালকিন (সাকসেশন), গ্যারি ওল্ডম্যান (স্লো হর্সেস), পেড্রো পাসকাল (দ্য লাস্ট অব আস), জেরেমি স্ট্রং (সাকসেশন), ডমিনিক ওয়েস্ট (দ্য ক্রাউন)

সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা সিরিজ)
হেলেন মিরেন (১৯২৩), বেলা রামজি (দ্য লাস্ট অব আস), কেরি রাসেল (দ্য ডিপ্লোম্যাট), সারাহ স্নুক (সাকসেশন), ইমেল্ডা স্টনটন (দ্য ক্রাউন) এবং এমা স্টোন (দ্য কার্স)

সেরা টিভি সিরিজ (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
অল দ্য লাইট উই ক্যান নট সি, বিফ, ডেইজি জোন্স অ্যান্ড দ্য সিক্স, ফার্গো, ফেলো ট্রাভেলার্স, লেসন্স ইন কেমিস্ট্রি

সেরা অভিনেতা (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
বিল হেডার (ব্যারি), স্টিভ মার্টিন (অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং), মার্টিন শর্ট (অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং),  জেসন সিগেল (শ্রিঙ্কিং), জেসন সুডেকিস (টেড লাসো), জেরেমি অ্যালেন হোয়াইট (দ্য বিয়ার)

সেরা অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি)
র‍্যাচেল ব্রসনাহান (দ্য মার্ভেলাস মিসেস মেইজেল), কিন্টা ব্রানসন (অ্যাবট এলিমেন্টারি), আয়ো এডেবিরি (দ্য বিয়ার), এল ফ্যানিং (দ্য গ্রেট), সেলেনা গোমেজ (অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং), নাতাশা লিয়োন (পোকার ফেস)

সেরা লিমিটেড সিরিজ অথবা টিভি মুভি
ব্ল্যাক বার্ড, দ্য হোয়াইট লোটাস, পাম অ্যান্ড টমি, দ্য ড্রপআউট এবং ডাহার-মনস্টার: দ্য জেফ্রি ডামার স্টোরি।

সেরা অভিনেতা (লিমিটেড সিরিজ, অ্যান্থলজি সিরিজ অথবা টিভি মুভি)
ম্যাট বোমার (ফেলো ট্রাভেলার্স), স্যাম ক্লাফলিন (ডেইজি জোন্স অ্যান্ড দ্য সিক্স), জন হ্যাম (ফার্গো), উডি হ্যারেলসন (হোয়াইট হাউস প্লামার্স), ডেভিড ওয়েলোয়ো (লমেন: বেজ রিভস), স্টিভেন ইয়ুন (বিফ)

সেরা অভিনেত্রী (লিমিটেড সিরিজ, অ্যান্থলজি সিরিজ অথবা টিভি মুভি)
রাইলি কিও (ডেইজি জোন্স অ্যান্ড দ্য সিক্স), ব্রি লারসন (লেসন্স ইন কেমিস্ট্রি), এলিজাবেথ ওলসেন (লাভ অ্যান্ড ডেথ), জুনো টেম্পল (ফার্গো), র‍্যাচেল ভাইস (ডেড রিঙ্গারস), আলি ওঙ (বিফ)

সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা
বিলি ক্রুডাপ (দ্য মর্নিং শো), ম্যাথিউ ম্যাকফ্যাডিয়েন (সাকসেশন), জেমস মার্সডেন (জুরি ডিউটি), এবন মস-বাচরেক (দ্য বিয়ার), অ্যালান রাক (সাকসেশন), আলেকজান্ডার স্কার্সগার্ড (সাকসেশন)

সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী
এলিজাবেথ ডেবিকি (দ্য ক্রাউন), অ্যাবি এলিয়ট (দ্য বিয়ার), ক্রিস্টিনা রিচি (ইয়েলো জ্যাকেটস), জে. স্মিথ-ক্যামেরন (সাকসেশন), মেরিল স্ট্রিপ (অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং), হানা ওয়াডিংহাম (টেড লাসো)

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

টরন্টো উৎসবে নির্বাচিত মেহজাবীনের ‘সাবা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হলো অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর ‘সাবা’। এটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মাকসুদ হোসেন। উৎসবে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে অংশ নেবেন তারা।

‘সাবা’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এর অফিসিয়াল পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের খবর জানান তিনি।

‘সাবা’ সিনেমার শুটিংয়ে মেহজাবীন চৌধুরী ও মাকসুদ হোসেন (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

‘সাবা’ অর্থ সকাল, সকালের মৃদু বাতাস। মেহজাবীনের আশা, “গল্প, চরিত্র, পরিচালকের নির্মাণ, গুণী অভিনয়শিল্পী ও নেপথ্যের মেধাবী কলাকুশলীদের সঙ্গে আমার অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ আমার জীবনে সবসময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে।”

‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মেহজাবীনকে। এতে আরো অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

‘সাবা’ সিনেমার পোস্টারে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহ সংগীতে আম্মান আব্বাসি।

৪৯তম টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। ডিসকভারি প্রোগ্রামের উদ্বোধনী সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নারী দুর্গা চু-বোস পরিচালিত ‘বোজোঁ ত্রিস্তেস’। ফরাসি নাট্যকার-সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া সেগোঁর উপন্যাস অবলম্বনে এতে অভিনয় করেছেন ক্লোয়ি সেভেনিয়ে। এবারের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে ‘সাবা’সহ ২৪টি সিনেমা। এরমধ্যে ২০টির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এবারের উৎসব চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নবাগত ও উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র জায়গা পেয়ে থাকে। ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের তালিকায় আছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো আনিয়েদি, মারেন আদে ও এমা সেলিগম্যান।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

মস্কো উৎসবে স্পেশাল জুরি প্রাইজ পেলো বাংলাদেশের ‘নির্বাণ’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

পুরস্কার হাতে আসিফ ইসলাম (ছবি: ফেসবুক)

মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (এমআইএফএফ) ৪৬তম আসরে স্পেশাল জুরি প্রাইজ পেলো বাংলাদেশের আসিফ ইসলাম পরিচালিত ‘নির্বাণ’। একটি ফটো অ্যালবামের মতো সাদাকালো এই নির্বাক সিনেমায় তিনটি চরিত্রের অভ্যন্তরীণ যাত্রার গল্প বলা হয়েছে।

গতকাল (২৬ এপ্রিল) উৎসবটির সমাপনীতে আসিফ ইসলামের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন ‘নির্বাণ’ সিনেমার অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। এতে গল্পে বলা হয়েছে, অন্তর্নিহিত শান্তির খোঁজে প্রতিনিয়ত মানুষকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আনোয়ার হোসেনের গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এটি। এতে আরো অভিনয় করেছেন ফাতেমা তুজ জোহরা, ইমরান মাহাথির প্রমুখ।

গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় ৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (এমআইএফএফ)। উদ্বোধনী আয়োজনের লালগালিচায় হেঁটেছেন প্রিয়াম অর্চি ও আসিফ ইসলাম। গত ২২ এপ্রিল তাদের সিনেমার প্রদর্শনী হয়েছে। এরপর ২৪ এপ্রিল ছিলো আরেকটি প্রদর্শনী।

লালগালিচায় প্রিয়াম অর্চি (ছবি: ফেসবুক)

এবারের উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন সেন্ট জর্জ জিতেছে মিগেল সালগাদো পরিচালিত মেক্সিকান সিনেমা ‘শেম’। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে মেক্সিকো ও কাতার। দুই কিশোর পেড্রো ও লুসিওকে কেন্দ্র করে এর গল্প, যারা অপহরণের পর বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হয়। পেড্রো জিতে যায় এবং পালাতে সক্ষম হয়। কিন্তু লুসিওর প্রতি অপরাধবোধ তাকে পীড়া দিতে থাকে।

সেরা পরিচালক হিসেবে সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের নাহিদ আজিজি সেদিস। তার পরিচালিত ‘কোল্ড সাই’ মোট তিনটি পুরস্কার জিতেছে। বাহা জানতে পারে, তার বাবা বাহরাম ২০ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। বাহার মাকে প্রতারণার অভিযোগে খুনের কারণে সাজা হয়েছিলো বাহরামের। সেই ঘটনায় বাবার ওপর ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বাহা। তবুও সে সিদ্ধান্ত নেয় বাবাকে ঘরে ফেরাবে।

রুশ প্রিমিয়ার প্রতিযোগিতা শাখায় সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার পেয়েছে ইউলিয়া ট্রফিমোভা পরিচালিত ‘লায়ার’। বিশ্ব সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য এমআইএফএফ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সের্গেই উরসুলিয়াক।

বিচারকদের প্রধান ছিলেন আইসল্যান্ডের পরিচালক ফ্রিদরিক থর ফ্রিদরিকসন। তার ‘চিলড্রেন অব ন্যাচার’ অস্কারে মনোনীত হওয়া একমাত্র আইসল্যান্ডিক সিনেমা।

লালগালিচায় প্রিয়াম অর্চি ও আসিফ ইসলাম (ছবি: ফেসবুক)

‘নির্বাণ’ ছাড়াও মস্কোতে এবার বাংলাদেশের শর্টফিল্ম ‘হইতে সুরমা’ দেখানো হয়েছে। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন মনোজ প্রামাণিক ও সুব্রত সরকার। মস্কো উৎসবে এবারই প্রথম বাংলাদেশের শর্টফিল্ম নির্বাচিত হলো। ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া টাঙ্গুয়ার হাওরে আয়োজন করে ‘ইকো ফিল্ম ল্যাব’। সেখানেই প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তন থিমে ‘হইতে সুরমা’র যাত্রা শুরু। টাঙ্গুয়ার হাওর, শনির হাওর ও সুনামগঞ্জ জেলার আশেপাশের অঞ্চলের নির্মল প্রাকৃতিক দৃশ্যে শল্টফিল্মটির শুটিং হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারাই এর অভিনেতা-অভিনেত্রী। প্রকৃতির ওপর মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধ্বংসাত্মক প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী প্রতিক্রিয়াগুলো তুলে ধরা হয়েছে এতে। সম্পাদনাসহ পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ তত্ত্বাবধান করেছে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের মনাপচিত্র, ওমানের ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল ট্রেডিং, সৌদি আরবের থার্ড অ্যাকশন ও জার্মানির মোগাদর ফিল্ম।

২০২২ সালের মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যুবরাজ শামীম পরিচালিত ‘আদিম’ দুটি শাখায় পুরস্কার জেতে। এছাড়া গত বছর নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ এই উৎসবের প্রতিযোগিতা শাখায় প্রদর্শিত হয়েছে। ‘নির্বাণ’-এর মাধ্যমে টানা তিন আসরের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা পেলো বাংলাদেশের সিনেমা।

মস্কো উৎসব পরিচালক নিকিতা মিখালকোভ জানান, এবারের আসরে আট দিনে ৯টি পর্দায় ৫৬টি দেশের ২৪০টি সিনেমার ৩৮০টি প্রদর্শনী হয়েছে। সব প্রদর্শনী মিলিয়ে ৩৯ হাজার দর্শক উপস্থিতি ঘটেছে।

১৯৩৫ সালে শুরু হয় মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

অস্কার ২০২৪: পুরস্কার জিতলেন যারা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

(বাঁ থেকে) রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ, এমা স্টোন ও কিলিয়ান মারফি (ছবি: অস্কার)

৯৬তম অস্কারে হলিউডসহ বিশ্ব সিনেমায় ২০২৩ সালের সেরা কাজগুলোকে ২৩টি শাখায় পুরস্কৃত করা হলো। অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের প্রায় ১১ হাজার ভোটার বিজয়ীদের নির্বাচন করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের ডলবি থিয়েটারে অস্কারের মহাযজ্ঞ শুরু হয় আজ (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায়। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটি চতুর্থবারের মতো সঞ্চালনা করেছেন আমেরিকান টিভি তারকা জিমি কিমেল। এমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী ৫৪ বছর বয়সী এই উপস্থাপক-প্রযোজক ২০১৭ সালে ৮৯তম, ২০১৮ সালে ৯০তম এবং ২০২৩ সালে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস মাতিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে নিজেদের মনোনীত গান গেয়ে শুনিয়েছেন কানাডিয়ান অভিনেতা রায়ান গসলিং, আমেরিকান গায়িকা বিলি আইলিশ, বেকি জি, আমেরিকান গায়ক জন ব্যাটিস্ট ও ওসেজ সম্প্রদায়ের কণ্ঠশিল্পীরা। ‘ইন মেমোরিয়াম’ পর্বে গত ১২ মাসে প্রয়াত হওয়া বিশ্ব সিনেমার গুণীদের স্মরণ করা হয়েছে। মূল আয়োজন শুরুর আগে লালগালিচায় জৌলুস ছড়িয়েছেন তারকারা।

ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির মালিকানাধীন এবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশসহ ২০০টিরও বেশি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করেছে অস্কারের জমকালো অনুষ্ঠান। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে উপভোগ করেছেন এই আয়োজন।

৯৬তম অস্কারের বিজয়ী তালিকা
সেরা সিনেমা
ওপেনহাইমার (ক্রিস্টোফার নোলান, এমা থমাস)

সেরা অভিনেতা
কিলিয়ান মারফি (ওপেনহাইমার)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (ওপেনহাইমার)

সেরা অভিনেত্রী
এমা স্টোন (পুয়োর থিংস)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ (দ্য হোল্ডওভারস)

সেরা পরিচালক
ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য
অ্যানাটমি অব অ্যা ফল (জাস্টিন ত্রিয়ে, আর্থার হারারি)

সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য
আমেরিকান ফিকশন (কর্ড জেফারসন)

সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা
দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (হায়াও মিয়াজাকি ও তোশিও সুজুকি)

সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমা
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (যুক্তরাজ্য)

সেরা চিত্রগ্রহণ
ওপেনহাইমার (হয়তে ফন হয়তেমা)

সেরা পোশাক পরিকল্পনা
পুয়োর থিংস (হলি ওয়াডিংটন)

সেরা প্রামাণ্যচিত্র
টোয়েন্টি ডেজ ইন মারিউপোল (মিস্তিস্লাভ চেরনোভ)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র
দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ (বেন প্রাউডফুট ও ক্রিস বাওয়ার্স)

সেরা সিনেমা সম্পাদনা
ওপেনহাইমার (জেনিফার লেম)

সেরা রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা
পুয়োর থিংস (নাদিয়া স্টেসি, জশ ওয়েস্টন ও মার্ক কুলিয়ার)

সেরা মৌলিক আবহসংগীত
লুদবিগ গোরানসন (ওপেনহাইমার)

সেরা মৌলিক গান
হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর? (গীতিকবি ও সুরকার বিলি আইলিশ, ফিনিয়াস ও’কনেল, সিনেমা: বার্বি)

সেরা শিল্প নির্দেশনা
পুয়োর থিংস (জেমস প্রাইস, শনা হিথ ও জুজা মিহালেক)

সেরা শব্দ
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (জনি বার্ন, টার্ন উইলার্স)

সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস
গডজিলা মাইনাস ওয়ান (তাকাশি ইয়ামাজাকি, কিয়োকো শিবুয়া, মাসাকি তাকাহাশি, তাতসুজি নোজিমা)

সেরা শর্টফিল্ম
দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগার (ওয়েস অ্যান্ডারসন, স্টিভেন রালস)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড সিনেমা
ওয়ার ইজ ওভার! ইন্সপায়ার্ড বাই দ্য মিউজিক অব জন অ্যান্ড ইয়োকো (ডেভ মালিন্স, ব্র্যাড বুকার)

সম্মানসূচক অস্কার
আমেরিকান অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট, আমেরিকান কমেডিয়ান, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক মেল ব্রুকস, চলচ্চিত্র সম্পাদক ক্যারল লিটেলটন

জিন হার্শোল্ট মানবিক অ্যাওয়ার্ড
সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের নির্বাহী মিশেল স্যাটার

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ