Connect with us

গান বাজনা

বাবার সঙ্গে অভিমানে ঘর ছেড়ে বোর্ডিংয়ে চলে যাওয়া সেই ছেলেটি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ফেসবুক)

বাবা ছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। কিন্তু ছেলের পড়ালেখায় মনোযোগ নেই একেবারেই। গান নিয়েই পড়ে থাকে সারাক্ষণ। রাগী বাবার শাসনের পর অভিমানে কৈশোরে নওগাঁর বাড়ি ছাড়ে সে। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে গিয়ে ওঠে ছেলেটি। সেখানেই গানের চাষবাস করতে থাকে। ফিলিংস ব্যান্ড গঠন করে গান লেখা, সতীর্থদের সঙ্গে মহড়া, রাতে নাইটক্লাবে সংগীত পরিবেশন– এভাবে কাটতে থাকে দিনরাত। আজিজ বোর্ডিংয়ের ছোট্ট একটি কামরা সাক্ষী হয়ে থাকলো একজন রকতারকার পরিণত হওয়ার। সুরে গানে দেশের কোটি মানুষের প্রিয়জন হয়ে ওঠেন তিনি। সেই ছেলেটি হলেন ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। তার এখন কোটি কোটি ভক্ত-শ্রোতা।

আজ বাংলা সাইকেডেলিক রকের প্রবাদপুরুষ নগর বাউল জেমসের ৫৯তম জন্মদিন। প্রতিবারের মতোই ভক্ত-শ্রোতা ও সংগীতানুরাগীেদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় তার জন্ম।

ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ফেসবুক)

বাংলাদেশের সংগীত জগতের গৌরবময় এক অধ্যায়ের নাম জেমস। রকতারকা জেমস মানে সুরের তুফান, তারুণ্যের উন্মাদনা, উদ্দীপনা আর বিপুল আবেগ। জেমস মানেই মুগ্ধতা। তার গান শুনে অনেকে খুঁজে পেয়েছেন দুঃখ-কষ্ট ভুলে থাকার দাওয়াই। অনেকের কাছে তার গান যেন অক্সিজেন! তার গানই যেন বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।

একটি ঘরোয়া আয়োজনে ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ফেসবুক)

জেমস শুধু উজ্জ্বল নক্ষত্রই নন, তিনি নিজেই একটা আকাশ। তিনি একাই একটি সুবিশাল রাজ্য। ভক্তরা তাকে ভালোবেসে ‘গুরু’ বলে ডাকে। ভক্তদের কাছে মনে হয় তিনি বুঝি তাদেরই লোক। কী গ্রাম, কী শহর; জেমস যেন সবার, সারা বাংলাদেশের। ‘যেদিন বন্ধু চলে যাব, চলে যাব বহুদূরে, ক্ষমা করে দিও আমায়, ক্ষমা করে দিও, মনে রেখো কেবল একজন ছিল ভালোবাসতো শুধুই তোমাদের’– এই গান শুনে তাকে আপন ভাববে না কে!

বাবার সঙ্গে ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ফেসবুক)

জেমসের গাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গান আছে। এরমধ্যে বাবা ও মাকে নিয়ে সাজানো ‘ছেলে আমার বড় হবে, মাকে বলতো সে কথা’ (বাবা) এবং ‘১০ মাস ১০ দিন ধরে গর্ভে ধারণ’ (মা) সবশ্রেণির শ্রোতাকে আবেগাপ্লুত করে। ‘বাবা’ গানটি যখন করেন জেমস, ততদিনে তার বাবা চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ইমতিয়াজ আলম বেগ)

জেমসের গান সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সোনাঝরা কৈশোরের রোদ্দুরমাখা দিনে। তার পাগল করা কণ্ঠে ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো’ গানটি শুনলে সব বয়সী শ্রোতারা বিমোহিত হন। ‘তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়’ গানটি তরুণদের মনে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করে।

ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ফেসবুক)

জেমসের একেকটি গান যেন একেকটি অনবদ্য সৃষ্টি। কী দারুণ কথামালার গান গেয়ে মন ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার গানগুলোর আবেদন চিরকালের। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য– ‘পাগলা হাওয়ার তোড়ে’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘মীরাবাঈ’, ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না’, ‘এই চোখে তাকিয়ো না তুমি লুটপাট হয়ে যাবে’, ‘দুঃখিনী দুঃখ কোরো না’, ‘শোনো, জেল থেকে আমি বলছি’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘লেইস ফিতা লেইস’, ‘যে পথে পথিক নেই’, ‘মান্নান মিয়ার তিতাস মলম’, ‘পথের বাপ’, ‘পত্র দিও’, ‘হারাগাছের নুরজাহান’, ‘গিটার কাঁদতে জানে’, ‘সিনায় সিনায়’, ‘জিকির’, ‘তের নদী সাত সমুদ্দুর’, ‘সুলতানা বিবিয়ানা’, ‘সুস্মিতার সবুজ ওড়না’, ‘হতেও পারে এই দেখা শেষ দেখা’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘দিদিমনি’, ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’, ‘এক নদী যমুনা’– এমন অসংখ্য গানে বুঁদ হয়ে আছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

জেমস

জেমস ও ফিলিংস ব্যান্ডের প্রথম লাইনআপের সদস্যরা (ছবি: ইমতিয়াজ আলম বেগ)

১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয় ফিলিংস ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’। ১৯৮৮ সালে বাজারে আসে জেমসের প্রথম একক অ্যালবাম ‘অনন্যা’। ফিলিংসের ‘জেল থেকে বলছি’ (১৯৯৩), ‘নগর বাউল’ (১৯৯৬), ‘লেইস ফিতা লেইস’ (১৯৯৮), ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ (১৯৯৯) অ্যালবামগুলোর সুবাদে তিনি ছড়িয়ে পড়েন পথে-প্রান্তরে, শ্রোতাদের কানে-মননে।

ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ফেসবুক)

পরবর্তী সময়ে ফিলিংস ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে জেমস নতুন নাম রাখেন ‘নগর বাউল’। এরপর বাজারে আসে ‘দুষ্টু ছেলের দল’ (২০০১) অ্যালবামটি। তার অন্য একক অ্যালবামগুলো হলো– ‘পালাবে কোথায়’ (১৯৯৫), ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’ (১৯৯৭), ‘ঠিক আছে বন্ধু’ (১৯৯৯), ‘আমি তোমাদেরই লোক’ (২০০৩), ‘জনতা এক্সপ্রেস’ (২০০৫), ‘তুফান’ (২০০৬) এবং ‘কাল যমুনা’ (২০০৮)।

ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ফেসবুক)

২০০৫ সালে বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় প্লেব্যাক করেন জেমস। এতে তার গাওয়া ‘ভিগি ভিগি’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ২০০৬ সালে তিনি ‘ও লামহে’ সিনেমায় গেয়েছেন ‘চল চলে’ গানটি। ২০০৭ সালে ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’তে দুটি গান গেয়েছেন। এগুলোর শিরোনাম ‘রিশতে’ এবং ‘আলবিদা’ (রিপ্রাইজ)। সবশেষ ‘ওয়ার্নিং’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘বেবাসি’ গানটি প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। এরমধ্যে ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’ ও ‘ওয়ার্নিং’ সিনেমার কিছু অংশে বড় পর্দায় তাকে দেখা গেছে।

জিন্স-পাঞ্জাবিতে গিটার হাতে অন্যরকম ফ্যাশন দাঁড় করিয়েছেন জেমস। ২০০০ সালের প্রথম দিকে পেপসির একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে প্রথমবার মডেল হন তিনি। ২০১১ সালে এনার্জি ড্রিংক ব্ল্যাক হর্সের বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ফটোগ্রাফার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমায় দারুণ গায়কীর জন্য একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জেমস। ২০১৪ সালে ‘দেশা: দ্য লিডার’ সিনেমার ‘দেশা আসছে’ এবং ২০১৭ সালে ‘সত্তা’ সিনেমার ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম’ গানের জন্য এই অর্জন উঠেছে তার হাতে। এছাড়া তিনি জিতেছেন সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অনেক স্বীকৃতি।

সিনেমায় জেমসের গাওয়া গানের তালিকায় আরও আছে ‘আসবার কালে আসলাম একা’ (মনের সাথে যুদ্ধ), ‘মাটির ঠিকানা’র টাইটেল ট্র্যাক, ‘এতো কষ্ট কষ্ট লাগে’ (ওয়ার্নিং), ‘বিধাতা’ (সুইটহার্ট), ‘প্রেম ও ঘৃণা’ (জিরো ডিগ্রী)।

গান বাজনা

সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাফিন আহমেদ (জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১; মৃত্যু: ২৫ জুলাই, ২০২৪)

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই। বাংলাদেশ সময় আজ (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে মারা গেছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একটি হাসপাতালে গত দু’দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এই তারকা। 

ভার্জিনিয়াতেই একটি কনসার্টে অংশ নিতে গিয়েছিলেন শাফিন। গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠান শুরুর আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে এখন শোকের ছায়া। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত। পরে নাম বদলে রাখা হয় শাফিন আহমেদ। শৈশবে বাবা সংগীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্তের কাছে উচ্চাঙ্গ আর মা কিংবদন্তি নজরুলসংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন শাফিন।

বড় ভাই হামিন আহমেদসহ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার পর দেশে ফিরে শাফিন গড়ে তোলেন মাইলস ব্যান্ড। গান গাওয়ার পাশাপাশি ব্যান্ডে বেজ গিটার বাজাতেন শাফিন। হামিন আহমেদের সঙ্গে বিবাদের জেরে মাইলস থেকে একাধিকবার বেরিয়ে আলাদাভাবে গান করেছেন তিনি। হামিন ও শাফিনের আরেক ভাই মোহাম্মদ তাহসিন।

শাফিন আহমেদের কণ্ঠে জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও আমারই প্রেম’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘পলাশীর প্রান্তর’ প্রভৃতি।

শাফিন আহমেদের স্মৃতিকথা নিয়ে ‘পথিকার’ নামের একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এটি লিখেছেন সাজ্জাদ হুসাইন।

গানের বাইরে টেলিভিশনের জন্য দুটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন শাফিন আহমেদ। এছাড়া রাজনীতিতে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়ে আলোচনা সৃষ্টি করেন তিনি।

পড়া চালিয়ে যান

গান বাজনা

ইউটিউবের গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে ‘লাগে উরাধুরা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী (ছবি: এসভিএফ)

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার গান ‘লাগে উরাধুরা’ জায়গা করে নিয়েছে ইউটিউবের গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো গান এই তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে ঢুকলো। এছাড়া গ্লোবাল টপ মিউজিক ভিডিও চার্টের ৬২ নম্বরে রয়েছে এটি।

‘তুফান’ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী গতকাল (১২ জুলাই) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘লাগে উরাধুরা’ গানটি গ্লোবাল টপ হান্ড্রেড সংস চার্টের চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। ইউটিউব গ্লোবাল উইকলি (২৮ জুন থেকে ৪ জুলাই) টপ সংস চার্ট প্রকাশ করলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইউটিউবের গ্লোবাল উইকলি টপ সংস চার্ট

গত ২৭ মে ইউটিউবে চরকির চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয় ‘লাগে উরাধুরা’। এখন পর্যন্ত এর ভিউ ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি। গানটি গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। এটি লিখেছেন শরিফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদ। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান ও প্রয়াত মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে প্রীতম হাসান, মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান (ছবি: এসভিএফ)

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খানের সঙ্গে কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তীর রসায়ন দেখা গেছে। এছাড়া সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান হাজির হয়েছেন শেষাংশে। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ভারতের আদিল শেখ। পোশাক পরিকল্পনায় ফারজানা সান, শিল্প নির্দেশনায় শিহাব নুরুন নবী, চিত্রগ্রহণে তাহসিন রহমান।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান (ছবি: এসভিএফ)

সিনেমাটির সব গানই সাড়া ফেলেছে। আকাশ সেনের কথা, সুর ও সংগীতে ‘দুষ্টু কোকিল’ গেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আরিফ রহমান জয়। এতে র‍্যাপ করেছেন রাপাস্তা দাদু। এর কথা লিখেছেন তাহসান শুভ, সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী (ছবি: এসভিএফ)

‘তুফান’ প্রযোজনা করেছেন প্রযোজক আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল। এর আন্তর্জাতিক পরিবেশক এসভিএফ, ডিজিটাল পার্টনার চরকি।

পড়া চালিয়ে যান

গান বাজনা

রুনা লায়লা ৬০ নটআউট!

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ হলো। গান রেকর্ডিংয়ের হিসাবে আজ (২৪ জুন) এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন এই মহাতারকা।

রুনা লায়লার সংগীতজীবনের ছয় দশক পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে ঢাকার তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের ছাদবারান্দায়। এখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘রুনা লায়লা: সংগীত জীবনের ৬০ বছর।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের দোয়া, আশীর্বাদ ও ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এই ভালোবাসা, আশীর্বাদ শ্রদ্ধা যেন চিরকাল আমার সঙ্গে থাকে।’

নিজের সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে শাইখ সিরাজের সঙ্গে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

অনুষ্ঠানে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য তো বটেই, গোটা উপমহাদেশের সংগীতপিপাসু সকলের জন্যই আনন্দের একটি দিন। রুনা লায়লা উপমহাদেশের সংগীতকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, বাঙালি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।’

বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা আলমগীরের আজ একটি বিশেষ দিন। ১৯৭২ সালের ২৪ জুন সর্বপ্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি।

নিজের সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে আলমগীরের সঙ্গে রুনা লায়লা (ছবি: চ্যানেল আই)

ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের তারকারা। সনু নিগাম বলেন, ‘আপনি দারুণ গুণী শিল্পী ও সুন্দর। আপনার ব্যবহার ভালো। আপনার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। যখন থেকে আমার চোখ খুলেছে, তখন থেকে আপনাকে শুনছি। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। পৃথিবী আপনাকে ভালোবাসে, আমি আপনাকে ভালোবাসি।’

পাকিস্তানের অভিনেতা ইমরান আব্বাস শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনি বাকি জীবন গাইতে থাকুন, পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করুন। পাকিস্তান থেকে ভালোবাসা জানাই।’

অনুষ্ঠানের শেষে রুনা লায়লার কালজয়ী গান ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’ গেয়ে শোনান গায়িকা সোমনূর মনির কোনাল। এছাড়া গান গেয়েছেন ইমরান মাহমুদুল, ঝিলিক, লুইপা, অনিমা মুক্তি, অনন্যা।

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

১৯৬৪ সালের ২৪ জুন মাত্র ১২ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ সিনেমার ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া’ গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাগতভাবে প্লেব্যাকে মনোনিবেশ করেন রুনা লায়লা। গানটি লিখেছেন তিসনা মেরুতি, সুর করেন মানজুর। এরপর পাকিস্তানের বহু সিনেমার জন্য গেয়েছেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের আগেই ১৯৭০ সালের ২৯ মে মুক্তিপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’র মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশের সিনেমায় প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। এতে তার গাওয়া ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। এটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুর করেন সুবল দাস। গানটির সঙ্গে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছেন চিত্রনায়িকা ববিতা। প্রথম প্লেব্যাকেই ব্যাপক সাড়া ফেলে দেওয়ায় বাংলাদেশের সিনেমার গানে তার কণ্ঠের কদর বেড়ে যায়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে তিনি একে একে বহু সিনেমায় প্লেব্যাক করে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন।

রুনা লায়লা

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

বাংলা ভাষায় রুনা লায়লার বহু আধুনিক জনপ্রিয় গান রয়েছে। তিনি ‘দি রেইন’, ‘জাদুর বাঁশি’, ‘অ্যাক্সিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ ও ‘তুমি আসবে বলে’ সিনেমায় প্লেব্যাকের জন্য সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ