Connect with us

টালিউড

ভারতে চরকির ওয়েব সিরিজে শুভ-সোহিনী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

আরিফিন শুভ ও সোহিনী সরকার (ছবি: ফেসবুক)

নতুন ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। এর নাম রাখা হয়েছে ‘লহু’। এতে তার বিপরীতে থাকছেন ওপার বাংলার নায়িকা সোহিনী সরকার। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির জন্য তৈরি হচ্ছে এটি।

‘লহু’ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত সোহিনী সরকার। নিজেকে চরিত্র অনুযায়ী প্রস্তুত করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিরিজটি নিয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত ও আশাবাদী। এর গল্প একেবারেই ভিন্ন। আশা করছি, দুর্দান্ত একটি কাজ হবে। আর কলকাতায় চরকির কার্যক্রম শুরু হওয়ার ফলে আমাদের কাজের ক্ষেত্র ও পরিধি বাড়লো। এজন্য খুব ভালো লাগছে।’

সোহিনী সরকার (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

ভারতে চরকির কন্টেন্টে কাজ করা প্রসঙ্গে শুভ বলেন, ‘এটি অবশ্যই অনেক আনন্দের। শুধু আমার জন্য নয়, আমাদের বাংলাদেশের ওটিটি এবং দর্শকদের জন্য উচ্ছ্বাসের ব্যাপার যে, পশ্চিমবঙ্গে চরকির পথচলা শুরু হচ্ছে।’

আরিফিন শুভ (ছবি: ফেসবুক)

‘লহু’র জন্য কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানতে চাইলে শুভ উল্লেখ করেন, ‘পাণ্ডুলিপি পড়েছি। নির্মাতাদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। চরিত্রের মাত্রা কী রকম ও কেমন, সেসব বোঝার চেষ্টা করছি। শুটিং শুরু হলে কাজটি ভালোভাবে করতে পারবো আশা রাখি।’

সোহিনী সরকার (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

রাহুল মুখার্জির পরিচালনায় সিরিজটির শুটিং শুরু হবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। এতে আরো অভিনয় করবেন রাজনন্দিনী পাল, সৌম্য মুখোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী ও অনুজয় চট্টোপাধ্যায়।

সোহিনী সরকার (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

রাহুল মুখার্জি বলেন, ‘পাহাড়ি অঞ্চলে একটি সক্রিয় গোষ্ঠীকে সামলাতে বিশেষ দল পৌঁছে যায়। তারপর কী ঘটে তা নিয়েই গল্প। শুভ ও সোহিনীসহ সবাই মিলে যে কাজ হবে তাতে মনে হচ্ছে, আমাদের দুই বাংলার ভৌগোলিক সীমানা খুলে যাচ্ছে। দুটো দেশের মানুষেরা মিলেমিশে শিল্প দিয়ে দারুণ কিছু করে ফেলবো।’

আরিফিন শুভ (ছবি: ফেসবুক)

রাহুল যোগ করেন, ‘চরকির সঙ্গে আমার প্রথম কাজ হতে যাচ্ছে। এজন্য দারুণ লাগছে। চরকি একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম। সাধারণত ভারতেবর্ষে আমরা যেমন কাজ করি চরকি সেসবের বাইরে নতুন কিছু করছে।’

সোহিনী সরকার (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

রাহুল মুখার্জি এর আগে ‘কিশমিশ’ (২০২২) ও ‘দিলখুশ’ (২০২৩) সিনেমা দুটি পরিচালনা করেছেন। দুটিতেই চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন মধুরা পালিত। গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়। ‘লহু’ ওয়েব সিরিজেও একসঙ্গে কাজ করবেন এই ত্রয়ী।

সোহিনী সরকার (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

গত অক্টোবরে ভারতে যাত্রা শুরু করে চরকি। সেই ধারাবাহিকতায় চরকি কনটেন্ট নির্মাণ শুরু করছে। চরকির হেড অব কনটেন্ট অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, ‘আমরা গল্প বলি, গল্প বলতে চাই এবং আমরা গল্প বলবো দুই বাংলা মিলে।’

সোহিনী সরকার (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেদওয়ান রনি বলেন, ‘চরকি ভারতে সংবাদ সম্মেলনেই ঘোষণা দিয়েছিলো যে, শিগগিরই সেখানকার স্থানীয় শিল্পী-কলাকুশলীদের নিয়ে কাজ করবে। সেই প্রতিশ্রুতি থেকেই আমরা বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে রাহুল মুখার্জির ‘লহু’ খুব তাড়াতাড়ি শুটিং ফ্লোরে যাবে। গল্প, পরিচালক, শিল্পীসহ ভালো টিমের সম্মিলনে ভারতে চরকির পথচলা শুরু হচ্ছে। এরকম আরো দারুণ কাজের খবর আসতেই থাকবে।’

আরিফিন শুভ (ছবি: ফেসবুক)

চলতি বছর বেশ ভালো যাচ্ছে আরিফিন শুভর। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চরিত্রে তার অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। এরপর ‘নীলচক্র’ নামের একটি সিনেমা হাতে নেওয়ার খবর জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ দিতে চাই পরিচালক, প্রযোজক ও প্ল্যাটফর্মকে; যারা ভালো ভালো কাজের সুযোগ দিচ্ছেন। সর্বোপরি আমার দর্শকদের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থনের জন্য এতো কিছু, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা।’

টালিউড

বাংলা সিনেমায় বলিউডের চন্দনের বিপরীতে জয়া, পরিচালনায় অনিরুদ্ধ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

ওপার বাংলার আরেকটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন নন্দিত তারকা জয়া আহসান। এর নাম ‘ডিয়ার মা’। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। এটি পরিচালনা করবেন ‘পিঙ্ক’ খ্যাত অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। তার সঙ্গে ‘কড়ক সিং’ সিনেমায় কাজ করেছেন জয়া। এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীর।

‘ডিয়ার মা’তে জয়ার স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন চন্দন রায় স্যান্যাল। বলিউডে আমির খানের ‘রঙ দে বাসন্তী’, শহিদ কাপুরের ‘কামিনে’, ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ‘জাজবা’, শাহরুখ খানের ‘জব হ্যারি মেট সেজাল’সহ বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে ৪৪ বছর বয়সী এই তারকাকে।

চন্দন রায় সান্যাল (ছবি: ফেসবুক)

নতুন সিনেমার খবর জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়া লিখেছেন, ‘কড়ক সিং-এর পর দ্বিতীয়বার আমাকে এমন সুযোগ দেওয়ায় অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা! চন্দন রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্জি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেপুরিয়া, পদ্মপ্রিয়া এবং অন্যান্যদের মতো সেরা অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিতে মুখিয়ে আছি! শিগগিরই শুটিং শুরু হবে।’

অনিরুদ্ধর পরিচালনায় এর আগে ‘অপরাজিতা তুমি’ (২০১২) সিনেমায় অভিনয় করেছেন চন্দন রায় স্যান্যাল। সেই সিনেমার নায়িকা তামিল-মালায়লাম তারকা পদ্মপ্রিয়া থাকছেন ‘ডিয়ার মা’তে। গৃহকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করবেন অনুভা ফতেপুরিয়া। কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’য় শহিদ কাপুরের মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। এটাই হবে বাংলা সিনেমায় তার প্রথম কাজ।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

‘ডিয়ার মা’তে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন শাশ্বত চ্যাটার্জি। শিক্ষকের ভূমিকায় পর্দায় আসবেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে শুটিং। চিত্রগ্রহণ করবেন অভীক মুখোপাধ্যায়।

পরিবারে বাবা, মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধনের অন্য রূপ তুলে ধরা হবে গল্পে। কাহিনিতে থ্রিলারের ছোঁয়া থাকবে। ঝিমলি নামের একটি মেয়ের ৫ ও ১২ বছর বয়সের ঘটনা দেখা যাবে এতে। ‘ডিয়ার মা’-এর গল্প লিখেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ও শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘ডিয়ার মা’-এর মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর পর বাংলা সিনেমা পরিচালনা করছেন ৫৯ বছর বয়সী অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ‘বুনোহাঁস’ (দেব, শ্রাবন্তী) বানিয়েছিলেন তিনি।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

কলকাতায় ক্যাবচালকের মেয়ের নাম তাসনিয়া ফারিণ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি হাতে তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফিল্মফেয়ার)

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ এখন দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়। তাকে নিয়ে এপারের পাশাপাশি ওপারে সবশ্রেণির দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ। তার প্রতি ভালো লাগা থেকে ওপার বাংলায় একজন ক্যাবচালক নিজের মেয়ের নাম বদলে ফেলেছেন!

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরে সেরা নবাগতা অভিনেত্রী শাখায় পুরস্কার জিতেছেন তাসনিয়া ফারিণ। মর্যাদাসম্পন্ন ব্ল্যাক লেডি গ্রহণ করতে কলকাতায় গিয়ে চমকে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হলো তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওর মাধ্যমে তিনি নিজেই ঘটনাটি জানিয়েছেন। এতে একজন ক্যাবচালকের সঙ্গে তার কথোপকথন রয়েছে।

ভিডিওতে ক্যাবচালক রাকিব জানান, তার মেয়ের নাম তাসনিয়া ফারিণ! তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। এখন তার বয়স সাড়ে আট বছর। শুরুতে মেয়েটির নাম রাখা হয় রাফিয়া সুলতানা। হঠাৎ তাসনিয়া ফারিণের অনুরাগী হয়ে পড়েন রাকিব। সেজন্য তিনি মেয়ের নাম রাখেন তাসনিয়া ফারিণ।

ক্যাবচালক রাকিব জানান, অপূর্বের সঙ্গে ফারিণের অভিনয় সবচেয়ে ভালো লাগে তার।

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চে মনামি ঘোষ ও তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফিল্মফেয়ার)

ভিডিওটি শেয়ার করে তাসনিয়া ফারিণ লিখেছেন, ‘সবকিছু ছাপিয়ে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন দর্শকদের ভালোবাসা। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে দেখা হয়, কিন্তু আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হলো যিনি নিজের মেয়ের নাম পরিবর্তন করে আমার নামে নাম রেখেছেন। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এমন ভালোবাসা আমাকে সত্যিই অনেক আপ্লুত করে। চিরকৃতজ্ঞ।’

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ফেসবুক)

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’ (জিফাইভ) ও সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ (হইচই) ওয়েব সিরিজের সুবাদে পশ্চিমবঙ্গে পরিচিতি পান তিনি। এরপর অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। সিনেমাটি তাকে এনে দিয়েছে প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

তাসনিয়া ফারিণ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সম্প্রতি চরকিতে মুক্তি পাওয়া তাসনিয়া ফারিণের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় এতে সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসানের বিপরীতে দেখা গেছে তাকে।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

সোহেল মণ্ডলের ঘরে ফিল্মফেয়ারের ব্ল্যাক লেডি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার দৃশ্যে সোহেল মণ্ডল (ছবি: ফ্লিপবুক)

ভারতের মর্যাদাসম্পন্ন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার সপ্তম আসরে সেরা নবাগত অভিনেতা শাখায় পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের সোহেল মণ্ডল। দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার জন্য ভারতের ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

গতকাল (২৯ মার্চ) রাতে কলকাতার আইটিসি রয়েল বেঙ্গল হোটেলে বিজয়ী হিসেবে সোহেল মণ্ডলের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে অনুষ্ঠানে ছিলেন না তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখবরটি জানিয়ে পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও ‘মায়ার জঞ্জাল’ টিমকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এই অভিনেতা। তার কথায়, ‘ব্ল্যাক লেডি ঘরে আসছে। আমার সহকর্মী, বন্ধু ও থিয়েটার কমিউনিটির সবাইকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি। সিনেমার চাইতেও জীবন অনেক নাটকীয়।’

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একসঙ্গে মুক্তি পায় ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়ার জঞ্জাল’। এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সোহেল মণ্ডলের। এতে সত্য চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা পার্শ্ব অভিনেতা শাখাতেও মনোনয়ন পান সোহেল মণ্ডল। তবে যৌথভাবে এই পুরস্কার জিতেছেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য (অর্ধাঙ্গিনী) ও কৌশিক গাঙ্গুলী (আরো এক পৃথিবী)। একই শাখায় মনোনীত অন্য চারজন হলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (দশম অবতার), অনির্বাণ চক্রবর্তী (প্রধান), যীশু সেনগুপ্ত (দশম অবতার), বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (শেষ পাতা)।

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও সোহেল মণ্ডল (ছবি: ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস)

সমালোচকদের বিচারে সেরা সিনেমা হয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’। এটি সর্বাধিক সাতটি শাখায় পুরস্কার জিতেছে। বাকি পাঁচটি স্বীকৃতি হলো সেরা চিত্রনাট্য (ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ও সুগত সিনহা), সেরা সিনেমা সম্পাদনা (সুমিত ঘোষ), সেরা শব্দ বিন্যাস (শুভদীপ সেনগুপ্ত), সেরা চিত্রগ্রহণ (ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়), সেরা পোশাক পরিকল্পনা (ঋতারুপা ভট্টাচার্য) শাখাতেও পুরস্কার পেয়েছে। সমালোচকদের বিচারে যৌথভাবে সেরা সিনেমা হয়েছে ওপার বাংলার ‘নীহারিকা’।

সোহেল মণ্ডল ও অপি করিম (ছবি: ফেসবুক)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯ বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী অপি করিম। এবারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক) শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। একই শাখায় ‘আরো এক পৃথিবী’র জন্য বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ মনোনীত হয়েছেন। তবে পুরস্কারটি জিতেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শিবপুর)। তবে খালি হাতে ফেরেননি তাসনিয়া ফারিণ। সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

(বাঁ থেকে) সোহেল মণ্ডল, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় অপি করিমের সহশিল্পী ওপার বাংলার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। সেরা অভিনেতা (সমালোচক) শাখায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। তবে পুরস্কারটি জিতেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (কাবুলিওয়ালা)।

চীনের মর্যাদাসম্পন্ন সাংহাই আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এরপর মস্কো, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, লন্ডন ও ঢাকার বিভিন্ন উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কার পেয়েছে এটি। বাংলাদেশের প্রযোজক জসীম আহমেদের প্রতিষ্ঠান ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস এবং ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে এই সিনেমা।

পড়া চালিয়ে যান

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ