Connect with us

টালিউড

‘পদাতিক’: কলকাতায় যাওয়ার সময় আবেগপ্রবণ চঞ্চল

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

মৃণাল সেন ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় ‘পদাতিক’ সিনেমার শুটিং করতে কলকাতায় গেলেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এতে কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি। আজ (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই তারকা। সেইসঙ্গে বাবাকে হারানোর শোক ভেসে উঠেছে তার মনের কথায়।

চঞ্চল চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, “যখনই কোনো কাজে দেশের বাইরে যাই, বিমান ছাড়ার আগে মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিদায় নিই। আজও যাচ্ছি, কিন্তু… আর কোনোদিন বাবাকে ফোন করে বলা হবে না। জিজ্ঞাসা করা হবে না, বাবা, তোমার জন্য কী আনবো? বাবার একটাই উত্তর ছিলো, ‘চেইনের ঘড়ি।’ শেষবার বাবার জন্য পছন্দ হয়েছিলো বলে একসঙ্গে দুটি ঘড়ি এনেছিলাম। ঘড়ি দুটো আর বাবার হাতে দেওয়া হয়নি। তার আগেই বাবা সকল সময়ের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে আকাশের তারা হয়ে গেলো। জাগতিক সময়ের বেড়াজাল পেরিয়ে আমাদের বাবা অসীম সময়ের যাত্রী হয়ে গেলেও বাবার ঘড়ির কাটাগুলো এখনও টিকটিক করে আমার ঘরে। আজ রওনা হয়েছি কলকাতার পথে। উদ্দেশ্য ‘মৃনাল সেন’। ‘পদাতিক’…সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় অভিনয়।”

গত ১১ জানুয়ারি চঞ্চল চৌধুরী ও সৃজিত মুখার্জিকে শুভকামনা জানিয়েছেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। একইসঙ্গে ‘পদাতিক’ সিনেমার প্রচারণামূলক পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে চঞ্চল, সৃজিত ও তাদের সিনেমার নাম হ্যাশট্যাগে জুড়ে দিয়েছেন বিগ বি।

দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, “কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ‘পদাতিক’-এর জন্য তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে শুভকামনা জানিয়েছেন একসপ্তাহ আগেই। তাঁর প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা ও আশীর্বাদ। আমার শুভানুধ্যায়ীরা অনেকেই অমিতাভজি’র সেই পোস্ট শেয়ার করে আনন্দ আশীর্বাদের অংশীদারও হয়েছেন।”

চঞ্চল চৌধুরী

কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ২৮তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান ও রানি মুখার্জির পাশে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

সম্প্রতি ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী আয়োজনে অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খানের সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। উৎসব থেকে ফিরতেই বাবাকে হারান তিনি। এ কারণে মৃণাল সেনের মতো কিংবদন্তির চরিত্রে অভিনয়ের ঘোষণা, অমিতাভ বচ্চনের শুভকামনাসহ ভক্তদের প্রশংসাসহ কিছুই তার মধ্যে তেমন উচ্ছ্বাস জোগাতে পারেনি।

বাবার সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

চঞ্চল ফেসবুকে আরো লিখেছেন, “বাবার মৃত্যু আমাকে এতটাই মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে যে, কোনো আনন্দেই আমি সান্ত্বনা পাচ্ছি না। কয়েকদিন আগে ‘পদাতিক’-এর ফার্স্টলুক প্রকাশ পাওয়ার পরেও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত হয়েছি। এত এত মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসা নিয়ে যখন নতুন কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে চলেছি, তখন বারবার বাবার মুখটাই চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আর চোখ দুটো বাঁধ না মানা জলে ভরে উঠছে। আমার বিশ্বাস বাবা সব দেখতে পাচ্ছে। তাঁর আশীর্বাদের হাত দুটো আমার মাথায় বুলিয়ে দিচ্ছে।”

চঞ্চলের কথায়, ‘অনেক গুরুদায়িত্ব আমার কাঁধে। সফল হলে আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী অনেক খুশি হবেন আমার বিশ্বাস। বাবার আশীর্বাদ আর শক্তি এবং সকলের প্রেরণায় এগিয়ে চলি নতুন পথে।’

মৃণাল সেনের ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

চলতি বছরের ১৪ মে মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তৈরি হচ্ছে ‘পদাতিক’। গত বছরের ১৪ মে মৃণাল সেনের জীবনে অনুপ্রাণিত একটি ওয়েব সিরিজ নির্মাণের ঘোষণা দেন সৃজিত মুখার্জি। পরে এটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ‘পদাতিক’ সিনেমার একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন সৃজিত মুখার্জি। এতে দেখা গেছে, একটি বড় রাস্তায় পাজামা-পাঞ্জাবি পরে হেলে আছেন মৃণাল সেন। তার নিচে লেখা ‘পদাতিক’। এতে উল্লেখ রয়েছে চঞ্চল চৌধুরীর নাম। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশনের ব্যানারে তৈরি হবে এটি।

চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘পদাতিক’ নামটি মৃণাল সেনের একটি সিনেমার নাম থেকে নেওয়া। কলকাতা শহরকে নিয়ে ট্রিলজি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। এগুলো হলো ‘ইন্টারভিউ’ (১৯৭১), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭১) এবং ‘পদাতিক’ (১৯৭৩)।

‘পদাতিক’ হতে যাচ্ছে কলকাতায় চঞ্চলের প্রথম সিনেমা। এতে তার সঙ্গে জুটি বাঁধবেন কলকাতার অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।

‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: হইচই)

গত বছরের আগস্টে ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার পার্ট-১’ দেখে চঞ্চল চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন সৃজিত মুখার্জি। কোনো বাক্য উচ্চারণ না করেও সাত পর্বের পুরো সিরিজ জুড়ে অনবদ্য অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। যেন কিছু না বলেই কতো কথা বলে দিলেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় সৃজিত লিখেছেন, ‘অভিনয় শেখার প্রতিষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরীর চোখ সংরক্ষণ করলে আগামী প্রজন্ম শিখতে পারবে।’

সৃজিতের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তখন অনেক ভক্ত-দর্শক চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে ভালো গল্পের সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ বানাতে আহ্বান জানান। দুই বাংলার এই দুই প্রতিভার রসায়ন দেখতে উন্মুখ ছিলেন সবাই। তাদের সেই প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে।

টালিউড

বাংলা সিনেমায় বলিউডের চন্দনের বিপরীতে জয়া, পরিচালনায় অনিরুদ্ধ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

ওপার বাংলার আরেকটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন নন্দিত তারকা জয়া আহসান। এর নাম ‘ডিয়ার মা’। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। এটি পরিচালনা করবেন ‘পিঙ্ক’ খ্যাত অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। তার সঙ্গে ‘কড়ক সিং’ সিনেমায় কাজ করেছেন জয়া। এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীর।

‘ডিয়ার মা’তে জয়ার স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন চন্দন রায় স্যান্যাল। বলিউডে আমির খানের ‘রঙ দে বাসন্তী’, শহিদ কাপুরের ‘কামিনে’, ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ‘জাজবা’, শাহরুখ খানের ‘জব হ্যারি মেট সেজাল’সহ বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে ৪৪ বছর বয়সী এই তারকাকে।

চন্দন রায় সান্যাল (ছবি: ফেসবুক)

নতুন সিনেমার খবর জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়া লিখেছেন, ‘কড়ক সিং-এর পর দ্বিতীয়বার আমাকে এমন সুযোগ দেওয়ায় অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা! চন্দন রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্জি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেপুরিয়া, পদ্মপ্রিয়া এবং অন্যান্যদের মতো সেরা অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিতে মুখিয়ে আছি! শিগগিরই শুটিং শুরু হবে।’

অনিরুদ্ধর পরিচালনায় এর আগে ‘অপরাজিতা তুমি’ (২০১২) সিনেমায় অভিনয় করেছেন চন্দন রায় স্যান্যাল। সেই সিনেমার নায়িকা তামিল-মালায়লাম তারকা পদ্মপ্রিয়া থাকছেন ‘ডিয়ার মা’তে। গৃহকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করবেন অনুভা ফতেপুরিয়া। কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’য় শহিদ কাপুরের মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। এটাই হবে বাংলা সিনেমায় তার প্রথম কাজ।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

‘ডিয়ার মা’তে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন শাশ্বত চ্যাটার্জি। শিক্ষকের ভূমিকায় পর্দায় আসবেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে শুটিং। চিত্রগ্রহণ করবেন অভীক মুখোপাধ্যায়।

পরিবারে বাবা, মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধনের অন্য রূপ তুলে ধরা হবে গল্পে। কাহিনিতে থ্রিলারের ছোঁয়া থাকবে। ঝিমলি নামের একটি মেয়ের ৫ ও ১২ বছর বয়সের ঘটনা দেখা যাবে এতে। ‘ডিয়ার মা’-এর গল্প লিখেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ও শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘ডিয়ার মা’-এর মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর পর বাংলা সিনেমা পরিচালনা করছেন ৫৯ বছর বয়সী অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ‘বুনোহাঁস’ (দেব, শ্রাবন্তী) বানিয়েছিলেন তিনি।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

কলকাতায় ক্যাবচালকের মেয়ের নাম তাসনিয়া ফারিণ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি হাতে তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফিল্মফেয়ার)

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ এখন দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়। তাকে নিয়ে এপারের পাশাপাশি ওপারে সবশ্রেণির দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ। তার প্রতি ভালো লাগা থেকে ওপার বাংলায় একজন ক্যাবচালক নিজের মেয়ের নাম বদলে ফেলেছেন!

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরে সেরা নবাগতা অভিনেত্রী শাখায় পুরস্কার জিতেছেন তাসনিয়া ফারিণ। মর্যাদাসম্পন্ন ব্ল্যাক লেডি গ্রহণ করতে কলকাতায় গিয়ে চমকে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হলো তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওর মাধ্যমে তিনি নিজেই ঘটনাটি জানিয়েছেন। এতে একজন ক্যাবচালকের সঙ্গে তার কথোপকথন রয়েছে।

ভিডিওতে ক্যাবচালক রাকিব জানান, তার মেয়ের নাম তাসনিয়া ফারিণ! তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। এখন তার বয়স সাড়ে আট বছর। শুরুতে মেয়েটির নাম রাখা হয় রাফিয়া সুলতানা। হঠাৎ তাসনিয়া ফারিণের অনুরাগী হয়ে পড়েন রাকিব। সেজন্য তিনি মেয়ের নাম রাখেন তাসনিয়া ফারিণ।

ক্যাবচালক রাকিব জানান, অপূর্বের সঙ্গে ফারিণের অভিনয় সবচেয়ে ভালো লাগে তার।

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চে মনামি ঘোষ ও তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফিল্মফেয়ার)

ভিডিওটি শেয়ার করে তাসনিয়া ফারিণ লিখেছেন, ‘সবকিছু ছাপিয়ে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন দর্শকদের ভালোবাসা। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে দেখা হয়, কিন্তু আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হলো যিনি নিজের মেয়ের নাম পরিবর্তন করে আমার নামে নাম রেখেছেন। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এমন ভালোবাসা আমাকে সত্যিই অনেক আপ্লুত করে। চিরকৃতজ্ঞ।’

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’ (জিফাইভ) ও সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ (হইচই) ওয়েব সিরিজের সুবাদে পশ্চিমবঙ্গে পরিচিতি পান তিনি। এরপর অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। সিনেমাটি তাকে এনে দিয়েছে প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সম্প্রতি চরকিতে মুক্তি পাওয়া তাসনিয়া ফারিণের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় এতে সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসানের বিপরীতে দেখা গেছে তাকে।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

সোহেল মণ্ডলের ঘরে ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার দৃশ্যে সোহেল মণ্ডল (ছবি: ফ্লিপবুক)

ভারতের মর্যাদাসম্পন্ন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরে সেরা নবাগত অভিনেতা শাখায় পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের সোহেল মণ্ডল। দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার জন্য ভারতের ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

গতকাল (২৯ মার্চ) রাতে কলকাতার আইটিসি রয়েল বেঙ্গল হোটেলে বিজয়ী হিসেবে সোহেল মণ্ডলের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে অনুষ্ঠানে ছিলেন না তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখবরটি জানিয়ে পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও ‘মায়ার জঞ্জাল’ টিমকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এই অভিনেতা। তার কথায়, ‘ব্ল্যাক লেডি ঘরে আসছে। আমার সহকর্মী, বন্ধু ও থিয়েটার কমিউনিটির সবাইকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি। সিনেমার চাইতেও জীবন অনেক নাটকীয়।’

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একসঙ্গে মুক্তি পায় ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়ার জঞ্জাল’। এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সোহেল মণ্ডলের। এতে সত্য চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা পার্শ্ব অভিনেতা শাখাতেও মনোনয়ন পান সোহেল মণ্ডল। তবে যৌথভাবে এই পুরস্কার জিতেছেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য (অর্ধাঙ্গিনী) ও কৌশিক গাঙ্গুলী (আরো এক পৃথিবী)। একই শাখায় মনোনীত অন্য চারজন হলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (দশম অবতার), অনির্বাণ চক্রবর্তী (প্রধান), যীশু সেনগুপ্ত (দশম অবতার), বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা)।

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও সোহেল মণ্ডল (ছবি: ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস)

সমালোচকদের বিচারে সেরা সিনেমা হয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’। এটি সর্বাধিক সাতটি শাখায় পুরস্কার জিতেছে। বাকি পাঁচটি স্বীকৃতি হলো সেরা চিত্রনাট্য (ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও সুগত সিনহা), সেরা সিনেমা সম্পাদনা (সুমিত ঘোষ), সেরা শব্দ বিন্যাস (শুভদীপ সেনগুপ্ত), সেরা চিত্রগ্রহণ (ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়), সেরা পোশাক পরিকল্পনা (ঋতারুপা ভট্টাচার্য) শাখাতেও পুরস্কার পেয়েছে। সমালোচকদের বিচারে যৌথভাবে সেরা সিনেমা হয়েছে ওপার বাংলার ‘নীহারিকা’।

সোহেল মণ্ডল ও অপি করিম (ছবি: ফেসবুক)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯ বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী অপি করিম। এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। একই শাখায় ‘আরো এক পৃথিবী’র জন্য বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ মনোনীত হয়েছেন। তবে পুরস্কারটি জিতেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শিবপুর)। তবে খালি হাতে ফেরেননি তাসনিয়া ফারিণ। সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

(বাঁ থেকে) সোহেল মণ্ডল, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় অপি করিমের সহশিল্পী ওপার বাংলার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। সেরা অভিনেতা (সমালোচক) শাখায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। তবে পুরস্কারটি জিতেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা)।

চীনের মর্যাদাসম্পন্ন সাংহাই আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এরপর মস্কো, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, লন্ডন ও ঢাকার বিভিন্ন উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কার পেয়েছে এটি। বাংলাদেশের প্রযোজক জসীম আহমেদের প্রতিষ্ঠান ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস এবং ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে এই সিনেমা।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ