Connect with us

হলিউড

হলিউডে পাঁচ মাসের একটি ধর্মঘটের ইতি ঘটছে, অভিনয়শিল্পীদের দাবির কী হবে?

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

হলিউডের গল্পকার-চিত্রনাট্যকারদের ইউনিয়নের ধর্মঘট (ছবি: এক্স)

একনজরে

  • স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে পারিশ্রমিক বৃদ্ধি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের প্রভাবকে ঘিরে ধর্মঘটের সূত্রপাত।
  • তিন বছরের নতুন শ্রমচুক্তির ব্যাপারে অবশ্যই ডব্লিউজিএ নেতা ও সাধারণ সদস্যদের অনুমোদন থাকতে হবে।
  • ডব্লিউজিএ বলছে, তাদের নিজেদের আর্থিক লাভ ও সুরক্ষার জন্য অসাধারণ শ্রমচুক্তি হচ্ছে।
  • হলিউড এখনো অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘট অবসানের চুক্তির অপেক্ষায় আছে।

হলিউডে ধর্মঘটে থাকা গল্পকার-চিত্রনাট্যকারেরা অবশেষে বাঘা প্রযোজনা-পরিবেশনা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রাথমিক শ্রমচুক্তিতে পৌঁছেছেন। এর মধ্য দিয়ে চলমান দুটি ধর্মঘটের মধ্যে একটির ইতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। লেখকদের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সিনেমা ও টিভি অনুষ্ঠানের কাজ বন্ধ রয়েছে।

গল্পকার-চিত্রনাট্যকারদের ইউনিয়নকে সাধুবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সবাইকে সবার ন্যায্য প্রদানের অনুরোধ করেছেন।

হলিউডের গল্পকার-চিত্রনাট্যকারদের ইউনিয়নের ধর্মঘট (ছবি: এক্স)

হলিউডে সিনেমা ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করা ১১ হাজার ৫০০ জন গল্পকার-চিত্রনাট্যকারদের প্রতিনিধিত্ব করে রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা (ডব্লিউজিএ)। তিন বছরের চুক্তিটি কার্যকর করতে সমিতির নেতাদের পাশাপাশি সব সদস্যের অনুমোদন পেতে হবে।

নতুন চুক্তিকে নিজেদের আর্থিক লাভ ও সুরক্ষার জন্য অসাধারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে ডব্লিউজিএ। এক বিবৃতিতে মধ্যস্থতায় অংশ নেওয়া কমিটির সদস্যরা বলেন, ‘ডব্লিউজিএ সদস্যদের দৃঢ় সংহতি এবং টানা ১৪৬ দিন (প্রায় পাঁচ মাস) ধরে ধর্মঘটে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া ইউনিয়নের সতীর্থদের অভূতপূর্ব সমর্থনের সুবাদে নতুন চুক্তি সম্ভব হচ্ছে। গল্পকার-চিত্রনাট্যকারেরাই যেকোনও কন্টেন্টের মূল অংশ তৈরি করে, যেগুলোর মাধ্যমে প্রযোজনা-পরিবেশনা সংস্থা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঘরে তোলে।’

গত ২ মে থেকে ধর্মঘট করে আসছে ডব্লিউজিএ। পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, আরো ভালো কর্মপরিবেশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা অনুযায়ী ন্যায্য সম্মানীসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় রাজপথে নামেন সমিতির সদস্যরা।

হলিউডের সিনেমা ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজকদের জোট অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউচার্স (এএমপিটিপি)। ওয়াল্ট ডিজনি, নেটফ্লিক্স, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি এবং অন্যান্য প্রধান প্রযোজনা-পরিবেশনা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য গোষ্ঠী এটি। একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, ‘ডব্লিউজিএ এবং এএমপিটিপি একটি অস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছেছে।’

কয়েক মাসের অচলাবস্থা কাটাতে হলিউডের চার হেভিওয়েট প্রযোজক ডিজনি’র প্রধান নির্বাহী বব ইগার, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির সিইও ডেভিড জাসলাভ, নেটফ্লিক্সের সহ-সিইও টেড সারানডোস এবং এনবিসিইউনিভার্সেল স্টুডিও গ্রুপের চেয়ার ডোনা ল্যাংলি চলতি সপ্তাহে আলোচনায় যোগ দেন।

ধর্মঘট করা লেখক-অভিনয়শিল্পীদের দাবি অবাস্তব বলে সমালোচনা করেছিলেন ডিজনি’র প্রধান নির্বাহী বব আইজিয়ার। তবে পরবর্তী সময়ে সৃজনশীল লেখকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সমঝোতামূলক একটি বার্তা লিখে পাঠান তিনি।

জানা যায়, প্রস্তাবিত চুক্তিটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ডব্লিউজিএ’র আলোচক কমিটির তথ্যানুযায়ী, এটি চূড়ান্ত চুক্তিতে রূপ নেওয়ার পরেই বিস্তারিত শেয়ার করা হবে। এরপর আলোচকরা চুক্তিটি সমিতির নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ করা হবে কিনা সেই বিষয়ে ভোট দেবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তারা এটি ভোটের জন্য সাধারণ সদস্যদের কাছে উপস্থাপন করবেন কিনা।

হলিউডের অভিনয়শিল্পীদের ইউনিয়ন এসএজি-এএফটিআরএ’র ধর্মঘট (ছবি: এক্স)

ডব্লিউজিএ এবং প্রযোজনা-পরিবেশনা সংস্থাগুলোর মধ্যকার মীমাংসাকে মাইলফলক হিসেবে দেখা হলেও হলিউডে সহসাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরছে না। কারণ অভিনয়শিল্পীদের সমিতি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড–আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস (এসএজি-এএফটিআরএ) এখনো ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে। এ’র সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। তাদের মধ্যে আছেন সিনেমা ও টেলিভিশন অভিনয়শিল্পী, স্টান্ট পারফরমার, ভয়েস ওভার শিল্পী ও অন্যান্য মিডিয়া পেশাদারকর্মীরা।

মিল্কেন ইনস্টিটিউটের অর্থনীতিবিদ কেভিন ক্লোডেনের ধারণা, এমন অচলাবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউ মেক্সিকো, জর্জিয়া ও নিউইয়র্কের শোবিজ অঙ্গনে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৫০০ কোটি ডলার হতে পারে।

হলিউডে ৬৩ বছর পর অভিনেতা-অভিনেত্রী ও চিত্রনাট্যকারেরা আবার একযোগে ধর্মঘট পালন করেছেন। ১৯৬০ সালে চিত্রনাট্যকারেরা ২১ সপ্তাহ এবং অভিনয়শিল্পীরা ছয় সপ্তাহ কাজ বন্ধ রেখেছিলেন।

হলিউডে আবার একসঙ্গে দুটি ধর্মঘটের কারণে সিনেমা ও টিভি সিরিজের নির্মাণ বন্ধ আছে। এ কারণে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের রাতের জনপ্রিয় টক শোগুলো পুনঃপ্রচার হয়েছে। চলতি মাসে লেখকদের ছাড়াই ‘দ্য ড্রিউ ব্যারিমোর শো’সহ দিনের টক শো আবার চালুর প্রচেষ্টা আন্দোলনকারীদের সমালোচনার মুখে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

ধর্মঘটে ক্যামেরা অপারেটর, কাঠমিস্ত্রি, প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং অন্যান্য ক্রু সদস্যদের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সরবরাহকারী, ফুল বিক্রেতা, পোশাক সরবরাহকারী এবং সিনেমা ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নির্মাণে সহায়ক অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে ধর্মঘট।

২০০৭-০৮ সালে ১০০ দিনের ধর্মঘটে নতুন মিডিয়ার প্রেক্ষাপটে সিনেমা ও টিভি অনুষ্ঠান ডাউনলোডের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন-সমর্থিত ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে সরবরাহ করা কন্টেন্টকে সামনে রেখে ডব্লিউজিএ’র সুরক্ষা প্রসারিত করার ওপর আলোকপাত করা হয়েছিলো। আর এবারের ধর্মঘটে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট থেকে লভ্যাংশ দাবি করেছেন লেখকেরা। একইসঙ্গে সৃজনশীল কর্মপ্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দাবি তাদের। আশঙ্কা করা হয়েছে, প্রযোজনা-পরিবেশনা সংস্থাগুলো এআইকে স্ক্রিপ্ট সংশোধনের জন্য তুলে দেবেন এবং লেখককে এটি পুনর্লিখন কিংবা ঘষামাজার জন্য কম হারে অর্থ প্রদান করা হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রশিক্ষণের জন্য স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করলে বুদ্ধিবৃত্তিক স্বত্ব চুরির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকে।

১৯৮৮ সালের পর চিত্রনাট্যকারদের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী ধর্মঘট দেখা গেছে এবার। এর সমাপ্তি উদযাপন করেছেন হলিউড প্রযোজকেরা। তবে এখনো অর্ধেক কাজ বাকি। অভিনয়শিল্পীদের কাজে ফিরিয়ে আনার পথ খুঁজে বের করতে হবে তাদের।

এক বিবৃতিতে এসএজি-এএফটিআরএ’র নেতাকর্মীরা প্রযোজনা-পরিবেশনা সংস্থাগুলোর কর্তাব্যক্তিদের আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার এবং তাদের দাবি মেনে ন্যায্য চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন। অভিনয়শিল্পীদের দাবির মধ্যে রয়েছে– ন্যূনতম মজুরি, তাদের পারফরম্যান্স প্রতিস্থাপনকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট থেকে লভ্যাংশ।

স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড (এসএজি) ডিজিটাল প্রতিরূপের মাধ্যমে বেদখল হওয়া থেকে অভিনয়শিল্পীদের নিরাপদ রাখার দাবি তুলেছে। অভিনয়শিল্পীদের বদলি হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় এবং কম্পিউটারে তৈরি মুখ ও কণ্ঠ ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা চায় এসএজি। এছাড়া শীর্ষস্থানীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে লভ্যাংশের ন্যায্য বিভাজন এবং আরো ভালো কর্মপরিবেশ চায় এসএজি।

সর্বশেষ ১৯৮০ সালের জুলাইয়ে এসএজি-এএফটিআরএ সদস্যরা ধর্মঘট করেন। তখন ক্যাবল টেলিভিশন এবং ভিডিওটেপের জন্য নির্মিত টিভি অনুষ্ঠান ও সিনেমা বিক্রির লভ্যাংশকে কেন্দ্র করে প্রযোজক-পরিবেশকদের সঙ্গে ইউনিয়নটির সদস্যদের দ্বন্দ্ব বেঁধেছিলো। উভয় পক্ষ নতুন সমঝোতার শর্তাবলী নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেইসব শর্তে দুটি পক্ষের দাবি ও বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগের প্রতিফলন দেখা যায়।অভিনয়শিল্পীদের সেই ধর্মঘট ১০ সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিলো। এ কারণে প্রায় ১০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছিলো। বর্তমান সময়ে যা প্রায় ৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের সমান।

গত জুন মাসে ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকা একটি চুক্তি নিয়ে সফল আলোচনা করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছেন না পরিচালকেরা।

হলিউড

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ প্রযোজক মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার দৃশ্য এবং জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অস্কারজয়ী প্রযোজক জন ল্যান্ডাউ মারা গেছেন। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। গুণী এই নির্মাতার মৃত্যুতে বিশ্ব সিনেমায় নেমেছে শোকের ছায়া।

স্ত্রী জুলি ল্যান্ডাউ, দুই ছেলে জেমি ও জোডিকে রেখে গেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার বোন টিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। জন ল্যান্ডাউকে যেকোনো মেয়ের জন্য সেরা ভাইয়ের মতো আখ্যা দিয়েছেন তিনি। টিনা লিখেছেন, ‘আমি খুব মর্মাহত। তবে তার অসাধারণ জীবন ও দারুণ সব সিনেমা এবং তিনি আমাকে যে ভালোবাসা ও উপহার দিয়েছেন সেসবের জন্য আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।’

১৯৯৮ সালের অস্কারে জন ল্যান্ডাউ ও জেমস ক্যামেরন (ছবি: অস্কার)

জন ল্যান্ডাউকে ভাবা হতো জেমস ক্যামেরনের ডান হাত। তাদের যৌথ প্রয়াস ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) বিশ্বব্যাপী প্রথম ১০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যবসা করে। এটি সেরা সিনেমাসহ মোট ১১টি শাখায় অস্কার জিতেছে। প্রযোজক হিসেবে জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাউ অস্কার পান। সেরা পরিচালক হিসেবেও অস্কার জিতেছেন জেমস ক্যামেরন। তাদের আরেক স্বপ্নের প্রকল্প ‘অ্যাভাটার’ মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। ২০২২ সালে বড় পর্দায় এসেছে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ‘টাইটানিক’-এর ব্যবসার রেকর্ড ভেঙেছে এগুলো।

জেমস ক্যামেরনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইটস্টর্ম এন্টারটেইনমেন্টের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জন ল্যান্ডাউ। তার মৃত্যুর খবর জেনে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘একজন অসাধারণ প্রযোজক ও একজন চমৎকার মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। জন ল্যান্ডাউ সিনেমার স্বপ্নে বাঁচতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সিনেমাই হলো মানব শিল্পের চূড়ান্ত রূপ এবং সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রথমে মানুষের মতো মানুষ হওয়া চাই। বিশাল উদার মন ও দারুণ কিছু সিনেমার জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন। একজন বন্ধু ও ৩১ বছরের সহযাত্রীকে হারালাম আমি। মনে হচ্ছে আমার একটি অংশ ছিড়ে গেছে।’

জন ল্যান্ডাউ (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স)

‘অ্যাভাটার’ সিনেমার অভিনেত্রী জোয়ি স্যালডানা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘সত্যিই বিমর্ষ লাগছে। আপনার বিজ্ঞতা ও আনুকূল্য আমাদের অনেককে এমনভাবে গড়ে দিয়েছে যেগুলোর জন্য আমরা সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবো।’

পরিচালক পিটার জ্যাকসন ও তার স্ত্রী চিত্রনাট্যকার ফ্র্যান ওয়ালশের ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাগুলোতে ব্যবহার হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জন ল্যান্ডাউকে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত। তিনি যেসব প্রকল্পে কাজ করেছেন সেগুলোতে অতুলনীয় আবেগ ঢেলে দিয়েছেন। তার প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।’

হলিউডের দুই প্রযোজক ইলি ও ইডি ল্যান্ডাউয়ের ছেলে জন ল্যান্ডাউ। ১৯৬০ সালের ২৩ জুলাই নিউইয়র্কে জন্ম হয় তার। সত্তর দশকে পরিবারটি লস অ্যাঞ্জেলেসে বসতি গড়ে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম স্কুলে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

আশির দশকে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন জন ল্যান্ডাউ। মাত্র ২৯ বছর বয়সে প্রযোজনা সংস্থা টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের নির্বাহী সহ-সভাপতি হন তিনি। তার তত্ত্বাবধানেই নির্মিত হয়েছে ‘ডাই হার্ড টু’, ‘পাওয়ার রেঞ্জার্স’, ‘দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকানস’, ‘হোম অ্যালোন’, ‘মিসেস ডাউটফায়ার’। ১৯৯৪ সালে জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ‘ট্রু লাইস’ পরিবেশনা করেছে টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স। সেই সূত্রে তার সঙ্গে জন ল্যান্ডাউয়ের বোঝাপড়া তৈরি হয়। স্টিভেন সোডারবার্গের ‘সোলারিস’ (২০০২) ও রবার্ট রড্রিগেজের  ‘অ্যালিটা: ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেন তারা।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

দ্রুততম সময়ে ১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা আয়ের রেকর্ড গড়লো ‘ইনসাইড আউট টু’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

পিক্সারের ‘ইনসাইড আউট টু’ মুক্তির তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি ডলার (১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা) আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দ্রুততম সময়ে এই স্তরে পৌঁছানো প্রথম অ্যানিমেটেড সিনেমা এটাই। পিক্সারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি তথ্যটি জানিয়েছে।

২০২৪ সালে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে ‘ইনসাইড আউট টু’। চলতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের অভিজাত ক্লাবে ঢুকতে পেরেছে কেবল এটাই।

‘ইনসাইড আউট টু’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ডিজনি)

‘ইনসাইড আউট টু’ হলো ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাইড আউট’ সিনেমার সিক্যুয়েল। একটি অল্পবয়সী মেয়ের মনোজগত তুলে ধরা হয় এতে। এটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৮৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (১০ হাজার ৬৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা)।

ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের পরিবেশনায় গত ১৪ জুন উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পায় ‘ইনসাইড আউট টু’। ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটির বাজেট ২০ কোটি ডলার।

নতুন সিনেমায় রাইলি নামের মেয়েটি কিশোরী হয়ে উঠেছে। গল্পে উদ্বেগ ও হিংসাসহ নিজের নতুন আবেগের সঙ্গে সংগ্রাম করে সে। এবারের কিস্তি পরিচালনা করেছেন কেলসি মান। এটাই তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। নতুন গল্পটি মেগ লেফভকে নিয়ে লিখেছেন তিনি।

অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আগের পর্বে কাজ করা অ্যামি পোলার, ফিলিস স্মিথ, লুইস ব্ল্যাক, ডায়ান লেন ও কাইল ম্যাকলকল্যান নতুন সিনেমাতে ফিরেছেন। নতুন যুক্ত হয়েছেন মায়া হোক, আয়ো এডেবিরি, আদেল এক্সারকোপুলোস, গ্রেস লু, টনি হেল, কেনজিংটন টলম্যান, লিলিমার, লাইজা লাপিরা, সুমাইয়া নুরিদ্দীন-গ্রিন, পল ওয়াল্টার হাউজার।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে একই দিনে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

হলিউডের অ্যানিমেটেড কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘ডেসপিকেবল মি’ সারাবিশ্বে ছোট-বড় সব বয়সী দর্শকের প্রিয়। গত ১৪ বছরে সিক্যুয়েল ও প্রিক্যুয়েল মিলিয়ে এর ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এবার বড় পর্দায় আসছে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’। ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় আজ (৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে এটি।

‘ডেসপিকেবল মি ফোর’ মূলত ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডেসপিকেবল মি থ্রি’র সিক্যুয়েল। এবারও প্রধান চরিত্র গ্রু হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন আমেরিকান তারকা স্টিভ ক্যারেল। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে আছেন ক্রিস্টেন উইগ, উইল ফেরেল, সোফিয়া ভারজারা, জোয়ি কিং, স্টিফেন কোলবার্ট, মিরান্ডা কসগ্রোভ, স্টিভ কুগ্যান, ক্লোয়ি ফাইনম্যান, পিয়ের কফিন।

আড়াই কোটি ডলার বাজেটে নতুন সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আমেরিকান নির্মাতা ক্রিস রেনো। তিনি ও পিয়ের কফিন প্রথম দুটি পর্বের পরিচালক ছিলেন। তৃতীয় কিস্তি পরিচালনা করেন পিয়ের কফিন ও কাইল ব্যাল্ডা। নতুন পর্বের দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট।

এবারের গল্পে দেখা যাবে, গ্রু, লুসি, মার্গো, এডিথ ও আনিয়েস নিজেদের পরিবারে স্বাগত জানায় নতুন সদস্য গ্রু জুনিয়রকে। সে সারাক্ষণ বাবাকে জ্বালাতন করে। এদিকে গ্রু’র নতুন শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয় ম্যাক্সিম লে ম্যাল ও তার প্রেমিকা ভ্যালেন্টিনা। নিজেকে তেলাপোকার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে সাজায় ম্যাক্সিম। তাদের কারণে গ্রু’র পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায় অ্যান্টি-ভিলেন লিগ (এভিএল) এজেন্টরা। গ্রু জুনিয়রকে অপহরণ করে উড়ন্ত তেলাপোকা জাহাজে আটকে রাখে ম্যাক্সিম।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ