Connect with us

বিশ্বসংগীত

অভূতপূর্ব চাহিদার কারণে সুইফটের কনসার্টের টিকিট বিক্রি বাতিল

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

টেলর সুইফট

টেলর সুইফট (ছবি: টুইটার)

পপতারকা টেলর সুইফটের পরিবেশনা কনসার্টে সরাসরি দেখার সুযোগ পেতে চাই টিকিট। কিন্তু সেসব এতো দ্রুত বিক্রি হয়ে যায় যে, সাধারণ দর্শক-শ্রোতাদের বেশিরভাগই কেনার সুযোগ পায় না। তবুও চেষ্টা কে না করে! কিন্তু তার আগামী ট্যুরের টিকিট অভূতপূর্ব চাহিদার বিপরীতে অপর্যাপ্ত থাকায় বিক্রি বন্ধ রেখেছে টিকেটমাস্টার। আজ (১৮ নভেম্বর) খবরটি জানিয়েছে অনলাইন ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান।

সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করার আগেই ২০ লাখেরও বেশি টিকিট বিক্রি করেছে টিকেটমাস্টার। কিন্তু তুমুল চাহিদার কারণে ওয়েবসাইট ব্যাহত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। অনেকে লটারি জিতে আগাম টিকিট কেনার সুযোগ পেলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টার পর কাছাকাছি গিয়ে ওয়েবসাইট সচল না থাকায় খালি হাতে ফিরে হতাশায় পুড়েছেন। ওয়েবসাইট স্বাভাবিক না থাকার কারণ হিসেবে সুইফটের অভাবনীয় জনপ্রিয়তা এবং বট আক্রমণকে দায়ী করেছে টিকেটমাস্টার কর্তৃপক্ষ।

টেলর সুইফট

টেলর সুইফট (ছবি: টুইটার)

জটিলতা সত্ত্বেও টিকিটমাস্টারের দাবি, ২০ লাখেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। কোনো সংগীতশিল্পীর কনসার্টের এত টিকিট একদিনে বিক্রির রেকর্ড এটাই।

টিকেটমাস্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সবার পক্ষে কনসার্টের টিকিট পাওয়া সম্ভব নয়। তবে আমাদের টিকিট বিক্রির পদ্ধতির উন্নতি করতে হবে। সেদিকেই আমরা মনোযোগ রেখেছি।’

টেলর সুইফট

টেলর সুইফট (ছবি: টুইটার)

সুইফটের গান সরাসরি উপভোগের জন্য আগাম টিকিট কেনার আশায় তার ৩৫ লাখের বেশি ভক্ত টিকেটমাস্টারের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে। তাদের জন্য টিকিট ছাড়া হয় গত ১৫ নভেম্বর। এছাড়া কনসার্টের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ওয়ানের ক্রেডিট কার্ডধারীদের জন্য আগাম টিকিট কেনার সুযোগ রাখা হয়।

টেলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম ‘মিডনাইটস’ প্রকাশিত হয় গত অক্টোবরে। এর গানগুলো বিলবোর্ড টপচার্টের শীর্ষস্থান থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত জায়গা দখল করে ইতিহাস গড়ে। এমন সাফল্য উদযাপনে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি শহরের ৫২টি স্টেডিয়ামে কনসার্ট করবেন তিনি। আগামী বছরের মার্চে আরিজোনা থেকে শুরু হয়ে আগস্টে লস অ্যাঞ্জেলেস গিয়ে তার ‘দ্য এরাস ট্যুর’ শেষ হবে। প্রতিটি টিকিটের দাম ৪৯ ডলার থেকে ৪৪৯ ডলার। পাঁচ বছর পর এ ধরনের সংগীত সফরে বের হবেন তিনি।

টেলর সুইফট

টেলর সুইফট (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

টিকেটমাস্টার উল্লেখ করে, সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার আগে বট ঠেকাতে আগাম বিক্রির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া টিকেটমাস্টারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। চলতি বছরের শুরুতে এইচবিও’র একটি অনুষ্ঠানে তাদের সমালোচনা করেন ব্রিটিশ কমেডিয়ান জন অলিভার। এছাড়া দুর্বল ব্যবস্থাপনায় ক্রেতাদের বেশি সময় অপেক্ষা করানো এবং টিকিটের চড়া দাম রাখায় টিকেটমাস্টারের সমালোচনা করেছেন মার্কিন রাজনীতিকরা।

২০১০ সালে টিকেটমাস্টার প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নেয় লাইভ নেশন। আমেরিকার অনেক ভেন্যু পরিচালনার পাশাপাশি সংগীতশিল্পীদের ব্যবসায়িক দিক দেখভাল করে থাকে লাইভ নেশন।

বিশ্বসংগীত

দর্শকদের ভোটে ‘বার্বি’র ছক্কা, টেলর সুইফটের বাউন্ডারি

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

বিলি আইলিশ (ছবি: পিপল’স চয়েস)

পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসের ৪৯তম আসরে দর্শকদের ভোটে সর্বাধিক ছয়টি পুরস্কার জিতেছে ‘বার্বি’। চারটি শাখায় সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন আমেরিকান পপতারকা টেলর সুইফট। 

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি (বাংলাদেশ সময় সোমবার) যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মনিকায় ৪৫টি শাখার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে চমকে দিয়েছেন ‘দ্য হকআই’ তারকা জেরেমি রেনার। একবছরেরও বেশি সময় আগে ভয়াবহ স্কি দুর্ঘটনায় ৩০টি হাড় ভেঙে গিয়েছিলো তার। তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান ‘লকি’ তারকা টম হিডলস্টন। মঞ্চে বিলি আইলিশের হাতে বর্ষসেরা টিভি পারফরম্যান্স পুরস্কার তুলে দেন জেরেমি রেনার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চীনা-কানাডিয়ান তারকা সিমু লিউ (সাং-চি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অব দ্য টেন রিংস)।

কাইলি মিনোগ (ছবি: পিপল’স চয়েস)

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন অস্ট্রেলিয়ান পপতারকা কাইলি মিনোগ। বিশেষ সংগীত আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন লেনি ক্র্যাভিৎজ। তিনি ও আমেরিকান কান্ট্রি গায়িকা লেইনি উইলসন গান গেয়ে শুনিয়েছেন। কমেডিতে বিশেষ অবদানের জন্য পিপল’স আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অ্যাডাম স্যান্ডলার।

র‍্যাচেল জেগলার (ছবি: পিপল’স চয়েস)

পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসের বিজয়ী তালিকা

সিনেমা শাখা
বর্ষসেরা সিনেমা: বার্বি
বর্ষসেরা অ্যাকশন সিনেমা: দ্য হাঙ্গার গেমস: দ্য ব্যালাড অব সংবার্ডস অ্যান্ড স্নেকস
বর্ষসেরা কমেডি সিনেমা: বার্বি
বর্ষসেরা ড্রামা সিনেমা: ওপেনহাইমার
বর্ষসেরা অভিনেতা: রায়ান গসলিং (বার্বি)
বর্ষসেরা অভিনেত্রী: মার্গো রবি (বার্বি)
বর্ষসেরা অ্যাকশন তারকা: র‍্যাচেল জেগলার (দ্য হাঙ্গার গেমস: দ্য ব্যালাড অব সংবার্ডস অ্যান্ড স্নেকস)
বর্ষসেরা কমেডি তারকা: জেনিফার লরেন্স (নো হার্ড ফিলিংস)
বর্ষসেরা ড্রামা তারকা: জেনা ওর্তেগা (স্ক্রিম সিক্স)
বর্ষসেরা সিনেমা পারফরম্যান্স: আমেরিকা ফেরেরা (বার্বি)

আমেরিকা ফেরেরা (ছবি: পিপল’স চয়েস)

টেলিভিশন শাখা
বর্ষসেরা টিভি সিরিজ: গ্রে’জ অ্যানাটমি (এবিসি)
বর্ষসেরা কমেডি সিরিজ: অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং (হুলু)
বর্ষসেরা ড্রামা সিরিজ: দ্য লাস্ট অব আস (এইচবিও)

টম হিডলস্টন (ছবি: পিপল’স চয়েস)

বর্ষসেরা সাই-ফাই/ফ্যান্টাসি সিরিজ: লকি (ডিজনি প্লাস)
বর্ষসেরা রিয়েলিটি শো: দ্য কার্ডাশিয়ানস (হুলু)
বর্ষসেরা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান: দ্য ভয়েস (এনবিসি)
বর্ষসেরা বিঞ্জওয়ার্দি অনুষ্ঠান: দ্য সামার আই টার্নড প্রিটি (অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও)
বর্ষসেরা টিভি অভিনেতা: পেদ্রো পাসকাল (দ্য লাস্ট অব আস)
বর্ষসেরা টিভি অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ (অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং)
বর্ষসেরা কমেডি টিভি তারকা: জেরেমি অ্যালেন হোয়াইট (দ্য বিয়ার)
বর্ষসেরা ড্রামা টিভি তারকা: জেনিফার অ্যানিস্টন (দ্য মর্নিং শো)

বিলি আইলিশ (ছবি: পিপল’স চয়েস)

বর্ষসেরা টিভি পারফরম্যান্স: বিলি আইলিশ (সোয়ার্ম)
বর্ষসেরা রিয়েলিটি টিভি তারকা: ক্লোয়ি কার্ডাশিয়ান (দ্য কার্ডাশিয়ানস)
বর্ষসেরা রিয়েলিটি শো প্রতিযোগী: আরিয়ানা ম্যাডিক্স (ড্যান্সিং উইথ দ্য স্টারস)
বর্ষসেরা ডেটাইম টক শো: দ্য কেলি ক্লার্কসন শো
বর্ষসেরা নাইট টাইম টক শো: দ্য টুনাইট শো স্টারিং জিমি ফ্যালন (এনবিসি)
বর্ষসেরা সঞ্চালক: জিমি ফ্যালন (দ্যাট’স মাই জ্যাম)

আইস স্পাইস (ছবি: পিপল’স চয়েস)

সংগীত শাখা
বর্ষসেরা গায়ক: জাং কুক
বর্ষসেরা গায়িকা: টেলর সুইফট
বর্ষসেরা কান্ট্রি গায়ক: জেলি রোল

লেইনি উইলসন (ছবি: পিপল’স চয়েস)

বর্ষসেরা কান্ট্রি গায়িকা: লেইনি উইলসন
বর্ষসেরা লাতিন গায়ক: ব্যাড বানি
বর্ষসেরা লাতিন গায়িকা: শাকিরা
বর্ষসেরা পপ কণ্ঠশিল্পী: টেলর সুইফট
বর্ষসেরা হিপ-হপ কণ্ঠশিল্পী: নিকি মিনাজ
বর্ষসেরা আরঅ্যান্ডবি কণ্ঠশিল্পী: বিয়ন্সে
বর্ষসেরা নতুন কণ্ঠশিল্পী: আইস স্পাইস
বর্ষসেরা ব্যান্ড/জুটি: স্ট্রে কিডস
বর্ষসেরা গান: ভ্যাম্পায়ার (অলিভিয়া রড্রিগো)
বর্ষসেরা অ্যালবাম: গাটস (অলিভিয়া রড্রিগো)
বর্ষসেরা সম্মিলিত গান: বার্বি ওয়ার্ল্ড (নিকি মিনাজ, আইস স্পাইস ও অ্যাকুয়া)
বর্ষসেরা কনসার্ট ট্যুর: টেলর সুইফট: দ্য এরাস ট্যুর

সিডনি সুইনি (ছবি: পিপল’স চয়েস)

পপ সংস্কৃতি শাখা
বর্ষসেরা সোশ্যাল মিডিয়া তারকা: টেলর সুইফট
বর্ষসেরা কমেডি পারফরম্যান্স: ক্রিস রক (সিলেক্টিভ আউটরেজ)
বর্ষসেরা অ্যাথলেট: ট্রাভিস কেলস

পড়া চালিয়ে যান

ছবি ও কথা

গ্র্যামির লালগালিচা: ১৪ হাজার স্বর্ণের সেফটিপিনে গায়িকা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ৬৬তম আসরের লালগালিচায় দামি পোশাক ও বেশভূষায় নজর কেড়েছেন গায়িকারা। তাদের জমকালো ফ্যাশন বেশ আলোচিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় মনোনীতদের পা মাড়ানোর জন্য তাঁবুর নিচে লালগালিচা রেখেছেন গ্র্যামি আয়োজকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম অ্যারেনায় ৪ ফেব্রুয়ারি (বাংলাদেশ সময় ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল) পুরস্কার বিতরণের আগে লালগালিচায় ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন অনেক গায়িকা।

আমেরিকান পপতারকা মাইলি সাইরাস পরেছেন ১৪ হাজার স্বর্ণের সেফটিপিন দিয়ে বানানো ঝলমলে গাউন। ফরাসি ফ্যাশন হাউস মেজোঁ মারজিলার মেটালিক নেটের মতো দেখতে এই পোশাক তৈরিতে লেগেছে ৬৭৫ ঘণ্টা।

মাইলি সাইরাসের সোনালি চুল ফোলাফাঁপা ঢঙে সাজানো।

 

মাইলি সাইরাস (ছবি: গ্র্যামি)

রুপালি ঝিকিমিকি গাউনে ব্রিটিশ-আলবেনিয়ান গায়িকা দুয়া লিপা। নিচু গলার পোশাকটি ডিজাইন করেছে ফরাসি ফ্যাশন হাউস কুরেজ। তার গলার নেকলেসটি আমেরিকান ব্র্যান্ড টিফানি অ্যান্ড কোম্পানির।

দুয়া লিপার গলায় দেখা গেছে আমেরিকান ব্র্যান্ড টিফানি অ্যান্ড কোম্পানির সুদৃশ্য নেকলেস।

দুয়া লিপা (ছবি: গ্র্যামি)

সাদা কাঁধখোলা গাউন ও কালো অপেরা হাতমোজায় আমেরিকান সুপারস্টার টেলর সুইফট। পা-চেরা পোশাকটির পেছনের অংশ বেশ লম্বা।

টেলর সুইফটের পোশাকটি ডিজাইন করেছেন ইতালিয়ান ফ্যাশন ডিজাইনার এলসা স্কিয়াপারেল্লি।

টেলর সুইফট (ছবি: গ্র্যামি)

মসৃণ ক্রিম রঙের সিকুইন গাউন ও গাঢ় লাল লিপস্টিকে আমেরিকান গায়িকা অলিভিয়া রড্রিগো।

অলিভিয়া রড্রিগোর পোশাকটি ডিজাইন করেছে ইতালিয়ান ফ্যাশন হাউস ভেরসাচি।

অলিভিয়া রড্রিগো (ছবি: গ্র্যামি)

ব্রিটিশ গায়িকা এলি গোল্ডিং কালো লেসের ফ্রকে আলো কেড়েছেন।

এলি গোল্ডিংয়ের পোশাকটি ডিজাইন করেছেন লেবানিজ ডিজাইনার জুহের মুরাদ।

আমেরিকান গায়িকা ডোজা ক্যাটের কপালে পোশাকটি তার্কিন-ব্রিটিশ ডিজাইনার দিলারা ফিন্দিকোলুর নাম লেখা। অসংখ্য উল্কি আঁকা এই গায়িকার পায়ে লাল রঙের হিল, চোখে চশমা ও মাথায় উল্টো করে পরা টুপি।

পড়া চালিয়ে যান

বিশ্বসংগীত

গ্র্যামি ২০২৪: সুইফটের ইতিহাস, মাইলির প্রথম, বিলি আইলিশের জয়

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

টেলর সুইফট (ছবি: গ্র্যামি)

বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে সম্মানজনক স্বীকৃতি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ৬৬তম আসরের বিজয়ী তালিকায় অনেকের পাশাপাশি আছেন আমেরিকান তিন পপতারকা টেলর সুইফট, মাইলি সাইরাস ও বিলি আইলিশ। বর্ষসেরা অ্যালবাম স্বীকৃতি পেয়েছে টেলর সুইফটের ‘মিডনাইটস’। গ্র্যামির ৬৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম সংগীতশিল্পী হিসেবে চারবার বর্ষসেরা অ্যালবাম পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এবারের আসরের আগ পর্যন্ত তিনবার করে এই শাখায় তার পাশাপাশি সেরা ছিলেন ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, পল সায়মন ও স্টিভি ওয়ান্ডার। তিনি এবার সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন।

ইউটিউবে তুমুল জনপ্রিয় ‘ফ্লাওয়ার্স’ গানের সুবাদে প্রথমবার গ্র্যামি জিতেছেন মাইলি সাইরাস। গ্র্যামির সর্বোচ্চ সম্মান রেকর্ড অব দ্য ইয়ার পেয়েছে গানটি। এছাড়া সেরা পপ সলো পারফরম্যান্স জিতে নিয়েছে ‘ফ্লাওয়ার্স’।

মারায়া ক্যারি ও মাইলি সাইরাস, দুই প্রজন্মের দুই গায়িকারই নামের দুটি অংশের প্রথম অদ্যাক্ষর একই! (ছবি: গ্র্যামি)

সামনের সারির আরেক পুরস্কার সং অব দ্য ইয়ার পেয়েছে ‘বার্বি’ সিনেমায় বিলি আইলিশের গাওয়া ‘হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর?’ এছাড়া বেস্ট সং রাইটেন ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া জিতেছে এই গান। বেস্ট কম্পাইলেশন সাউন্ডট্র্যাক ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া শাখার পুরস্কার পেয়েছে ‘বার্বি দ্য অ্যালবাম’।

বেস্ট নিউ আর্টিস্ট খেতাব পেয়েছেন ভিক্টোরিয়া মোনে। তার ‘জাগুয়ার টু’ বেস্ট আরঅ্যান্ডবি অ্যালবাম এবং সেরা ইঞ্জিনিয়ার্ড অ্যালবাম, নন-ক্লাসিক্যাল স্বীকৃতি পেয়েছে।

২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকাশিত গান, সুর ও সংগীত এবং শিল্পীদের মধ্য থেকে ৯৪টি শাখায় সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে ৬৬তম গ্র্যামিতে। রেকর্ডিং অ্যাকাডেমির প্রায় ১১ হাজার সদস্যের ভোটে বিজয়ী তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। এবারের আসরে যুক্ত হয়েছে নতুন তিনটি শাখা। এগুলো হলো– সেরা আফ্রিকান মিউজিক পারফরম্যান্স, সেরা অল্টারনেটিভ জ্যাজ অ্যালবাম এবং সেরা পপ ড্যান্স রেকর্ডিং। বর্ষসেরা সংগীত প্রযোজক (নন-ক্লাসিক্যাল) ও বর্ষসেরা গীতিকবি-সুরকার (নন-ক্লাসিক্যাল) শাখা দুটিতে গ্র্যামির সব ভোটার এবার ভোট দিয়েছেন।

সামনের সারির চারটি শাখা বর্ষসেরা অ্যালবাম, বর্ষসেরা রেকর্ড, বর্ষসেরা গান এবং সেরা নতুন সংগীতশিল্পী হিসেবে মনোনীতদের সংখ্যা ১০ থেকে কমিয়ে ৮ করা হয়েছে। গ্র্যামির সংগীত শাখাগুলো ভাগ করা হয়েছে এভাবে– সাধারণ (৬টি শাখা), পপ ও ড্যান্স/ইলেক্ট্রনিক মিউজিক (৬টি শাখা), রক, মেটাল ও অল্টারনেটিভ মিউজিক (৬টি শাখা), আরঅ্যান্ডবি, র‍্যাপ ও স্পোকেন ওয়ার্ড পয়েট্রি (১০টি শাখা), জ্যাজ, ট্র্যাডিশনাল পপ, কন্টেমপোরারি ইনস্ট্রুমেন্টাল ও মিউজিক্যাল থিয়েটার (৯টি শাখা), কান্ট্রি ও আমেরিকান রুটস মিউজিক (১৩টি শাখা),গসপেল ও কন্টেমপোরারি ক্রিশ্চিয়ান মিউজিক (৫টি শাখা), লাতিন, গ্লোবাল, আফ্রিকান, র‍্যাগে ও নিউ এজ, অ্যাম্বিয়েন্ট অথবা শান্ট মিউজিক (১০টি শাখা), চিলড্রেন’স, কমেডি, অডিওবুক ন্যারেশন ও স্টোরিটেলিং, ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ও মিউজিক ভিডিও/ফিল্ম প্যাকেজ, নোটস ও হিস্টোরিক্যাল (৪টি শাখা), প্রোডাকশন, ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পোজিশন ও অ্যারেঞ্জমেন্ট (৮টি শাখা), ক্লাসিক্যাল মিউজিক (৮টি শাখা)।

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম অ্যারেনায় ৪ ফেব্রুয়ারি (বাংলাদেশ সময় ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল) ২১তম বারের মতো বসেছিলো গ্র্যামির জমকালো আসর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়া। সিবিএস চ্যানেল এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম প্যারামাউন্ট প্লাসে অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানো হয়।

ট্রেভর নোয়া (ছবি: গ্র্যামি)

৬৬তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের বিজয়ী তালিকা
অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার
মিডনাইটস (টেলর সুইফট)

রেকর্ড অব দ্য ইয়ার
ফ্লাওয়ার্স (মাইলি সাইরাস)

সং অব দ্য ইয়ার
হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর? (বিলি আইলিশ)

বেস্ট নিউ আর্টিস্ট
ভিক্টোরিয়া মোনে

বেস্ট পপ সলো পারফরম্যান্স
ফ্লাওয়ার্স (মাইলি সাইরাস)

বেস্ট পপ দ্বৈত/দলীয় পারফরম্যান্স
গোস্ট ইন দ্য মেশিন (সিজা ফিচারিং ফিবি ব্রিজার্স)

বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম
মিডনাইটস (টেলর সুইফট)

বেস্ট আরঅ্যান্ডবি সং
স্নুজ (সিজা)

বেস্ট আরঅ্যান্ডবি পারফরম্যান্স
আইসিইউ (কোকো জোন্স)

বেস্ট আরঅ্যান্ডবি অ্যালবাম
জাগুয়ার টু (ভিক্টোরিয়া মোনে)

বেস্ট ট্র্যাডিশনাল আরঅ্যান্ডবি পারফরম্যান্স
গুড মর্নিং (পিজে মর্টন ফিচারিং সুজান ক্যারল)

সেরা প্রগ্রেসিভ আরঅ্যান্ডবি অ্যালবাম
এসওএস (সিজা)

বেস্ট র‌্যাপ সং
সায়েন্টিস্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (কিলার মাইক ফিচারিং আন্ড্রে থ্রি থাউজেন্ড, ফিউচার, এরিন অ্যালেন কেন)

বেস্ট র‌্যাপ পারফরম্যান্স
সায়েন্টিস্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (কিলার মাইক ফিচারিং আন্ড্রে থ্রি থাউজেন্ড, ফিউচার, এরিন অ্যালেন কেন)

বেস্ট মেলোডিক র‌্যাপ পারফরম্যান্স
অল মাই লাইফ (লিল ডার্ক ফিচারিং জে কোল)

বেস্ট র‌্যাপ অ্যালবাম
মাইকেল (কিলার মাইক)

বেস্ট ড্যান্স/ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডিং
রাম্বল (স্ক্রিলেক্স, ফ্রেড অ্যাগেইন ও ফ্লোড্যান)

বেস্ট ড্যান্স/ইলেক্ট্রনিক অ্যালবাম
অ্যাকচুয়াল লাইফ থ্রি (জানুয়ারি ওয়ান – সেপ্টেম্বর নাইন ২০২২) (ফ্রেড অ্যাগেইন)

বেস্ট পপ ড্যান্স রেকর্ডিং
পাডাম পাডাম (কাইলি মিনোগ)

বয়জিনিয়াস ব্যান্ড (ছবি: গ্র্যামি)

বেস্ট রক পারফরম্যান্স
নট স্ট্রং এনাফ (বয়জিনিয়াস)

বেস্ট রক সং
নট স্ট্রং এনাফ (বয়জিনিয়াস)

বেস্ট রক অ্যালবাম
দিস ইজ হোয়াই (প্যারামোর)

বেস্ট মেটাল পারফরম্যান্স
সেভেন্টি টু সিজনস (মেটালিকা)

বেস্ট অল্টারনেটিভ অ্যালবাম
দ্য রেকর্ড (বয়জিনিয়াস)

বেস্ট অল্টারনেটিভ পারফরম্যান্স
দিস ইজ হোয়াই (প্যারামোর)

বেস্ট মিউজিকা আরবানা অ্যালবাম
মানিয়ানা চেরা বনিতো (ক্যারল জি)

টাইলা (ছবি: গ্র্যামি)

বেস্ট আফ্রিকান মিউজিক পারফরম্যান্স
ওয়াটার (টাইলা)

বেস্ট ফোক অ্যালবাম
জনি মিচেল অ্যাট নিউপোর্ট (জনি মিচেল)

সেরা অল্টারনেটিভ জ্যাজ অ্যালবাম
দ্য অমনিকর্ড রিয়েল বুক (মেশেল এন্ডেগেয়োচেলো)

বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম
বেল বটম কান্ট্রি (লেইনি উইলসন)

বেস্ট কান্ট্রি সলো পারফরম্যান্স
হোয়াইট হর্স (ক্রিস স্ট্যাপলটন)

বেস্ট কান্ট্রি সং
হোয়াইট হর্স (ক্রিস স্ট্যাপলটন)

বেস্ট আমেরিকানা পারফরম্যান্স
ডিয়ার ইনসিকিউরিটি (ব্র্যান্ডি ক্লার্ক ফিচারিং ব্র্যান্ডি কার্লাইল)

বেস্ট আমেরিকানা অ্যালবাম
ওয়েদারভেন্স (জেসন ইসবেল ও দ্য ফোর হান্ড্রেড ইউনিট)

বেস্ট ট্র্যাডিশনাল পপ ভোকাল অ্যালবাম
বিউইচড (লুফি)

প্রডিউসার অব দ্য ইয়ার, নন-ক্লাসিক্যাল
জ্যাক অ্যান্টোনফ

সংরাইটার অব দ্য ইয়ার, নন-ক্লাসিক্যাল
থেরন থমাস (হ্যারি স্টাইলস, অ্যাডেল, এফকেএ টুইগস)

বেস্ট মিউজিক ভিডিও
আই’ম অনলি স্লিপিং (দ্য বিটলস)

বেস্ট সং রাইটেন ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া
হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর? (সিনেমা: বার্বি, বিলি আইলিশ)

বেস্ট কম্পাইলেশন সাউন্ডট্র্যাক ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া
বার্বি দ্য অ্যালবাম

বেস্ট স্কোর সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া
ওপেনহাইমার (লুদবিগ গোরানসন)

সেরা কন্টেমপোরারি ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবাম
অ্যাজ উই স্পিক (বেলা ফ্লেক, জাকির হোসেন, এডগার মেয়ার ও রাকেশ চৌরাসিয়া)

সেরা কান্ট্রি দ্বৈত/দলীয় পারফরম্যান্স
আই রিমেম্বার এভরিথিং (জ্যাক ব্রায়া ফিচারিং কেসি মাসগ্রেভস)

সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স
পশতু (বেলা ফ্লেক, এডগার মেয়ার ও জাকির হোসেন ফিচারিং রাকেশ চৌরাসিয়া)

সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম
দ্য মোমেন্ট (শক্তি)

সেরা ইঞ্জিনিয়ার্ড অ্যালবাম, নন-ক্লাসিক্যাল
জাগুয়ার টু (ভিক্টোরিয়া মোনে)

সেরা ইমারসিভ অডিও অ্যালবাম
দ্য ডায়েরি অব অ্যালিসিয়া কিস (অ্যালিসিয়া কিস)

সেরা মিউজিক ফিল্ম
মুনেজ ডেড্রিম – ডেভিড বোওয়ি (ব্রেট মর্গেন)

সেরা র‌্যাগে অ্যালবাম
কালারস অব রয়েল (জুলিয়ান মার্লে ও আনটায়াস)

বেস্ট অডিও বুক, ন্যারেশন অ্যান্ড স্টোরিটেলিং রেকর্ডিং
দ্য লাইট উই ক্যারি: ওভারকামিং ইন আনসার্টেইন টাইমস (মিশেল ওবামা)

বেস্ট স্কোর ফর ভিডিও গেম অথবা অন্যান্য ইন্টারঅ্যাক্টিভ মিডিয়া
স্টার ওয়ারস জেডাই: সারভাইভর (সুরকার স্টিফেন বার্টন ও গোর্ডি হাব)

* এছাড়া আরো ৪৬টি শাখায় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ