Connect with us

নাটক

ঈদ নাটকে মেয়েদের সংগ্রাম প্রশংসা কুড়িয়েছে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

মেহজাবীন চৌধুরী

‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’ নাটকে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: আরটিভি)

ঈদুল আজহা উপলক্ষে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক নারীকেন্দ্রিক গল্পের নাটক পেয়েছে দর্শকরা। এগুলোতে জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা এমন কয়েকটি ভিন্নধর্মী ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে নিজেদের মেলে ধরেছেন যেগুলো সমাজে খুব একটা দেখা যায় না। বরং এসব পেশায় পুরুষদেরই প্রাধান্য থাকে। এসব প্রচেষ্টা প্রশংসিত হচ্ছে।

নারীরা কেবল প্রেমিকা বা স্ত্রী কিংবা সুন্দরী— গতানুগতিক এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাজানো হয়েছে নতুন ঢঙে গল্প বলা নাটকগুলো। এর মাধ্যমে দৃঢ় মনোবলে এগিয়ে যাওয়া সংগ্রামমুখর ও পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল নারীদের ছোট পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম সারির অভিনেত্রীরা। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য মেহজাবীন চৌধুরী, তানজিন তিশা, সাবিলা নূর, জাকিয়া বারী মম ও সাফা কবির। কমেডি ও রোমান্টিক ঘরানার বাইরে এসব কাজের মাধ্যমে দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তারা।

এবারের ঈদে নারীপ্রধান গল্প নিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত আলোচিত কয়েকটি নাটকের কথা বলা যাক।

মেহজাবীন চৌধুরী

‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’ নাটকে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: আরটিভি)

তালিকায় প্রথমেই থাকতে পারে আরটিভিতে প্রচারিত ‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’। জাহান সুলতানার রচনা ও অনন্য ইমনের পরিচালনায় এতে নুসরাত চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। অভিনয়গুণে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। সাধারণ, সৎ ও দায়িত্বশীল মেয়েটি অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সব প্রতিকূলতা জয় করে রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। নারী হয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে কাজ করায় তাকে উপহাস হজম করতে হয়। নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন নুসরাত প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যায়। যত ব্যস্ততা, বিপদ ও ক্লান্তিই থাকুক না কেন, তার কাছে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর দায়িত্ব সবার আগে।

মেহজাবীন চৌধুরী

‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’ নাটকে সুদীপ বিশ্বাস দীপ ও মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

নুসরাতের পরিবারে আছে ভাই ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত বাবা। বাবা আগে অ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে চাকরিটি পায় নুসরাত। সে একাধারে অ্যাম্বুলেন্স চালায়, নিজে কলেজে পড়ে, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার ব্যয় বহন করে এবং পরিবারের খরচসহ বাবার ওষুধের খরচ চালায়। মেয়েটি যখন এক রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে হাসপাতালে ছুটছিলো তখন বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনতে হয় তাকে।

নাটকের একটি সংলাপ দর্শকদের মন কেড়েছে- ক্লান্ত মেয়ে, আমি দেখতে চাই শাড়িটা গায়ে জড়ালে তোমারে কেমন লাগে, প্রজাপতির মতো নাকি একটা পাখির মতো। নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস দীপ।

মেহজাবীন চৌধুরী

‘ভয়েস ক্লিপ’ নাটকে ইমতিয়াজ বর্ষণ ও মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: এনটিভি)

মেহজাবীন অভিনীত নারীকেন্দ্রিক গল্পের আরেক নাটক ‘ভয়েস ক্লিপ’ প্রশংসিত হয়েছে। এনটিভিতে প্রচারিত এতে দেখা যায়, একটি মেয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার খরচ জোগাড়ের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। বাবার জন্য টাকা সংগ্রহে নেমে অসংখ্য বাধার সম্মুখীন হয় সে। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় এতে আরও আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ।

ঈদে নারীকেন্দ্রিক তিনটি নাটকের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন সাবিলা নূর। এরমধ্যে তার নিজের লেখা গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘রিদিকা’। এতে নাম ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। গল্পে মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন। মাহমুদুর রহমান হিমির পরিচালনায় এতে আরও অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও তৌফিকুল হাসান নিহাল।

সাবিলা নূর

‘মে আই কাম ইন’ নাটকে সাবিলা নূর (ছবি: দীপ্ত টিভি)

দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত শ্রাবণী ফেরদৌস পরিচালিত ‘মে আই কাম ইন’ নাটকে সাবিলা নূর অভিনয় করেছেন মেধাবী ও পরিশ্রমী কর্মজীবী তরুণী আশালতা চরিত্রে। কর্মস্থলে ও রাস্তাঘাটে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নিপীড়নের শিকার হয় সে। প্রতিদিনের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতায় হাঁপিয়ে ওঠে মেয়েটি। একটা চাকরি তার ভীষণ প্রয়োজন। নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান।

সাবিলা নূর

‘আমি রোকেয়া বলছি’ টেলিফিল্মে সাবিলা নূর (ছবি: দীপ্ত টিভি)

আশরাফুজ্জামানের রচনা ও পরিচালনায় ‘আমি রোকেয়া বলছি’ সাবিলা নূরের আরেকটি নারীকেন্দ্রিক টেলিফিল্ম। এর গল্পে দেখা যায়, স্বামী অন্যত্র বিয়ের পর সালেহা অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মেয়েকে পড়ালেখা করান। তিনি মেয়ের নাম রাখেন রোকেয়া। তার স্বপ্ন ছিল, মেয়ে বড় হয়ে বেগম রোকেয়ার মতো নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করবে। কিন্তু মায়ের দেওয়া নাম সেকেলে বলে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর নিজের নাম ঐতি রাখে সে।

পড়াশোনা শেষ করে ভালো চাকরি নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় ঐতি। কিন্তু চাকরি খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন অফিসে হয়রানির শিকার হয় সে। একদিন চাকরি খোঁজা বাদ দিয়ে বাবার বাবার প্রতিষ্ঠানের এমডি হয়ে বসে মেয়েটি। এরপর অফিসের দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শহরের কর্পোরেট জগতের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ মামুনুল করিমের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ঐতি হয়ে ওঠে রোকেয়া। এমন সময় শহরে হঠাৎ একটি লেডি গ্যাংয়ের আবির্ভাব ঘটে।

সাবিলা নূর

‘নিজস্ব প্রতিবেদন’ নাটকে সাবিলা নূর (ছবি: দীপ্ত টিভি)

‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’ ছাড়াও বাস্তব ঘটনা নির্ভর নারীকেন্দ্রিক আরেকটি নাটক বানিয়েছেন অনন্য ইমন। এর নাম ‘নিজস্ব প্রতিবেদন’। এতে প্রবাসী গৃহকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। নিজের শেষ সম্বলটুকু দালালকে দিয়ে মেয়েটি মধ্যপ্রাচ্যে চাকরি নিয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষা করছিল অন্য ফাঁদ। অত্যাচারিত হয়ে সে ফিরে এসে অন্যায়ের বিচার চায়। কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায় না। সমাজের কোথাও আশ্রয় নেই তার। এক দরজা থেকে অন্য দরজায় প্রত্যাখ্যান হতে থাকে সে। শেষ ভরসা হিসেবে সাংবাদিকের কাছে যায় এই তরুণী।

চ্যানেল আইতে প্রচারিত ‘আমি রোকেয়া বলছি’ এবং দীপ্ত টিভিতে দেখানো ‘নিজস্ব প্রতিবেদন’ নাটক দুটিতেই সাবিলা নূরের সহশিল্পী মনোজ প্রামাণিক।

তানজিন তিশা

‘রিকশা গার্ল’ নাটকে তানজিন তিশা (ছবি: আরটিভি)

রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত ‘রিকশা গার্ল’ নাটকে নারী রিকশাচালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। আরটিভিতে প্রচারিত এর গল্পে তার চরিত্রের নাম শিখা। সে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখে। রেজাউল তাকে সেই স্বপ্নপূরণে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়। হঠাৎ একদিন ছেলেটি নিখোঁজ হয়ে যায়। বাস্তবতার সংগ্রামে হেরে গিয়ে শিখা রিকশাচালক হিসেবে কাজ শুরু করে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। নাটকটিতে আরও আছেন সোহেল মন্ডল।

ঈদে দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হয়েছে তানজিন তিশার আরেক নারীপ্রধান নাটক ‘অবসর’। সমাজের বিভিন্ন স্তরে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া একজন নারীর গল্প বলা হয়েছে এতে। কর্মস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আকারে-ইঙ্গিতে যৌন হয়রানি করে মেয়েটিকে। প্রতিবেশীর কাছে গিয়েও একই আচরণের শিকার হয় সে।

তানজিন তিশা

‘অবসর’ নাটকে তানজিন তিশা (ছবি: ফেসবুক)

গল্পে তানজিন তিশার চরিত্রের নাম রুখসানা। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বাবা, মা ও কলেজ-পড়ুয়া ছোট ভাই তুষারকে নিয়ে তার পরিবার। ছোট ভাইটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। ছোট একটা বেসরকারি চাকরি করে রুখসানা। বস মাসে অন্তত দু’বার তাকে নিয়ে রিসোর্টে বেড়াতে যেতে চায়। রুখসানা হাসিমুখে সেসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। বাড়িওয়ালার চোখ চকচক করে ওঠে রুখসানাকে দেখলেই। অকারণ অজুহাতে তাকে দাঁড় করিয়ে কথা বলতে চায়। রুখসানা ভদ্রভাবে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাবা অবসরে যাওয়ার পর থেকে অসুখ-বিসুখ লেগেই আছে। ভালোমতো একটা চেকআপ করানো দরকার। চেকআপ করাতে গিয়ে রুখসানার বাবার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তুহিন হোসেনের পরিচালনায় এতে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু।

সাফা কবির ও খায়রুল বাসার

‘আমার কি দোষ?’ নাটকে সাফা কবির ও খায়রুল বাসার (ছবি: দীপ্ত টিভি)

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির ‘আমার কি দোষ?’ নাটকে প্রশংসিত হয়েছেন সাফা কবির। এতে অবন্তি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। একটি ফুটওভার ব্রিজের নিচে সে এক বখাটে যুবককে ধমকাচ্ছে। মেয়েটির দাবি, পাশ কাটানোর সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তার শরীরে স্পর্শ করেছে যুবকটি। উৎসুক মানুষ দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে। অবন্তি তাকে শাস্তি দেয়। অনেকেই তখন এই ঘটনা ভিডিও করছিল। সেইসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এক ইউটিউবার অবন্তির ভাইরাল ভিডিওকে উপজীব্য করে কন্টেন্ট বানায়। তার কনটেন্টের বিষয় ঘটনার সময় আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতা। মেয়েটি একা প্রতিবাদ করছে, অথচ উৎসুক জনতার কেউই তার হয়ে প্রতিবাদ করে না। সেরনিয়াবাত শাওনের পরিচালনায় এতে আরও আছেন খায়রুল বাসার।

জাকিয়া বারী মম

‘সাহসিকা-২’ টেলিফিল্মে জাকিয়া বারী মম (ছবি: দীপ্ত টিভি)

নারীপ্রধান গল্পের টেলিফিল্ম ‘সাহসিকা-২’ প্রশংসিত হয়েছে ঈদুল আজহার অনুষ্ঠানমালায়। গল্পে দেখা যায়, স্বামী আনিসের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে মিলি। মায়ের বাসা থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। স্বামীকে খুনের চেষ্টা করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হতে যাচ্ছে। কিন্তু মামলা নেওয়ার আগে পুলিশ কর্মকর্তা ফারজানার নজরে আসে মিলির শরীরের কিছু দাগ। ফারজানার তদন্তে বেরিয়ে আসে মিলির জীবনের নিত্যদিনের অপদস্ত হওয়ার গল্প। দীপ্ত টিভিতে গত বছরের ঈদে প্রচারিত হয় ‘সাহসিকা’। টেলিফিল্মটি দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়। এবার তৈরি হলো ‘সাহসিকা-২’। জিবরান তানভীরের পরিচালনায় এতে অভিনয় করছেন জাকিয়া বারী মম, তারিন, শ্যামল মাওলা।

নাটক

অবিবাহিত ৩০ বছর বয়সী নারীদের প্রতি মেহজাবীনের বার্তা

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী নিজের অভিনীত ‘তিথিডোর’ নাটকের প্রসঙ্গ টেনে ৩০ বছরের বেশি বয়সী অবিবাহিত নারীদের প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন। তার আহ্বান, ‘নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের কাছের মানুষকে ভালোবাসুন।’

গতকাল (২১ জুন) বিকেলে ফেসবুকে মেহজাবীন অনুরো:ধ জানিয়েছেন এভাবে, ‘নিজের পাশের মানুষকে, নিজের কাছের মানুষকে জিজ্ঞেস করুন, সে কেমন আছে? তার কষ্ট হচ্ছে কিনা? আপনার একটা ফোন কল, নক, টেক্সট কিংবা সাক্ষাৎ হয়তো কারো জন্য বিশেষ একটি মুহূর্তে অমূল্য হয়ে দাঁড়াতে পারে! দেরি হয়ে যাওয়ার আগে আপনারা চেষ্টা করুন। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের কাছের মানুষকে ভালোবাসুন। জীবন সুন্দর। এর চাইতে সুন্দর আর কোনো কিছু নেই, কখনো হবেও না!’

‘তিথিডোর’ নাটকে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: চ্যানেল আই)

মেহজাবীন উল্লেখ করেন, “কোনো সাসপেন্স-থ্রিল নেই ‘তিথিডোর’ নাটকে। নেই কোনো খুন-মারামারি। নেই রহস্য কিংবা টুইস্ট। তারপরও এই গল্প বলা খুব জরুরি মনে করছেন তিনি, ‘আমাদের চারপাশে এখন যে অস্থির সময় চলছে, সেখানে এই গল্পটাই সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ তিথিডোর একটি অনুভূতির গল্প, যে অনুভুতি প্রত্যেক সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে। ‘তিথিডোর’ দেখে এর মূল বক্তব্য অনুধাবন করার চেষ্টা করুন।”

গতকাল সকালে ‘তিথিডোর’ নাটক নিয়ে ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার বয়স ৩০ মানেই আপনার অন্তত একটা মন ভাঙার গল্প আছে। হঠাৎ একদিন দেখবেন যে মানুষটা একসময় আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, সেই মানুষটা অথবা সেই মানুষগুলো অনেক ভালো আছে। আপনার তখন মনে হবে, দিজ ইজ নট ফেয়ার। আমাদের সবার জীবনেই এমন একটি মুহূর্ত এসেছে যখন আমরা ভেবেছি আর বেঁচে থেকে লাভ কী? তার ওপর আপনি যদি ৩০ বছরের অবিবাহিত নারী হন তাহলে তো আর কথাই নাই। আপনি জীবিত থাকলেও কিছু অঘোষিত নিয়ম আপনার আত্মবিশ্বাস কেড়ে নেবে।’

মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

মেহজাবীনের মন্তব্য, ‘ডিপ্রেশন ইজ রিয়েল, আমাদের আশেপাশে অনেকেই এই রোগে ভুগছেন। কিন্তু তারা হয়তো নিজেরাই জানেন না। ডিপ্রেশনের কোনো স্পেসিফিক সিম্পটম নেই, চোখের দেখায় বোঝা যায় না এবং এই কারণেই আমাদের প্রিয়জনদের আচরণে যদি পরিবর্তন দেখা যায় কিংবা অস্বাভাবিক লাগে তাহলে তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলার চেষ্টা করুন এবং ডাক্তারি পরামর্শ নিতে সহযোগিতা করুন।’

‘তিথিডোর’ নাটকে ৩০ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের টানাপোড়েন থেকে হতাশা ও আত্মহননের চিন্তা তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন ফেসবুক স্ট্যাটাসে যোগ করেছেন, ‘এই কাজটির সঙ্গে আমাদের ইউনিটের ব্যক্তিগত আবেগ জড়িয়ে আছে নানাভাবে। সেজন্য এই নাটক আমাদের জন্য অনেক স্পেশাল। লেট টুয়েনটিজ এবং ৩০-এর ঊর্ধ্বে যেই নারীরা আছেন, কাজটি আপনাদের উৎসর্গ করলাম।’

মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

ইতোমধ্যে ‘তিথিডোর’ নাটকের জন্য অনেক সাড়া পেয়েছেন মেহজাবীন। বিশেষ করে নারীরা এই ভিন্নধর্মী কাজের জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এতে তার চরিত্রের নাম নিশাত। নাটকটির গল্প ও পরিচালনায় ভিকি জাহেদ। চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহান সুলতানা। ঈদের পরদিন (১৮ জুন) চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হয়েছে এটি। এরপরই এটি এসেছে ইউটিউবে।

পড়া চালিয়ে যান

নাটক

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ১ নম্বরে ‘চাঁদের হাট’, কী আছে এই নাটকে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ‘চাঁদের হাট’ এক নম্বরে

ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া নাটকের মধ্যে ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে এখন ১ নম্বরে আছে ‘চাঁদের হাট’। এতে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে কমেডি, প্রেম ও মানবিকতার সম্মিলনে দারুণ একটি গল্প বলা হয়েছে। ৪৮ মিনিটের এই নাটকের শেষ দৃশ্য বেশিরভাগ দর্শককে আবেগপ্রবণ করেছে। একটি দরিদ্র পরিবারের কষ্ট দেখে অনেকেই অজান্তে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি সেই মুহূর্তে।

ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে ঈদের দিন (১৭ জুন) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মুক্তি পায় ‘চাঁদের হাট’। দুই দিনে এটি দেখা হয়েছে ৩০ লাখ বার। এতে লাইক পড়েছে ৬২ হাজার। অসংখ্য দর্শক এর কমেন্টের ঘরে নিজেদের ভালো লাগার অনুভূতি জানিয়েছেন। বেশিরভাগের কথায়, ‘অসাধারণ একটি নাটক।’

‘চাঁদের হাট’ নাটকের পোস্টার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

কী আছে ‘চাঁদের হাট’ নাটকে? ইমন খান নামের একজনের মন্তব্যে রয়েছে এর উত্তর, ‘মাত্র কয়েক মিনিটের নাটকের মধ্যে প্রেম, ভালোবাসা, আবেগ, কমেডি, জীবনযাত্রার মান, সামাজিক প্রেক্ষাপট, বর্তমান প্রেক্ষাপট; সবকিছু যে এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায় তা এই নাটক না দেখলে বোঝা যাবে না। সত্যিই অসাধারণ একটি নাটক।’

গল্পে দেখা যায়, গরুর হাটে দালালি করে চাঁদ। হাটের পাশে ভাতের হোটেলে মামার সঙ্গে কাজ করে পূর্ণিমা। তাকে পছন্দ করে চাঁদ। কিন্তু মেয়েটি তাকে পাত্তা দেয় না। পূর্ণিমাকে বিয়ে করতে মরিয়া হয়ে মাকে জানায় চাঁদ। ঘটনাক্রমে জানা যায়, চাঁদের মা ও পূর্ণিমার মামা একসময় প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনি।

ভারতীয় এক নারী দর্শক মন্তব্য করেছেন, ‘আমি একজন ভারতীয় হয়ে বলছি, আপনাদের বাংলাদেশের নাটক আমার খুব ভালো লাগে।’ আসাম থেকে বোরহান উদ্দিন হুসেন লিখেছেন, ‘শেষ দৃশ্যটি খুব আবেগপ্রবণ।’ কঙ্কন আচার্যের একই অনুভূতি, ‘শেষের অংশটুকু আমাকে কাঁদিয়েছে।’

‘চাঁদের হাট’ নাটকে ডা. এজাজুল ইসলাম ও মনিরা আক্তার মিঠু (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

ইউসুফ শামীম লিখেছেন, ‘মন থেকে বলছি এটি এই বছরের সেরা নাটক। পরিচালককে মন থেকে দোয়া ও ভালোবাসা দিলাম। শেষের দৃশ্যটা দুনিয়ার মধ্যে যে ভালোবাসা আছে গরিবদের প্রতি, অনেক ভালো লাগলো।’

আলফাদেল গাজীর মতে, ‘পরিবার নিয়ে দেখার মতো নাটক। এমন গল্প এখন হারিয়ে গেছে প্রায়! এরকম সুন্দর আরও নাটক চাই। এই ঈদে এরকম নাটক উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ একই অভিমত জানিয়েছেন দীপু বিশ্বাস, “নাটকটি ভালো লাগছে। কিছু কিছু নাটক পরিবারের সঙ্গে দেখা যায়, যেমন চাঁদের হাট’।”

‘চাঁদের হাট’ নাটকে কেয়া পায়েল (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘আমার জীবনে প্রায় ১৩ বছর মোবাইল ফোন চালানোর বয়স, কোনোদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখে মেসেজ করি নাই। এবারই প্রথম কমেন্ট করলাম। আমার দেখা অন্যরকম একটি নাটক, আমার চোখে পানি চলে এসেছে।’

কেউ কেউ সিনেমার আবহ খুঁজে পেয়েছেন ‘চাঁদের হাট’ নাটকে। এসকে শাকিল তাদেরই একজন, ‘নাটকটি দেখে আমার মনে হলো একটি নতুন বাংলা সিনেমা দেখেছি। পরিচালক ভাইয়াকে বলছি, আপনি স্বল্প বাজেটে সিনেমা তৈরি করুন। আপনি নাম ও টাকা দুটোই মর্যাদার সঙ্গে আয় করতে পারবেন।’

কে এম সোহাগ রানা (ছবি: আকিব রহমান)

‘চাঁদের হাট’ রচনা ও পরিচালনা করেছেন কে এম সোহাগ রানা। হাস্যরসের মোড়কে কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে দালালদের প্রতারণার ঘটনা তুলে ধরায় তার প্রশংসা করেছেন অনেক দর্শক। তাদের মধ্যে বেলাল আহমেদ নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমাদের সমাজে এমন মানুষ রূপী কিছু দালাল আছে, যাদের কারণে প্রকৃত খামারিরা ন্যায্য দাম পায় না।’

‘চাঁদের হাট’ নাটকে তৌসিফ মাহবুব (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

আবেদ হুসেন নামের এক দর্শক লিখেছেন, ‘বর্তমানে বাজারে এমন দালাল থাকায় বোঝা যায় না কোনটা ক্রেতা আর কোনটা বিক্রেতা। বাস্তবমুখী নাটক।’

সুমন রানার মন্তব্য, ‘নাটকটির প্রতিটি দৃশ্য হৃদয় কাড়ার মতো। সবার অভিনয় জুতসই। এখন তো এমন সামাজিক গল্প পাওয়া যায় না।’

‘চাঁদের হাট’ নাটকের পোস্টার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

নাটকটিতে প্রধান চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, কেয়া পায়েল, ডা. এজাজুল ইসলাম ও মনিরা আক্তার মিঠু। চাঁদ চরিত্রে তৌসিফ মাহবুব ও পূর্ণিমা চরিত্রে কেয়া পায়েল জুটির প্রতি ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন তাদের ভক্তরা। এতে আরো অভিনয় করেছেন সুমন পাটোয়ারী, আনোয়ার হোসেন, মো. আবু বকর রোকন, ইকবাল, মনীষা, সীমান্ত ও আলভিরা রহমান রাইসা।

নাটকটিতে ব্যবহৃত গান আলাদাভাবে ভালো লেগেছে অনেকের। ‘ওরে ও হীরামন পাখি’ শিরোনামের গানটি গাওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন শাহরিয়ার মার্সেল। এর কথা লিখেছেন তারিক তুহিন। আবহ সংগীত করেছেন রফিকুল ইসলাম ফরহাদ। গরুর হাটে আদিত্য মনিরের চিত্রগ্রহণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। রঙ বিন্যাস ও সম্পাদনায় রাশেদ রাব্বি। প্রযোজনায় মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।

পড়া চালিয়ে যান

নাটক

খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েলের অন্যরকম ‘ঈদ ভ্যাকেশন’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের দৃশ্যে খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েল (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েল নতুন একটি নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করলেন। এর নাম ‘ঈদ ভ্যাকেশন’। এতে গ্রামের একজোড়া তরুণ-তরুণীর ভূমিকায় দেখা যাবে তাদের।

গতকাল (১৪ জুন) সিনেমাওয়ালার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে ‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের ১ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের টিজার প্রকাশিত হয়েছে। এতে খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েলের রসায়নের কিছু মুহূর্ত দেখা গেছে।

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের দৃশ্যে কেয়া পায়েল ও খায়রুল বাসার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের রচনা ও পরিচালনায় তৈরি হয়েছে ‘ঈদ ভ্যাকেশন’। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে মুক্তি পাবে এটি।

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের দৃশ্যে খায়রুল বাসার ও কেয়া পায়েল (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকে নতুন একটি গান রয়েছে। এর কথা হলো, ‘ইচ্ছে যতো, ফড়িঙের মতো, উড়ে উড়ে উড়ে উড়ে যায় তোমার আকাশে/পাখির শিসে সুরভি মিশে, জুড়ে জুড়ে জুড়ে জুড়ে যায় তোমার বাতাসে।’ গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। অনেক বছর পর নাটকের জন্য গান বাঁধলেন তিনি। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন অয়ন চাকলাদার ও আতিয়া আনিসা। এটি লিখেছেন জনি হক।

‘ঈদ ভ্যাকেশন’ নাটকের দৃশ্যে কেয়া পায়েল ও খায়রুল বাসার (ছবি: সিনেমাওয়ালা)

নাটকটির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন– মনিরা আক্তার মিঠু, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, শরিফুল, এবি রোকন, শেখ স্বপ্না, সুমাইয়া অর্পা, শাহীন মৃধাসহ অনেকে। চিত্রগ্রহণ করেছেন ফুয়াদ বিন আলমগীর।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ