Connect with us

সিনেমা হল

হলিউডের তিন নতুন সিনেমা একসঙ্গে বাংলাদেশে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘ম্যাডাম ওয়েব’, ‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’, ‘আরগিল’ সিনেমার পোস্টার

হলিউডের তিনটি সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পেলো বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে। এরমধ্যে রয়েছে বিশ্বনন্দিত সংগীতশিল্পী বব মার্লের বায়োপিক ‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’, গোয়েন্দা কাহিনি নির্ভর ‘আরগিল’ এবং সুপারহিরোদের নিয়ে নির্মিত ‘ম্যাডাম ওয়েব’। তিন ঘরানার তিনটি সিনেমাই বিশ্বব্যাপী আলোচনা সৃষ্টি করেছে। গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে এগুলোর প্রদর্শনী চলছে।

বব মার্লে: ওয়ান লাভ
১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জ্যামাইকার নাইন মাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বনন্দিত সংগীতশিল্পী বব মার্লে। তিনি ছিলেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, গীতিকবি, সুরকার, গিটারবাদক ও সংগীত প্রযোজক। তাঁর খ্যাতি ছিলো দুনিয়াজুড়ে। ‘বাফেলো সোলজার’, ‘নো ওম্যান, নো ক্রাই’, ‘গেটআপ স্ট্যান্ডআপ’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান দিয়ে জয় করেছেন কোটি ভক্তের হৃদয়। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশে তাঁর অনেক ভক্ত।

‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’ সিনেমায় কিংসলে বেন-আদির (ছবি: প্যারামাউন্ট পিকচার্স)

বব মার্লে জীবনভর মানবতার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর গানের মূল উপজীব্য ছিলো প্রতিবাদ ও ভালোবাসার জয়গান। গান দিয়েই অধিকারবঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষ নিতেন, গানে গানে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করেছেন। গণমানুষের গান গাওয়ায় সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। সর্বকালের সেরা সংগীতশিল্পীদের একজন তিনি। ১৯৮১ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ক্যানসারের কাছে হার মেনে অনন্তযাত্রার পথে পাড়ি জমান এই জ্যামাইকান তারকা।

প্যারামাউন্ট পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে বব মার্লের বায়োপিক ‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’। রেইনাল্ডো মার্কস গ্রিন পরিচালিত সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেবে তাঁর আদর্শ, চিন্তাধারা ও ভালোবাসার বার্তা। এবারই প্রথম সিনেমায় উঠে এসেছে তাঁর দুঃখ, বেদনা, আনন্দ আর মুক্তির অনুভব। সম্প্রতি লন্ডনে এর প্রিমিয়ারে অংশ নেন বব মার্লের ছেলে ও সিনেমাটির প্রযোজক জিগি মার্লে। তার সঙ্গে এটি প্রযোজনা করছেন বব মার্লের স্ত্রী রিটা মার্লে ও মেয়ে সেডেলা মার্লে। নির্বাহী প্রযোজনায় হলিউড তারকা ব্র্যাড পিট।

‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’ সিনেমায় লাশানা লিঞ্চ ও কিংসলে বেন-আদির (ছবি: প্যারামাউন্ট পিকচার্স)

গল্প শুরু হয় ১৯৭৬ সালে কিংস্টনে। বব মার্লে তখন বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিবাদে একটি কনসার্টের পরিকল্পনা করেন। এরপর মার্লে দম্পতির ওপর হত্যাচেষ্টা চালানো হয়। কোনোমতে বেঁচে গেলেও পরবর্তী সময়ে স্ত্রীসহ লন্ডনে পাড়ি জমান বব মার্লে। লন্ডনেই নিজের জনপ্রিয় অ্যালবাম ‘এক্সোডাস’ রেকর্ড করেন তিনি। বব মার্লের শৈশব ও যৌবনের কিছু ফ্ল্যাশব্যাক রয়েছে সিনেমায়।

বব মার্লের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রিটিশ তারকা কিংসলে বেন-আদির। ‘ওয়ান নাইট ইন মায়ামি’ সিনেমায় ম্যালকম এক্স এবং ‘দ্য কোমি রুল’ সিরিজে বারাক ওবামা চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আছে তার ঝুলিতে। ‘বার্বি’র শুটিং চলার সময় থেকেই বব মার্লের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। ৩৭ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ অভিনেতা বব মার্লের আচরণ ও ভাষা আয়ত্ত করতে অনেক পরিশ্রম করেছেন।

৭ কোটি ডলার বাজেটে ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন লাশানা লিঞ্চ, জেমস নর্টন, টোসিন কোল, অ্যাস্টন ব্যারেট জুনিয়র, অ্যান্থনি ওয়েলশ, সেভানা, হেক্টর লুইস, মাইকেল গ্যান্ডলফিনি, নাদিন মার্শাল প্রমুখ।

‘আরগিল’ সিনেমায় হেনরি ক্যাভিল, দুয়া লিপা ও জন সিনা (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

আরগিল
‘সুপারম্যান’ তারকা হেনরি ক্যাভিল, রেসলিং তারকা জন সিনা এবং পপতারকা দুয়া লিপা একসঙ্গে পর্দায় এলেন। ম্যাথু ভন পরিচালিত ‘আরগিল’ সিনেমায় দেখা যাচ্ছে তাদের রসায়ন। গোয়েন্দা আরগিল চরিত্রে অভিনয় করেছেন হেনরি ক্যাভিল। লেখক এলি কনওয়ের ভূমিকায় আছেন ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড। তিনি আরগিল চরিত্রকে কেন্দ্র করে একটি গোয়েন্দা উপন্যাস লেখেন। গোপন মিশনের প্রেক্ষাপটে লেখা সেই উপন্যাস তাকে নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এলির লেখা কাল্পনিক গল্প ও চরিত্রগুলো পুরোটাই বাস্তব! এ কারণে গোয়েন্দা সংস্থা এই নারীকে আটক করে। একইসঙ্গে সেখানে আবির্ভাব ঘটে হেনরি, জন ও দুয়ার। বাকি গল্প এলিকে রক্ষার পাশাপাশি গোপন মিশন পরিচালনার।

‘আরগিল’ সিনেমায় দুয়া লিপা ও হেনরি ক্যাভিল, (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

২০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত সিনেমাটি গত ২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি দিয়েছে ইউনিভার্সেল পিকচার্স। এতে আরো অভিনয় করেছেন আরিয়ানা ডিবোজ, স্যাম রকওয়েল, ব্রায়ান ক্র্যানস্টন, স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন, ক্যাথরিন ও’হারা, সোফিয়া বুটেলা, রিচার্ড ই. গ্র্যান্টসহ অনেকে।

‘ম্যাডাম ওয়েব’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: সনি পিকচার্স)

ম্যাডাম ওয়েব
‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ তারকা ডাকোটা জনসন ‘ম্যাডাম ওয়েব’ দিয়ে মারভেল দুনিয়ায় যুক্ত হলেন। এতে তাকে দেখা যায় নাম ভূমিকায়। এবারই প্রথম সুপারহিরো গল্পে অভিনয় করেছেন তিনি। মারভেল কমিকস অবলম্বনে ‘স্প্যাইডার-ম্যান’ ইউনিভার্সের চতুর্থ সিনেমাটির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ নারী নির্মাতা এস. জে. ক্লার্কসন। সনি পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে এটি। এতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহের রহিম, অ্যাডাম স্কট, সিডনি সুইনি, এমা রবার্টস, ইসাবেলা মেরকেড, মাইক এপস প্রমুখ। এর দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট, বাজেট ৮ কোটি ডলার।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ