Connect with us

মঞ্চ-রেডিও

মঞ্চে মৈমনসিংহ গীতিকায় সংকলিত ‘কাজলরেখা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘কাজলরেখা’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ)

মৈমনসিংহ গীতিকায় সংকলিত ‘কাজলরেখা’ কাহিনি অবলম্বনে একই নামের একটি মঞ্চনাটক প্রযোজনা করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের একাডেমিক থিয়েটার। আজ (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এর প্রদর্শনী হবে।

‘কাজলরেখা’র রচনা ও নির্দেশনা রুবাইয়াৎ আহমেদের। তিনি বলেন, ‘ধৈর্য ও সহনশীলতার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত কাজলরেখা। দীনেশচন্দ্র সেন কর্তৃক মৈমনসিংহ গীতিকায় সংকলিত এই আখ্যানে মানুষের অপরাজেয় মানসিকতার খোঁজ মেলে। মূলত নেত্রকোণা-কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে ‘কাজলরেখা’। মানুষ, প্রাণী, প্রকৃতি, প্রবৃত্তি, ধর্ম, দৈব– সব একাকার হয়ে মিশেছে এই অনুপম কাব্যে।’

‘কাজলরেখা’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ)

মঞ্চনাটকটিতে সূঁচরাজার জন্ম এবং তার জীবন্মৃত অবস্থার নেপথ্য অনুঘটক হিসেবে আমাদেরই ঐতিহ্যসিক্ত মনসাকে যুক্ত করা হয়েছে। মূলত বর্ণনা-গীত, ন্যূনতম চরিত্রাভিনয় আর দর্শকের সৃজনকল্পনাকে আশ্রয় করে দৃশ্যমান হয়েছে ঘটনা পরম্পরা।

‘কাজলরেখা’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ)

‘কাজলরেখা’র কাহিনিতে দেখা যায়, ভাগ্যের লিখন ভেবে মেয়ে কাজলরেখাকে বনবাসে দিয়ে আসে ধনেশ্বর। শরীরে সূঁচবিদ্ধ অভিশপ্ত অর্ধমৃত এক রাজকুমারকে বাঁচাতে বনবাসে দিন কাটে সওদাগর-কন্যার। দীর্ঘদিন বহু কষ্ট সহ্য করে স্বামীকে সারিয়ে তোলে সে। তবে সুস্থ হয়ে রাজা স্ত্রীকে মনে করে দাসী। স্বামীর প্রাসাদে ফিরে দাসী হয়েই থাকে সে। অশেষ কষ্ট ভোগ করেও কাজলরেখা গোপন রাখে নিজের পরিচয়।

‘কাজলরেখা’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ)

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জীবন, জ্যোতি, অর্ণব, ইন্দ্রানী, কুমু, লগ্ন, মনিকা, তানিয়া, সেলিম, আমিন, সাদমান, আবুযর, স্নেহাশীষ, অদিতি, হিমা, নিলয়, ধ্রুব, মিশর, রকি, উজ্জ্বল, লাপোল, তৃষ্ণা ও কেয়া।

মঞ্চ-রেডিও

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে আসছে মঞ্চনাটক

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) রিয়াজ, লাকী ইনাম, মামুনুর রশীদ ও ফরিদুর রেজা সাগর (ছবি: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে প্রচার হবে মঞ্চনাটক। এর অংশ হিসেবে ‘ওটিটিতে মঞ্চনাটক, চ্যানেল আইতে মঞ্চনাটক, মঞ্চনাটক দেখুন, নাট্যকর্মীদের সাথে থাকুন, মঞ্চনাটক সত্যি কথা বলে’– এই স্লোগান নিয়ে পথচলা শুরু করছে আইস্ক্রিন।

আজ (৯ মার্চ) চ্যানেল আই স্টুডিওতে সংবাদ সম্মেলনে উদ্যোগটি প্রসঙ্গে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘নাটক আমাদের গর্ব। এই নাটক পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

সংবাদ সম্মেলনে থাকা নাট্যকার, নির্দেশক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মামুনুর রশীদের মন্তব্য, ‘আমরা একটি দুঃসময়ে এসে পড়েছি, সংস্কৃতির চর্চা কমে গেছে।’ তার পরামর্শ, নাটক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যা বাড়ানোর কথা না ভেবে মান বাড়ানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) রিয়াজ, লাকী ইনাম, মামুনুর রশীদ ও ফরিদুর রেজা সাগর (ছবি: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী লাকী ইনাম মনে করেন, ‘মঞ্চনাটকের আর্কাইভ না থাকায় অনেক নাটক হারিয়ে গেছে। চ্যানেল আইয়ের এই উদ্যোগ অসাধারণ।’

আইস্ক্রিনের প্রকল্প পরিচালক চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘আইস্ক্রিনের সঙ্গে মঞ্চনাটক যুক্ত হতে যাচ্ছে। এটি একটি অনন্য সহযোজন। দারুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যখন আইস্ক্রিন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দর্শকেরা দেখবেন, তখন তারা বুঝবেন অভিনয় কোনো ছেলেখেলা নয়। অভিনয় অনেক বড় ব্যাপার, এটি সাধনা ও ত্যাগের বিষয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন টিভি ও ওটিটিতে মঞ্চনাটক প্রচারের প্রকল্প প্রধান শহীদুল আলম সাচ্চু এবং শিশুসাহিত্যিক ও চ্যানেল আইয়ের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক আমীরুল ইসলাম।

‘বিনোদনের স্মার্ট দুনিয়া’ স্লোগান নিয়ে পথ চলছে ‘আইস্ক্রিন’। ওটিটি প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি ৮৯ টাকা, হাফ-ইয়ারলি ২৬৯ টাকা এবং ইয়ারলি ৪৬৯ টাকা।

পড়া চালিয়ে যান

মঞ্চ-রেডিও

তিন দিনে পাঁচবার ‘খোঁজ’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘খোঁজ’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক)

ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাসের প্রযোজনা ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের সহযোগিতায় নাট্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিকের নাট্যকলা বিভাগের মঞ্চে আনছে ‘খোঁজ’। এটি তাদের ২৮তম প্রযোজনা।

চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট আজ (১৮ জানুয়ারি) থেকে টানা তিন দিনে পাঁচটি মঞ্চায়ন হবে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় একটি, আগামীকাল (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় দুটি এবং ২০ জানুয়ারি বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় থাকছে দুটি প্রদর্শনী। প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে প্রদর্শনীর আগে মিলনায়তন কাউন্টারে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখালে ছাড় মিলবে।

‘খোঁজ’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক)

ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত ইতান ও আরব বংশোদ্ভূত ওয়াহিদার ভালো লাগার সম্পর্কে উঠে আসে ধর্ম, রাজনীতি আর মানবিকতার হাহাকার। ৫০০ বছর আগের একজন কূটনীতিকের দর্শন খুঁজতে গিয়ে ওয়াহিদা ও ইতান আবিষ্কার করে জীবনের বিচিত্র অধ্যায়। নাটকের পরতে পরতে উঠে এসেছে মানুষের চিরন্তন অস্তিত্বের লড়াই। অস্তিত্ব, গোত্র ও দলের বড়াইসহ সবই যে দিনশেষে মূল্যহীন, সেটাই প্রতীয়মান হয় এতে।

‘খোঁজ’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক)

ক্ষমতা, ধর্ম, ব্যক্তিস্বার্থের দ্বন্দ্ব ও ভূূমির আধিপত্য বিস্তারে বিশ্ব টালমাটাল। ফিলিস্তিন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। ক্ষুদ্র স্বার্থ আর দ্বন্দ্বে বুঁদ হয়ে মানুষ হারাচ্ছে হিতাহিত জ্ঞান। ‘খোঁজ’ নাটকে তেমনই দ্বন্দ্ব ও সম্পর্কের টানাপোড়েন উঠে এসেছে।

লেবানিজ বংশোদ্ভুত ফরাসি নাট্যকার ওয়াজদি মাওয়াদ রচিত ‘বার্ডস অব অ্যা কাইন্ড’ নাটকটি অনুবাদ করে ‘খোঁজ’ নাম রেখেছেন অসীম দাশ ও কমল বড়ুয়া। এর পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ফেইম পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অসীম দাশ।

‘খোঁজ’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক)

নাটকটিতে অভিনয় করবেন জীশু দাশ, মুবিদুর সুজাত, কমল বড়ুয়া, সাবিহা বিনতে জসিম, দীপ্ত চক্রবর্তী, পূজা চক্রবর্তী, সৌরভ হোসাইন, অমিতা বড়ুয়া, শাওন দে, পায়েল চৌধুরী ও অপরাজিতা চৌধুরী। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন অন্বেষা দাশ।

পড়া চালিয়ে যান

মঞ্চ-রেডিও

প্রাঙ্গণেমোরের ‘রক্তকরবী’র ৫০তম প্রদর্শনী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘রক্তকরবী’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: প্রাঙ্গণেমোর)

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার শহর শিলংয়ে ১৩৩০ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘রক্তকরবী’। ২০২৩ সালে নাটকটি লেখার ১০০ বছর পূর্ণ হলো। এ উপলক্ষে প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদল আয়োজন করেছে এর ৫০তম প্রদর্শনী। আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার সেগুন বাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এটি মঞ্চায়ন হবে।

নাটকটির গল্পে দেখা যায়, মাটির নিচে যক্ষের ধন পোঁতা আছে জেনে পাতালে সুড়ঙ্গ-খোদাই চলছে। এজন্য লোকে জায়গাটির নাম দিয়েছে যক্ষপুরী। এখানকার রাজার ডাকনাম মকররাজ। রাজমহলের বাহির-দেয়ালে একটি জালের জানালা আছে। সেই জালের আড়াল থেকে মকররাজ তার ইচ্ছেমতো পরিমাণে মানুষের সঙ্গে দেখাশোনা করে থাকেন।

রাজ্যের যারা সর্দার তারা যোগ্য লোক এবং যাকে বলে বহুদর্শী। তারা রাজার অন্তরঙ্গ পর্ষদ। তাদের সতর্ক ব্যবস্থাগুণে খোদাইকরদের কাজের মধ্যে ফাঁক পড়ে না এবং যক্ষপুরীর নিরন্তর উন্নতি হতে থাকে। এখানকার মোড়লরা একসময় খোদাইকর ছিলো, নিজ গুণে তাদের পদবৃদ্ধি ও উপাধি লাভ ঘটেছে। কর্মনিষ্ঠতায় তারা অনেক বিষয়ে সর্দারদের ছাড়িয়ে যায়। জেলেদের জালে দৈবাৎ মাঝে মধ্যে অখাদ্য জাতের জলচর জীব আটকা পড়ে। ঘটনাজালের মধ্যে নন্দিনী নামে এক কন্যা আসে। মকররাজ যে বেড়ার আড়ালে থাকেন সেটিকে এই মেয়ে টিকতে দেয় না।

‘রক্তকরবী’ নাটকের দৃশ্য (ছবি: প্রাঙ্গণেমোর)

প্রাঙ্গণেমোরের চতুর্থ প্রযোজনা ‘রক্তকরবী’ নির্দেশনা দিয়েছেন অভিনেত্রী, নাট্যকার ও নির্দেশক নূনা আফরোজ। এতে অভিনয় করেন নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, প্রকৃতি শিকদার, রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, সাগর রায়, নিজাম লিটন, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, সুজয়, সুমন, ঝুমুর, বাঁধন, আশা, তমা, আরিফ, পার্থ ও রুমা।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ