Connect with us

টালিউড

জয়া-অপুর ভারতীয় এই নায়কের ১৩ বছরের সংসার ভাঙছে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিষ্ট (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

রেদওয়ান রনির ‘চোরাবালি’ সিনেমায় জয়া আহসান এবং মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘সম্রাট: দ্য কিং ইজ হিয়ার’ সিনেমায় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ভারতীয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ব্যক্তিজীবনের কারণে তিনি এসেছেন খবরের শিরোনামে। অভিনেত্রী বরখা বিষ্টের সঙ্গে তার ১৩ বছরের সংসারের পাট চুকে গেছে।

অবশ্য ২০২১ সাল থেকেই ইন্দ্রনীল ও বরখার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো। কিন্তু দু’জনই এ বিষয়ে বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছিলেন। সম্প্রতি তারা বিয়েবিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিষ্ট (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

টাইমস অব ইন্ডিয়ার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইটাইমস’কে বরখা জানিয়েছেন, তিনি এখন সিঙ্গেল মায়ের দায়িত্ব পালন করছেন। একইসঙ্গে নিশ্চিত করেছেন, তার বিয়েবিচ্ছেদ শিগগিরই হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি। আমি এখন সিঙ্গেল মা। আমাদের মেয়ে মীরা এখন আমার অগ্রাধিকার। কাজের ক্ষেত্রে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দারুণ কিছু কাজ করছি। টিভি আর সিনেমায় ভালো কাজের প্রস্তাব পেলে করবো।’

মেয়ে মীরার সঙ্গে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিষ্ট (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

ইন্দ্রনীল ও বরখা উভয়ে টেলিভিশন অঙ্গনের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। স্টার প্লাসের ‘পেয়ার কে দো নাম– এক রাধা এক শ্যাম’ সিরিয়ালের শুটিংয়ে তাদের পরিচয় ও সখ্য গড়ে ওঠে। দুই বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ২০০৮ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের মেয়ে মীরার বয়স ১১ বছর।

ছোট পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে ইন্দ্রনীল ও বরখা ধীরে ধীরে জায়গা করে নিয়েছেন বড় পর্দায়। দুই তারকাকেই বাংলা ও হিন্দি সিনেমায় দেখা গেছে।

‘চোরাবালি’ সিনেমায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

এদিকে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের নতুন সিনেমা ‘আজম’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৯ মে। শ্রাবণ তিওয়ারির পরিচালনায় এতে ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ জোশি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ৪৮ বছর বয়সী এই তারকাকে সর্বশেষ নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিনেমা ‘চোর নিকাল কে ভাগা’য় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে। তার হিন্দি সিনেমার তালিকায় আরো রয়েছে ‘কাহানি’ (২০১২), প্রকাশ ঝা পরিচালিত ‘সত্যাগ্রহ’ (২০১৩), ‘সম্রাট অ্যান্ড কো.’ (২০১৪), মধুর ভান্ডারকরের ‘ক্যালেন্ডার গার্লস’ (২০১৫), অনুভব সিনহা পরিচালিত ‘মূল্ক’ (২০১৮), ‘ডক্টর জি’ (২০২২)।

‘সম্রাট: দ্য কিং ইজ হিয়ার’ সিনেমায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও অপু বিশ্বাস (ছবি: টাইগার মিডিয়া)

ইন্দ্রনীল অভিনীত জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা হলো অতনু ঘোষের ‘অংশুমানের ছবি’ (২০০৯), সৃজিত মুখার্জির ‘অটোগ্রাফ’ (২০১০) ও ‘মিসর রহস্য’ (২০১৩), কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’ (২০১১) ও ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ (২০২৩), অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ‘অপরাজিতা তুমি’ (২০১২), সুজিত মণ্ডলের ‘অরুন্ধতী’ (২০১৪), অনিন্দ্য বিকাশ দত্তের ‘কিরীটি ও কালো ভ্রমর’ (২০১৬), অরিন্দম শীলের ‘আসছে আবার শবর’ (২০১৮) ইত্যাদি।

অন্যদিকে গত মাসে বরখা অভিনীত ‘হান্টার টুটেগা নাহি তোড়েগা’ ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে অ্যামাজন মিনি টিভিতে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন সুনীল শেঠি ও এশা দেওল।

২০১০ সালে প্রকাশ ঝা পরিচালিত ‘রাজনীতি’ (রণবীর কাপুর, ক্যাটরিনা কাইফ) সিনেমায় ‘ইশক বারসে’ আইটেম গানে নেচেছেন বরখা। এরপর সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘গোলিও কি রাসলীলা রাম-লীলা’ (২০১৩), রাজীব খান্ডেলওয়াল অভিনীত ‘সম্রাট অ্যান্ড কো.’ (২০১৪) এবং ওমাঙ কুমার পরিচালিত ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ (২০১৯) সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তার বাংলা সিনেমায় তালিকায় আছে জিৎ-দেবের ‘দুই পৃথিবী’ (২০১০), মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘আমি সুভাষ বলছি’ (২০১১), অঙ্কুশ হাজরার ‘ভিলেন’ (২০১৩)। এছাড়া সোহম ও বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত ‘ব্ল্যাক’ (২০১৫) সিনেমায় একটি আইটেম গানে নেচেছেন তিনি।

টালিউড

বাংলা সিনেমায় বলিউডের চন্দনের বিপরীতে জয়া, পরিচালনায় অনিরুদ্ধ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

ওপার বাংলার আরেকটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন নন্দিত তারকা জয়া আহসান। এর নাম ‘ডিয়ার মা’। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। এটি পরিচালনা করবেন ‘পিঙ্ক’ খ্যাত অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। তার সঙ্গে ‘কড়ক সিং’ সিনেমায় কাজ করেছেন জয়া। এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীর।

‘ডিয়ার মা’তে জয়ার স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন চন্দন রায় স্যান্যাল। বলিউডে আমির খানের ‘রঙ দে বাসন্তী’, শহিদ কাপুরের ‘কামিনে’, ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ‘জাজবা’, শাহরুখ খানের ‘জব হ্যারি মেট সেজাল’সহ বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে ৪৪ বছর বয়সী এই তারকাকে।

চন্দন রায় সান্যাল (ছবি: ফেসবুক)

নতুন সিনেমার খবর জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়া লিখেছেন, ‘কড়ক সিং-এর পর দ্বিতীয়বার আমাকে এমন সুযোগ দেওয়ায় অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা! চন্দন রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্জি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেপুরিয়া, পদ্মপ্রিয়া এবং অন্যান্যদের মতো সেরা অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিতে মুখিয়ে আছি! শিগগিরই শুটিং শুরু হবে।’

অনিরুদ্ধর পরিচালনায় এর আগে ‘অপরাজিতা তুমি’ (২০১২) সিনেমায় অভিনয় করেছেন চন্দন রায় স্যান্যাল। সেই সিনেমার নায়িকা তামিল-মালায়লাম তারকা পদ্মপ্রিয়া থাকছেন ‘ডিয়ার মা’তে। গৃহকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করবেন অনুভা ফতেপুরিয়া। কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’য় শহিদ কাপুরের মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। এটাই হবে বাংলা সিনেমায় তার প্রথম কাজ।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

‘ডিয়ার মা’তে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন শাশ্বত চ্যাটার্জি। শিক্ষকের ভূমিকায় পর্দায় আসবেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে শুটিং। চিত্রগ্রহণ করবেন অভীক মুখোপাধ্যায়।

পরিবারে বাবা, মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধনের অন্য রূপ তুলে ধরা হবে গল্পে। কাহিনিতে থ্রিলারের ছোঁয়া থাকবে। ঝিমলি নামের একটি মেয়ের ৫ ও ১২ বছর বয়সের ঘটনা দেখা যাবে এতে। ‘ডিয়ার মা’-এর গল্প লিখেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ও শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘ডিয়ার মা’-এর মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর পর বাংলা সিনেমা পরিচালনা করছেন ৫৯ বছর বয়সী অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ‘বুনোহাঁস’ (দেব, শ্রাবন্তী) বানিয়েছিলেন তিনি।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

কলকাতায় ক্যাবচালকের মেয়ের নাম তাসনিয়া ফারিণ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি হাতে তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফিল্মফেয়ার)

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ এখন দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়। তাকে নিয়ে এপারের পাশাপাশি ওপারে সবশ্রেণির দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ। তার প্রতি ভালো লাগা থেকে ওপার বাংলায় একজন ক্যাবচালক নিজের মেয়ের নাম বদলে ফেলেছেন!

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরে সেরা নবাগতা অভিনেত্রী শাখায় পুরস্কার জিতেছেন তাসনিয়া ফারিণ। মর্যাদাসম্পন্ন ব্ল্যাক লেডি গ্রহণ করতে কলকাতায় গিয়ে চমকে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হলো তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওর মাধ্যমে তিনি নিজেই ঘটনাটি জানিয়েছেন। এতে একজন ক্যাবচালকের সঙ্গে তার কথোপকথন রয়েছে।

ভিডিওতে ক্যাবচালক রাকিব জানান, তার মেয়ের নাম তাসনিয়া ফারিণ! তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। এখন তার বয়স সাড়ে আট বছর। শুরুতে মেয়েটির নাম রাখা হয় রাফিয়া সুলতানা। হঠাৎ তাসনিয়া ফারিণের অনুরাগী হয়ে পড়েন রাকিব। সেজন্য তিনি মেয়ের নাম রাখেন তাসনিয়া ফারিণ।

ক্যাবচালক রাকিব জানান, অপূর্বের সঙ্গে ফারিণের অভিনয় সবচেয়ে ভালো লাগে তার।

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চে মনামি ঘোষ ও তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফিল্মফেয়ার)

ভিডিওটি শেয়ার করে তাসনিয়া ফারিণ লিখেছেন, ‘সবকিছু ছাপিয়ে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন দর্শকদের ভালোবাসা। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে দেখা হয়, কিন্তু আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হলো যিনি নিজের মেয়ের নাম পরিবর্তন করে আমার নামে নাম রেখেছেন। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এমন ভালোবাসা আমাকে সত্যিই অনেক আপ্লুত করে। চিরকৃতজ্ঞ।’

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’ (জিফাইভ) ও সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ (হইচই) ওয়েব সিরিজের সুবাদে পশ্চিমবঙ্গে পরিচিতি পান তিনি। এরপর অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। সিনেমাটি তাকে এনে দিয়েছে প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সম্প্রতি চরকিতে মুক্তি পাওয়া তাসনিয়া ফারিণের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় এতে সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসানের বিপরীতে দেখা গেছে তাকে।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

সোহেল মণ্ডলের ঘরে ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার দৃশ্যে সোহেল মণ্ডল (ছবি: ফ্লিপবুক)

ভারতের মর্যাদাসম্পন্ন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরে সেরা নবাগত অভিনেতা শাখায় পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের সোহেল মণ্ডল। দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার জন্য ভারতের ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

গতকাল (২৯ মার্চ) রাতে কলকাতার আইটিসি রয়েল বেঙ্গল হোটেলে বিজয়ী হিসেবে সোহেল মণ্ডলের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে অনুষ্ঠানে ছিলেন না তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখবরটি জানিয়ে পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও ‘মায়ার জঞ্জাল’ টিমকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এই অভিনেতা। তার কথায়, ‘ব্ল্যাক লেডি ঘরে আসছে। আমার সহকর্মী, বন্ধু ও থিয়েটার কমিউনিটির সবাইকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি। সিনেমার চাইতেও জীবন অনেক নাটকীয়।’

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একসঙ্গে মুক্তি পায় ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়ার জঞ্জাল’। এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সোহেল মণ্ডলের। এতে সত্য চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা পার্শ্ব অভিনেতা শাখাতেও মনোনয়ন পান সোহেল মণ্ডল। তবে যৌথভাবে এই পুরস্কার জিতেছেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য (অর্ধাঙ্গিনী) ও কৌশিক গাঙ্গুলী (আরো এক পৃথিবী)। একই শাখায় মনোনীত অন্য চারজন হলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (দশম অবতার), অনির্বাণ চক্রবর্তী (প্রধান), যীশু সেনগুপ্ত (দশম অবতার), বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা)।

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও সোহেল মণ্ডল (ছবি: ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস)

সমালোচকদের বিচারে সেরা সিনেমা হয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’। এটি সর্বাধিক সাতটি শাখায় পুরস্কার জিতেছে। বাকি পাঁচটি স্বীকৃতি হলো সেরা চিত্রনাট্য (ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও সুগত সিনহা), সেরা সিনেমা সম্পাদনা (সুমিত ঘোষ), সেরা শব্দ বিন্যাস (শুভদীপ সেনগুপ্ত), সেরা চিত্রগ্রহণ (ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়), সেরা পোশাক পরিকল্পনা (ঋতারুপা ভট্টাচার্য) শাখাতেও পুরস্কার পেয়েছে। সমালোচকদের বিচারে যৌথভাবে সেরা সিনেমা হয়েছে ওপার বাংলার ‘নীহারিকা’।

সোহেল মণ্ডল ও অপি করিম (ছবি: ফেসবুক)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯ বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী অপি করিম। এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। একই শাখায় ‘আরো এক পৃথিবী’র জন্য বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ মনোনীত হয়েছেন। তবে পুরস্কারটি জিতেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শিবপুর)। তবে খালি হাতে ফেরেননি তাসনিয়া ফারিণ। সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

(বাঁ থেকে) সোহেল মণ্ডল, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় অপি করিমের সহশিল্পী ওপার বাংলার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। সেরা অভিনেতা (সমালোচক) শাখায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। তবে পুরস্কারটি জিতেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা)।

চীনের মর্যাদাসম্পন্ন সাংহাই আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এরপর মস্কো, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, লন্ডন ও ঢাকার বিভিন্ন উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কার পেয়েছে এটি। বাংলাদেশের প্রযোজক জসীম আহমেদের প্রতিষ্ঠান ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস এবং ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে এই সিনেমা।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ