ঢালিউড
আবার জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন যারা, শীর্ষে ‘নোনাজলের কাব্য’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ বিজয়ী তালিকা প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এবার সর্বাধিক সাতটি শাখায় পুরস্কার পেতে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বক্তব্যধর্মী সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’। এগুলো হলো সেরা সিনেমা (যৌথভাবে), সেরা অভিনেত্রী (তাসনোভা তামান্না, যৌথভাবে), সেরা পরিচালক ও সেরা কাহিনিকার (রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত), সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা (ফজলুর রহমান বাবু), সেরা শিল্প নির্দেশক (শিহাব নূরুন নবী) এবং সেরা পোশাক পরিকল্পনা (ইদিলা ফারিদ তুরিন)।
ফজলুর রহমান বাবু পঞ্চমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এর আগে ২০০৪ সালে ‘শঙ্খনাদ’, ২০১৬ সালে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ও ২০১৯ সালে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা হন তিনি। মাঝে ২০১৭ সালে ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার জন্য কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে। তিনি ছাড়া ‘নোনা জলের কাব্য’র প্রস্তাবিত বিজয়ী সবার জন্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার।
দুটি করে পুরস্কার পাচ্ছে ‘মৃধা বনাম মৃধা’ এবং কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পাওয়া ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।
‘মৃধা বনাম মৃধা’র জন্য সেরা অভিনেতা হচ্ছেন সিয়াম আহমেদ। একই সিনেমার সুবাদে সেরা কৌতুক অভিনেতা স্বীকৃতি পাচ্ছেন মিলন ভট্টাচার্য্য। সিয়াম এর আগে ২০২০ সালে ‘বিশ্বসুন্দরী’র সুবাদে সেরা অভিনেতা হন। মিলন ভট্টাচার্য্যের জন্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার।
এবার যৌথভাবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন মীর সাব্বির (রাতজাগা ফুল)। এটাই হবে তার প্রথম জাতীয় পুরস্কার।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার জন্য আজমেরী হক বাঁধন সেরা অভিনেত্রী এবং শৈব তালুকদার সেরা শব্দগ্রাহক হচ্ছেন। দুইজনের জন্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার।
‘স্ফুলিঙ্গ’র সুবাদে সেরা সংলাপ রচয়িতা পুরস্কার পাচ্ছেন তৌকীর আহমেদ। এর আগে পাঁচবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ২০০৮ সালে ‘জয়যাত্রা’র জন্য সেরা সিনেমা প্রযোজক (যৌথভাবে), সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রনাট্যকার, ২০১৮ সালে ‘অজ্ঞাতনামা’র জন্য সেরা কাহিনিকার এবং ২০১৯ সালে ‘হালদা’র জন্য সেরা চিত্রনাট্যকার হন তিনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচটি পুরস্কার পাচ্ছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। এগুলো হলো সেরা সিনেমা (যৌথভাবে), সেরা খল অভিনেতা (জয়রাজ), সেরা চিত্রনাট্যকার (নূরুল আলম আতিক), সেরা সম্পাদক (সামির আহমেদ), সেরা চিত্রগ্রাহক (সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু) এবং সেরা রূপসজ্জাকর (মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন)।
‘কিত্তনখোলা’ সিনেমার জন্য নূরুল আলম আতিক ২০০০ সালে সেরা চিত্রগ্রাহক এবং সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে দুটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। সামির আহমেদ ২০১১ সালে ‘গেরিলা’র সুবাদে সেরা সম্পাদক হন। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র প্রস্তাবিত অন্য বিজয়ীদের জন্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার।
তিনটি করে পুরস্কার পেতে যাচ্ছে ‘পদ্মপুরাণ’ এবং ‘যৈবতী কন্যার মন’। এরমধ্যে ‘পদ্মপুরাণ’ সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন শম্পা রেজা। একই সিনেমার সুবাদে সেরা গায়ক হচ্ছেন মুহিন। তিনিও প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। ‘পদ্মপুরাণ’ সিনেমার জন্যই সেরা গায়িকা হয়েছেন চন্দনা মজুমদার। ২০০৯ সালে ‘মনপুরা’র সুবাদে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পান তিনি।
‘যৈবতী কন্যার মন’ গানের তিনটি শাখায় সেরা হচ্ছে। এরমধ্যে সুজেয় শ্যাম সেরা সুরকার এবং সংগীত পরিচালকের পুরস্কার পাচ্ছেন। তিনি এর আগে সেরা সংগীত পরিচালক হয়েছেন তিনবার। সিনেমা তিনটি হলো ‘হাছন রাজা’ (২০০২), ‘জয়যাত্রা’ (২০০৪), ‘অবুঝ বউ’ (২০১০)। সেরা গীতিকার হচ্ছেন প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি এর আগে ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০২, ২০০৩ এবং ২০১৬ সালে একই শাখায় জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন।
আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। এর আগে ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯৮৬ সালে ‘পরীণিতা’র জন্য সেরা অভিনেতা এবং ২০০৫ সালে ‘শাস্তি’র সুবাদে সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা শাখায় জাতীয় পুরস্কার পান। অন্যদিকে ডলি জহুর ১৯৯২ সালে ‘শঙ্খনীল কারাগার’-এর জন্য সেরা অভিনেত্রী এবং ২০০৬ সালে ‘ঘানি’র সুবাদে সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হন।
দেশীয় সিনেমার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জন্য গত ১৬ আগস্ট ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ২১টি পূর্ণদের্ঘ্য, ১৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৭টি প্রামাণ্যচিত্রসহ মোট ৪৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে এবার ২৮টি শাখায় ৩৪টি পুরস্কার প্রদান করা হবে। সেরা নৃত্য পরিচালক শাখায় কেউই বিচারকদের চোখে যোগ্য বিবেচিত হননি। সম্প্রতি জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন দিয়েছে।
আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তদের ৩ লাখ টাকা করে সম্মানী দেওয়া হবে। এছাড়া সেরা পূর্ণদের্ঘ্য সিনেমার প্রযোজক ও সেরা পরিচালকের জন্য ২ লাখ টাকা করে রয়েছে। অন্যান্য শাখার বিজয়ীদের ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া নির্বাচিত প্রত্যেকে ১৮ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা ও সম্মাননাপত্র পাবেন।
একনজরে চূড়ান্ত হতে যাওয়া বিজয়ী তালিকা
আজীবন সম্মাননা: ডলি জহুর, ইলিয়াস কাঞ্চন
সেরা সিনেমা: লাল মোরগের ঝুঁটি, নোনাজলের কাব্য
সেরা অভিনেতা: সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা), মীর সাব্বির (রাতজাগা ফুল)
সেরা অভিনেত্রী: আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর), তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)
সেরা পরিচালক: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা: ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী: শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ)
সেরা খল অভিনেতা: জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা কৌতুক অভিনেতা: মিলন ভট্টাচার্য্য (মৃধা বনাম মৃধা)
সেরা শিশুশিল্পী: আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর)
বিশেষ পুরস্কার (শিশুশিল্পী শাখা): জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)
সেরা গায়ক: মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ, সিনেমা: পদ্মপুরাণ)
সেরা গায়িকা: চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি, সিনেমা: পদ্মপুরাণ)
সেরা সুরকার: সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা, সিনেমা: যৈবতী কন্যার মন)
সেরা সংগীত পরিচালক: সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)
সেরা গীতিকার: প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা, সিনেমা: যৈবতী কন্যার মন)
সেরা কাহিনিকার: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
সেরা চিত্রনাট্যকার: নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা সংলাপ রচয়িতা: তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)
সেরা সম্পাদক: সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা শিল্প নির্দেশক: শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য)
সেরা চিত্রগ্রাহক: সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা শব্দগ্রাহক: শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর)
সেরা পোশাক পরিকল্পনা: ইদিলা তুরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য)
সেরা রূপসজ্জাকর: মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা: ধড় (আকা রেজা গালিব)
সেরা প্রামাণ্যচিত্র: বধ্যভূমিতে একদিন (কাওসার চৌধুরী)
ঢালিউড
জোড়া সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আফরান নিশো
‘সুড়ঙ্গ’ পেরিয়ে ফিরছেন অভিনেতা আফরান নিশো। নতুন দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। দুটিতেই প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। তবে পরিচালক ও ছবি দুটির নাম এখনো জানা যায়নি। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ঘোষণা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন সিনেমা দুটি প্রযোজনা করবে এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট। ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস (এসভিএফ) ও ঢাকার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে গঠিত হয়েছে এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল ও এসভিএফ-এর চেয়ারম্যান মহেন্দ্র সোনি।
২০২৩ সালে ঈদুল আজহায় রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফরান নিশোর। এতে তার অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। এরপর থেকে তার নতুন কাজের ব্যাপারে কৌতূহল ছিলো ভক্ত-দর্শকদের। অবশেষে বড় পর্দায় ফেরার সুখবর দিলেন তিনি।
ঢালিউড
‘তুফান’ টিজারে শাকিবের হুংকার
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’-এর টিজার প্রকাশ্যে এলো। রায়হান রাফীর পরিচালনায় এতে অপ্রতিরোধ্য গ্যাংস্টারের আমেজে দেখা গেছে তাকে। বিভিন্ন অ্যাকশন দৃশ্যে তার লুক ও মেজাজ আভাস দিচ্ছে, তুফান বয়ে যাবে সিনেমাহলে!
১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের টিজারের শুরুতে শাকিব বলেন, ‘পূর্বের কথা মোতাবেক, এখন থেকে পুরো দেশকে তুফানের হাতে তুলিয়া দেবো। সে যা চাইবে পাইবে, যা করিতে চাইবে করিবে। তাহাকে কোনো কিছুতেই বাধা দেয়ার এখতিয়ার কেউই রাখিতে পারিবে না। আর এর ব্যত্যয় ঘটিলে…।’ এরপরই শুরু হয় তার আগ্রাসী কর্মকাণ্ড।
টিজারে শেষ দৃশ্যের আগে অন্যমাত্রা নিয়ে হাজির হন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি উপহাস মোড়ানো হাসি দিয়ে বলেন, ‘তুফান খুব ভয় পাইছিরে।’ এরপর বাথটাবে পানিতে বসে থাকা শাকিব হুংকার ছাড়েন।
গতকাল (৭ মে) বিকেলে সিনেমাটির তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই, চরকি ও এসভিএফ-এর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয় টিজার।
টিজারে ধুন্ধুমার অ্যাকশন দৃশ্যের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে টাইটেল গান। এর কথা এমন– ‘প্রলয়ের তুফান, আসছে এ তুফান, প্রলয়ের তুফান, থামাও এ তুফান’। এটি গেয়েছেন আরিফ রহমান জয়। তার সঙ্গে সহ-কণ্ঠ দিয়েছেন সাম্যব্রত দৃপ্ত। র্যাপ গেয়েছেন র্যাপস্টা দাদু। এর কথা লিখেছেন তাহসান শুভ, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন নাভেদ পারভেজ।
টিজার প্রসঙ্গে পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, “বাংলা সিনেমাকে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে চেনাবে ‘তুফান’। অনেক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি পরিবর্তন করে। ‘তুফান’ তেমন একটি সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাংলা সিনেমার মানদণ্ড অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বলা যায়, ‘তুফান’ আমার জীবনের একটি স্বপ্নের প্রকল্প। শাকিব ভাইকে এই সিনেমায় পাওয়া আশীর্বাদ।”
‘তুফান’ দর্শকের মধ্যে ঝড় তুলবে বলে আশাবাদী এসভিএফ-এর পরিচালক ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সোনি, আলফা-আই স্টুডিওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল এবং চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি। তিনজনই জানিয়েছেন, টিজার প্রকাশের পর দারুণ সাড়া মিলছে।
আসন্ন ঈদুল আজহায় সিনেমাহলে মুক্তি পাবে ‘তুফান’। এতে শাকিব ও চঞ্চলের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী, মাসুমা রহমান নাবিলাসহ অনেকেই।
ঢালিউড
‘ফাতিমা’ সিনেমাহলে কবে আসছে জানালেন ফারিণ
বাংলাদেশের বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের। তার নতুন সিনেমা ‘ফাতিমা’ আগামী ২৪ মে সিনেমাহলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।
গতকাল (৫ মে) সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ফাতিমা’র পোস্টার শেয়ার দিয়ে ফারিণ লিখেছেন, “আসছে দুই সময়ের দুই সংগ্রামের আখ্যান ‘ফাতিমা’। দেখুন আগামী ২৪ মে থেকে আপনার কাছের সিনেমা হলে!”
পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, তাসনিয়া ফারিণ একদৃষ্টিতে একদিকে তাকিয়ে আছেন। এতে ১৯৭১ ও ২০২৩ সাল উল্লেখ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ও ২০২৩ সালের দুটি পৃথক সময়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। পোস্টারের নিচের অংশে গরুর গাড়িতে চড়ে ও পায়ে হেঁটে অনেককে আশ্রয়ের খোঁজে যেতে দেখা যাচ্ছে।
‘ফাতিমা’য় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ইরানের ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার পেয়েছেন তাসনিয়া ফারিণ। ইস্টার্ন ভিস্তা শাখায় ক্রিস্টাল সিমোর্গ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তাকে।
ইরানের পর গত বছর অরল্যান্ডো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং ইন্ডি গ্যাদারিং আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পায় ‘ফাতিমা’।
‘ফাতিমা’য় তাসনিয়া ফারিণ ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, সংগীতশিল্পী পান্থ কানাই, তারিক আনাম খান, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, আয়েশা মনিকা, গাউসুল আলম শাওন।
আউটকাস্ট ফিল্মস প্রযোজিত ‘ফাতিমা’র নাম শুরুতে ছিলো ‘দাহকাল’। ২০১৭ সালে এর শুটিং শুরু হলেও অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে কাজ শেষ করে সাত বছর লেগেছে। চিত্রগ্রহণ করেছেন তুহিন তমিজুল।
সিনেমাটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ধ্রুব হাসান। গল্পটি তারই। তিনি ও আদনান হাবিব চিত্রনাট্য লিখেছেন। তারাই সম্পাদনা ও নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সহ-প্রযোজক আরমান কাদরী, আরজু মানারা বেগম, শামসুর রাহমান আলভী ও তুনাজ্জিনা চৌধুরী পুনম। শিল্প নির্দেশনায় তারেক বাবলু, শিহাব নুরুন নবী ও উত্তম গুহ। শব্দসজ্জা করেছেন শৈব তালুকদার। পোশাক পরিকল্পনায় জুনায়েদ বোগদাদি জিমি ও এদিলা ফারিদ তুরিন।
গানের সুর ও সংগীত এবং আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন পাভেল আরীন। শারমিন সুলতানা সুমি লেখার পাশাপাশি একটি কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া রয়েছে সোমনূর মনির কোনালের গাওয়া একটি গান।
পশ্চিমবঙ্গের ‘আরো এক পৃথিবী’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তাসনিয়া ফারিণের। এটি মুক্তি পায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
-
ছবি ও কথা9 months ago
তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড2 years ago
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক2 years ago
আমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা7 months ago
বুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড9 months ago
রাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা9 months ago
‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড1 year ago
শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড2 years ago
‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস