Connect with us

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘বলী’র জয়

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘বলী’ সিনেমার দৃশ্যে নাসির উদ্দিন খান (ছবি: অ্যাপলবক্স ফিল্মস লিমিটেড)

বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ২৮তম আসরে নিউ কারেন্টস শাখার পুরস্কার জিতলো বাংলাদেশের ইকবাল হোসাইন চৌধুরী পরিচালিত ‘বলী’। আজ (১৩ অক্টোবর) সকালে আয়োজকদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজয়ী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। রাত ৭টায় বুসান সিনেমা সেন্টারের বিআইএফএফ আউটডোর থিয়েটারে সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘বলী’র গল্প মধ্যবয়সী মজুকে কেন্দ্র করে। তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসিরউদ্দিন খান। এছাড়া আছেন প্রিয়াম অর্চি, অ্যাঞ্জেল নূর, একেএম ইতমাম। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন পিপলু আর খান। সহ-প্রযোজনায় গাউসুল আলম শাওন ও সাইফুল আজিম।

ইকবাল হোসাইন চৌধুরী (ছবি: বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

নিউ কারেন্টস শাখায় বিচারকদের প্রধান দক্ষিণ কোরিয়ান ফিল্ম ক্রিটিক ও পরিচালক জুং সাং-ইল। তার নেতৃত্বে বিচারক প্যানেলে কাজ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ান পরিচালক হান জুন-হি, ফরাসি সাংবাদিক ও কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সমান্তরাল বিভাগ ক্রিটিকস’ উইকের আর্টিস্টিক পরিচালক আভা কায়েন, ইন্দোনেশিয়ান পরিচালক এডউইন এবং আমেরিকান প্রযোজক ক্রিস্টিনা ও।

এশিয়ার প্রতিশ্রুতিশীল ও উদীয়মান নির্মাতাদের প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমার প্রতিযোগিতা বিভাগ নিউ কারেন্টসে বাংলাদেশ থেকে ‘বলী’ ছাড়াও নির্বাচিত হয় বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’। নিউ কারেন্টস শাখায় ‘বলী’ ছাড়াও পুরস্কার পেয়েছে জাপানের মোরি তাতসুয়া পরিচালিত ‘সেপ্টেম্বর ১৯২৩’।

‘বলী’ সিনেমার দৃশ্যে প্রিয়াম আর্চি (ছবি: অ্যাপলবক্স ফিল্মস লিমিটেড)

এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বুসানে এবারই প্রথম বাংলাদেশের তিনটি সিনেমা প্রতিযোগিতা শাখায় স্থান পেয়েছে। এরমধ্যে জিসোক বিভাগে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ এবং নিউ কারেন্টস শাখায় নির্বাচিত হয় ‘আগন্তুক’ ও ‘বলী’।

কিম জিসোক শাখায় প্রথম পুরস্কার জিতেছে শ্রীলঙ্কার প্রসন্ন বীথানাগে পরিচালিত ‘প্যারাডাইস’। দ্বিতীয় হয়েছে কিরগিজস্তানের মিরলান আবদিকালিকভের ‘ব্রাইড কিডন্যাপিং’।

বিআইএফএফ আউটডোর থিয়েটারে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা) শুরু হবে লালগালিচা অনুষ্ঠান। এরপর থাকছে পুরস্কার বিতরণ। সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন দক্ষিণ কোরিয়ান অভিনয়শিল্পী কো মিন-সি এবং হং কায়ুং। সবশেষে রাত ৮টায় দেখা যাবে উৎসবের সমাপনী সিনেমা চীনের নিং হাও পরিচালিত ‘দ্য মুভি এম্পারার’।

গত ৪ অক্টোবর শুরু হয় ১০ দিনের বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এবারের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পেয়েছে ৬৯টি দেশের ২০৯টি সিনেমা। উৎসবের শাখাগুলো হলো– গালা প্রেজেন্টেশন, আইকনস, জিসোক, অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা, নিউ কারেন্টস, কোরিয়ান সিনেমা টুডে, ওয়ার্ল্ড সিনেমা, ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ড, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, ওপেন সিনেমা, মিডনাইট প্যাশন, অন স্ক্রিন, স্পেশাল প্রোগ্রাম ইন ফোকাস এবং স্পেশাল স্ক্রিনিং।

ইন্দোনেশিয়ার ৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা, ৫টি শর্টফিল্ম ও ১টি ওয়েব সিরিজ নিয়ে এবার রাখা হয়েছে বিশেষ শাখা ‘রেনেসাঁ অব ইন্দোনেশিয়ান সিনেমা’। অফিসিয়াল সিলেকশনের সঙ্গে দেখানো হয়েছে কমিউনিটি বিআইএফএফ-এর ৬০টি সিনেমা।

‘বলী’ সিনেমার দৃশ্যে নাসির উদ্দিন খান (ছবি: অ্যাপলবক্স ফিল্মস লিমিটেড)

২৮তম বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বিজয়ী তালিকা

নিউ কারেন্টস অ্যাওয়ার্ড
বলী (ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, বাংলাদেশ)
সেপ্টেম্বর ১৯২৩ (মোরি তাতসুয়া, জাপান)

কিম জিসোক অ্যাওয়ার্ড
প্যারাডাইস (প্রসন্ন বীথানাগে, শ্রীলঙ্কা)
ব্রাইড কিডন্যাপিং (মিরলান আবদিকালিকভ, কিরগিজস্তান)

বিআইএফএফ মেসেনাট অ্যাওয়ার্ড
দ্য ভয়েসেস অব দ্য সাইলেন্সড (পার্ক সু-ন্যাম, পার্ক মাউই; দক্ষিণ কোরিয়া/জাপান)
রিপাবলিক (জিন জিয়াং, চীন)

সনজে অ্যাওয়ার্ড
মাই ডিয়ার (জিয়ন দোহি, কিম সোহি; দক্ষিণ কোরিয়া)
টোয়েন্টি ওয়ান উইকস লেটার (নাসরিন মোহাম্মদপুর, ইরান)

স্পেশাল মেনশন: এভরিবডি’স গটা লাভ সামটাইমস (সাইন লাইয়েন তুন, মিয়ানমার)

বর্ষসেরা অভিনয়শিল্পী
বর্ষসেরা অভিনেতা: জ্যাং সুং-বুম (ওয়ার্ক টু ডু, দক্ষিণ কোরিয়া)
বর্ষসেরা অভিনেত্রী: ও মিনা (কনসার্নিং মাই ডটার, দক্ষিণ কোরিয়া)

কেবি নিউ কারেন্টস অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড
হেরিটেজ (লি জং-সু, দক্ষিণ কোরিয়া)

ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ড অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড
দ্য ড্রিমার (আনাইস তেলেন, ফ্রান্স)

ফিপরেসি অ্যাওয়ার্ড
দ্যাট সামার’স লাই (সন হাইয়ুন-লোক, দক্ষিণ কোরিয়া)

নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড
সলিডস বাই দ্য সিশোর (পাতিপার্ন বুনতারিগ, থাইল্যান্ড)

এলজি ওলেড নিউ কারেন্টস অ্যাওয়ার্ড
সলিডস বাই দ্য সিশোর (পাতিপার্ন বুনতারিগ, থাইল্যান্ড)

এলজি ওলেড ভিশন অ্যাওয়ার্ড
দ্য বেরেফটস (জং বেয়ম, হর জাং; দক্ষিণ কোরিয়া)

ডিজিকে প্লাস এম অ্যাওয়ার্ড
ওয়ার্ক টু ডু (পার্ক হং-জুন, দক্ষিণ কোরিয়া))
আইল অব স্নেকস (ইয়ু-মিন কিম, দক্ষিণ কোরিয়া)

সিজিভি অ্যাওয়ার্ড
কনসার্নিং মাই ডটার (লি মিরাং, দক্ষিণ কোরিয়া)

কেবিএস ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড
হাউস অব দ্য সিজনস (ও জাং-মিন, দক্ষিণ কোরিয়া)

সিজিকে অ্যাওয়ার্ড
লি জিন কুন (হাউস অব দ্য সিজনস, দক্ষিণ কোরিয়া)
স্পেশাল মেনশন-১: কিম-জিন পায়ো (আইল অব স্নেকস, দক্ষিণ কোরিয়া)
স্পেশাল মেনশন-২: কিম জিরিয়ং (কনসার্নিং মাই ডটার)

ক্রিটিক বি অ্যাওয়ার্ড
লাস্ট সামার (চয় সিউং উ, দক্ষিণ কোরিয়া)

অরোরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
হাউস অব দ্য সিজনস (ও জাং-মিন, দক্ষিণ কোরিয়া)
এফএকিউ (কিম দা-মিন, দক্ষিণ কোরিয়া)

ওয়াচা শর্ট অ্যাওয়ার্ড
মাই ডিয়ার (জিয়ন দোহি, কিম সোহি; দক্ষিণ কোরিয়া)
কার্মা (চয় সুহাইয়ুক, দক্ষিণ কোরিয়া)

সিটিজেন ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড
দ্য বেরেফটস (জং বেয়ম, হর জাং; দক্ষিণ কোরিয়া)

বুসান সিনেফাইল অ্যাওয়ার্ড
ইয়েলো ডোর: ’নাইনটিজ লো-ফি ফিল্ম ক্লাব (লি হাইয়ুক রেই, দক্ষিণ কোরিয়া)

দ্য চুন-ইয়ুন অ্যাওয়ার্ড
কিম জি-ইয়ন (দক্ষিণ কোরিয়া)

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

টরন্টো উৎসবে নির্বাচিত মেহজাবীনের ‘সাবা’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হলো অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর ‘সাবা’। এটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মাকসুদ হোসেন। উৎসবে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে অংশ নেবেন তারা।

‘সাবা’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এর অফিসিয়াল পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের খবর জানান তিনি।

‘সাবা’ সিনেমার শুটিংয়ে মেহজাবীন চৌধুরী ও মাকসুদ হোসেন (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

‘সাবা’ অর্থ সকাল, সকালের মৃদু বাতাস। মেহজাবীনের আশা, “গল্প, চরিত্র, পরিচালকের নির্মাণ, গুণী অভিনয়শিল্পী ও নেপথ্যের মেধাবী কলাকুশলীদের সঙ্গে আমার অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ আমার জীবনে সবসময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে।”

‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মেহজাবীনকে। এতে আরো অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

‘সাবা’ সিনেমার পোস্টারে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহ সংগীতে আম্মান আব্বাসি।

৪৯তম টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। ডিসকভারি প্রোগ্রামের উদ্বোধনী সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নারী দুর্গা চু-বোস পরিচালিত ‘বোজোঁ ত্রিস্তেস’। ফরাসি নাট্যকার-সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া সেগোঁর উপন্যাস অবলম্বনে এতে অভিনয় করেছেন ক্লোয়ি সেভেনিয়ে। এবারের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে ‘সাবা’সহ ২৪টি সিনেমা। এরমধ্যে ২০টির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এবারের উৎসব চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নবাগত ও উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র জায়গা পেয়ে থাকে। ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের তালিকায় আছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো আনিয়েদি, মারেন আদে ও এমা সেলিগম্যান।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

মস্কো উৎসবে স্পেশাল জুরি প্রাইজ পেলো বাংলাদেশের ‘নির্বাণ’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

পুরস্কার হাতে আসিফ ইসলাম (ছবি: ফেসবুক)

মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (এমআইএফএফ) ৪৬তম আসরে স্পেশাল জুরি প্রাইজ পেলো বাংলাদেশের আসিফ ইসলাম পরিচালিত ‘নির্বাণ’। একটি ফটো অ্যালবামের মতো সাদাকালো এই নির্বাক সিনেমায় তিনটি চরিত্রের অভ্যন্তরীণ যাত্রার গল্প বলা হয়েছে।

গতকাল (২৬ এপ্রিল) উৎসবটির সমাপনীতে আসিফ ইসলামের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন ‘নির্বাণ’ সিনেমার অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। এতে গল্পে বলা হয়েছে, অন্তর্নিহিত শান্তির খোঁজে প্রতিনিয়ত মানুষকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আনোয়ার হোসেনের গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এটি। এতে আরো অভিনয় করেছেন ফাতেমা তুজ জোহরা, ইমরান মাহাথির প্রমুখ।

গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় ৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (এমআইএফএফ)। উদ্বোধনী আয়োজনের লালগালিচায় হেঁটেছেন প্রিয়াম অর্চি ও আসিফ ইসলাম। গত ২২ এপ্রিল তাদের সিনেমার প্রদর্শনী হয়েছে। এরপর ২৪ এপ্রিল ছিলো আরেকটি প্রদর্শনী।

লালগালিচায় প্রিয়াম অর্চি (ছবি: ফেসবুক)

এবারের উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন সেন্ট জর্জ জিতেছে মিগেল সালগাদো পরিচালিত মেক্সিকান সিনেমা ‘শেম’। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে মেক্সিকো ও কাতার। দুই কিশোর পেড্রো ও লুসিওকে কেন্দ্র করে এর গল্প, যারা অপহরণের পর বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হয়। পেড্রো জিতে যায় এবং পালাতে সক্ষম হয়। কিন্তু লুসিওর প্রতি অপরাধবোধ তাকে পীড়া দিতে থাকে।

সেরা পরিচালক হিসেবে সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের নাহিদ আজিজি সেদিস। তার পরিচালিত ‘কোল্ড সাই’ মোট তিনটি পুরস্কার জিতেছে। বাহা জানতে পারে, তার বাবা বাহরাম ২০ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। বাহার মাকে প্রতারণার অভিযোগে খুনের কারণে সাজা হয়েছিলো বাহরামের। সেই ঘটনায় বাবার ওপর ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বাহা। তবুও সে সিদ্ধান্ত নেয় বাবাকে ঘরে ফেরাবে।

রুশ প্রিমিয়ার প্রতিযোগিতা শাখায় সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার পেয়েছে ইউলিয়া ট্রফিমোভা পরিচালিত ‘লায়ার’। বিশ্ব সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য এমআইএফএফ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সের্গেই উরসুলিয়াক।

বিচারকদের প্রধান ছিলেন আইসল্যান্ডের পরিচালক ফ্রিদরিক থর ফ্রিদরিকসন। তার ‘চিলড্রেন অব ন্যাচার’ অস্কারে মনোনীত হওয়া একমাত্র আইসল্যান্ডিক সিনেমা।

লালগালিচায় প্রিয়াম অর্চি ও আসিফ ইসলাম (ছবি: ফেসবুক)

‘নির্বাণ’ ছাড়াও মস্কোতে এবার বাংলাদেশের শর্টফিল্ম ‘হইতে সুরমা’ দেখানো হয়েছে। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন মনোজ প্রামাণিক ও সুব্রত সরকার। মস্কো উৎসবে এবারই প্রথম বাংলাদেশের শর্টফিল্ম নির্বাচিত হলো। ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া টাঙ্গুয়ার হাওরে আয়োজন করে ‘ইকো ফিল্ম ল্যাব’। সেখানেই প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তন থিমে ‘হইতে সুরমা’র যাত্রা শুরু। টাঙ্গুয়ার হাওর, শনির হাওর ও সুনামগঞ্জ জেলার আশেপাশের অঞ্চলের নির্মল প্রাকৃতিক দৃশ্যে শল্টফিল্মটির শুটিং হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারাই এর অভিনেতা-অভিনেত্রী। প্রকৃতির ওপর মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধ্বংসাত্মক প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী প্রতিক্রিয়াগুলো তুলে ধরা হয়েছে এতে। সম্পাদনাসহ পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ তত্ত্বাবধান করেছে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের মনাপচিত্র, ওমানের ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল ট্রেডিং, সৌদি আরবের থার্ড অ্যাকশন ও জার্মানির মোগাদর ফিল্ম।

২০২২ সালের মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যুবরাজ শামীম পরিচালিত ‘আদিম’ দুটি শাখায় পুরস্কার জেতে। এছাড়া গত বছর নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ এই উৎসবের প্রতিযোগিতা শাখায় প্রদর্শিত হয়েছে। ‘নির্বাণ’-এর মাধ্যমে টানা তিন আসরের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা পেলো বাংলাদেশের সিনেমা।

মস্কো উৎসব পরিচালক নিকিতা মিখালকোভ জানান, এবারের আসরে আট দিনে ৯টি পর্দায় ৫৬টি দেশের ২৪০টি সিনেমার ৩৮০টি প্রদর্শনী হয়েছে। সব প্রদর্শনী মিলিয়ে ৩৯ হাজার দর্শক উপস্থিতি ঘটেছে।

১৯৩৫ সালে শুরু হয় মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পড়া চালিয়ে যান

ওয়ার্ল্ড সিনেমা

অস্কার ২০২৪: পুরস্কার জিতলেন যারা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

(বাঁ থেকে) রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ, এমা স্টোন ও কিলিয়ান মারফি (ছবি: অস্কার)

৯৬তম অস্কারে হলিউডসহ বিশ্ব সিনেমায় ২০২৩ সালের সেরা কাজগুলোকে ২৩টি শাখায় পুরস্কৃত করা হলো। অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের প্রায় ১১ হাজার ভোটার বিজয়ীদের নির্বাচন করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের ডলবি থিয়েটারে অস্কারের মহাযজ্ঞ শুরু হয় আজ (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায়। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটি চতুর্থবারের মতো সঞ্চালনা করেছেন আমেরিকান টিভি তারকা জিমি কিমেল। এমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী ৫৪ বছর বয়সী এই উপস্থাপক-প্রযোজক ২০১৭ সালে ৮৯তম, ২০১৮ সালে ৯০তম এবং ২০২৩ সালে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস মাতিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে নিজেদের মনোনীত গান গেয়ে শুনিয়েছেন কানাডিয়ান অভিনেতা রায়ান গসলিং, আমেরিকান গায়িকা বিলি আইলিশ, বেকি জি, আমেরিকান গায়ক জন ব্যাটিস্ট ও ওসেজ সম্প্রদায়ের কণ্ঠশিল্পীরা। ‘ইন মেমোরিয়াম’ পর্বে গত ১২ মাসে প্রয়াত হওয়া বিশ্ব সিনেমার গুণীদের স্মরণ করা হয়েছে। মূল আয়োজন শুরুর আগে লালগালিচায় জৌলুস ছড়িয়েছেন তারকারা।

ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির মালিকানাধীন এবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশসহ ২০০টিরও বেশি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করেছে অস্কারের জমকালো অনুষ্ঠান। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে উপভোগ করেছেন এই আয়োজন।

৯৬তম অস্কারের বিজয়ী তালিকা
সেরা সিনেমা
ওপেনহাইমার (ক্রিস্টোফার নোলান, এমা থমাস)

সেরা অভিনেতা
কিলিয়ান মারফি (ওপেনহাইমার)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (ওপেনহাইমার)

সেরা অভিনেত্রী
এমা স্টোন (পুয়োর থিংস)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
ডে’ভাইন জয় র‌্যান্ডলফ (দ্য হোল্ডওভারস)

সেরা পরিচালক
ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য
অ্যানাটমি অব অ্যা ফল (জাস্টিন ত্রিয়ে, আর্থার হারারি)

সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য
আমেরিকান ফিকশন (কর্ড জেফারসন)

সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা
দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (হায়াও মিয়াজাকি ও তোশিও সুজুকি)

সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমা
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (যুক্তরাজ্য)

সেরা চিত্রগ্রহণ
ওপেনহাইমার (হয়তে ফন হয়তেমা)

সেরা পোশাক পরিকল্পনা
পুয়োর থিংস (হলি ওয়াডিংটন)

সেরা প্রামাণ্যচিত্র
টোয়েন্টি ডেজ ইন মারিউপোল (মিস্তিস্লাভ চেরনোভ)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র
দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ (বেন প্রাউডফুট ও ক্রিস বাওয়ার্স)

সেরা সিনেমা সম্পাদনা
ওপেনহাইমার (জেনিফার লেম)

সেরা রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা
পুয়োর থিংস (নাদিয়া স্টেসি, জশ ওয়েস্টন ও মার্ক কুলিয়ার)

সেরা মৌলিক আবহসংগীত
লুদবিগ গোরানসন (ওপেনহাইমার)

সেরা মৌলিক গান
হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর? (গীতিকবি ও সুরকার বিলি আইলিশ, ফিনিয়াস ও’কনেল, সিনেমা: বার্বি)

সেরা শিল্প নির্দেশনা
পুয়োর থিংস (জেমস প্রাইস, শনা হিথ ও জুজা মিহালেক)

সেরা শব্দ
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (জনি বার্ন, টার্ন উইলার্স)

সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস
গডজিলা মাইনাস ওয়ান (তাকাশি ইয়ামাজাকি, কিয়োকো শিবুয়া, মাসাকি তাকাহাশি, তাতসুজি নোজিমা)

সেরা শর্টফিল্ম
দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগার (ওয়েস অ্যান্ডারসন, স্টিভেন রালস)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড সিনেমা
ওয়ার ইজ ওভার! ইন্সপায়ার্ড বাই দ্য মিউজিক অব জন অ্যান্ড ইয়োকো (ডেভ মালিন্স, ব্র্যাড বুকার)

সম্মানসূচক অস্কার
আমেরিকান অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট, আমেরিকান কমেডিয়ান, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক মেল ব্রুকস, চলচ্চিত্র সম্পাদক ক্যারল লিটেলটন

জিন হার্শোল্ট মানবিক অ্যাওয়ার্ড
সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের নির্বাহী মিশেল স্যাটার

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ