Connect with us

গান বাজনা

একজীবনে রুনা লায়লা: বলিউডে গান, গিনেস রেকর্ড, আটবার জাতীয় পুরস্কার, সিনেমায় অভিনয়

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে বলা হয় তারকাদের তারকা। সবশ্রেণির জনপ্রিয়তা, সাফল্য আর প্রাপ্তিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গানের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তিনিই। অনন্য কণ্ঠ, অধ্যবসায়, একাগ্রতা, চর্চা, সময়জ্ঞানে তার তুলনা শুধু তিনিই। আজ (১৭ নভেম্বর) তার জন্মদিন। পরিবার, স্বজন, শিল্পী ও ভক্তদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন গুণী এই শিল্পী।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা এমদাদ আলী ছিলেন পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। সেজন্য মা আমিনা লায়লা, বড় বোন দিনা লায়লা ও ভাই সৈয়দ আলী মুরাদসহ তাকে পাকিস্তানেই শৈশব কাটাতে হয়েছে। ১৯৬৫ সালের জুনে মনজুর হোসেনের সংগীত পরিচালনায় উর্দু সিনেমা ‘জুগনু’র দুটি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। এগুলো হলো ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ এবং ‘মারনা ভি নাহি আসান’। এর পরের বছর পাকিস্তানি সিনেমা ‘হাম দোনো’তে তার গাওয়া ‘উনকি নজরো সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’ ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

১৯৬৫ সাল থেকে দীর্ঘ পাঁচ দশকে শ্রোতাদের অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন রুনা লায়লা। যুগের পর যুগ সংগীতপিপাসুদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন তিনি। তার গানের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, পশতু, বেলুচি, আরবি, পারসি, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালিয়ান, স্প্যানিশ, ফরাসি ও ইংরেজিসহ ১৭টি ভাষায় গান করেছেন তিনি।

পাকিস্তান রেডিওর ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে প্রথম বাংলা গানে কণ্ঠ দেন রুনা লায়লা। দেবু ভট্টাচার্যের সুর করা গান দুটি ছিলো ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’ ও ‘আমি নদীর মতো পথ ঘুরে’।

১৯৭০ সালে বাংলা সিনেমার জন্য রুনা লায়লা প্রথম গেয়েছেন ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথা ও সুবল দাসের সুরে এটি তৈরি হয় ‘স্বরলিপি’ সিনেমার জন্য। একই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মাহমুদুন্নবী। লাহোরের বারী স্টুডিওতে এর রেকর্ডিং হয়।

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

১৯৭৪ সালে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলেন আসেন রুনা লায়লা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি প্রথম গেয়েছেন সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ সিনেমায়। তার সহশিল্পী ছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। একই বছর কলকাতায় ‘সাধের লাউ’ গানটি নতুন সংগীতায়োজনে রেকর্ড করেন তিনি। এটি এবং ‘দমা দম মাস্ত কালান্দার’ গান দুটি দিয়ে ভারত জুড়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। ১৯৭৪ সালে মুম্বাইয়ে প্রথমবার কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করেন।

১৯৭৬ সালে কল্যাণজি-আনন্দজির সুরে ‘এক সে বাড়কার এক’ সিনেমার টাইটেল গান গেয়ে বলিউডে পা রাখেন রুনা লায়লা। হিন্দি সিনেমায় তার গাওয়া গানের তালিকায় রয়েছে– জয়দেবের সুরে ‘তুমহে হো না হো’, ‘মুঝে পেয়ার তুমসে নেহি হ্যায়’ ও ‘দো দিওয়ানে শেহার মে’ (সহশিল্পী: ভূপিন্দর সিং; ঘারোন্দা, ১৯৭৭), বাপ্পি লাহিড়ীর সুরে ‘মার গ্যায়ো রে’ (সহশিল্পী: মোহাম্মদ রফি; জান-এ-বাহার, ১৯৭৯), ‘কাহো সখি কাহো’ (সহশিল্পী: বাপ্পি লাহিড়ী; এক দিন বহু কা, ১৯৮৩), ‘অ্যায় দিলওয়ালে আও’ (ইয়াদগার, ১৯৮৪) ও ‘জান মেরি জান’ (সাজান কে লিয়ে, ১৯৯৫), এম. আশরাফের সুরে ‘ও মেরা বাবু ছেইল ছেবিলা’ (ঘর দুয়ার, ১৯৮৫), লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের সুরে ‘আলি বাবা মিল গ্যায়া চালিস চোরো সে’ (অগ্নিপথ, ১৯৯০) ও ‘ম্যায় কালি আনার কি’ (সহশিল্পী: আদেশ শ্রীবাস্তব; স্বপনো কা মন্দির, ১৯৯১)।

‘ও মেরা বাবু ছেইল ছেবিলা’ ছিলো পাকিস্তানের ‘মান কি জিত’ (১৯৭২) সিনেমার গান। পরে এটি ব্যবহার হয় বলিউডের ‘ঘর দুয়ার’ (১৯৮৫) সিনেমায়।

১৯৮২ সালের ১ ডিসেম্বর বাপ্পি লাহিড়ীর সুরে রুনা লায়লার ‘সুপারুনা’ অ্যালবামটি ইএমআই মিউজিক কোম্পানি প্রকাশের প্রথম দিনেই ১ লাখ কপি বিক্রি হয়। এজন্য উপহার হিসেবে গোল্ডেন ডিস্ক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। অ্যালবামটির কাজ হয়েছিলো লন্ডনে, যেখানে বিটলস গান রেকর্ডিং করতো।

রুনা লায়লা (ছবি: ফেসবুক)

নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সংগীত পরিচালক নিসার বাজমির সুরে একেক দিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দেন রুনা লায়লা। এটি ছিলো বিশ্বরেকর্ড। ফলে তার নাম লেখা হয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। এর আগেও নিসার বাজমির সুর করা ক্লাব সং, স্যাড সং, ক্লাসিক্যাল, গজল, গীতসহ বিভিন্ন ধরনের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

রুনা লায়লা মোট আটবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তার কালজয়ী গানের তালিকায় রয়েছে ‘যখন আমি থাকবো নাকো’, ‘বুকে আমার আগুন জ্বলে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’, ‘আয়রে মেঘ আয়রে’, ‘এই বৃষ্টিভেজা রাতে’, ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’, ‘পাখি খাঁচা ভেঙে উড়ে গেলে’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত’, ‘সুখ তুমি কী বড় জানতে ইচ্ছে করে’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট লাল’ প্রভৃতি। দেশের গানের তালিকায় উল্লেখযোগ্য– ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যরাগে’, ‘হায়রে আমার মন মাতানো দেশ’, ‘আমায় গেঁথে দাও না মাগো’।

বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত বেশ কিছু ভেন্যুতে সংগীত পরিবেশন করেছেন রুনা লায়লা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য– রয়্যাল অ্যালবার্ট হল, ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম, ওয়েম্বলি কনফারেন্স সেন্টার, মেডিসন স্কয়ার গার্ডেন, লিংকন সেন্টার নিউইয়র্ক, সিডনি অপেরা হাউস।

১৯৯৯ সালে জিটিভির ‘সারেগামাপা’ (হিন্দি) প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক ছিলেন রুনা লায়লা। তার সঙ্গে আরো ছিলেন মেহেদি হাসান, গুলাম আলী, ফরিদা খানম ও জগজিৎ সিং। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সনু নিগাম। জি বাংলার ‘সারেগামাপা বিশ্বসেরা’ প্রতিযোগিতায় রুনার সঙ্গে বিচারক ছিলেন কুমার শানু ও শান্তনু মৈত্র। বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানের প্রতিযোগীদের নিয়ে ২০১২ সালে দুবাইয়ে আয়োজন করা হয় ‘সুরক্ষেত্র’। রুনা লায়লা ছাড়াও এতে বিচারক ছিলেন আশা ভোঁসলে ও আবিদা পারভীন। বাংলাদেশে চ্যানেল আইয়ের ‘সেরাকণ্ঠ’ এবং চ্যানেল নাইনের ‘পাওয়ার ভয়েস’ প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন তিনি।

শুধু গান নয়, বড় পর্দায় অভিনয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৯৯১ সালে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। তার জীবনের কিছু গল্প বলা হয়েছে এতে। সিনেমাটির নায়ক ছিলেন আলমগীর। এরপর তারা বাস্তবে বিয়ের বন্ধনে জড়ান।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় কাজ করেছেন রুনা লায়লা। সার্ক এবং ইউএনএইডসের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। বড় বোন দিনার মৃত্যুর পর ঢাকায় শিশু হাসপাতালে ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি ওয়ার্ড গড়েছেন।

গান বাজনা

শাড়ির প্রতি ভালোবাসায় ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র নতুন গানে জয়া

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘তাঁতী’ গানের ভিডিওতে জয়া আহসান (ছবি: কোক স্টুডিও বাংলা)

‘কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় মৌসুমের প্রথম গানে কণ্ঠ মেলালেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এর শিরোনাম ‘তাঁতী’। মাইক্রোফোন হাতে পর্দায় হাজির হয়েছেন তিনি। তাঁত বোনার আবহ ছড়ানো সুসজ্জিত সেটে গানটির সহশিল্পী হিসেবে দেখা গেছে তাকে।

গতকাল (১৩ এপ্রিল) রাতে ইউটিউবে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র চ্যানেলে ‘তাঁতী’র ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি স্পটিফাই চ্যানেলে এটি শোনা যাচ্ছে।

ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রচারণামূলক ভিডিওতে জয়া আহসানকে একঝলক দেখা যায়। এতে তিনি ‘গান গাই আমার মন রে বোঝাই’ গানের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়েছেন। এতে আভাস মিলেছে, একটি গানে তার উপস্থিতি ঘটবে। সেটাই সত্যি হয়েছে!

‘তাঁতী’ গানের ভিডিওতে জয়া আহসান (ছবি: কোক স্টুডিও বাংলা)

জয়া আহসান মনে করেন, বাংলাদেশের তাঁতিদের এবং তাঁত শিল্পের ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হয়ে থাকবে এই গান। তার আশা, নববর্ষের আগমনে নতুন গানটি দেশের শাড়ি এবং তাঁত শিল্পকে আরো বর্ণময় করে বিশ্বের আঙিনায় পৌঁছে দেবে।

গতকাল রাত ১০টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নিজের পেজে জয়া আহসান আরো লিখেছেন, “শাড়ি আমার প্রাণের অহংকার, শাড়ি আপামর বাংলাদেশের ঐতিহ্য, প্রতি সুতোর বুননে বাংলাদেশের শিল্পীদের মুন্সিয়ানা প্রতিফলিত। এবার সেই শাড়ির ঐতিহ্য নিয়েই আমরা কয়েকজন গলা মেলালাম কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গান ‘তাঁতি’তে। আমি নিজে শাড়ি খুব ভালোবাসি, বাংলাদেশের জামদানি, মসলিনসহ সমস্ত দেশীয় শাড়ি আমার ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে গেছে অচিরেই। আমি বিশ্ব আঙিনায় বহুবার বাংলাদেশের জামদানি শাড়ি পরিবেশন করেছি। শাড়ির প্রতি সেই ভালোবাসা এবং অর্ণবের আন্তরিক অনুরোধ থেকেই এই গানের সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া। দুর্দান্ত একটি টিমের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হলো আমার সব মিলিয়ে। যারা গান পছন্দ করেন, শাড়ি এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যকে সম্মান করেন, আমি নিশ্চিত এই গান তাদের ভালো লাগবে। নববর্ষে এই গান সকলে শুনুন।”

আজ (১৪ এপ্রিল) দুপুরে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে গানটি শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের প্রকৃত জাদু হলো শাড়ি। আর তা যদি হয় জামদানি শাড়ি, তাহলে তো কথাই নেই! আনমনে সুরে সুতার প্যাঁচ আর চরকার তালে তালে বাহারি শাড়ি বোনা তাঁতিদের গল্পে কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের প্রথম গান শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল বর্ষবরণের আনন্দে তাঁতি পাড়া সরগরম হয়ে উঠেছে। আপনারাও শুনুন, ভালো লাগবে।’

মূল কণ্ঠশিল্পী হিসেবে এই গান গেয়েছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, গঞ্জের আলী ও বাংলাদেশে বসবাসকারী নাইজেরিয়ান সংগীতশিল্পী লুইস অ্যান্থনি। তিনি ‘ওলি বয়’ নামে পরিচিত। গানটিতে রয়েছে তার অ্যাফ্রোবিটের ফিউশন। ভিডিওতে তিনজনের পরিবেশনা রয়েছে।

‘তাঁতী’র কথা লিখেছেন শতরূপা ঠাকুরতা রায়, গঞ্জের আলী ও লুইস অ্যান্থনি। সুর করেছেন গঞ্জের আলী ও অর্ণব। এটি প্রযোজনা করেছেন ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় মৌসুমের সংগীত কিউরেটর অর্ণব।

‘তাঁতী’ গানের ভিডিওতে জয়া আহসান (ছবি: কোক স্টুডিও বাংলা)

গানটি প্রসঙ্গে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘তাঁতি একজন শিল্পী, কাপড়ের বুননে যিনি ফুটিয়ে তোলেন আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ইতিহাস। কাপড় বোনার সময় একধরনের ছন্দ তৈরি হয়। তাঁতের শব্দের সাথে প্রতিটি সুতা যেন হয়ে ওঠে গানের এক একটি চরণ। আর প্রতিটি চরণ এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। এই শব্দ, এই বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গানটিতে।’

দেশীয় সংস্কৃতি উদযাপন করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৮০ জনের বেশি শিল্পী ও সুরকারের পরিবেশনা থাকছে তৃতীয় মৌসুমে। এবার আসবে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক সুরে সাজানো মোট ১১টি গান। এরমধ্যে প্রথমবারের মতো কোক স্টুডিও বাংলায় গাইবেন হাবিব ওয়াহিদ। মেঘদল ব্যান্ড এবারও একটি গান করছে। সংগীত প্রযোজক হিসেবে অর্ণবের সঙ্গে থাকছেন প্রীতম হাসান, ইমন চৌধুরী, শুভেন্দু দাশ শুভ ও অন্যরা।

‘কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় মৌসুমের ভিডিও নির্মাণ করেছেন ডোপ প্রোডাকশনের কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও রানআউট ফিল্মসের আদনান আল রাজীব।

পড়া চালিয়ে যান

গান বাজনা

২০ বছর পর আবার

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

আঁখি আলমগীর ও শওকত আলি ইমন (ছবি: ধ্রুব মিউজিক স্টেশন)

কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের গাওয়া ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘বাবুজি’, ‘শ্যাম পিরিতি’, ‘রাজকুমারী’ গানগুলো সুরকার ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন। সিনেমায় তারা দুটি দ্বৈত গান গেয়েছিলেন। এরমধ্যে সর্বশেষটি ছিলো দুই দশক আগে। ২০ বছর পর আবার একসঙ্গে গাইলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই দুই শিল্পী। অডিওতে এটাই তাদের প্রথম দ্বৈত গান।

শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীরের গাওয়া নতুন গানটির শিরোনাম ‘কফির পেয়ালা’। এর কথায় ফুটে উঠেছে প্রিয় মানুষকে কাছে পাওয়ার আকুলতা। এটি লিখেছেন গীতিকবি আশিক মাহমুদ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ। সংগীতায়োজনে শওকত আলী ইমন।

আঁখি আলমগীর ও শওকত আলি ইমন (ছবি: ধ্রুব মিউজিক স্টেশন)

গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিথিল রহমান। এতে মডেল হয়েছেন শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীর। তারা বলেন, ‘আমরা ভালো একটি গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের বিশ্বাস, রোমান্টিক ধাঁচের গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’

শওকত আলি ইমন ও আঁখি আলমগীর (ছবি: ধ্রুব মিউজিক স্টেশন)

গানটি প্রকাশ করছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)। আগামী ৩১ মার্চ ইউটিউবে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন চ্যানলে অবমুক্ত হবে ‘কফির পেয়ালা’র ভিডিও। সেই সঙ্গে গানটি শোনা যাবে দেশি ও আন্তর্জাতিক একাধিক অ্যাপে।

পড়া চালিয়ে যান

গান বাজনা

‘সরলতার প্রতিমা’র গায়ক খালিদ মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

খালিদ (ছবি: ফেসবুক)

সংগীতশিল্পী খালিদ মারা গেছেন। আজ (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকার গ্রিন রোডে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৫৮ বছর।

কয়েক বছর ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন খালিদ। আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

অনেকের কৈশোর-তারুণ্যের প্রিয় গায়ক ছিলেন খালিদ। কালজয়ী কিছু গান রেখে চিরতরে হারিয়ে গেলেন তিনি। তার মায়াবী কণ্ঠ নিস্তব্ধ হয়ে গেলো।

খালিদের মৃত্যুর খবরে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে স্মৃতিচারণ করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য– কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, ডলি সায়ন্তনী, অয়ন চাকলাদার, অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, কুসুম সিকদার।

খালিদ (ছবি: ফেসবুক)

আজ রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গোপালগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন খালিদ। ১৯৮১ সালে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু হয় তার। ১৯৮৩ সালে চাইম ব্যান্ডে যোগ দেন তিনি।বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবামে তার গাওয়া গান শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেলো না তাকে’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ