Connect with us

সিনেমা হল

হলিউডের তিন নতুন সিনেমা একসঙ্গে বাংলাদেশে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘ম্যাডাম ওয়েব’, ‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’, ‘আরগিল’ সিনেমার পোস্টার

হলিউডের তিনটি সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পেলো বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে। এরমধ্যে রয়েছে বিশ্বনন্দিত সংগীতশিল্পী বব মার্লের বায়োপিক ‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’, গোয়েন্দা কাহিনি নির্ভর ‘আরগিল’ এবং সুপারহিরোদের নিয়ে নির্মিত ‘ম্যাডাম ওয়েব’। তিন ঘরানার তিনটি সিনেমাই বিশ্বব্যাপী আলোচনা সৃষ্টি করেছে। গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে এগুলোর প্রদর্শনী চলছে।

বব মার্লে: ওয়ান লাভ
১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জ্যামাইকার নাইন মাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বনন্দিত সংগীতশিল্পী বব মার্লে। তিনি ছিলেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, গীতিকবি, সুরকার, গিটারবাদক ও সংগীত প্রযোজক। তাঁর খ্যাতি ছিলো দুনিয়াজুড়ে। ‘বাফেলো সোলজার’, ‘নো ওম্যান, নো ক্রাই’, ‘গেটআপ স্ট্যান্ডআপ’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান দিয়ে জয় করেছেন কোটি ভক্তের হৃদয়। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশে তাঁর অনেক ভক্ত।

‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’ সিনেমায় কিংসলে বেন-আদির (ছবি: প্যারামাউন্ট পিকচার্স)

বব মার্লে জীবনভর মানবতার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর গানের মূল উপজীব্য ছিলো প্রতিবাদ ও ভালোবাসার জয়গান। গান দিয়েই অধিকারবঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষ নিতেন, গানে গানে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করেছেন। গণমানুষের গান গাওয়ায় সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। সর্বকালের সেরা সংগীতশিল্পীদের একজন তিনি। ১৯৮১ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ক্যানসারের কাছে হার মেনে অনন্তযাত্রার পথে পাড়ি জমান এই জ্যামাইকান তারকা।

প্যারামাউন্ট পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে বব মার্লের বায়োপিক ‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’। রেইনাল্ডো মার্কস গ্রিন পরিচালিত সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেবে তাঁর আদর্শ, চিন্তাধারা ও ভালোবাসার বার্তা। এবারই প্রথম সিনেমায় উঠে এসেছে তাঁর দুঃখ, বেদনা, আনন্দ আর মুক্তির অনুভব। সম্প্রতি লন্ডনে এর প্রিমিয়ারে অংশ নেন বব মার্লের ছেলে ও সিনেমাটির প্রযোজক জিগি মার্লে। তার সঙ্গে এটি প্রযোজনা করছেন বব মার্লের স্ত্রী রিটা মার্লে ও মেয়ে সেডেলা মার্লে। নির্বাহী প্রযোজনায় হলিউড তারকা ব্র্যাড পিট।

‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’ সিনেমায় লাশানা লিঞ্চ ও কিংসলে বেন-আদির (ছবি: প্যারামাউন্ট পিকচার্স)

গল্প শুরু হয় ১৯৭৬ সালে কিংস্টনে। বব মার্লে তখন বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিবাদে একটি কনসার্টের পরিকল্পনা করেন। এরপর মার্লে দম্পতির ওপর হত্যাচেষ্টা চালানো হয়। কোনোমতে বেঁচে গেলেও পরবর্তী সময়ে স্ত্রীসহ লন্ডনে পাড়ি জমান বব মার্লে। লন্ডনেই নিজের জনপ্রিয় অ্যালবাম ‘এক্সোডাস’ রেকর্ড করেন তিনি। বব মার্লের শৈশব ও যৌবনের কিছু ফ্ল্যাশব্যাক রয়েছে সিনেমায়।

বব মার্লের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রিটিশ তারকা কিংসলে বেন-আদির। ‘ওয়ান নাইট ইন মায়ামি’ সিনেমায় ম্যালকম এক্স এবং ‘দ্য কোমি রুল’ সিরিজে বারাক ওবামা চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আছে তার ঝুলিতে। ‘বার্বি’র শুটিং চলার সময় থেকেই বব মার্লের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। ৩৭ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ অভিনেতা বব মার্লের আচরণ ও ভাষা আয়ত্ত করতে অনেক পরিশ্রম করেছেন।

৭ কোটি ডলার বাজেটে ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন লাশানা লিঞ্চ, জেমস নর্টন, টোসিন কোল, অ্যাস্টন ব্যারেট জুনিয়র, অ্যান্থনি ওয়েলশ, সেভানা, হেক্টর লুইস, মাইকেল গ্যান্ডলফিনি, নাদিন মার্শাল প্রমুখ।

‘আরগিল’ সিনেমায় হেনরি ক্যাভিল, দুয়া লিপা ও জন সিনা (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

আরগিল
‘সুপারম্যান’ তারকা হেনরি ক্যাভিল, রেসলিং তারকা জন সিনা এবং পপতারকা দুয়া লিপা একসঙ্গে পর্দায় এলেন। ম্যাথু ভন পরিচালিত ‘আরগিল’ সিনেমায় দেখা যাচ্ছে তাদের রসায়ন। গোয়েন্দা আরগিল চরিত্রে অভিনয় করেছেন হেনরি ক্যাভিল। লেখক এলি কনওয়ের ভূমিকায় আছেন ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড। তিনি আরগিল চরিত্রকে কেন্দ্র করে একটি গোয়েন্দা উপন্যাস লেখেন। গোপন মিশনের প্রেক্ষাপটে লেখা সেই উপন্যাস তাকে নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এলির লেখা কাল্পনিক গল্প ও চরিত্রগুলো পুরোটাই বাস্তব! এ কারণে গোয়েন্দা সংস্থা এই নারীকে আটক করে। একইসঙ্গে সেখানে আবির্ভাব ঘটে হেনরি, জন ও দুয়ার। বাকি গল্প এলিকে রক্ষার পাশাপাশি গোপন মিশন পরিচালনার।

‘আরগিল’ সিনেমায় দুয়া লিপা ও হেনরি ক্যাভিল, (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

২০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত সিনেমাটি গত ২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি দিয়েছে ইউনিভার্সেল পিকচার্স। এতে আরো অভিনয় করেছেন আরিয়ানা ডিবোজ, স্যাম রকওয়েল, ব্রায়ান ক্র্যানস্টন, স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন, ক্যাথরিন ও’হারা, সোফিয়া বুটেলা, রিচার্ড ই. গ্র্যান্টসহ অনেকে।

‘ম্যাডাম ওয়েব’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: সনি পিকচার্স)

ম্যাডাম ওয়েব
‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ তারকা ডাকোটা জনসন ‘ম্যাডাম ওয়েব’ দিয়ে মারভেল দুনিয়ায় যুক্ত হলেন। এতে তাকে দেখা যায় নাম ভূমিকায়। এবারই প্রথম সুপারহিরো গল্পে অভিনয় করেছেন তিনি। মারভেল কমিকস অবলম্বনে ‘স্প্যাইডার-ম্যান’ ইউনিভার্সের চতুর্থ সিনেমাটির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ নারী নির্মাতা এস. জে. ক্লার্কসন। সনি পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে এটি। এতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহের রহিম, অ্যাডাম স্কট, সিডনি সুইনি, এমা রবার্টস, ইসাবেলা মেরকেড, মাইক এপস প্রমুখ। এর দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট, বাজেট ৮ কোটি ডলার।

সিনেমা হল

পঞ্চম সপ্তাহে ‘তুফান’, ৪৫ শো স্টার সিনেপ্লেক্সে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘তুফান’ সিনেমার পোস্টারে মিমি চক্রবর্তী, শাকিব খান, মাসুমা রহমান নাবিলা ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: আলফা-আই স্টুডিওস)

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ মুক্তির পঞ্চম সপ্তাহে পা রাখলো। এখনো দুরন্ত গতিতে ব্যবসা করছে এটি। দর্শক চাহিদা অব্যাহত থাকায় অভিজাত মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্স আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত এই সিনেমাকে ৪৫টি শো বরাদ্দ দিয়েছে।

আজ (১২ জুলাই) থেকে প্রতিদিন স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি শাখায় ১০টি, এসকেএস টাওয়ার শাখায় ৮টি, সীমান্ত সম্ভার শাখায় ৭টি, মিরপুরে সনি স্কয়ার শাখায় ৭টি, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর শাখায় ৪টি, চট্টগ্রামের বালি আর্কেড শাখায় ৬টি, রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে ৩টি করে শো চালানো হচ্ছে। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর শাখায় কেবল আজ দুটি শো থাকবে। আগামীকাল থেকে প্রতিদিন ৪টি শো চলবে এখানে।

শাকিবের ‘তুফান’ নিয়ে দেশ-বিদেশে ডামাডোল অব্যাহত রয়েছে। ঈদুল আজহার দিন (১৭ জুন) মুক্তির পর থেকে দারুণ ব্যবসা করছে রায়হান রাফী পরিচালিত এই সিনেমা। এসভিএফের পরিবেশনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে এটি। এরমধ্যে রয়েছে আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুর, আবুধাবি, ওমান, কাতার ও বাহরাইন। এরপর ৫ জুলাই ভারতে মুক্তি পায় সিনেমাটি। আগামী ২৮ জুলাই ‘তুফান’ মুক্তি পাবে মালয়েশিয়ায়।

‘তুফান’ সিনেমার পোস্টারে মাসুমা রহমান নাবিলা, শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: আলফা-আই স্টুডিওস)

‘তুফান’-এ শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা। সিআইডি আকরাম চরিত্রে দর্শক মাতিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে পর্দায় এসেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার প্রমুখ।

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী (ছবি: আলফা-আই স্টুডিওস)

সিনেমাটির সব গান সাড়া ফেলেছে। আকাশ সেনের কথা, সুর ও সংগীতে ‘দুষ্টু কোকিল’ গেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আরিফ রহমান জয়। এতে র‍্যাপ করেছেন রাপাস্তা দাদু। এর কথা লিখেছেন তাহসান শুভ, সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ। আইটেম গান ‘লাগে উরাধুরা’ গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। এটি লিখেছেন শরিফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদ। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন রাজ্জাক দেওয়ান ও প্রীতম হাসান।

‘তুফান’ প্রযোজনা করেছেন প্রযোজক আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল। এর ডিজিটাল পার্টনার চরকি।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমা হল

স্টার সিনেপ্লেক্সে জুন মাসে হলিউড-বলিউডকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে ‘তুফান’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান (ছবি: আলফা-আই স্টুডিওস)

দেশের অভিজাত মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্সে জুন মাসে টিকিট বিক্রিতে হলিউড ও বলিউডকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’। গত মাসে সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হওয়া ১০টি সিনেমার তালিকা আজ (১ জুলাই) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে বাংলা আরেকটি সিনেমা রয়েছে।

গত ১৭ জুন ঈদুল আজহায় মুক্তির দিন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্সের আটটি শাখায় টিকিট বিক্রি, শো সংখ্যা ও আয়ে বেশ এগিয়ে ছিলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’। তালিকার আরেক বাংলা সিনেমা হলো সুমন ধর পরিচালিত ‘আগন্তুক’। এতে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি ও শ্যামল মওলা।

তালিকার দুই ও তিন নম্বরে জায়গা পেয়েছে যথাক্রমে জাপানের অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘হাইকু!! দ্য ডাম্পস্টার ব্যাটেল’ ও জর্জ মিলার পরিচালিত ‘ফিউরিওসা: অ্যা ম্যাড ম্যাক্স সাগা’। চারে আছে বলিউড তারকা রাজকুমার রাও ও জানভী কাপুরের ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’। পাঁচ থেকে ১০ নম্বরে অবস্থান করেছে যথাক্রমে ইশানা নাইট শ্যামালান পরিচালিত ‘ওয়াচার্স’, ‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস’ সিনেমার স্পিন-অফ প্রিক্যুয়েল ‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস: ডে ওয়ান’, উইল স্মিথ অভিনীত ‘ব্যাড বয়েজ: রাইড অর ডাই’, প্রাগৈতিহাসিক দুই দানবকে কেন্দ্র করে নির্মিত ‘গডজিলা এক্স কং: দ্য নিউ এম্পায়ার’ এবং অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘কুংফু পান্ডা ফোর’।

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান (ছবি: আলফা-আই স্টুডিওস)

স্টার সিনেপ্লেক্সসহ দেশের শতাধিক সিনেমাহলে রমরমা ব্যবসা করছে ‘তুফান’। গত ২৮ জুন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে এটি। এরমধ্যে রয়েছে আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, পর্তুগাল, আবুধাবি, ওমান, কাতার ও বাহরাইন। বেশিরভাগ দেশেই দর্শকরা সিনেমাটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান (ছবি: আলফা-আই স্টুডিওস)

বলিউডের বাণিজ্য বিশ্লেষক হিসেবে তরণ আদর্শ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টগুলোতে উল্লেখ করেছেন, আগামী ৫ জুলাই ভারতে মুক্তি পাবে ‘তুফান’। এর আন্তর্জাতিক পরিবেশক এসভিএফ, ডিজিটাল পার্টনার চরকি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেড।

‘তুফান’ সিনেমার পোস্টারে মাসুমা রহমান নাবিলা, শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: আলফা-আই স্টুডিওস)

‘তুফান’-এ শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা ও ভারতের মিমি চক্রবর্তী। সিআইডি আকরাম চরিত্রে দর্শকদের মন জয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার প্রমুখ।

‘তুফান’ সিনেমার গানে শাকিব খান ও মাসুমা রহমান নাবিলা (ছবি: আলফা-আই স্টুডিওস)

সিনেমাটির গানগুলো সাড়া ফেলেছে। ‘দুষ্টু কোকিলা’ শিরোনামের গানে আকাশ সেনের কথা, সুর ও সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। টাইটেল গান ‘তুফান’ গেয়েছেন আরিফ রহমান জয়। এতে র‍্যাপ করেছেন রাপাস্তা দাদু। এর কথা লিখেছেন তাহসান শুভ, সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ। আইটেম গান ‘লাগে উরাধুরা’ গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। এর কথা লিখেছেন শরিফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদ। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন রাজ্জাক দেওয়ান ও প্রীতম হাসান। ‘ফেঁসে যাই’ শিরোনামের গান গেয়েছেন হাবিব ওয়াহিদ। এর কথা লিখেছেন তন্ময় পারভেজ, সুর ও সংগীত পরিচালনায় আরাফাত মহসীন নিধি।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমা হল

নিঃশব্দতার সাসপেন্স নিয়ে বাংলাদেশে ‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস: ডে ওয়ান’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস: ডে ওয়ান’ সিনেমার পোস্টারে লুপিটা নিয়োঙ্গো ও জোসেফ কুইন (ছবি: প্যারামাউন্ট পিকচার্স)

বিন্দুমাত্র শব্দ না করে কীভাবে জীবনধারণ সম্ভব? বুদ্ধিদীপ্ত চিত্রনাট্যে এমন পীড়াদায়ক নিঃশব্দতার সাসপেন্স নিয়ে সাজানো ‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস’ মুক্তি পায় ২০১৮ সালে। এর দুই বছর পর আসে সিক্যুয়েল ‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস পার্ট টু’। দুটিই দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। এবার মুক্তি পাচ্ছে প্রথম সিনেমার স্পিন-অফ প্রিক্যুয়েল ‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস: ডে ওয়ান’। প্যারামাউন্ট পিকচার্সের পরিবেশনায় এটি আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে আগামী ২৮ জুন। একই দিন বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস’ ফ্র্যাঞ্চাইজের নতুন পর্ব পরিচালনা করেছেন মাইকেল সারনোস্কি। তিনি ও আগের দুই সিনেমার পরিচালক জন ক্রাসিনস্কি মিলে গল্প আর চিত্রনাট্য লিখেছেন। প্রযোজকদের মধ্যে আছেন জন ক্রাসিনস্কি ও ‘ট্রান্সফরমার্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজের নির্মাতা মাইকেল বে।

প্লাটিনাম ডিউনস এবং সানডে নাইট প্রোডাকশনের যৌথ প্রযোজনায় লন্ডনে এর শুটিং হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী লুপিটা নিয়োঙ্গো, জোসেফ কুইন, অ্যালেক্স উলফ, এলিয়ান উমুহিরে। আগের পর্বে থাকা ডিমন হানসাউ আবারও ফিরছেন।

জন ক্রাসিনস্কির হাত ধরে শুরু হয় অভিনব ধাঁচের ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস’। দর্শকদের নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে আগের সিনেমা দুটি। এগুলোতে ক্ষোভ, অনুশোচনা কিংবা ভালোবাসা তো বটেই; উল্লাস কিংবা কান্নায় ভেঙে পড়ার মতো দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কেবল মুখের অভিব্যক্তিতে। সংলাপের স্বল্পতা থাকায় দর্শকের একাগ্র মনোযোগ ধরে রাখে নজরকাড়া ভিজ্যুয়াল।

‘অ্যা কোয়ায়েট প্লেস’ সিরিজের প্রথম দুটি সিনেমা বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে। এবারের পর্বও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ