Connect with us

হলিউড

‘অ্যাভাটার টু’র আয় ছাড়িয়েছে ২১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা ‘অ্যাভাটার’-এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ মুক্তি পাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। এর মধ্য দিয়ে ১৩ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে।

অস্কারজয়ী কানাডিয়ান পরিচালক জেমস ক্যামেরন জানিয়ে রেখেছিলেন, বিশাল বাজেটে নির্মিত ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার খরচ তুলে আনতে কমপক্ষে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার (২১ হাজার ২৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) আয় করতে হবে। ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যাভাটার’-এর সিক্যুয়েলটি আসতে ১৩ বছর লাগলেও তিনি ব্যবসায়িক সাফল্যের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তার আশা পূরণ হয়ে গেছে।

বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটি ডলার আয়ের মাইলফলক পেরিয়ে গেছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ফলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডিজনির ঘরে আরেকটি ব্যবসাসফল ফ্র্যাঞ্চাইজির জায়গা পাকাপোক্ত হলো। ২০১৯ সালে ৭১০ কোটি মার্কিন ডলারে (৭ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯৭ কোটি ৮৮ হাজার টাকা) টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের কাছ থেকে ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে নেয় ডিজনি। সেটাই এখন হয়ে উঠেছে রত্ন!

অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার

‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওস)

ডিজনির তথ্যানুযায়ী, ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ এখন পর্যন্ত আয় করেছে ২১ হাজার ৪৯১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাইরে অন্যান্য দেশ থেকে এসেছে ১৪ হাজার ৮৬৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সিনেমাটির দারুণ সাফল্যের সুবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডের প্যান্ডোরা অংশে ভিড় বেড়েছে।

তবে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার বাজেট ও বিপণন খরচের অংক জানায়নি ডিজনি। হলিউড রিপোর্টারের দৃষ্টিতে, সিক্যুয়েলটি তৈরিতে কমপক্ষে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার (৩ হাজার ৭১৬ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ব্যয় হয়েছে।

অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার

‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওস)

২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যাভাটার’ সিনেমার গল্পে দেখানো হয়েছে, পৃথিবীর একদল লোভী অধিবাসী ‘প্যান্ডোরা’ গ্রহের সম্পদ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্যান্ডোরার অধিবাসী না’ভিরা। জ্যাক সালির চোখ দিয়ে গল্পটি তুলে ধরা হয়। সে না’ভি তরুণী নেইতিরির প্রেমে পড়ে এবং প্যান্ডোরার জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব বুঝতে পারে।

‘অ্যাভাটার’ যেখানে শেষ হয়েছিলো, সেখান থেকে ১০ বছর পর নতুন সিনেমার গল্প শুরু হয়। সিক্যুয়েলে জ্যাক সালি ও নেইতিরি দম্পতি পাঁচ সন্তানের বাবা-মা। প্যান্ডোরাকে পৃথিবীর অধিবাসীদের আরেকটি আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জলজ জীবনযাপন বেছে নেয় তারা।

অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার

‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওস)

জ্যাক সালি ও নেইতিরি চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথারীতি স্যাম ওয়ার্থিংটন ও জোয়ি স্যালডানা। আগের পর্বের অন্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ফিরেছেন সিগোর্নি উইভার, স্টিফেন ল্যাং, ম্যাট জেরাল্ড, জোয়েল ডেভিড মুর, দিলীপ রাও।

সিক্যুয়েলে নতুন যুক্ত হয়েছেন কেট উইন্সলেট, এডি ফালকাও, মিশেল ইও, ভিন ডিজেল, জিমেইন ক্লেমেন্ট, জিওভানি রিবিসি এবং ওনা চ্যাপলিন। ‘টাইটানিক’ তারকা কেট উইন্সলেট ২৫ বছর পর আবার জেমস ক্যামেরনের পরিচালনায় অভিনয় করলেন। মেটকাইনা বংশের মেয়ে রোনাল চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এজন্য পানির ২০ ফুট গভীরে সাত মিনিট পর্যন্ত দম ধরে রেখে ডুবে থাকার কৌশল রপ্ত করেন তিনি।

কেট উইন্সলেট অভিনীত রোনাল চরিত্রটি।

৩ ঘণ্টা ১২ মিনিট ব্যাপ্তির ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার চিত্রনাট্য যৌথভাবে সাজিয়েছেন জেমস ক্যামেরন এবং রিক জাফা ও আমান্ডা সিলভার দম্পতি। তাদের সঙ্গে মিলে গল্পটি যৌথভাবে লিখেছেন জশ ফ্রিডম্যান ও শেন স্যালেরনো। এটি সম্পাদনা করেছেন জেমস ক্যামেরন, স্টিফেন ই. রিভকিন, ডেভিড ব্রেনার, জন রিফুয়া। প্রযোজনায় জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাউ।

‘অ্যাভাটার’-এর আরো তিনটি সিক্যুয়েল নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। এগুলো মুক্তি পাবে ২০২৪, ২০২৬ ও ২০২৮ সালের ডিসেম্বরে। এরমধ্যে শিশুশিল্পীদের বয়স একই দেখাতে তৃতীয় পর্বের শুটিং ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।

অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার

‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওস)

নয়নাভিরাম ‘প্যান্ডোরা’ গ্রহ নিয়ে সাজানো ‘অ্যাভাটার’ ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছিলো। সিনেমা হলে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলো এটি। এতে ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তির ভার্চুয়াল ক্যামেরা, সর্বাধুনিক সিনেম্যাটিক গ্রাফিক্স এবং স্টোরিওস্কোপিক সাউন্ড সিস্টেম প্রথম ব্যবহার হয়। ২০০৯ সালে মুক্তির পর হইচই ফেলে বিশ্বজুড়ে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার (৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ১২ লাখ টাকা) আয় করে এটি। সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা এটাই। তিনটি শাখায় অস্কারে জিতেছে এটি।

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পায় ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ছয় সপ্তাহ পর এসে সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছে এটি। ছয়টির মধ্যে তিনটিই পরিচালনা করেছেন জেমস ক্যামেরন। অন্য দুটি হলো ‘অ্যাভাটার’ এবং ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭)।

হলিউড

আন্তর্জাতিক মুক্তির আগেই বাংলাদেশের পর্দায় ‘দ্য ফল গাই’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘দ্য ফল গাই’ সিনেমার পোস্টারে রায়ান গসলিং ও এমিলি ব্লান্ট (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

আশির দশকে অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারভিত্তিক আমেরিকান টিভি সিরিজ ‘দ্য ফল গাই’ তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। সেই ‘দ্য ফল গাই’ এবার এলো বড় পর্দায়। সিরিজের নামেই রাখা হয়েছে সিনেমার নাম। ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় এটি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে ৩ মে। তবে চমকপ্রদ খবর হলো, বাংলাদেশের বড় পর্দায় ইতোমধ্যে চলে এসেছে ‘দ্য ফল গাই’। আজ (১ মে) এটি মুক্তি দিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ফলে বিশ্বের অনেক দেশের আগেই বাংলাদেশের দর্শকরা এই সিনেমা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

অ্যাকশন-কমেডি ধাঁচের সিনেমা ‘দ্য ফল গাই’ পরিচালনা করেছেন আমেরিকার ডেভিড লিচ। ‘জন উইক’, ‘অ্যাটমিক ব্লন্ড’ ও ‘বুলেট ট্রেন’-এর মতো অ্যাকশনধর্মী সিনেমা পরিচালনার আগে তিনি নিজেই একজন স্টান্টম্যান ছিলেন। ব্র্যাড পিট ও ম্যাট ডেমনের স্টান্ট-ডাবল হিসেবে কাজ করেছেন ৪৮ বছর বয়সী এই নির্মাতা। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম এন্টারটেইনমেন্ট উইকলিকে তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি পুরো স্টান্ট সম্প্রদায়ের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। স্টান্টম্যান ও পর্দার আড়ালের ক্রুরা মিলেই একটি সিনেমাকে পূর্ণতা এনে দেন। সিনেমায় তাদের অবদান ও না-বলা গল্প সবার সামনে তুলে ধরতেই সিনেমাটি তৈরি করা।’

‘দ্য ফল গাই’ সিনেমার পোস্টারে রায়ান গসলিং (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

গল্পে দেখা যাবে, হলিউড স্টান্ট পারফরমার কোল্ট সিভার্স সাবেক প্রেমিকার প্রথম পরিচালিত সিনেমায় কাজ করে। তার উদ্দেশ্য শুধুই সিনেমাটির প্রধান অভিনেতাকে ঘিরে ষড়যন্ত্রের কুলকিনারা করা। কোল্ট সিভার্স চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘বার্বি’ তারকা রায়ান গসলিং। তিনি ও পরিচালক ডেভিড লিচ সিনেমাটির দুই প্রযোজক।

‘দ্য ফল গাই’তে নির্মাতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘ওপেনহাইমার’ খ্যাত ব্রিটিশ তারকা এমিলি ব্লান্ট। এছাড়াও আছেন অ্যারন টেলর-জনসন, হানা ওয়াডিংহাম, স্টেফানি সু, উইনস্টন ডিউক, টেরেসা পালমার।

‘দ্য ফল গাই’ সিনেমার পোস্টারে রায়ান গসলিং ও এমিলি ব্লান্ট (ছবি: ইউনিভার্সেল পিকচার্স)

সিনেমাহলে মুক্তির আগে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘দ্য ফল গাই’। সর্বাধিক ক্যানন রোলের (শূন্যে গাড়িকে চক্কর দেওয়ানো) অন্যরকম রেকর্ড গড়েছে এটি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে শুটিংয়ের সময় স্টান্ট ড্রাইভার লোগান হোলাডে একটি গাড়িতে সর্বাধিক সাড়ে আট বার ক্যানন রোল করে ভেঙেছেন ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজের ‘ক্যাসিনো রয়েল’-এর স্টান্টম্যান অ্যাডাম কার্লির সাতটি ক্যানন রোলের রেকর্ড।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

‘ট্রান্সফরমার্স ওয়ান’: মহাকাশে ট্রেলার প্রকাশ!

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘ট্রান্সফরমার্স ওয়ান’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: প্যারামাউন্ট পিকচার্স)

হলিউডের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজ ‘ট্রান্সফরমার্স’ পৃথিবীর সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে গেলো মহাকাশে! ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার ফুট ওপরে এর নতুন কিস্তি ‘ট্রান্সফরমার্স ওয়ান’-এর ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। ইতিহাসে এর আগে এমনটি ঘটেনি!

গতকাল (১৮ এপ্রিল) ইউটিউবে প্যারামাউন্ট পিকচার্সের চ্যানেলে, ট্রান্সফরমার্স মুভির সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এবং ইনস্টাগ্রামে অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থের অ্যাকাউন্টে সরাসরি দেখানো হয় মনিটর নিয়ে একটি নভোযানের মহাকাশযাত্রা। ১ লাখ ২৫ হাজার ফুট ওপরে পৌঁছাতে লেগেছে প্রায় ১ ঘণ্টা। ‘ট্রান্সফরমার্স ওয়ান’ সিনেমার ট্রেলারের প্রিমিয়ার শুরুর ৭ সেকেন্ড আগে পর্দায় হাজির হন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থ ও আমেরিকান অভিনেতা ব্রায়ান টাইরি হেনরি। আগে থেকে ধারণকৃত ভিডিওতে তারা বলেন, “ট্রান্সফরমার্স বন্ধুরা, একটুও নড়বেন না। ‘ট্রান্সফরমার্স ওয়ান’ ট্রেলার শুরু হচ্ছে এখন!”

ইউটিউবে মহাকাশযাত্রা ও ট্রেলারের প্রিমিয়ার দেখা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ বার। এর হাইলাইটসের ভিউ সংখ্যা ৬০ হাজার। ট্রেলারটির ভিউ ১৮ ঘণ্টায় ছাড়িয়েছে ৭০ লাখের ঘর।

সিনেমাটিতে অরিয়ন প্যাক্স ওরফে অপটিমাস প্রাইম চরিত্রে ক্রিস হেমসওয়ার্থ ও ডি-সিক্সটিন ওরফে মেগাট্রনের ভূমিকায় কণ্ঠ দিয়ে অভিনয় করেছেন ব্রায়ান টাইরি হেনরি। এছাড়া ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন স্কারলেট জোহানসন, কিগ্যান-মাইকেল কি, স্টিভ বুশেমি, লরেন্স ফিশবার্ন ও জন হ্যাম।

‘ট্রান্সফরমার্স ওয়ান’-এ দেখা যাবে, জনপ্রিয় দুই ট্রান্সফরমার অপটিমাস প্রাইম ও মেগাট্রনের শেকড়ের গল্প। তারা শত্রু হিসেবে পরিচিত হলেও একসময় ভাইয়ের মতো বন্ধু ছিলো। চৌকস এই দুই ট্রান্সফরমার মিলেই সাইবারট্রনের ভাগ্য চিরতরে বদলে দিয়েছিলো।

‘ট্রান্সফরমার্স ওয়ান’ কম্পিউটার গ্রাফিক্স অ্যানিমেটেড সিনেমা। এবারই প্রথম ‘ট্রান্সফরমার্স’ সিরিজের কোনো সিনেমার পুরোটাই এভাবে তৈরি হলো। এটি পরিচালনা করেছেন জশ কুলি। নির্বাহী প্রযোজকদের মধ্যে আছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সিনেমাহলে মুক্তি পাবে ‘ট্রান্সফরমার্স ওয়ান’।

পড়া চালিয়ে যান

হলিউড

ঢাকায় বড় পর্দায় আবার গডজিলা বনাম কং

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘গডজিলা এক্স কং: দ্য নিউ এম্পায়ার’ সিনেমার পোস্টার (ছবি:ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স)

মনস্টার জগতের দুই মহারথী গডজিলা ও কংয়ের দ্বৈরথ সিনেমাপ্রেমীদের কাছে বরাবরই বেশ উপভোগ্য। বিশাল আকারের এই দুটি চরিত্র আবার একসঙ্গে আসছে বড় পর্দায়। ‘গডজিলা এক্স কং: দ্য নিউ এম্পায়ার’ নামের সিনেমায় দেখা যাবে তাদের তাণ্ডব। ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্সের পরিবেশনায় আগামীকাল (২৯ মার্চ) আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

সর্বশেষ ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গডজিলা ভার্সেস কং’ সিনেমায় কিং কং ও গডজিলার দ্বৈরথ দেখা গেছে। করোনা মহামারিতে এটি দর্শকদের দারুণ সাড়া পায়। এবার আসছে এর বহুল প্রতীক্ষিত সিক্যুয়েল। লিজেন্ডারি পিকচার্সের প্রযোজনায় আগের পর্বের সাফল্যের সুবাদে এবারের কিস্তিও পরিচালনা করেছেন অ্যাডাম উইনগার্ড। আগের সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ফিরছেন রেবেকা হল, ব্রায়ান টাইরি হেনরি ও কেইলি হটেল। নতুন যুক্ত হয়েছেন ড্যান স্টিভেনস, অ্যালেক্স ফার্নস, ফালা চেন, র‌্যাচেল হাউস।

‘গডজিলা এক্স কং: দ্য নিউ এম্পায়ার’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি:ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স)

‘গডজিলা এক্স কং: দ্য নিউ এম্পায়ার’ হলো ‘মনস্টারভার্স’ ফ্রাঞ্চাইজের পঞ্চম কিস্তি, গডজিলা ফ্রাঞ্চাইজের ৩৮তম পর্ব এবং কিং কং ফ্রাঞ্চাইজের ১৩তম সিনেমা। ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের সিনেমাটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৫ কোটি ডলার।

‘গডজিলা এক্স কং: দ্য নিউ এম্পায়ার’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি:ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স)

গডজিলা আর কং প্রাগৈতিহাসিক দুই দানব। কং নির্জন রহস্যময় দ্বীপ স্কাল আইল্যান্ডের বাসিন্দা আর গডজিলা প্রশান্ত মহাসাগরের জলরাশির গভীর তলদেশ থেকে উঠে আসে। নতুন সিনেমায় বিশ্বে লুকিয়ে থাকা এক বিশাল অনাবিষ্কৃত হুমকি নিয়ে তাদের মধ্যে লড়াই হবে। গডজিলা আণবিক নিশ্বাস ছাড়লেও শেষ পর্যন্ত কাবু হয় কংয়ের বাহুবলের কাছে, নাকি ‘অবমানব’ কংয়ের মানবিক সত্তার কাছে? সেই উত্তর মিলবে গল্পে। টাইটানদের ইতিহাস, তাদের উৎস, স্কাল আইল্যান্ড এবং তার বাইরের রহস্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। সেই সঙ্গে রয়েছে পৌরাণিক যুদ্ধ।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ