Connect with us

টালিউড

প্রথম সিনেমা প্রথম সন্তানের মতো: তাসনিয়া ফারিণ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

বড় পর্দায় দর্শকদের সামনে আসছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে তার প্রথম সিনেমা ‘আরো এক পৃথিবী’। এর প্রচারণা করতে তিনি এখন কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওপার বাংলায় যাওয়ার আগে সিনেমাওয়ালা নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় এই তারকা।

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘আরো এক পৃথিবী’র প্রতীক্ষা আর তাসনিয়া ফারিণের মিল-অমিল কোথায়?
তাসনিয়া ফারিণ: মিল-অমিল অনেক কিছুতে। প্রতীক্ষা আমার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যে অনেক মিল আছে। আমরা দু’জনই অনেক অন্তর্মুখী ধরনের। আমরা মনের ভাবনা মনে রাখি, খুব বেশি প্রকাশ করতে পারি না। যেকোনো সমস্যায় পড়লে নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করি।

আর অমিল অনেক আছে। যেমন আমাদের বেড়ে ওঠার সবকিছুই আলাদা। প্রতীক্ষার সংগ্রামগুলোর সঙ্গে আমার কোনো মিল নেই। কিন্তু আমি বলবো যে, কোনো না কোনো জায়গায় গিয়ে আবার এক হয়ে যায়। আমি আর প্রতীক্ষা দুইজন ট্রেনের সমান্তরাল লাইনের মতো। বিষয়টা এমন– পাশাপাশি হাঁটছি, কিন্তু কখনও দুইজনের দেখা হবে না।

তাসনিয়া ফারিণ

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: কাজী সাজ্জাদ)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: প্রতীক্ষা চরিত্রটির জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়েছে?
ফারিণ: অবশ্যই। কারণ এটি আমার প্রথম সিনেমা। এজন্য অনেকদিন ধরে আমার একটা মানসিক প্রস্তুতি ছিলো। ভাষাগত দিক থেকে একটা প্রস্তুতি ছিলো। যেহেতু বাংলাদেশের বাইরে আমার প্রথম কাজ এটি। কলকাতার বাচনভঙ্গির একটা ব্যাপার ছিলো।

তারপর সেখানকার মানুষদের যে বেড়ে ওঠা সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়েছে। কারণ প্রতীক্ষা কলকাতার মেয়ে। এটি বাংলাদেশের চরিত্র নয়। ফলে কলকাতার সংস্কৃতি ও সেখানকার মানুষের সঙ্গে আমাকে অনেক বেশি পরিচিত হতে হয়েছে। কলকাতা আর আমাদের সংস্কৃতি অনেকটাই কাছাকাছি, তবুও আমার মনে হয়েছে– কিছু কিছু জায়গায় তো একটু ভিন্নতা থাকে। সেগুলো বোঝা, লন্ডনে শুটিং করতে যাওয়া এবং প্রতীক্ষা যে একটা মানসিক পরিভ্রমণের ভেতর দিয়ে গেছে, সেটাকে নিজের মধ্যে ধারণ করা। সব মিলিয়ে একটা মানসিক প্রস্তুতির সঙ্গে কিছু শারীরিক কাজও ছিলো।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘আরো এক পৃথিবী’র শুটিং হয়েছে লন্ডনের বিভিন্ন রাস্তায়, কফির দোকানে, নির্জন সেতুর নিচে। এরমধ্যে আলাদাভাবে মনে পড়ছে কোন ঘটনাটি?
ফারিণ: ‘আরো এক পৃথিবী’র গল্প কিছু মানুষের, যারা যেকোনো মুহূর্তে ঘরছাড়া হয়ে যেতে পারে। আমরা একটা সময় ক্যামডেনে শুটিং করছিলাম। যখন আমরা ফিরবো তখন ক্যামডেন স্টেশনে একটি লোক জ্বরে থরথর করে কাঁপছিলেন। তিনি রাস্তায় শুয়ে ছিলেন। কিন্তু কেউ তার দিকে তাকাচ্ছিলো না। এমন দৃশ্য আমাকে মনে করিয়ে দেয়, মানুষের জীবন কতোটা অসহায় হতে পারে। তার জীবনের সংকটও সেরকম, যেকোনো মুহূর্তে তিনি ঘরছাড়া মানুষের দলে যোগ দিতে পারেন। আমাদের সিনেমার গল্পের সঙ্গে ঘটনাটি খুব সম্পর্কিত ছিলো।

তাসনিয়া ফারিণ

‘আরো এক পৃথিবী’র দৃশ্যে তাসনিয়া ফারিণ ও কৌশিক গাঙ্গুলি (ছবি: এসকে মুভিজ)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘আরো এক পৃথিবী’র পরিচালক অতনু ঘোষ ও নির্মাতা-অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলির সঙ্গে কাজ করে কী কী শিখেছেন?
ফারিণ: এটি আমার প্রথম সিনেমা, তাই আমার জন্য সব অভিজ্ঞতাই নতুন। প্রথমবার লন্ডনে শুটিং করা, প্রথমবার অতনু দা’র সঙ্গে কাজ করা এবং সহশিল্পী হিসেবে কৌশিক গাঙ্গুলিকে পাওয়া। এজন্য নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি। আসলে কাজ তো কাজই, তবুও বলা যায়– সবাই আমাকে খুব দারুণভাবে বরণ করেছেন। আমার কখনও মনে হয়নি এটি আমার প্রথম সিনেমা এবং তাদের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করছি। সবাই খুব সুন্দরভাবে সহযোগিতা করেছেন। অতনু দা ও কৌশিক দা’র কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। সত্যি বলতে এতো বড় মাপের শিল্পীদের সঙ্গে আগে কাজ করা হয়নি। কখনো ভাবিনি এই সুযোগটা এতো তাড়াতাড়ি পাবো। মানুষ হিসেবে আমি অনেক আলোকিত হয়েছি। এছাড়া একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে মনে হয়, সিনেমাটা করার পর আমি অনেক সমৃদ্ধ ও পরিণত হয়েছি।

তাসনিয়া ফারিণ

‘আরো এক পৃথিবী’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: এসকে মুভিজ)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘আরো এক পৃথিবী’। প্রচারণার পরিকল্পনা কী?
ফারিণ: কলকাতায় হয়তো অনেকের সঙ্গে কথাবার্তা ও চিন্তাভাবনার আদান-প্রদান হবে। সিনেমা হল ঘুরে দেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইভেন্টে যাওয়াসহ অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমি সেগুলোতে অংশ নেবো।

তাসনিয়া ফারিণ

‘আরো এক পৃথিবী’র দৃশ্যে অনিন্দিতা বসু ও তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: এসকে মুভিজ)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘আরো এক পৃথিবী’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
ফারিণ: সবার যেমন ভালো প্রত্যাশা থাকে! প্রথম সিনেমা প্রথম সন্তানের মতো। তাই আমি চাই, আমার সন্তান যেন ভালোভাবে ভূমিষ্ট হতে পারে। সবাই যেন তাকে সাদরে গ্রহণ করে, এটাই আমার প্রার্থনা থাকবে। একজন মানুষও যদি এই সিনেমার মাধ্যমে প্রভাবিত হয় তাহলে আমার নিজেকে সার্থক মনে হবে।

তাসনিয়া ফারিণ

কলকাতার অতনু ঘোষের পরিচালনায় ‘আরও এক পৃথিবী’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হবে তাসনিয়া ফারিণের। সম্প্রতি লন্ডনে সিনেমাটির শুটিং করেন তিনি। এতে তাকে দেখা যাবে প্রতীক্ষা চরিত্রে (ছবি: নাসির হোসেন)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘আরো এক পৃথিবী’ বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তির সুযোগ আপাতত নেই। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সিনেমায় কবে দর্শকরা আপনাকে দেখতে পারে?
ফারিণ: আমি বাংলাদেশি সিনেমায় কাজ করতে মুখিয়ে আছি। মনে হয়, বাংলাদেশে প্রথমে আমার দর্শক সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ হয়েছে। এখানে নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্রসহ অনেক কাজ করেছি। কিন্তু সিনেমা এখনো করা হয়নি। কোনো না কোনো কারণে ব্যাটে-বলে মিলছে না। কিন্তু আমি চাই, এ বছর যেন একটা ভালো সিনেমায় কাজ করতে পারি। সুযোগটা যদি আমার ভাগ্যে থাকে তাহলে আমার চেয়ে খুশি কেউ হবে না।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: এবারের ভালোবাসা দিবসে আপনার নতুন কাজ পাওয়া যাবে?
ফারিণ: ভ্যালেন্টাইন’স ডে’র জন্য খুব বেশি কাজ করা হয়নি। দুই-তিনটি কাজ করেছি। সব ঠিকঠাক থাকলে হয়তো এগুলোতে আমাকে দেখা যেতে পারে।

তাসনিয়া ফারিণ

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নতুন কী করেছেন?
ফারিণ: ওটিটির জন্য একটি কাজ শেষ করেছি। সেটি শিগগিরই প্রচারে আসবে। আর কয়েকটি ওয়েব সিরিজে কাজের কথা চলছে। সেগুলোর মধ্যে হয়তো এ বছর দুই-তিনটি কাজ করা হবে আমার।

তাসনিয়া ফারিণ

তাসনিয়া ফারিণ: সবাইকে ঈদ মোবারক (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
ফারিণ: যারা আমার কলকাতার ভক্ত আছেন, তারা আশা করি ‘আরো এক পৃথিবী’ সিনেমাটি দেখবেন। অন্যান্য দেশেও এটি মুক্তি দেওয়ার কথা চলছে। বাংলাদেশের দর্শকরা আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সামনে আরও ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে পারি।

টালিউড

কোটা আন্দোলন নিয়ে স্বস্তিকা, ‘অস্থির লাগছে, আমিও তো সন্তানের জননী’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ভিডিও দেখে নিজের উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে কয়েক মাস আগে বাংলাদেশে আসার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন ৪৩ বছর বয়সী এই তারকা। বুক উঁচিয়ে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের একটি গ্রাফিক্স শেয়ার দিয়েছেন তিনি। 

গতকাল দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্টগুলোতে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘আজ একটা ভিডিও দেখলাম, গুলির ধোঁয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আক্রান্ত। ছাত্র বয়স গেছে সেই কবে, তবে জাহাঙ্গীরনগর আর আমার যাদবপুর খুব কাছাকাছি। কাঠগোলাপের গাছগুলোও কেমন একই রকম। একই রকম আকাশের মেঘগুলোও। কেবল আজ ওখানে বারুদের গন্ধ।’

স্বস্তিকা শুরুতে উল্লেখ করেন, ‘প্রায় এক মাস হলো আমি নিজের দেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের খবরের চ্যানেলে তৃতীয় বিশ্বের কোনো খবরই তেমন একটা চলে না। আর আমি খুব একটা মোবাইল ফোনের পোকা নই, তাই এতো খারাপ একটা খবর কানে আসতে দেরি হলো।’

এরপর বাংলাদেশ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অভিনেত্রী, ‘এই তো কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ গেলাম। চারুকলা যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো, জীবনের একটা স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। খুব ইচ্ছে ছিলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার। প্রতিবার আসি, কিন্তু ব্যস্ততায় যাওয়া হয় না। মা-ও খুব যেতে চাইতেন বাংলাদেশ, তাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি।’

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘এমন এক আপ্যায়ন প্রিয় জাতি দেখিনি, খাবারের নিমন্ত্রণ যেন শেষ হতেই চায় না। অমন সুন্দর করে সারা রাস্তা জুড়ে ভাষার আল্পনা আর কোথায় দেখবো? নয়নজুড়ানো দেয়াল লেখা? এ বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের শপথ নেওয়া একটা জাতির পক্ষেই সম্ভব।’

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষের ‘আন্দোলন’ কবিতার কয়েকটি পঙক্তি জুড়ে দিয়েছেন স্বস্তিকা।
‘ময়দান ভারী হয়ে নামে কুয়াশায়
দিগন্তের দিকে মিলিয়ে যায় রুটমার্চ
তার মাঝখানে পথে পড়ে আছে ও কি কৃষ্ণচূড়া?
নিচু হয়ে বসে হাতে তুলে নিই
তোমার ছিন্ন শির, তিমির।’

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

সবশেষে স্বস্তিকার প্রত্যাশা, ‘আজ অস্থির লাগছে। আমিও তো সন্তানের জননী। আশা করবো বাংলাদেশ শান্ত হবে। অনেকটা দূরে আছি, এই প্রার্থনাটুকুই করতে পারি। অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো– সেই আমাদের আলো…আলো হোক, ভালো হোক সকলের।’

পড়া চালিয়ে যান

ছবি ও কথা

সোহিনী-শোভন: দেখা হওয়ার এক বছরে একই সাথে একই ঘরে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও সংগীতশিল্পী শোভন গাঙ্গুলী ঘর বাঁধলেন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি খামারবাড়িতে আইনিভাবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আজ (১৫ জুলাই) ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে ধুমধাম আয়োজনে এই যুগলের চার হাত এক হলো। ছবিতে দেখুন সোহিনী-শোভনের শুভ পরিণয়।

সোহিনী সরকার বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দেখা হওয়ার এক বছরে একই সাথে একই ঘরে।’

২০২৩ সালের ১৫ জুলাই শোভনের সঙ্গে দেখা হয় সোহিনীর। সেই প্রথম দেখার বর্ষপূর্তিতেই বিয়ের বন্ধনে জড়ালেন তারা।

বিয়েতে বেনারসি ও সোনার গয়নায় বাঙালি সাজে সেজেছিলেন সোহিনী। শোভনের পরনে ছিল সাদা সিল্কের ধুতি ও পাঞ্জাবি।

মালাবদলের পর সোহিনীর গালে ভালোবাসার চুম্বন দেন শোভন।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সোহিনীর নতুন সিনেমা ‘অথৈ’। এতে তার সহ-অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

মৃণাল সেনের ভূমিকায় নতুন পোস্টারে চঞ্চল, ‘পদাতিক’ মুক্তির তারিখ ঘোষণা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘পদাতিক’ সিনেমার পোস্টারে চঞ্চল চৌধুরী ও কোরাক সামন্ত (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন)

ভারতের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ১৫ আগস্ট। এতে প্রয়াত নির্মাতার চরিত্রে বড় পর্দায় আসছেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমাটির নতুন পোস্টার শেয়ার করে মুক্তির তারিখ জানিয়েছেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তাকে মৃণাল সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে।

নতুন পোস্টারে চঞ্চলকে মধ্যবয়সী ও পূর্ণবয়স্ক মৃণাল সেনের অবয়বে দেখা গেছে। এর সঙ্গে তরুণ মৃণাল সেনের ভূমিকায় আরেকজনের স্থিরচিত্র স্থান পেয়েছে।

ফেসবুকে চঞ্চল লিখেছেন, “অনেক অপেক্ষার পর আসছে ‘পদাতিক’।” এর সঙ্গে টিজারের লিংক পোস্ট করেছেন তিনি।

গত ১৪ মে প্রকাশিত হয় ‘পদাতিক’-এর ১ মিনিটি ৩৭ সেকেন্ডের টিজার। এতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে চমকে গেছেন দর্শকেরা। সিনেমায় মৃণাল সেনের শৈশব থেকে শুরু করে ফিল্মমেকিংয়ে আসার ঘটনা ও ব্যক্তিজীবনের অজানা গল্প পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চঞ্চল চৌধুরী ও সৃজিত মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

‘পদাতিক’ পশ্চিমবঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর প্রথম সিনেমা। এটি পরিচালনা ও সম্পাদনা করেছেন সৃজিত মুখার্জি। ‘পদাতিক’ নামটি মৃণাল সেনের একটি সিনেমার নাম থেকে নেওয়া। কলকাতা শহরকে নিয়ে ট্রিলজি নির্মাণ করেন তিনি। এগুলো হলো ‘ইন্টারভিউ’ (১৯৭১), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭১) এবং ‘পদাতিক’ (১৯৭৩)।

২০২৩ সালের ১৪ মে ছিলো মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তার জীবন, কর্ম ও সময়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘পদাতিক’। কলকাতা ও মুম্বাই ছাড়াও ভারতের বাইরে কিছু দৃশ্যের চিত্রায়ন হয়েছে। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশন্স হাউসের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন ফিরদাউসুল হাসান ও প্রবাল হালদার। সহ-প্রযোজনায় শুভজিৎ মণ্ডল।

চঞ্চল চৌধুরী ও মনামী ঘোষ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সিনেমাটিতে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে আছেন কোরাক সামন্ত, সম্রাট চক্রবর্তীসহ অনেকে। কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছে ‘পদাতিক’।

গত ৮ জুন ‘পদাতিক’-এর প্রথম গান অবমুক্ত হয়েছে। এর শিরোনাম ‘তু জিন্দা হ্যায়’। এটি গেয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী সনু নিগাম ও অরিজিৎ সিং। এবারই প্রথম কোনো গানে এই দুই জনের গায়কী শোনা গেলো। ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি মিউজিক ‘তু জিন্দা হ্যায়’ গানটি মুক্তি দিয়েছে। এর কথা লিখেছেন শৈলেন্দ্র, সুর করেছেন সলিল চৌধুরী। প্রয়াত এই দুই জনের সৃষ্টির সঙ্গে সনু নিগাম ও অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠের সম্মিলনে ইতিহাস সৃষ্টিকারী একটি গান হয়েছে বলে ইউটিউবে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

পোস্টারে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সিনেমায় রবীন্দ্রসংগীত থাকছে। এছাড়া কবীর সুমন গান বেঁধেছেন। আবহ সংগীত করেছেন ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ