Connect with us

ঢালিউড

তারকাময় ‘কাজলরেখা’র আড়াই মিনিট

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘কাজলরেখা’ সিনেমায় শরিফুল রাজ ও খাইরুল বাসার (ছবি: বাঙাল ফিল্মস)

আদি বাংলার এক অমূল্য রতন, ময়মনসিংহ গীতিকার এক অনবদ্য রূপকথা, প্রাকৃত বাংলার রূপ ও ছন্দে– গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত গীত নির্ভর সিনেমা ‘কাজলরেখা’র ট্রেলারে দেওয়া হয়েছে এসব বার্তা। তারকার সমারোহে প্রাচীন বাংলার সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি, নদী, ঘোড়া, তলোয়ার, সাম্পানসহ প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অনেক উপকরণ দেখা গেছে বিভিন্ন দৃশ্যে।

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’র ২ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ট্রেলার। সিনেমাটির প্রেক্ষাপট প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। অভিনয়শিল্পীদের পোশাক-পরিচ্ছদ ও শিল্প নির্দেশনায় সাবেকি আমেজ। সংলাপে রয়েছে আঞ্চলিকতার ছোঁয়া। ট্রেলারে প্রেম, লোভ ও কামনা প্রাধান্য পেয়েছে।

‘কাজলরেখা’ সিনেমায় সাদিয়া আয়মান (ছবি: বাঙাল ফিল্মস)

‘কাজলরেখা’য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী এবং সাদিয়া আয়মান। কঙ্কনদাসি চরিত্রে দেখা যাবে রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে। যদিও ট্রেলারে তারা তিনজনই নিজেদের কঙ্কনদাসি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এর রহস্য উন্মোচন হবে গল্পে। এছাড়া আছেন সূচরাজা চরিত্রে শরিফুল রাজ, খাইরুল বাসার, আজাদ আবুল কালাম, সাধু ধনেশ্বর চরিত্রে ইরেশ যাকের, সাধু ধনেশ্বরের স্ত্রীর ভূমিকায় সাহানা রহমান সুমি, গাউসুল আলম শাওন ও কাজলরেখার ছোটভাইয়ের চরিত্রে ইরফান সেলিম সুজয়।

‘কাজলরেখা’ সিনেমায় রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (ছবি: বাঙাল ফিল্মস)

আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘কাজলরেখা’। সরকারি অনুদানে বাঙাল ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় পর্যায়ক্রমে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

‘কাজলরেখা’ সিনেমায় মন্দিরা চক্রবর্তী (ছবি: বাঙাল ফিল্মস)

পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম ‘মনপুরা’ মুক্তির পরপরই ২০০৯ সালের শেষ দিকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেন। দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণা, গীত সংগ্রহ, চিত্রনাট্য রচনা, লোকেশন নির্বাচন ইত্যাদি শেষে ২০২২ সালে এর শুটিং শুরু হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘কাজলরেখা’র শুটিং হয়েছে প্রায় ৫০ দিন। মূল শুটিং লোকেশন সুসঙ্গ দুর্গাপুরের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল। এছাড়া খুলনার সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওর অঞ্চল এবং ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে শুটিং হয়েছে। তরুণ-অভিজ্ঞ মিশ্রণে শতাধিক শিল্পী- কুলাকুশলী এতে কাজ করেছেন। আর বিভিন্ন শুটিং পর্যায়ে সহস্রাধিক কর্মী এতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

‘কাজলরেখা’ সিনেমায় শরিফুল রাজ (ছবি: বাঙাল ফিল্মস)

‘কাজলরেখা’ পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পাঁচটি সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেটে তৈরি হয়েছে। ময়মনসিংহ গীতিকার আদি গল্পকাহিনী নিয়ে নির্মিত সিনেমাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

‘কাজলরেখা’ সিনেমায় রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (ছবি: বাঙাল ফিল্মস)

‘কাজলরেখা’র সব শিল্পী-কলাকুশলী বাংলাদেশের হলেও শুকপাখির অ্যানিমেশনসহ কিছু কারিগরি সহায়তায় যুক্ত ছিলো ভারতের ফোরডি ভিএফএক্স। বাংলাদেশের ভিএফএক্স প্রতিষ্ঠান সাইকোর স্টুডিওস সিনেমাটির একটি বিশেষ দৃশ্য নির্মাণে ভিএফএক্স সহায়তা দিয়েছে। শব্দগ্রহণে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে কলকাতার অডিও লেন স্টুডিও।

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ